আমিঃ আচ্ছা সাংবাদিক সাহেব পুলিশ যে গুলি করে জামায়াত শিবিরের দুইশত এর বেশি মানুষ হত্যা করলো, শিবিরের ছেলেদের গ্রেপ্তার করে ধোলাই থেরাপী এবং গুলি করে পঙ্গু করে দিলো, তখনতো আপনারা বিন্দু মাত্র হৈচৈ করেন নাই, বরং মুখে কুলুপ এটে বসেছিলেন।
কিন্তু আজ শিবিরের ক্ষুব্ধ কর্মীদের হাতে আহত পুলিশ সদস্যকে নিয়ে
আপনাদের নাকি কান্না দেখে অবাক হচ্ছি, ব্যাপারটা
কেমন দ্বিমুখী হয়ে গেলোনা!?
সাংবাদিকঃ দেখুন গুলি করে হত্যা করা আর পিটিয়ে মাথা থেতলে দেয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি ব্যাপার, দুটি ব্যাপারকে আপনি এক করে ফেলতে পারেননা। জামায়াত-শিবিরের ছেলেদের গুলি করে হত্যা কিংবা পঙ্গু করে ফেললেও তাদের মাথা কিন্তু অক্ষত ছিলো, তাদের মাথা কিন্তু ফাটে নাই, মাথা না ফাটলে এটা নিয়ে রিপোর্ট করা উচিত হবেনা।
আমিঃ তারমানে আপনি বলতে চাচ্ছেন তারা নিহত হলেও যেহেতু তাদের মাথা ফাটে নাই তাই তাদের নিয়ে রিপোর্ট করা উচিত হবেনা!?
সাংবাদিকঃ ঠিক তাই, আপনি ব্যাপারটি ধরতে পেরেছেন!
আমিঃ বিরোধী দল বিশেষ করে জামায়াত-শিবির হরতাল আহ্বান করলে আপনারা অর্থনীতি গেলো গেলো করে চেচিয়ে গলা ফাটান, কিন্তু আজ মুরগি কবিররা হরতাল আহ্বান করলো আর আপনাদের খুশি খুশি লাগছে ব্যাপারটা বুঝলামনা।
সাংবাদিকঃ দেখুন জামায়াতীরা হরতাল আহ্বান করে অর্থনীতি ধ্বংস করতে আর মুরগী কবিররা হরতাল আহ্বান করেছে অর্থনীতি রক্ষা করতে। হরতাল দিয়েও অর্থনীতি গতিশীল করা যায়, সেটা কিভাবে করা যায় সেটা আমি আপনাকে ব্যাক্ষা করতে চাচ্ছিনা। আচ্ছা আপনি উল্টা পাল্টা প্রশ্ন করছেন কেনো, আপনি জামায়াতীদের এজেন্ট নয়তো?
আমিঃ আচ্ছা মুরগী কবিররা হরতাল দিলে অর্থনীতি গতিশীল হয়, দারুন বলেছেন! এবার একটি প্রশ্নের জবাব দিন।
ফারাবীর ফেসবুক স্টাটাসকে কেন্দ্র করে তাকে গ্রেপ্তারের দাবীতে আপনারা জ্বালাময়ী রিপোর্ট করেছেন, বাঁশের কেল্লার কন্ঠ চেপে ধরে তাকে বন্ধ করার জন্য আপনারা আদা জল খেয়ে নেমে তিন তিনবার বন্ধ করিয়েছেন, সরকার সোনার বাংলাদেশ ব্লগ বন্ধ করে দিয়েছে, আপনারা বগল বাজিয়েছেন, আমার দেশ বন্ধের দাবী তুলেছেন।
অথচ আজ দুই চারটা ছুচো নাস্তিক ধরা পরাতে আপনারা বাক স্বাধীনতার বুলি কপচাচ্ছেন, কথা বলার অধিকার চাচ্ছেন, এই বাকস্বাধীনতার অধিকার এতদিন কোথায় ছিলো, সিন্দুকে বন্দী করে রেখেছিলেন? নাকি বাকস্বাধীনতা শুধুমাত্র ইসলাম,নবী-রাসূলদের গালী দেয়ার জন্য সংরক্ষিত?
সাংবাদিকঃ আপনিতো মৌলবাদী জামায়াত শিবিরের মতো কথা বলছেন, আপনাকেতো ছেড়ে দেয়া যায়না! এই কে কোথায় আছিস, আমার চাপাতিটা নিয়া আয়, রাজাকার পাইছি আইজ কোপামু!
শ’তে শামীমরেজা, তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!
আমিঃ কোনোমতে দৌড়ে ফেসবুকে পালিয়ে বাঁচলাম।
সাংবাদিকঃ দেখুন গুলি করে হত্যা করা আর পিটিয়ে মাথা থেতলে দেয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি ব্যাপার, দুটি ব্যাপারকে আপনি এক করে ফেলতে পারেননা। জামায়াত-শিবিরের ছেলেদের গুলি করে হত্যা কিংবা পঙ্গু করে ফেললেও তাদের মাথা কিন্তু অক্ষত ছিলো, তাদের মাথা কিন্তু ফাটে নাই, মাথা না ফাটলে এটা নিয়ে রিপোর্ট করা উচিত হবেনা।
আমিঃ তারমানে আপনি বলতে চাচ্ছেন তারা নিহত হলেও যেহেতু তাদের মাথা ফাটে নাই তাই তাদের নিয়ে রিপোর্ট করা উচিত হবেনা!?
সাংবাদিকঃ ঠিক তাই, আপনি ব্যাপারটি ধরতে পেরেছেন!
আমিঃ বিরোধী দল বিশেষ করে জামায়াত-শিবির হরতাল আহ্বান করলে আপনারা অর্থনীতি গেলো গেলো করে চেচিয়ে গলা ফাটান, কিন্তু আজ মুরগি কবিররা হরতাল আহ্বান করলো আর আপনাদের খুশি খুশি লাগছে ব্যাপারটা বুঝলামনা।
সাংবাদিকঃ দেখুন জামায়াতীরা হরতাল আহ্বান করে অর্থনীতি ধ্বংস করতে আর মুরগী কবিররা হরতাল আহ্বান করেছে অর্থনীতি রক্ষা করতে। হরতাল দিয়েও অর্থনীতি গতিশীল করা যায়, সেটা কিভাবে করা যায় সেটা আমি আপনাকে ব্যাক্ষা করতে চাচ্ছিনা। আচ্ছা আপনি উল্টা পাল্টা প্রশ্ন করছেন কেনো, আপনি জামায়াতীদের এজেন্ট নয়তো?
আমিঃ আচ্ছা মুরগী কবিররা হরতাল দিলে অর্থনীতি গতিশীল হয়, দারুন বলেছেন! এবার একটি প্রশ্নের জবাব দিন।
ফারাবীর ফেসবুক স্টাটাসকে কেন্দ্র করে তাকে গ্রেপ্তারের দাবীতে আপনারা জ্বালাময়ী রিপোর্ট করেছেন, বাঁশের কেল্লার কন্ঠ চেপে ধরে তাকে বন্ধ করার জন্য আপনারা আদা জল খেয়ে নেমে তিন তিনবার বন্ধ করিয়েছেন, সরকার সোনার বাংলাদেশ ব্লগ বন্ধ করে দিয়েছে, আপনারা বগল বাজিয়েছেন, আমার দেশ বন্ধের দাবী তুলেছেন।
অথচ আজ দুই চারটা ছুচো নাস্তিক ধরা পরাতে আপনারা বাক স্বাধীনতার বুলি কপচাচ্ছেন, কথা বলার অধিকার চাচ্ছেন, এই বাকস্বাধীনতার অধিকার এতদিন কোথায় ছিলো, সিন্দুকে বন্দী করে রেখেছিলেন? নাকি বাকস্বাধীনতা শুধুমাত্র ইসলাম,নবী-রাসূলদের গালী দেয়ার জন্য সংরক্ষিত?
সাংবাদিকঃ আপনিতো মৌলবাদী জামায়াত শিবিরের মতো কথা বলছেন, আপনাকেতো ছেড়ে দেয়া যায়না! এই কে কোথায় আছিস, আমার চাপাতিটা নিয়া আয়, রাজাকার পাইছি আইজ কোপামু!
শ’তে শামীমরেজা, তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!
আমিঃ কোনোমতে দৌড়ে ফেসবুকে পালিয়ে বাঁচলাম।
৪ এপ্রিল ২০১৩
No comments:
Post a Comment