আমার মতে বাংলাদেশের হিন্দুরা হচ্ছে কপাল পোড়া,
এবং এই পোড়া কপালের জন্য আমি হিন্দুদেরই দায়ী করবো। একটু ব্যাক্ষা করলে
ব্যাপারটা ক্লিয়ার হবে।
ঐতিহ্যগত ভাবেই হিন্দুরা ভারতের প্রতি খানিকটা দূর্বল। যদিও দূর্বল হওয়ার মতো কোন ধর্মীয় কারণ নেই শুধুমাত্র ভারতে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় হিন্দু হওয়া ছাড়া, তারপরেও আবেগের ওপরতো আর যুক্তি খাটেনা!
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি হচ্ছে একটি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী দল, স্বাভাবিক ভাবেই দলটি দেশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি হিসেবে ভারতের বিরোধী, এবং বাংলাদেশের প্রতি ভারতের আচরণের কারনে এই ভারত বিরোধীতা অস্বাভাবিক মনে করিনা। বিএনপি'র এই ভারত বিরোধীতা দেশের অধিকাংশ হিন্দু মেনে নিতে পারেনা, তাই তাদের বিশাল একটা অংশ বিএনপি'কে সমর্থন করেনা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ধর্মীয় মতবাদ ভিত্তিক একটা দল হওয়ার কারণে হিন্দু বা অন্য ধর্মাবলম্বিদের কাছে আকর্ষণ সৃস্টি করতে পারেনাই। হিন্দুরা মনে করে জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে তারা এই দেশে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেনা। যদিও জামায়াতের ইতিহাসে জামায়াত কখনোই হিন্দু কিংবা ভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতি বিদ্বেষ প্রসূত কোন আচরণ করেনাই। তারপরেও হিন্দুরা ধর্মীয় সন্দেহের কারণে জামায়াতকে গ্রহণ করতে পারেনাই এবং তারা জামায়াতের প্রতি একটা ঘৃনা/বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ভারতের প্রতি উদার একটি দল, বলা যায় ভারতের সমর্থন পুস্ট একটি দল। যার কারনে স্বাভাবিক ভাবেই দেশের মেজরিটি পার্সেন্ট হিন্দুর সমর্থন এই দলটির প্রতি আছে। এবং দলটির প্রতি তারা জান-কোরবান আচরণ করে।
এখন বাংলাদেশের হিন্দুদের আচরণ বিশ্লেষণ করলে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়, সেটা হচ্ছে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলেই তারা মনে করে দেশে রাম-রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জামায়াত এবং বিএনপি'র বিরুদ্ধে এমন কোন নোংরা আচরণ নেই যা তারা করেনা। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে প্রর্যন্ত অবস্থান নিয়ে থাকে, যেটা আমরা দেখেছি সম্প্রতি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহানবী (সঃ) এর সম্পর্কে হিন্দু শিক্ষক কতৃক কটুক্তি এবং বোরখা পড়ার কারনে ছাত্রীদের অপদস্ত করা। এবং বলা যায় তারা সুযোগের পুরোপুরি অপব্যবহার করে থাকে।
এবং দেশের মিডিয়া গুলোও আওয়ামী আমলে হিন্দুদের সুখের কথা প্রচারে জান-প্রাণ।
মূল ব্যাপারটি রয়ে গেছে এর মধ্যেই, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতারা জমি-জমা নিয়ে বিরোধের কারনে বিভিন্ন সময় হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করে থাকে, যেটা ধর্মীয় কারণে নয়। এখন একদিকে হিন্দুরা আওয়ামীলীগ করার কারণে বিএনপি জামায়াতের কাছে বিচার চাইতে যেতে চায়না, বা লজ্জায় যায়না। আওয়ামীলীগের নেতাদের কাছে কিভাবে যাবে তারাতো হামলাকারী। তবে তারা কোথায় যাবে? তারা যায় মিডিয়ার কাছে। এখন মিডিয়া আবার আওয়ামীলীগের হাতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের খবর প্রচার করতে চায়না তাদের নীতির কারণে, তাই মিডিয়া খবর ছাপায় "জামায়াত-শিবিরের হাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নির্যাতীত"। মূল আসামীরা থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে, তারা সাহস পেয়ে যায়, আবার হামলা করে, আবার নির্যাতনের শিকার হয় হিন্দুরা, কিন্তু বিচার হয়না।
তাইতো এদেশের হিন্দুরা আওয়ামীলীগ করে, বিএনপি'তো ভারতের বন্ধু নয়, জামায়াত'তো মৌলবাদী!! ভারতের বন্ধু আওয়ামীলীগই হিন্দুদের আসল বন্ধু, পরীক্ষিত বন্ধু।
তাই আমরা মাঝে মাঝেই পত্রিকার পাতায়/টিভি চ্যানেলে খবর পাই, "গভীর রাতে জামায়াত শিবিরের হাতে মন্দির ভাঙচুর, সখ্যালঘুর বসতভিটায় আগুন"। কাউকে গ্রেফতার করা যায়নাই কিংবা প্রত্যক্ষদর্শী'র সাক্ষাৎকার নাই তবুও রিপোর্টে জামায়াত-শিবির শব্দটা জ্বল জ্বল করে ভেসে থাকে...
ঐতিহ্যগত ভাবেই হিন্দুরা ভারতের প্রতি খানিকটা দূর্বল। যদিও দূর্বল হওয়ার মতো কোন ধর্মীয় কারণ নেই শুধুমাত্র ভারতে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় হিন্দু হওয়া ছাড়া, তারপরেও আবেগের ওপরতো আর যুক্তি খাটেনা!
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি হচ্ছে একটি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী দল, স্বাভাবিক ভাবেই দলটি দেশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি হিসেবে ভারতের বিরোধী, এবং বাংলাদেশের প্রতি ভারতের আচরণের কারনে এই ভারত বিরোধীতা অস্বাভাবিক মনে করিনা। বিএনপি'র এই ভারত বিরোধীতা দেশের অধিকাংশ হিন্দু মেনে নিতে পারেনা, তাই তাদের বিশাল একটা অংশ বিএনপি'কে সমর্থন করেনা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ধর্মীয় মতবাদ ভিত্তিক একটা দল হওয়ার কারণে হিন্দু বা অন্য ধর্মাবলম্বিদের কাছে আকর্ষণ সৃস্টি করতে পারেনাই। হিন্দুরা মনে করে জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে তারা এই দেশে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেনা। যদিও জামায়াতের ইতিহাসে জামায়াত কখনোই হিন্দু কিংবা ভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতি বিদ্বেষ প্রসূত কোন আচরণ করেনাই। তারপরেও হিন্দুরা ধর্মীয় সন্দেহের কারণে জামায়াতকে গ্রহণ করতে পারেনাই এবং তারা জামায়াতের প্রতি একটা ঘৃনা/বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ভারতের প্রতি উদার একটি দল, বলা যায় ভারতের সমর্থন পুস্ট একটি দল। যার কারনে স্বাভাবিক ভাবেই দেশের মেজরিটি পার্সেন্ট হিন্দুর সমর্থন এই দলটির প্রতি আছে। এবং দলটির প্রতি তারা জান-কোরবান আচরণ করে।
এখন বাংলাদেশের হিন্দুদের আচরণ বিশ্লেষণ করলে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়, সেটা হচ্ছে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলেই তারা মনে করে দেশে রাম-রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জামায়াত এবং বিএনপি'র বিরুদ্ধে এমন কোন নোংরা আচরণ নেই যা তারা করেনা। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে প্রর্যন্ত অবস্থান নিয়ে থাকে, যেটা আমরা দেখেছি সম্প্রতি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহানবী (সঃ) এর সম্পর্কে হিন্দু শিক্ষক কতৃক কটুক্তি এবং বোরখা পড়ার কারনে ছাত্রীদের অপদস্ত করা। এবং বলা যায় তারা সুযোগের পুরোপুরি অপব্যবহার করে থাকে।
এবং দেশের মিডিয়া গুলোও আওয়ামী আমলে হিন্দুদের সুখের কথা প্রচারে জান-প্রাণ।
মূল ব্যাপারটি রয়ে গেছে এর মধ্যেই, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতারা জমি-জমা নিয়ে বিরোধের কারনে বিভিন্ন সময় হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করে থাকে, যেটা ধর্মীয় কারণে নয়। এখন একদিকে হিন্দুরা আওয়ামীলীগ করার কারণে বিএনপি জামায়াতের কাছে বিচার চাইতে যেতে চায়না, বা লজ্জায় যায়না। আওয়ামীলীগের নেতাদের কাছে কিভাবে যাবে তারাতো হামলাকারী। তবে তারা কোথায় যাবে? তারা যায় মিডিয়ার কাছে। এখন মিডিয়া আবার আওয়ামীলীগের হাতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের খবর প্রচার করতে চায়না তাদের নীতির কারণে, তাই মিডিয়া খবর ছাপায় "জামায়াত-শিবিরের হাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নির্যাতীত"। মূল আসামীরা থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে, তারা সাহস পেয়ে যায়, আবার হামলা করে, আবার নির্যাতনের শিকার হয় হিন্দুরা, কিন্তু বিচার হয়না।
তাইতো এদেশের হিন্দুরা আওয়ামীলীগ করে, বিএনপি'তো ভারতের বন্ধু নয়, জামায়াত'তো মৌলবাদী!! ভারতের বন্ধু আওয়ামীলীগই হিন্দুদের আসল বন্ধু, পরীক্ষিত বন্ধু।
তাই আমরা মাঝে মাঝেই পত্রিকার পাতায়/টিভি চ্যানেলে খবর পাই, "গভীর রাতে জামায়াত শিবিরের হাতে মন্দির ভাঙচুর, সখ্যালঘুর বসতভিটায় আগুন"। কাউকে গ্রেফতার করা যায়নাই কিংবা প্রত্যক্ষদর্শী'র সাক্ষাৎকার নাই তবুও রিপোর্টে জামায়াত-শিবির শব্দটা জ্বল জ্বল করে ভেসে থাকে...
No comments:
Post a Comment