মহিলা জামায়াত এবং ছাত্রী সংস্থার কর্মীদের উপর পুলিশি হয়রানী ও তার পজিটিভ ইফেক্ট

ইদানিং সরকার নতুন একটা খেলা শুরু করেছে, জামায়াত এবং ছাত্রীসংস্থার নারী কর্মীদের গ্রেপ্তার হয়রানী করছে। ব্যাপারটি আমার কাছে ভালোই লাগছে, হ্যা সত্যি বলছি আমাদের মা-বোনদের গ্রেপ্তার নির্যাতন করাতে দুঃখ করার মতো অনেকেই আছেন, তাই নতুন করে আমাকে আর দুঃখ করতে হচ্ছেনা, ব্যাপারটিতে আমি ব্যক্তিগত ভাবে খুশি!!
যুগে যুগে ইসলামী আন্দোলনের দিকে দৃস্টিপাত করলে আমরা দেখতে পাই, পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ইসলামী আন্দোলনের জন্য নির্যাতন এবং হত্যার শিকার হয়েছেন। এমনকি ইসলামের প্রথম শহীদ কিন্তু একজন নারী হজরত সুমাইয়া (রাঃ)।
সম্প্রতি মিশরে ইসলামের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় গিয়েছে আমরা মহা খুশি। কিন্তু আমরা কি জানি এর জন্য মিশরের তাওহীদ প্রেমি নারী-পুরুষকে কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে! প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবীদ জয়নব আল গাজালী একজন নারী তার উপর কতটা জুলুম নির্যাতনের স্টীম রোলার চালানো হয়েছে! যারা জয়নব আল গাজালীকে চিনেননা তারা তার লেখা “কারাগারের রাত দিন” বইটি পড়ে নিয়েন।
ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় আমরা যদি বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো ভবিষ্যৎ ইসলামী বিপ্লবের জন্য শুধুমাত্র পুরুষ জনশক্তিই প্রশিক্ষিত হচ্ছে, জেল জুলুম নির্যাতন সব শুধুমাত্র পুরুষদের উপরেই আসছে এবং নারীরা বঞ্চিত হচ্ছে প্রশিক্ষণ থেকে। হ্যা আমি জেল জুলুমের কথাই বলছি, জেল-জুলুম নির্যাতন আন্দোলনের প্রশিক্ষণ।
বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের এই ঘাটতি পুরনের জন্য এগিয়ে এসেছে বর্তমান ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগ সরকার, তারা আমাদের নারী কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণের সুবন্দবস্ত করে দিয়েছেন। নারী পুরুষের সম্মিলিত এ প্রশিক্ষিত জনশক্তিই এদেশে একদিন কালেমার পতাকা উড্ডয়ন করবে ইনশাআল্লাহ।
হতাশ হওয়ার কিছুনেই, মনভাঙা হওয়ার কিছুনেই, বিজয় আমাদের যদি আমরা মুমিন হই।

লেখা তৈরীঃ ২৪মার্চ২০১৩

Post Comment

No comments:

Post a Comment