নারীর স্বাধীনতা


তুমি হিজাব করো? শিক্ষকের চোখ বড় বড়,
মাথা নিচু করে ছাত্রী, দ্বিধায় জড় সড়।
এগুলোতো আরবের পোশাক, সেথায় বড্ড গরম,
বাঙালী মেয়ে, আরবের পোশাক, নাইকি একটু শরম?
হিজাব তোমায় কি দিয়েছে, পরাধীনতা ছাড়া!
চোখ খুলে দেখ, স্বাধীন সতেজ, হিজাব বিহীন যারা।
যেনো বাগানের পরী, কলকাকলী মুখরিত চৌদিক,
হিজাব পরে ঘরে বসে থাকো, ধিক! শত ধিক!
ওই মেয়েটিকে দেখো, বন্ধু, আড্ডা, গান,
ইচ্ছে করেনা নাচতে গাইতে, নেইকি তবো প্রাণ?
ইচ্ছে হলে প্রেম করবে, ইচ্ছে হলেই গান,
এই বয়সে না করিলে, করবে কবে ফান!
ছাত্রী চুপ, একেবারে নিশ্চুপ, অবাক তাকিয়ে রয়,
শিক্ষক তার, বকে নির্বিকার, একি কথা কয়!
বলুনতো স্যার, পশুতে মানুষে পার্থক্যটা কিসে?
শিক্ষকের কথা শেষে, ছাত্রী মুখ খোলে অবশেষে।
মন যাহা চায় তাহাই যদি, করি পশুর মতো,
পশুতে মানুষে দূরত্বটা রইলো তবে কত?
আরবের পোশাক বোরখা বটে, বাঙালির পোশাক কি?
আপনার গায়ে বাঙালী পোশাক, কবে দেখেছি?
ইসলামেই মূল এলার্জি, ইসলামেই জ্বর,
জাতির মাথায় নাস্তিক-লীগ, করে বসেছে ভর!
বন্ধু, আড্ডা, গানে, মেতে আছে যে নারী,
বলুনতো স্যার, বাবা-মা কোথায়, কোথায় তাদের বাড়ি?
হিজাবের মাঝে পরাধীনতা, কোথায় আছে লেখা?
মিনি স্কার্ট আর শর্ট কাপড়ে, নারীর স্বাধীনতা?
হিজাবের মাঝেই উচ্ছল মোরা, হিজাবের মাঝেই চঞ্চল,
অশালীন পোশাক নারীর পেছনে, লুল পুরুষের ঢল।
হিজাব নিয়ে কটু কথা বলবে যে জন কিছু,
আমার চোখে সেজন হলো, মস্তবড় লুচু!

কবিতাঃ নারীর স্বাধীনতা
© শামীম রেজা
০৮/০২/২০১৪

Post Comment

No comments:

Post a Comment