রাসূল (সঃ) এর মেরাজে গমনের ঘটনা পড়লেও অনেকের (অবিশ্বাসীদের) হাসি পায়। তাই বলে ব্যাপারটা এমননা যে হাদিস গ্রন্থ থেকে মেরাজ সম্পর্কিত লেখা সমূহ মুছে দিতে হবে।
যে রাতে সাঈদী সাহেবের ছবি চাঁদে দেখা গিয়েছে বলে ব্যাপকভাবে খবর ছড়িয়ে পড়ে সে রাতে আমি আত্মগোপনে রুদ্ধদ্বার একটা রুমে বন্দী থাকায় চাঁদটি দেখার সৌভাগ্য হয়নি। কিন্তু এমন অনেকের কথা শুনেছি যারা দেখেছেন, আবার অনেকেই দেখেননাই। তাই ব্যাপারটিকে বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলেই রেখে দিয়েছি কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারিনাই।
আমাদের এক দায়িত্বশীল এবং তার ছোট ভাই চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটির ছাত্রলীগ কর্মী, দুজনেই ছাদে উঠেছিলেন চাঁদে সাঈদি সাহেবের ছবি দেখার জন্য। মজার ব্যাপার হচ্ছে যিনি শিবির করেন তিনি কিছুই দেখলেননা আর যিনি ছাত্রলীগ করেন তিনি চিৎকার করে উঠলেন "হ্যা, তিনি দেখেছেন!"
লক্ষ লক্ষ মানুষ সেদিন চাঁদে সাঈদী সাহেবকে দেখে রাজপথে নেমে এসেছিলেন। এখন এইযে কেউ দেখলেন আর কেউ দেখলেননা এটার ব্যাখ্যা ভিন্ন হতে পারে, তাই বলে যারা দেখেছেন তাদের নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের মানে হচ্ছে নিজের ক্ষুদ্র মানসিকতা উন্মোচন করা।
আল্লাহ যদি কাউকে কিংবা কোন একটি জনগোষ্ঠীকে কোন মুজিযা দেখাতে চান সেটা তিনি দেখাতেই পারেন। নাকি আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে কোন সন্দেহ আছে?
© শামীম রেজা