হেফাজত ও জামায়াত কিছু মূল্যায়ন।


হেফাজতে ইসলাম থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার অনেক কিছু আছে, জামায়াতে ইসলামী আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং তথ্য-প্রযুক্তিকে ব্যাপক ভাবে ইসলামী আন্দোলনের জন্য ব্যবহার করতে সক্ষম হলেও আধ্যাত্মিক জায়গা থেকে জামায়াতের অবস্থান এখনো অনেক দূর্বল বলেই মনে করি।
জামায়াতের উচিত হবে এখন থেকেই এই দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করা, ভার্সিটি পড়ুয়া একজন তরুণ রাজনৈতিক ময়দানে যতই দক্ষতার পরিচয় দান করুকনা কেনো, আধ্যাত্মিক জায়গাতে কিন্তু তার কিছু অপূর্ণতা থেকেই যায়। মাদ্রাসা পড়ুয়া আলেমরা এক্ষেত্রে চমৎকার ভূমিকা রাখতে পারে। সংগঠনের আধ্যাত্মিক দিকটি তারাই সংরক্ষণ করবেন, যখনই দল ইসলামীক নৈতিকতার বাহিরে চলে যাবে তখনি তারা দলকে সঠিক অবস্থানে তুলে নিয়ে আসবেন।
আমার বক্তব্যেকে দয়া করে কেউ ভুল ভাবে গ্রহণ করবেননা, আমি দেশের সিংহভাগ ছাত্র যারা কলেজ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়ন করে তাদের নৈতিক উন্নয়নে ইসলামী ছাত্রশিবিরের অবদানকে খাটো করে দেখছিনা। আমি শুধু সংগঠনের যতটুকু ঘাটতি রয়ে গেছে তা কিভাবে সমাধান করা যায় সে ব্যাপার আমার দৃস্টিভঙ্গি পেশ করছি।
আমার মতে সংগঠনের উচিত হবে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম যারা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে হোক কিংবা বিপক্ষে হোক তাদের নিয়ে একটা উপদেস্টা পরিষদ গঠন করা, তারা জামায়াতে ইসলামীকে যে সব কারনে অপছন্দ করে সে সকল কারণ তখন বিলুপ্ত হয়ে যাবে, তাদের পরামর্শ অনুযায়ী জামায়াতের ছোট খাটো কিছু সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করা। বাস্তব ময়দানে প্রবেশ করলে আশা করি কওমী আলেমরা আবেগীয় কোন হটকারী সিদ্ধান্ত সংগঠনে চাপিয়ে দিতে চাইবেনা।
জামায়াতের বর্তমান সাংগঠনিক কাঠামোতে চিন্তা করলে কাজটি বলতে গেলে অসম্ভব, তবে ইসলামী আন্দোলনের বৃহত্তম প্রয়োজনে, আলেম সমাজের মধ্যে ঐক্য স্থাপনের ক্ষেত্রে দেশের বৃহত্তম ইসলামী দল হিসেবে জামায়াতকেই এগিয়ে আসতে হবে।


৫ এপ্রিল ২০১৩


Post Comment

No comments:

Post a Comment