পয়েলা
বৈশাখ অনুষ্ঠানে হিন্দুয়ানী সাংস্কৃতি ফলো করা হচ্ছে, এটা কিছুতেই মেনে
নেয়া যায়না। এখন একটা কাজ করতে হবে, ছহিহ ইসলামীক সিস্টেমে পয়েলা বৈশাখ
উদযাপন করতে হবে।
দলে দলে হিজাবী নারী এবং পাঞ্জাবী টুপি পড়া পুরুষেরা গিয়ে রমনায় পান্তা ইলিশ খাবে। মঞ্চে উঠে সাইমুম-পাঞ্জেরী শিল্পীগোষ্ঠি খাটি ইসলামিক পদ্ধতীতে গান গাইবে, “এসো হে বৈশাখ এসো এসো”। আর গানের তালে তালে হিজাবী বোন এবং জুব্বা পড়া ভাইয়েরা বৈশাখি নৃত্য প্রদর্শন করবে। এভাবেই হয়ে যাবে ইসলামিক পয়েলা বৈশাখ।
বিশ্বব্যাপী বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগীতা করা হয়, এটা অনৈসলামিক জিনিস। অত্যান্ত খারাপ একটা কালচার, এটাকে চেঞ্জ করতে হবে। কিভাবে চেঞ্জ করবেন? হ্যা উপায় বেরিয়ে এসেছে। এইতো সেদিন ইন্দোনেশিয়ায় হয়ে গেলো ওয়ার্ল্ড মুসলিমাহ হিজাব কম্পিটিশন। একদল হিজাবী নারী সহিহ ইসলামীক সিস্টেমে হিজাব পরিধান করে ক্যাটওয়াক প্রদর্শন করবে, আর বিচারকরা তাদের দেহের ভাজ দেখে নম্বর দিবেন, কে বেশি সুন্দরী। হয়ে গেলো একটা সমস্যার সমাধান, ইসলামিক সুন্দরী প্রতিযোগীতা।
হিন্দুদের দূর্গা পূজা, কালি পূজা, লক্ষি পূজা সহ আরো কত সুন্দর সুন্দর পূজা আছে, তাদের কত সুন্দর সুন্দর মূর্তি। সেই মূর্তির সামনে তারা ঢোল তবলা নিয়ে নাচ গান করে। মুসলমানের বাচ্চা কাচ্চারা গিয়েও সেখানে নাচ গান করে, এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায়না।
দারুণ একটা সমাধান বের হয়ে গেলো, মুসলমানদের কতশত ওলি আওয়ালীয়া আছে, তাদের কবরের পাশে গিয়েওতো এমন ঢোল পিটিয়ে নাচ গান করা যায়।
শুরু হয়ে গেলো ঢোল পিটিয়ে উদ্দাম নৃত্য, মুসলমানরা পিছিয়ে থাকবে কেনো? মুসলমানদের অনেক অনেক দেব দেবী, যেমনঃ খাজা বাবা, ভাণ্ডারী বাবা, বদনা বাবা, মিচকিন বাবা, পোলাউ বাবা, বিরানী বাবা, গরম বিবি ইত্যাদি।
হিন্দুদের খৃস্টানদের সানি লিওন আছে, মুসলমানদের কোনো সানি লিওন নাই। মুসলমানের বাচ্চারা সব হিন্দু সানি লিওনের পেইজে গিয়ে লাইক দেয়। কবে যে ইসলামিক সানি লিওন আসবে সেই আশায় বসে আছি। ইসলামীক সানি লিওন থাকলে এই জাতি অন্তত হিন্দুয়ানী কালচার হতে রক্ষা পাবে।
মাঝে মধ্যে হতাশ হয়ে যাই, মুসলমানদের বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াত্ব দেখে অসহায় বোধ করি। ইহুদি-বাম নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া আমাদের দিকে একেকটা সাংস্কৃতিক বোমা ছুড়ে দেয়, আর আমরা সেটা প্রতিরোধে সেটাকে ইসলামাইজ করে নেয়ার চেস্টায় মগ্ন থাকি।
গাছের গোড়া কেটে আগায় পানি ঢেলে কোনো লাভ নেই, আমাদের মিডিয়া নেই, আমাদের সাহিত্য নেই, আমাদের শিল্পী নেই, এবং আবারো যেটা বলবো, আমাদের মিডিয়া নেই। আমরা পয়েলা বৈশাখ নামক বোমার মোকাবেলায় হিমশিম খাবো, এটা নিয়ে ব্যস্ত থাকবো, অন্যদিকে মিডিয়া নতুন একটা বোমা নিয়ে হাজির হবে।
সাংস্কৃতিক ভাবে আমরা নিঃস্ব নই, আমাদের আছে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। প্রব্লেম হচ্ছে আমরা প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে গেছি। আমাদের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তার অভাব সৃষ্টি হয়েছে। আমরা নিজেরাতো কিছু করবোইনা, বাম-রাম’রা যদি কিছু করে তাহলেই হইছে, গেলো গেলো করে শোরগোল তুলবো।
রাম-বামরা যেভাবে ফাকা মাঠে গোল দিচ্ছে এর জন্য আমরাই দায়ী।
আমরা সবাই ব্যবসায়ী, টাকার পেছনে দৌড়াচ্ছি। ইসলামীক সাংস্কৃতির বিকাশে টাকা ঢেলেতো লাভ নেই, তার চাইতে বৈশাখী কোনো অনুষ্ঠানের স্পন্সর হলে ভালো প্রচারণা পাওয়া যাবে। সেখানে নৃত্য হবে, গান হবে, মৌলবাদ বিরোধী নাটক হবে, হাত তালি হবে, ব্যবসায়ের প্রসার হবে। অনেক অনেক টাকা হবে, সেই টাকা দিয়ে স্বপরিবারের মক্কায় গিয়ে হজ্ব করা যাবে।
সবচাইতে বেশি যে লাভ হবে সেটা হচ্ছে, নামের পূর্বে আলহাজ্ব লাগানো যাবে।
লেখাঃ আমাদের মিডিয়া নেই
© শামীম রেজা
১৬/০৪/২০১৪
দলে দলে হিজাবী নারী এবং পাঞ্জাবী টুপি পড়া পুরুষেরা গিয়ে রমনায় পান্তা ইলিশ খাবে। মঞ্চে উঠে সাইমুম-পাঞ্জেরী শিল্পীগোষ্ঠি খাটি ইসলামিক পদ্ধতীতে গান গাইবে, “এসো হে বৈশাখ এসো এসো”। আর গানের তালে তালে হিজাবী বোন এবং জুব্বা পড়া ভাইয়েরা বৈশাখি নৃত্য প্রদর্শন করবে। এভাবেই হয়ে যাবে ইসলামিক পয়েলা বৈশাখ।
বিশ্বব্যাপী বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগীতা করা হয়, এটা অনৈসলামিক জিনিস। অত্যান্ত খারাপ একটা কালচার, এটাকে চেঞ্জ করতে হবে। কিভাবে চেঞ্জ করবেন? হ্যা উপায় বেরিয়ে এসেছে। এইতো সেদিন ইন্দোনেশিয়ায় হয়ে গেলো ওয়ার্ল্ড মুসলিমাহ হিজাব কম্পিটিশন। একদল হিজাবী নারী সহিহ ইসলামীক সিস্টেমে হিজাব পরিধান করে ক্যাটওয়াক প্রদর্শন করবে, আর বিচারকরা তাদের দেহের ভাজ দেখে নম্বর দিবেন, কে বেশি সুন্দরী। হয়ে গেলো একটা সমস্যার সমাধান, ইসলামিক সুন্দরী প্রতিযোগীতা।
হিন্দুদের দূর্গা পূজা, কালি পূজা, লক্ষি পূজা সহ আরো কত সুন্দর সুন্দর পূজা আছে, তাদের কত সুন্দর সুন্দর মূর্তি। সেই মূর্তির সামনে তারা ঢোল তবলা নিয়ে নাচ গান করে। মুসলমানের বাচ্চা কাচ্চারা গিয়েও সেখানে নাচ গান করে, এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায়না।
দারুণ একটা সমাধান বের হয়ে গেলো, মুসলমানদের কতশত ওলি আওয়ালীয়া আছে, তাদের কবরের পাশে গিয়েওতো এমন ঢোল পিটিয়ে নাচ গান করা যায়।
শুরু হয়ে গেলো ঢোল পিটিয়ে উদ্দাম নৃত্য, মুসলমানরা পিছিয়ে থাকবে কেনো? মুসলমানদের অনেক অনেক দেব দেবী, যেমনঃ খাজা বাবা, ভাণ্ডারী বাবা, বদনা বাবা, মিচকিন বাবা, পোলাউ বাবা, বিরানী বাবা, গরম বিবি ইত্যাদি।
হিন্দুদের খৃস্টানদের সানি লিওন আছে, মুসলমানদের কোনো সানি লিওন নাই। মুসলমানের বাচ্চারা সব হিন্দু সানি লিওনের পেইজে গিয়ে লাইক দেয়। কবে যে ইসলামিক সানি লিওন আসবে সেই আশায় বসে আছি। ইসলামীক সানি লিওন থাকলে এই জাতি অন্তত হিন্দুয়ানী কালচার হতে রক্ষা পাবে।
মাঝে মধ্যে হতাশ হয়ে যাই, মুসলমানদের বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াত্ব দেখে অসহায় বোধ করি। ইহুদি-বাম নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া আমাদের দিকে একেকটা সাংস্কৃতিক বোমা ছুড়ে দেয়, আর আমরা সেটা প্রতিরোধে সেটাকে ইসলামাইজ করে নেয়ার চেস্টায় মগ্ন থাকি।
গাছের গোড়া কেটে আগায় পানি ঢেলে কোনো লাভ নেই, আমাদের মিডিয়া নেই, আমাদের সাহিত্য নেই, আমাদের শিল্পী নেই, এবং আবারো যেটা বলবো, আমাদের মিডিয়া নেই। আমরা পয়েলা বৈশাখ নামক বোমার মোকাবেলায় হিমশিম খাবো, এটা নিয়ে ব্যস্ত থাকবো, অন্যদিকে মিডিয়া নতুন একটা বোমা নিয়ে হাজির হবে।
সাংস্কৃতিক ভাবে আমরা নিঃস্ব নই, আমাদের আছে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। প্রব্লেম হচ্ছে আমরা প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে গেছি। আমাদের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তার অভাব সৃষ্টি হয়েছে। আমরা নিজেরাতো কিছু করবোইনা, বাম-রাম’রা যদি কিছু করে তাহলেই হইছে, গেলো গেলো করে শোরগোল তুলবো।
রাম-বামরা যেভাবে ফাকা মাঠে গোল দিচ্ছে এর জন্য আমরাই দায়ী।
আমরা সবাই ব্যবসায়ী, টাকার পেছনে দৌড়াচ্ছি। ইসলামীক সাংস্কৃতির বিকাশে টাকা ঢেলেতো লাভ নেই, তার চাইতে বৈশাখী কোনো অনুষ্ঠানের স্পন্সর হলে ভালো প্রচারণা পাওয়া যাবে। সেখানে নৃত্য হবে, গান হবে, মৌলবাদ বিরোধী নাটক হবে, হাত তালি হবে, ব্যবসায়ের প্রসার হবে। অনেক অনেক টাকা হবে, সেই টাকা দিয়ে স্বপরিবারের মক্কায় গিয়ে হজ্ব করা যাবে।
সবচাইতে বেশি যে লাভ হবে সেটা হচ্ছে, নামের পূর্বে আলহাজ্ব লাগানো যাবে।
লেখাঃ আমাদের মিডিয়া নেই
© শামীম রেজা
১৬/০৪/২০১৪
No comments:
Post a Comment