কোম্মে যামু !?

জনগনের মেন্টালিটি বহুত জটিল! গাড়ি ভাঙলে কয় আহ! গাড়ি ভাঙা ঠিক হয়নাই, আগুন লাগানো উচিত হয়নাই। আর যদি ভাংচুর আগুন দেওয়া না হয়, তাহলে বলে "ধুর এদের দিয়ে কিচ্ছু হবেনা, এরা আন্দোলন কিভাবে করতে হয় জানেনা, আন্দোলন শিখতে হবে আওয়ামীলীগ থেকে"।
পুলিশের হাতে মাইর খাইলে কয়, "ধুর মিয়া পুলিশের হাতে মাইর খাইয়া আইছো, কি করতে পারছো?" আর পুলিশরে পিটাইলে কয় "ওরাতো চাকরি করে ওদের এভাবে মারাটা উচিত হয়নাই"

Post Comment

শিবির খেপলে খবর আছে !

দায়ীত্বশীলদের কাছে শুনেছিলাম, একবার চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ হামলা করেছিলো। কি এক কারণে ওইদিন উর্দ্ধতন দায়ীত্বশীলরা ছাত্রাবাসে ছিলেননা, কর্মীরা সুযোগ পেয়ে ছাত্রলীগকে ইচ্ছেমতো প্যাদানী দ্যায়। পরে দায়িত্বশীলরা এসে এই ঘটনার জন্য কর্মীদের কাছে কৈফিয়ৎ চায়, এভাবে ভয়াবহ ভাবে কেন পিটানো হলো? কর্মীরা জবাব দ্যায়, আপনারা সব সময় শুধু মারামারিতে বাধা দ্যান, ধৈর্যধরতে বলেন, আপনাদের জন্য কিছু করতে পারিনা আজ সুযোগ পাইছি তাই কাজে লাগালাম।
আজ সংগঠনের উর্ধতন দায়ীত্বশীলরা জেলের অভ্যান্তরে বন্দি আছেন, রাজপথের আন্দোলনের নেতৃত্ব এখন সাধারণ কর্মীদের হাতে। আজ আর কর্মীদের বাঁধা দেয়ার মতো কেউ নেই। প্রশাসন যদি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারতে না চান তবে শিবির থেকে একশো হাত দূরে থাকবেন। তাদের ঘাটাতে যাবেননা। কর্মীরা অনেক ধৈর্য ধারণ করেছে, এবার তারা প্রতিশোধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, তাদের ফেরানোর মতো কেউ না।
আর নয় প্রতিরোধ, এবার হবে প্রতিশোধ।

Post Comment

মিডিয়া এবং পাবলিক ওপিনিয়ন

এই মাত্র বাহির হতে আসলাম দোকানের সামনে দেখলাম জটলা করে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে খেঁটে খাওয়া কিছু মানুষ, কান পাততেই শুনলাম তারা বলাবলি করছে আজকে হাজার হাজার জামাত-শিবির মিছিল করেছে পুলিশ বাঁধা দ্যায় নাই, শিবিরও পুলিশকে কিছু বলেনাই। বাঁধা দিবেকি মিছিল দেখেই পুলিশ ভয় পাইছে। একজায়গায় পুলিশে বাঁধা দিছে সেখানে তারা শিবিরের হাতে মাইর খাইছে। তাদের মিছিল তারা করবে, তোরা বাঁধা দিবি কেনো? এগুলারে পিটানো দরকার।
এটা সাধারণ শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের স্বাভাবিক অভিব্যক্তি। মিডিয়ার এই চরম পক্ষপাতমূলক আচরণের মধ্যেও মানুষ কিন্তু সঠিক তথ্য বুঝেনিতে সক্ষম হচ্ছে, তাদের কথা গুলো শুনে ভালোই লাগলো, আন্দোলন সংগ্রামের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন আছে। তারা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ভালোবাসে, জালিমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠ জামায়াতে ইসলামীকে পছন্দ করে।

Post Comment

জামায়াতে তরুণ নেতৃত্ব

যুদ্ধাপরাধ ইস্যু জামায়াত নেতৃবৃন্দকে শুধু জাতীয় নয় আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পরিচিত করিয়ে দিয়েছে। একই সাথে জামায়াতে কিছু তরুন নেতৃত্বের বিকাশ ঘটেছে। জামায়াত এখন গণমানুষের চোখে দেশের প্রধান বিরোধী দল।
বাতিল যতই চেস্টা করুক ইসলামী আন্দোলনকে নির্মূল করতে, আন্দোলন আরো বিকশিত হবে, আরো বেগবান হবে।

Post Comment

দিগন্ত টিভি বন্ধ হলে ক্যবল ব্যবসাও বন্ধ হবে

যে সব ক্যাবল অপারেটর দিগন্ত টিভি প্রদর্শন করবেনা, সেসব ক্যাবল কেটে দিন। জনগণকেই এই লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। দিগন্ত টিভি প্রদর্শন যদি বন্ধ হয় তাহলে তাদের ক্যাবল বিজনেসও বন্ধ করে দিতে হবে। শিবিরের ভাইদের অনুরোধ করছি যেসব ক্যাবল অপারেটর দিগন্ত টিভির সম্প্রচার বন্ধ করবে তাদের ক্যাবল আপনার আমার বাসার সামনে দিয়েই গিয়েছে কিছু বলার দরকার নাই একটা কাঁচিই যথেস্ট......

Post Comment

সাঈদীর জন্য ভালোবাসা

এলাকার এক ছোট ভাই, মাস শেষে হাত খরচ থেকে জমানো কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে বললো "ভাই টাকা গুলো রাখেন সংগঠনের জন্য খরচ কইরেন"! সংগঠনের ব্যয়ের অনেক গুলো খাত আছে আপনি কোন খাতের জন্য দিচ্ছেন? পাঠাগার,ছাত্রকল্যান, মামলা নাকি বিবিধ প্রগ্রামের জন্য?
ভাই অতশত বুঝিনা, শুধুমাত্র সাঈদী সাহেবের জন্য যেদিন আন্দোলন করতে যাবেন সেদিনই টাকা গুলো খরচ করবেন।
যে মানুষটির জন্য মানুষের অন্তরে এত ভালোবাসা, যে মানুষটি শুধুমাত্র কোরাণের কথা বলার কারণে বাতিলের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন, তাকে বন্দী করে রাখে সাধ্য কার?

Post Comment

জামায়াত একাই একশো !

জামায়াত শিবিরের রাজপথের আপোশহীন ভুমিকা জামায়াতকে রাজনৈতিক ময়দানে চমৎকার একটি অবস্থান দান করেছে।
বিএনপি রাজপথ ছেড়ে দেওয়ায় রাজনৈতিক ময়দানে যে শূন্যতা তৈরী হয়েছে, জামায়াত সেটা ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। আজকের হরতালের কথাই ধরা যাক, হরতাল ঘোশণা দিয়েছিলো বিএনপি কিন্তু বাস্তবায়ন করছে জামায়াত-শিবির, রাজপথে বিএনপি'র পিকেটার নেই বললেই চলে। এটা জামায়াতের রাজনৈতিক বিচক্ষণতারই পরিচায়ক। জনগণের সরকার বিরোধী অবস্থানের আস্থা ও বিশ্বাসের যায়গাটি জামায়াতই দখল করতে পেরেছে।
গতরাতে একটি টিভি টকশোতে বিশিস্ট সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ বলেছেন, "জামায়াত একাই একশো, জামায়াতের দাবী আদায়ের জন্য বিএনপি'র সহযোগীতার প্রয়োজন নেই, এটা এখন প্রামানীত। মাওলানা সাঈদীর রায় পরবর্তী প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মাধ্যমে জামায়াত যে সফলতা দেখিয়েছে, জামায়াতের এই ক্ষমতার কথা বিএনপি এমনকি আওয়ামীলীগও কল্পনাও করতে পারেনি"।
সর্বশেষ একটি কথাই বলা যায় রাজনৈতিক দূরদর্শী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে জামায়াত জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের স্থানটি দখল করতে সক্ষম হয়েছে।

Post Comment

অবুঝ বাবা-মা

আমাদের বাবা-মায়েরা বদর ওহুদ এবং খন্দকের যুদ্ধ নিয়ে গর্ব করেন, কিভাবে গুটিকয়েক মুজাহিদ বাতিলের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছিলো সে কাহিণী বলতে বলতে তারা আবেগপ্লুত হয়ে যান। তারা হামজা,ওমর,আলী, খালিদ বিন ওয়ালীদের(রাঃ)দের বিরত্বগাথা বর্ণনা করেন, শহীদের মর্জাদা সম্পর্কে গল্পশোনান।
অন্যদিকে সেই বাবা-মায়েরাই নিজের সন্তানকে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখেন, জিহাদের আহ্বানে সারা দিতে বাঁধা প্রদান করেন। যখন ঈমানদার মুসলিমের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত তখন মায়েরা নিজ হাতে দুধ ভাত মেখে সন্তানের মুখে তুলে দেন। সন্তানকে আগলে রাখতে চান ঘরের চৌকাঠের মধ্যে।
আজ সে মায়ের বড়ই প্রয়োজন, যে মা এক সন্তানের শাহাদাতের খবর পেয়ে জিহাদের ময়দানের দিকে ছুটে যেতে যেতে অপর সন্তানেরও শাহদাতের সংবাদ লাভ করে আফসোস করে বলেছিলেন, হায়! আমার যদি আরো ছেলে থাকতো তবে তাদেরকেও আমি আল্লাহর পথে উৎসর্গ করতে পারতাম!

Post Comment

আবার ১৫ই আগস্ট?

তবে কি আরেকটি ১৫ই আগস্ট আসন্ন?
মানুষের সহ্যের একটা সীমা আছে, সেটা ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গেছে। মানুষ যখন প্রচন্ড দুঃখ পায় তখন সে নিরালায় বসে কান্নাকাটি করে। কিন্তু এই সরকার সেই স্থানটিও রাখেনি, জামায়াতের অফিস তালাবদ্ধ দীর্ঘদীন ধরে, আজ বিএনপি'র অফিস তছনছ করা হলো, কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করা হলো। খালেদা জিয়া গৃহবন্দী, তার গুলশান কার্যালয় পুলিশদ্বার অবরুদ্ধ।
দেশ ফিরে গেছে পচাত্তরের পূর্ব সময়ে, মিডিয়াতে করাকরি আরোপ, দলবাজ মিডিয়ার বাড়াবাড়ি ভূমিকা। অনলাইনেও কথা বলতে দেয়া হচ্ছেনা।
যেহেতু পচাত্তরের পূর্ব সময় ফিরে এসেছে, সেই পথ ধরে পনেরোই আগস্ট ফিরে আসতে পারে। আওয়ামীলীগ কি প্রস্তুত!?

Post Comment

অন্য রকম মুক্তিযুদ্ধ

ছোট বেলায় টিভিতে মুক্তিযুদ্ধ দেখতে দেখতে মুক্তিযুদ্ধ করার খুব ইচ্ছে হতো, এলাকার গাছ, ঝোপ-ঝাড় সবগুলো নিখুত মন নিয়ে দেখতাম, পরিকল্পনা করতাম কিভাবে যুদ্ধ করবো, শত্রুপক্ষকে আক্রমন করবো ইত্যাদি ইত্যাদি।
অবশ্য এখন সত্যি সত্যি মুক্তিযুদ্ধ করছি, সে অন্য রকম এক মুক্তিযুদ্ধ ......। স্বৈরাচারীর কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার যুদ্ধ, দেশ গঠনের যুদ্ধ। ফ্যাসিবাদের কবল হতে দেশ রক্ষার যুদ্ধ, ধর্মদ্রোহীদের প্রতিহত করার যুদ্ধ।
ইসলাম ও দেশ রক্ষার যুদ্ধ।

Post Comment

কুকুর মারা গেলেও জামায়াতের দোষ

আল্লাহ তুমি ইমরান এইডস ছাড়খারের ৮০বছরের বুড়া খালুরে দুনিয়া থেকে নিওনা! ঐ লোকে যদি হার্ট এ্যাটাক কইরাও মারা যায় তাইলেও দোষ পরবো জামায়াত-শিবিরের উপর।
হায়রে জামায়াত শিবির ক্যান যে রাজনীতি করতে আইলি! কুত্তা মরলেও কয় জামায়াতীগো কাজ, ঐটা শাহবাগী কুত্তা ছিলো, ঐ কুত্তা শাহবাগের বিরানী খাইতো তাই জামায়াত-শিবির কুত্তাটাকে হত্যা করছে ।
যামু কই!!?

Post Comment

চূড়ান্ত বিজয় কিন্তু আমাদেরই

“তোমরা নিরাশ বা মন ভাঙ্গা হয়ো না, দুঃখিত হয়ো না, তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মুমিন হও”। হ্যা বিজয় আমাদের কেউ এ বিজয় ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা, কিন্তু কিভাবে? বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেটাই দেখার চেস্টা করবো বিজয় কিভাবে আসবে।
এক।
ধরা যাক চলমান আন্দোলনে আমরা আল্লামা সাঈদীকে মুক্ত করে আনতে পারলাম, এবং ফলাফল অবশ্যই এতটা ভয়াবহ হবে যে বর্তমান আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসতে পারবেনা, সরকার গঠন করবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং জামায়াত সেখানে শক্তিশালী একটা অবস্থানে থাকবে। এটা হচ্ছে এক প্রকার বিজয়, যেটাকে গরম গরম তাজা বিজয় যাকে বলে।
দুই।
আমরা চলমান আন্দোলনে সরকারের চালের সাথে পেরে উঠলামনা, আল্লামা সাঈদী সহ সকল জামায়াত নেতৃবৃন্দের ফাঁসির রায় হলো এবং আবারো আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীণ নাস্তিক মুরতাদরা সরকার গঠন করলো, সেক্ষেত্রে কি হবে?
এবার একটু অন্যদিকে দৃস্টি দিবো, বিএনপি এবং আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী কারা? গুটিকয়েক সুবিধাভোগী লোকই সক্রিয় ভাবে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি’র সাথে জড়িত, রাজনীতিই তাদের পেশা। দলের অধিকাংশ সদস্যই হচ্ছে সাপোর্টার এবং ভোট দেয়া পর্যন্তই তাদের দায়ীত্ব সীমাবদ্ধ। গত ৫-৬বছর যাবত বিএনপি’র সেসব সুবিধাভোগী নেতা এবং কর্মীরা দলের চরম দুঃসময়েও বিএনপিকে ছেড়ে যায়নি, তারা বুকভরা আশা নিয়ে বসে আছে, এখন নির্যাতন ভোগ করলেও আগামীতে আমরা আবার ক্ষমতায় আসবো তখন সুধে আসোলে এগুলো উসুল হবে।
এবার মূল পয়েন্টে আসি। নেক্সট নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮দলীয় জোট যদি ক্ষমতায় যেতে না পারে তবে নিঃসন্দেহে বিএনপি’র এই নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে যাবে, তাদের মধ্যে রাজনীতিকেই যারা পেশা হিসেবে নিতে চান তারা আওয়ামীলীগের সাথে ভীড়ে যাবেন এবং অন্যরা রাজনীতি ত্যাগ করে বিভিন্ন পেশায় ঢুকে যাবেন।
নির্যাতনের স্টিম রোলার নেমে আসবে জামায়াত-শিবিরের উপর, বিএনপি রাজনৈতিক ময়দান হতে আউট, জামায়াত নিষিদ্ধ হবে। ভিন্ন নামে জামায়াত আত্মপ্রকাশ করবে অথবা ইখওয়ানের মতো নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবেই জামায়াত গোপনে তৎপরতা চালিয়ে যাবে। জামায়াতের কর্মীরা যেহেতু দুনিয়ার কোন স্বার্থে রাজনীতি করেনা সেহেতু শত নির্যাতন করেও রাজনৈতিক ময়দান থেকে জামায়াতকে হটানো সম্ভব হবেনা।
ফলাফল হবে হুদাইবিয়ার সন্ধী পরবর্তী ঘটনার মতোই, বিএনপি রাজনৈতিক ময়দানে অনুপস্থিত থাকার কারণে, এবং জামায়াতের সরকার বিরোধী আপোশহীন ভূমিকার কারণে বিএনপি সমর্থকদের আকুন্ঠ সমর্থন অর্জন করবে জামায়াত। শুধু তাইনয় পরপর দুইবার নির্বাচিত হওয়ার ফলে আওয়ামী সরকারের ক্ষ্যাপাটে আচরণের কারণে আওয়ামীলীগের মধ্যে যে অসন্তোষ এবং সাধারণ জনতার যে সরকার বিরোধী সমর্থন, তার পুরোটাই অর্জন করবে জামায়াত। জামায়াতই হবে প্রধান বিরোধী দল এবং আমরা যারা আগে ধারণা করতাম জামায়াত আগামী ৫০বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা! তাদের চোখের সামনে দিয়েই ১০বছরের মধ্যে বাংলাদেশে খিলাফত প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে, ইনশাআল্লাহ।
আবারো আয়াতটি উল্লেখ করছি............
"তোমরা নিরাশ বা মন ভাঙ্গা হয়ো না, দুঃখিত হয়ো না, তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মুমিন হও”।

Post Comment

শাহবাগীরা সবাই নাস্তিক নয়, তবে সব নাস্তিক এখন শাহবাগে

শাহবাগীরা সবাই নাস্তিক একথা যারা বলছে তারা ভ্রান্তির মধ্যে আছেন, মূলত আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে নাস্তিকরা। তাদের আসলে নাস্তিক বলাটা ভুল হবে, বলা যায় ইসলাম বিদ্বেষীরা।
কেউ নাস্তিক হতেই পারে সেটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। যেমন আমি মুসলিম, কেউ হিন্দু, কেউ খৃস্টান এটা যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু শাহবাগ আন্দোলনের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের অধিকাংশই চরম ইসলাম বিদ্বেষী। শাহবাগ আন্দোলনের শুরুর দিকে দাড়ি টুপি পরিহিত কোন লোক ওদিকটায় গেলে তাদের তল্লাশী করা হতো, বোরখা পরা মহিলা দেখলে তাদেরকেও তল্লাশী করা হতো। মোট কথা ইসলাম পন্থীদের চরম ভাবে অপদস্ত করা হতো শাহবাগে। তাদের ঔদ্ধত্ব এতটাই বেড়েগিয়েছিলো যে তারা শাহবাগে নাটকের আয়োজন করেছিলো যেখানে দাড়ি এবং টুপি পরিহিত এক অভিনেতার মাথায় জুতো দিয়ে আঘাত করা হয়েছিলো, এটার মাধ্যমে মূলত মুসলামানদের ধর্মীয় পোশাককেই অবমাননা করে হয়েছে। তাছাড়াও তারা একটা ডামি কুকুরের মাথায় টুপি এবং গালে দাড়ি লাগিয়ে সেটাকেও নিয়েও নাটক মঞ্চস্থ করেছিলো।
আমার প্রশ্ন হলো তারা রাজাকারদের বিচার চাইছে সেটা ভালো কথা, তবে শুধু মাত্র বিরোধী দলের রাজাকারদের বিরোধীতা কেনো? আচ্ছা ধরে নিলাম সরকারী দলের বিরিয়ানী খেয়ে সরকারী দলের রাজাকারদের বিচার চাওয়া যৌক্তিক হবেনা। কিন্তু ইসলাম কি দোষ করলো? তারা ধর্ম ভিত্তিক দল নিষিদ্ধ করার দাবী তুললো, বিভিন্ন ইসলামীক প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরী করলো এবং এগুলোতে হামলা করতে উস্কানী দিলো। তারা ভারতীয় হিন্দুদের দিপালী পূজোকে বাংলাদেশের মুসলমানদের দিয়ে করিয়ে নিলো, হাজার হাজার মোম বাতি প্রজ্বলন করলো, কিন্তু কেনো? মোমবাতি জ্বালিয়ে অনুষ্ঠান কিংবা প্রতিবাদ জানানো কি ইসলামী সংস্কৃতি? এটার মানে কি?
মানে একটাই, তাহলো তাদের হৃদয়ে সুপ্তভাবে বিদ্যমান থাকা ইসলাম বিদ্বেষকেই তারা সরকারের ছত্রছায়ায় প্রকাশ করেছে। তারা এতদিন ধরে অনলাইনে আত্মপরিচয় গোপন রেখে যে ইসলাম বিদ্বেষী আচরণ করেছে সেটাই তারা রাজপথে করতে চেয়েছে।
অনেক হয়েছে, আর নয়। বাতিলের টুটি চেপে ধরার এখনি সময়। যারা আমার আল্লাহ, রাসূল (সঃ), উম্মুল মুমিনিন এবং সাহাবীদের নিয়ে নোংরা গল্প লিখেছে তাদের নেতৃত্বে চলা আন্দোলনকে আমরা সমর্থন দিতে পারিনা, তাদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে হবে, তাদের ঔদ্ধতকে ধ্বংস করে দিতে হবে।
বুকের রক্ত দিয়ে হলেও বাংলার জমিনে ইসলাম অবমাননা প্রতিরোধে দল-মত নির্বিশেষে সকল মুসলিমকে শীষাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

Post Comment

মার খেয়েও মুখ বন্ধ, টাকার কেরামতি

হাসতেই আছি, খালি হাসতেই আছি পেট ব্যাথা হইয়া গেছে......।
এত ট্যাকা দিয়া কি করুম? মাইর খাইয়াও কইতে পারুমনা আমি মাইর খাইছি!! তাইলেতো আর ট্যাকা হালাল হইবোনা, চুক্তিতেতো উল্লেখ আছে চুক্তির মেয়াদ কালীন সময়ে টাকা দাতার বিরুদ্ধে কোন নিউজ করা যাবেনা!
আজকে চ্যানেল আইয়ের দুই সাংঘাতিককে হেব্বি মাইর দিছে ছাত্রলীগ আর যুবলীগের পুলাপাইনে। যাকে বলে বেধরক পিটুনি, কিন্তু আপচুচের বিষয় দীর্ঘক্ষণ চ্যানেল আইয়ের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমার চোখ ব্যাথা হয়ে গেলো কিন্তু নিউজ স্ক্রলে নিউজটি দেখতে পাইলামনা! যদিও অল্প কিছু মিডিয়াতে ব্যাপারটি আসছে।
ট্যাকার কাছে মানুষ বিক্রি হয় এটা জানি, তাই বলে এমন বিক্রি? মাইর খাইয়াও কইতে পারুমনা মাইর খাইছি !!
উল্লেখ্য শাহবাগী আন্দোলন এবং সরকারের ইমেজ রক্ষার জন্য বিপুল অংকের বাজেট নিয়ে মাঠে নেমেছে সরকার, এবং এই বাজেটের সিংহ ভাগ টাকাই পাচ্ছে বিভিন্ন মিডিয়া, তাই তারা রাতারাতি আওয়ামীলীগের অপকর্মের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা বন্ধ করে দিয়েছে এবং জনগণের দৃস্টি শাহবাগের দিকে ঘুরিয়ে রেখেছে।

Post Comment

বর্ণচোরা মুনাফিকদের চিনে রাখুন

ল্যাঞ্জা ইজ ভেরী ডিফিকাল্ট থিং টু হাইড, মুনাফিকদের ধুতি খুলে যাচ্ছে। যাদের শরীরে সুপ্ত ভাবে এলার্জি বিদ্যমান ছিলো তাদের এলার্জি এখন প্রকাশিত হচ্ছে।
আল্লামা সাঈদীর মুক্তির দাবীতে হরতাল আহ্বান করায় অনেকেই গায়ে জ্বালা অনুভব করছেন। তাদের চিনে রাখুন।
ইসলামী আন্দোলনের সুসময়ে নানামুখি সুবিধাভোগী এই সব মুনাফিকরা আন্দোলনের এই দুঃসময়ে তাদের স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করছে।
দেশব্যাপী সরকারের জুলুম নির্যাতন এবং গণহত্যা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নেই, তারা চিন্তিত তাদের স্বাধের দামী গাড়ি নিয়ে কেনো তারা রাস্তায় ভ্রমন করতে পারবেননা, কেনো তারা কোটি টাকার ব্যবসায় লস দিবেন!!
স্মৃতির ফ্রেমে এইসব বর্ণচোরা মুনাফিকদের নাম লিখে রাখুন, সময়ে জবাব দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

Post Comment

দেলু শিকদারের ফাঁসি চাই

ফাঁসির রায় দেয়া হয়েছে দেলু শিকদারের বিরুদ্ধে। যা তোরা গিয়ে দেলু শিকদারকে কবর থেকে তুলে এনে ফাঁসি দে! কিন্তু মাওলানা সাঈদীর দিকে হাত বাড়ালে এদেশের তৌহিদী জনতা ঐ হাত গুড়িয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ।

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাঈন সাঈদীর পিতার নাম মাওলানা ইউসুফ সাঈদী, গ্রাম-সাঈদখালী, উপজেলা- জিয়ানগর, জেলা-পিরোজপুর।
................................................
আর দেলু শিকদারের পিতার নাম রসূল শিকদার, গ্রাম- চিলা, শিকদার বাড়ি, পিরোজপুর সদর, জেলা-পিরোজপুর।
সাব-সেক্টর কমান্ডারসহ পিরোজপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আর দেলু শিকদার এক ব্যক্তি নয় এবং দেলু শিকদারকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই তার স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকার কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এমন কি তদন্ত কর্মকর্তাও জেরায় এ কথা স্বীকার করেছেন। এরপরও আল্লামা সাঈদীকে দেলু শিকদার সাজিয়ে ফাঁসির রায় দিয়েছে আওয়ামী লীগের বানানো বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল।

Post Comment

সাঈদীর জন্য হরতাল ও এক ব্যবসায়ী

চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের এক ব্যবসায়ির ৩টি পাইকারী দোকান আছে। হরতালের কারণে তিনদিন ব্যবসা বন্ধ। দৈনিক প্রায় ৩০হাজার টাকা লস গুনছেন তিনি। সংগঠনের একভাইয়ের সাথে দেখা হতেই জিজ্ঞাসা করলেন হরতালের খবর কি? বুধবার হরতাল হবে?
সংগঠনের ভাই হাসতে হাসতে বললেন আপনারতো অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে! ব্যবসায়ী জবাব দিলেন, ধুর মিয়া! রাখো তোমার ব্যবসা। লাগাতার হরতাল দিতে কও, সাঈদী সাহেবকে মুক্ত করে আনতে হবে। কঠিন আন্দোলনের বিকল্প নাই।

Post Comment

বাকস্বাধীনতার আওয়ামী স্টাইল

কথা শুধু আমি বলবো, আপনি কেনো বলবেন? আপনার কথা বলার অধিকার নাই। কেনো থাকবে? আপনার হাতে কি পুলিশ আছে? সেনাবাহিনী আমার নিয়ন্ত্রনে অতএব চুপ থাকেন।

উপরে যে মানসিকতার কথা বললাম সেটারই বহিপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে এই মুহূর্তে। শাহবাগীদের পেজ রেগুলার আপডেট দিতে পারবে, কিন্তু বাঁশের কেল্লা পোস্ট দিতে পারবেনা, তাই বন্ধ করে দেয়া হলো বাঁশের কেল্লা। নতুন যেটা চালু করা হয়েছে সেটাও বন্ধ করে দেয়ার দাবী তুলেছে রাম-বামরা। আমার দেশ সম্পাদক অফিসবন্দী দীর্ঘদিন ধরে।
সোনার বাংলাদেশ বন্ধ করে দেয়া হলো অথচ মুক্তমনা সহ অন্যান্য বামদের ব্লগ কিন্তু ঠিকই আছে। ধর্মকারী এখনো বহাল তবিয়তে ইসলাম বিদ্বেষী পোস্ট দিয়ে যাচ্ছে এটা হচ্ছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা।
টিভি টকশোগুলোতে ভিন্নমতাবলম্বীদের কথা বলার সুযোগ নেই, দাওয়াত দিয়েও কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়না। সরকারের চাটুকার আর তোশামুদ কারীদেরই জয় জয়কার চ্যানেলগুলোতে।
স্বাধীনতা বন্দুকের নলের সাথে দোল খায়, নল ঘুরে যেতে পারে যেকোন সময়, বিরানী বিপ্লবীদের দিকেও ঘু্রতে পারে, আত্মতৃপ্তিতে ভোগার সুযোগ নেই।

Post Comment

কপাল পোড়া হিন্দু ও জামায়াত-শিবির

আমার মতে বাংলাদেশের হিন্দুরা হচ্ছে কপাল পোড়া, এবং এই পোড়া কপালের জন্য আমি হিন্দুদেরই দায়ী করবো। একটু ব্যাক্ষা করলে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হবে।
ঐতিহ্যগত ভাবেই হিন্দুরা ভারতের প্রতি খানিকটা দূর্বল। যদিও দূর্বল হওয়ার মতো কোন ধর্মীয় কারণ নেই শুধুমাত্র ভারতে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় হিন্দু হওয়া ছাড়া, তারপরেও আবেগের ওপরতো আর যুক্তি খাটেনা!
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি হচ্ছে একটি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী দল, স্বাভাবিক ভাবেই দলটি দেশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি হিসেবে ভারতের বিরোধী, এবং বাংলাদেশের প্রতি ভারতের আচরণের কারনে এই ভারত বিরোধীতা অস্বাভাবিক মনে করিনা। বিএনপি'র এই ভারত বিরোধীতা দেশের অধিকাংশ হিন্দু মেনে নিতে পারেনা, তাই তাদের বিশাল একটা অংশ বিএনপি'কে সমর্থন করেনা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ধর্মীয় মতবাদ ভিত্তিক একটা দল হওয়ার কারণে হিন্দু বা অন্য ধর্মাবলম্বিদের কাছে আকর্ষণ সৃস্টি করতে পারেনাই। হিন্দুরা মনে করে জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে তারা এই দেশে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেনা। যদিও জামায়াতের ইতিহাসে জামায়াত কখনোই হিন্দু কিংবা ভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতি বিদ্বেষ প্রসূত কোন আচরণ করেনাই। তারপরেও হিন্দুরা ধর্মীয় সন্দেহের কারণে জামায়াতকে গ্রহণ করতে পারেনাই এবং তারা জামায়াতের প্রতি একটা ঘৃনা/বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ভারতের প্রতি উদার একটি দল, বলা যায় ভারতের সমর্থন পুস্ট একটি দল। যার কারনে স্বাভাবিক ভাবেই দেশের মেজরিটি পার্সেন্ট হিন্দুর সমর্থন এই দলটির প্রতি আছে। এবং দলটির প্রতি তারা জান-কোরবান আচরণ করে।
এখন বাংলাদেশের হিন্দুদের আচরণ বিশ্লেষণ করলে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়, সেটা হচ্ছে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলেই তারা মনে করে দেশে রাম-রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জামায়াত এবং বিএনপি'র বিরুদ্ধে এমন কোন নোংরা আচরণ নেই যা তারা করেনা। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে প্রর্যন্ত অবস্থান নিয়ে থাকে, যেটা আমরা দেখেছি সম্প্রতি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহানবী (সঃ) এর সম্পর্কে হিন্দু শিক্ষক কতৃক কটুক্তি এবং বোরখা পড়ার কারনে ছাত্রীদের অপদস্ত করা। এবং বলা যায় তারা সুযোগের পুরোপুরি অপব্যবহার করে থাকে।
এবং দেশের মিডিয়া গুলোও আওয়ামী আমলে হিন্দুদের সুখের কথা প্রচারে জান-প্রাণ।
মূল ব্যাপারটি রয়ে গেছে এর মধ্যেই, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতারা জমি-জমা নিয়ে বিরোধের কারনে বিভিন্ন সময় হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করে থাকে, যেটা ধর্মীয় কারণে নয়। এখন একদিকে হিন্দুরা আওয়ামীলীগ করার কারণে বিএনপি জামায়াতের কাছে বিচার চাইতে যেতে চায়না, বা লজ্জায় যায়না। আওয়ামীলীগের নেতাদের কাছে কিভাবে যাবে তারাতো হামলাকারী। তবে তারা কোথায় যাবে? তারা যায় মিডিয়ার কাছে। এখন মিডিয়া আবার আওয়ামীলীগের হাতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের খবর প্রচার করতে চায়না তাদের নীতির কারণে, তাই মিডিয়া খবর ছাপায় "জামায়াত-শিবিরের হাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নির্যাতীত"। মূল আসামীরা থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে, তারা সাহস পেয়ে যায়, আবার হামলা করে, আবার নির্যাতনের শিকার হয় হিন্দুরা, কিন্তু বিচার হয়না।
তাইতো এদেশের হিন্দুরা আওয়ামীলীগ করে, বিএনপি'তো ভারতের বন্ধু নয়, জামায়াত'তো মৌলবাদী!! ভারতের বন্ধু আওয়ামীলীগই হিন্দুদের আসল বন্ধু, পরীক্ষিত বন্ধু।
তাই আমরা মাঝে মাঝেই পত্রিকার পাতায়/টিভি চ্যানেলে খবর পাই, "গভীর রাতে জামায়াত শিবিরের হাতে মন্দির ভাঙচুর, সখ্যালঘুর বসতভিটায় আগুন"। কাউকে গ্রেফতার করা যায়নাই কিংবা প্রত্যক্ষদর্শী'র সাক্ষাৎকার নাই তবুও রিপোর্টে জামায়াত-শিবির শব্দটা জ্বল জ্বল করে ভেসে থাকে...

Post Comment

শিবিরের বোমা !!

কিছুক্ষণ আগে চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট মোড়ে গিয়েছিলাম, সেখানে দেখলাম কয়েকজন মুরব্বি এবং মাস্তান টাইপের কিছু পোলাপাইন ব্যানার টানিয়ে অলস ভাবে বসে আছে। ব্যানারে লেখাছিলো যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, অবৈধ হরতাল মানিনা।
হঠাৎ করেই প্রচন্ড বিস্ফোরনের শব্দে এলাকা প্রকম্পিত হয়ে গেলো, হতভম্ব আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা, ব্যানার ফেলেই কয়েকজন দেখলাম দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে উর্দ্ধশ্বাসে দৌড়ে পালাচ্ছে, মূহুর্তের মধ্যেই রাস্তা ফাঁকা!
উপরের দিকে তাকিয়ে দেখি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার থেকে ধোঁয়া উড়ছে একটা কাক চলে গেলো!!

Post Comment

এই আন্দোলনের শেকড় প্রথিত আছে ঐ বদরের প্রান্তরে

আপনি কতজনকে দমন করবেন, গুলি চালিয়ে আন্দোলন স্তব্ধ করে দিবেন? নেতৃবৃন্দকে ফাঁসিতে ঝুলাবেন?
এই লক্ষ লক্ষ জাগ্রত তরুণদের তৈরী করেছে কিন্তু ওই নেতারাই, সংগঠনের সিলেবাসের আলোকে বই পড়িয়ে, নোট করিয়ে, ক্লাস নিয়ে, প্রতিনিয়ত রিপোর্টিং এর মাধ্যমে তত্বাবধান করে এই সব নিবেদিত প্রান কর্মিদের তৈরী করেছে।
ওই সব নেতাদেরই কারণেই এদেশের তরুণ ছাত্ররা মাদ্রাসাতে পড়ালেখা না করেও ব্যক্তিগত জীবনে ইসলাম মেনে চলার শিক্ষা লাভ করছে। গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দ্যায়নি তরুনরা।
বর্তমান জেনারেশন যেখানে একের অধিক গার্লফ্রেন্ডের সাথে সম্পর্ক রাখাকে গর্বের বিষয় মনে করে, সিগারেট খাওয়াকে যেখানে স্মার্টনেসের প্রতিক মনে করে, সেখানে এইসব নেতাদের কাছে শিক্ষা অর্জন করা কর্মীরা অসামাজিকতা কে ঘৃণা করছে।
আজকে দেশের বিপুল সংখ্যক ছাত্রের দিন শুরু হয় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে, এসবই সম্ভব হয়েছে ঐ নেতাদের প্রচেস্টায়।
আপনি পারবেননা, দিল্লির দাদের সহায়তায়ও পারবেননা এই আন্দোলনকে দমন করতে।
এই আন্দোলন দমিয়ে রাখা যায়না, এটা ঐতিহাসিক আন্দোলন, যে আন্দোলনের শেকড় প্রথিত আছে ঐ বদরের প্রান্তরে। ডালপালা কেটে দিলেও আবারো ফুলে ফলে বিকশিত হবে, অনন্তকাল ধরে চলবে আমাদের সংগ্রাম।

Post Comment

শাহবাগী হইলে তরুণ, শিবিরের হইলে নাবালক

শাহবাগে শিশুরা গিয়ে মিছিল করলে তারা তরুণ প্রজন্ম। আর তরুণরা শিবিরের মিছিলে গেলে বলা হয় তারা নাবালক তাদের মগজ ধোলাই করা হয়েছে।
অস্ত্র-চাপাতি নিয়ে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা মিছিল করলে বলা হয় সাধারণ জনতা। আর নিরস্ত্র শান্তিপূর্ণ ভাবে শিবিরের মিছিলকে বলা হয় জঙ্গীবাদি শিবিরের মিছিল।
পুলিশের গুলিতে শিবিরের কর্মী নিহত হলে বলা হয় শিবিরের তান্ডব, পুলিশের উপর হামলা ...জন নিহত। তান্ডব চালাইলো শিবির, পুলিশের উপর হামলা করলো শিবির, আবার মরলোও শিবির। এইবার বুইঝা লন আমাদের দেশের মিডিয়া কি জিনিস।
আর এই মিডিয়া কিছু শিক্ষিত বলদ তৈরী করছে, তারা গোগ্রাসে গোবর গ্রহণ করে। যেই মহাপবিত্র গোবর দিল্লি থেকে সাপ্লাই দেয়া হয়। গোবরের বরকতে তারা রাতকে দিন আর দিনকে রাত মনে করে। রাতকানা রোগে হাসিনাকে মা আর মুজিবকে আব্বা বলতেও দ্বিধা করেনা।

Post Comment

ইসলাম শান্তির ধর্ম, অশান্তি করবেননা

ইসলাম শান্তির ধর্ম, আসুন শান্তি রক্ষার স্বার্থে সাঈদীর ফাঁসির দন্ড মেনে নেই। পুলিশে গুলি করলে মরার আগে চিল্লাপাল্লা করবেননা, এতে করে শান্তি নষ্ট হয়, প্রধানমন্ত্রী মাইন্ড করেন, তিনিতো জাতিসংঘে বিশ্ব শান্তির মডেল উপস্থাপন করেছেন তার বদনাম হবে।
আবারো বলছি ইসলাম শান্তির ধর্ম, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। "শিবির ধর জবাই কর" স্লোগান দিয়ে কেউ চাপাতি নিয়ে হামলা করলেও প্রতিবাদ করতে যাবেননা যেনো। ইসলাম অশান্তি পছন্দ করেনা।

Post Comment

নাস্তিকদের ভারত প্রীতি

এভরি নাস্তিক ইজ আ ছুপা হিন্দু অথবাঁ "ল্যাঞ্জা ইজ ভেরী ডিফিকাল্ট থিং টু হাইড" কথাটা কিন্তু আবারো প্রমাণ হইয়া গেলো। দাদাদের ইশারাতেই দাদের দালালদের দিয়েই যে শাহবাগ নাটক পরিচালিত হচ্ছে এবার তা প্রকাশিত হলো। দাদাদের ধুতি খুলে গেলো।
২৮অক্টোবরের খুনি বাপ্পাদিত্য এবার ভারতের দাদাদের পায়ে পড়েছেন, তিনি করুন স্বরে কান্নাকাটি করছেন, প্রণব দাদা দাদাগো আমাদের দেশে আবার সেনা পাঠান। "একাত্তরে আমাদের যেভাবে সহযোগীতা করেছিলেন সেই ভাবে সহযোগীতা করেন।"

Post Comment

নব্য ফিরাউনের পতন হবে ইনশাআল্লাহ

মাদারীপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ যা চায় তাই করে ছাড়ে! খুব সুন্দর কথা! সুন্দর না?
লক্ষ লক্ষ জনতা এবার নেমে এসেছে রাজপথে, তারা সাঈদী সহ ইসলামী নেতৃবৃন্দের মুক্তি চাচ্ছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতার মসনদ থেকে টেনে হিচড়ে নামিয়ে দিল্লি পাঠিয়ে দিতে চাচ্ছে।
ঝিনাইদহে মা-বোনেরা মিছিল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে, বগুড়ায় আজ ভোরে প্রায় একহাজার মা-বোন লাঠি হাতে নেমে এসেছে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে, পুলিশ ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে।
ঠিকই বলেছেন, “জনগণ যা চায় তাই করে ছাড়ে”!!
নব্য ফিরাউনের পতন হবে ইনশাআল্লাহ।

Post Comment

হরতাল মোবারক

সংগঠনের সর্বস্তরের ভাইদের দৃস্টি আকর্ষণ করছি, বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে এবং প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে, চলমান আন্দোলনে সরকার পতনের ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে আওয়ামী শিবিরে। দলে দলে চিহ্নিত নেতাকর্মীরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পলায়ন করছে। এই অবস্থায় সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গার উস্কানি দিয়ে পরিস্থিত ঘোলা করে মাছ শিকার করতে চাইছে তারা।
এখন আমদের করণীয়
১। নিজ নিজ এলাকার মন্দিরের দিকে সতর্ক দৃস্টি রাখতে হবে, আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা মন্দীরে নাশকতা চালিয়ে যেনো জামায়াত-শিবিরকে দোশারোপ করতে না পারে।
২। সেনাবাহিনী আমাদের ভাই, বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী সেনাবাহিনী। যেসব এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, সেখানে সেনাবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগীতা দান করুন।

সবাইকে জানাচ্ছি "শুভ হরতাল মোবারক"

Post Comment

পাকিস্থানের এজেন্টের বউ এখন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী!!

আহ! বিএনপির জন্য লীগের কি দরদ, দরদের জন্য পারলে ক্ষমতার গদি খালেদা জিয়ার বাড়িতে নিয়ে পৌছে দ্যায়। ইদানিং আওয়ামী মন্ত্রী এমপিরা বলছেন জামায়াতের সাথে থাকলে বিএনপি'র জনপ্রিয়তা কমে যাবে, জামায়াতকে ত্যাগ করলে বিএনপি'কে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে শেখ হাসিনা।
কি চমৎকার দেখা গেলো, আওয়ামীলীগের নেতা,উপনেতা,পাতি নেতা এমনকি দোকান থেকে চা-বিস্কুট নিয়ে আসে যে নেতা সেও বলছিলো মুক্তিযুদ্ধে জিয়া স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করেনাই, চাপে পড়ে অংশ নিয়েছিলেন। আবার কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে বলছিলেন জিয়া সেক্টর কমান্ডার ছিলেননা, আরো একধাপ এগিয়ে মহাউৎসাহে একদল প্রচার করছিলো জিয়া পাকিস্থানের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
হঠাৎ করে শাহবাগীদের কন্ঠ চেঞ্জ হয়ে গেলো, তারা জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট দিলেন, তারা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললেন আপনি মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, আপনি যুদ্ধাপরাধীদের বাচাতে হরতাল আহ্বান করতে পারেননা।
একেই বোধহয় বলে ঠেলার নাম বাবাজী! পাকিস্থানের এজেন্ট(!!!) জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট অর্জন করলেন।

Post Comment

সাঈদী সাহেবকে ফাঁসি দিবে আর আমরা ঘরে বসে থাকবো?

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী'র রায় ঘোশণার সাথে সাথেই একের পর এক ফোন কল আসতে লাগলো, সবারই একই কথা ভাই কি হবে! স্থম্বিত পুরো জাতি, এমন একটা মানুশকে ফাঁসির রায় দিলো! একজন কোরআন প্রেমিক কোরানের পাখি আলেমকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে? না এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায়না! "ভাই সংগঠন কি সিদ্ধান্ত ন্যায় আমাদের শুধু জানাবেন, আমরা কাফনের কাপড় নিয়ে রাস্তায় নামবো"। চারিদিক থেকে ফোনে একই কথা, ফোন রিসভ করতে সংকোচ বোধ করছি, কি জবাব দিবো! আমিওযে তাদেরই একজন। কান্না পাচ্ছে কাঁদতে পারছিনা।
মধ্য বয়সী এক ভাই ফোন করে হাউ মাউ করে কাঁদতে লাগলো, কান্নার দমকে কথা বলতে পারছিলেননা। তাকে কোনমতে সান্তনা দিয়ে ফোন রেখে দিলাম। এলাকার এক বড়ভাই বাসায় এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলেন তাকে সান্তনা দিলাম, এটা কান্নার সময় নয় দোয়া করেন, তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে সাহাজ্য প্রার্থনা করেন। আমাকে কে সান্তনা দিবে? আমার বুকের জমানো কান্না আমি কার কাছে প্রকাশ করবো?
আজ দুপরের দিকে এলাকার এক বড় ভাইয়ের ওয়াইফ ফোন করলেন, "শামীম ভাই আপনি কোথায়? আপনার ভাইতো এই মাত্র কিছু না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো, প্লিজ ভাই তিনি অসুস্থ তাকে মিছিলে যেতে বারণ করেন, আপনার কথা শুনবে, আপনি তাকে নিষেধ করেন। আমি সাথে সাথেই ভাইটিকে ফোন দিলাম আপনি কোথায়, সবাইকে মিছিলে যেতে হবে এমন কোনো কথা আছে? ফ্যামিলির দিকে তাকাতে হবেনা, যদি একটা কিছু হয়ে যায়? বাসায় চলে যান, ভাবী কান্নাকাটি করছে। প্রয়োজন হলে আমি আপনাকে ফোন করবো, আজকে মানুষ কম হলেও চলবে!
ঢুকরে কেদে উঠলেন ভাইটি, শামীম ভাই আপনি আমাকে বাঁধা দিবেননা প্লিজ! জীবন কয় দিনের! মরতেতো হবেই। ঘরে নতুন বউ ফেলে সাহাবীরা জিহাদের ময়দানে গিয়ে শহীদ হয়েছেন বউয়ের মুখও দেখতে পারেননাই। এক সাহাবীর বাচ্চা পেছন থেকে আব্বা আব্বা বলে চিৎকার করে ডাকছিলো সাহাবী পেছনে ফিরে তাকাননাই, তিনিও জিহাদের ময়দানে গিয়ে শহীদ হয়েছিলেন। এখন যদি ঘরে বসে থাকি কবে বের হবো? সাঈদী সাহেবকে ফাঁসি দিবে আর আমরা ঘরে বসে থাকবো? তিনি কাঁদলেন আমাকেও কাঁদালেন, কিছু বলার ভাষা খুজে পাইনাই।

Post Comment

১০বছরের কর্মী বনাম ১০টাকার কর্মী

বাঁশখালী এলাকার এক ভাইয়ের সাথে দেখা হলো, গুলিবিদ্ধ এক ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম এসেছিলেন। তিনি জানালেন থানা ঘেরাও করেছিলো জামায়াত এবং সাঈদী মুক্তি আন্দোলনের সমর্থকরা। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম পুলিশ মারেননাই? তিনি জবাব দিলেন জামায়াত নেতাদের বাধার কারণে পারিনাই, আমরা চেস্টা করেছিলাম, এনিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।
আমি তাকে বললাম, জামায়াত নেতারা বাঁধা দিবে এটাই স্বাভাবিক, জামায়াত শিবিরের একটা কর্মী তৈরী করতে সময় লাগে ১০বছর অন্যদিকে লীগ/দলের একটি কর্মী বানাতে খরচ হয় ১০টাকা। জামায়াত তাই চাইলেই অন্য দলের নেতাদের মতো কর্মীদেরকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারেননা।
কর্মীদের তীব্র আকাঙ্খা সত্বেও জামায়াত নেতাদের এই ধৈর্য আমাকে বিস্মিত করেছে। যেখানে রণাঙ্গনে ঝাপিয়ে পড়তে কর্মীরা উদগ্রীব হয়ে বসে আছে, বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনতা সাঈদী মুক্তির জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত সেখানে জামায়াত নেতাদের এই অবস্থান সত্যিই বিস্ময়কর।

Post Comment