June 10
বাজারের পাশ দিয়ে আসছিলাম, কোন একটা ক্যাসেটের দোকানে ফুল ভলিউমে বাজছিলো হারানো দিনের কোনো একটা হিন্দি গান। নারী পুরুষের যুগল কন্ঠের সেই মর্মস্পর্ষী বিচ্ছেদের গান শুনে কেমন যেনো আনমনা হয়ে গিয়েছিলাম, কেমন একটা কৃত্রিম দুঃখ এসে ভর করেছিলো হৃদয়ে। মনে হচ্ছিলো দুনিয়াতে এতো দুঃখ, এতো কষ্ট! নিজেকেও দুঃখী দুঃখী মনে হচ্ছিলো, কেমন যেনো একটা অনুভূতি।
একটা গবেষণা রিপোর্ট পড়েছিলাম, ধূমপায়ীর পাশে অবস্থানকারী পরোক্ষ ধূমপায়ীরা প্রত্যক্ষ ধূমপায়ীর চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর কারণ সম্ভবত এটাই যে ধুমপান করতে করতে ধূমপায়ী ব্যাক্তির দেহ সেই নিকোটিন গ্রহণের জন্য সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত হয়ে যায়। কিন্তু অধূমপায়ী ব্যক্তির দেহে যখন সেই ধোঁয়া প্রবেশ করে তখন সেটা দেহের বারোটা বাজিয়ে ফেলে।
বিগত ৪-৫বছর ধরে কোনো গান শুনিনা। মাঝে মধ্যে ইসলামী সংগীত শুনি তবে সেটাও কম। এখানেও সম্ভবত ধূমপানের সেই গবেষণা রিপোর্টের মতো পরোক্ষ শ্রোতা আর প্রত্যক্ষ শ্রোতার মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। গানের যারা নিয়মিত শ্রোতা গান তাদের মনে সম্ভবত তেমন একটা অনুভূতি জাগ্রত করেনা, কিন্তু আমার মতো যারা পরোক্ষ শ্রোতা তাদের হৃদয়ে কিন্তু গানের প্রতিটি লাইন শুচ হয়ে বিদ্ধ হয়।
ওই হিন্দী গানটা সব ভজগট করে দিয়েছিলো, আমার ফ্রেন্ডলিস্টে একজন কবিতা প্রেমী আছেন, নাম উল্লেখ করে মানুষটাকে বিব্রত করতে চাইনা। প্রতি একদিন গ্যাপ দিয়েই ইনবক্সে তার এক লাইনের একটা ম্যাসেজ “ভাই একটা কবিতা হবে?” ম্যাসেজ পেয়ে আমি বিরক্ত হইনা, বলতে গেলে কিছুটা খুশিই হই, যাক অন্তত আমার কবিতার একজন পাঠক আছেন!
সেই পাঠকের রিকোয়েস্টেই একটা কবিতা লিখবো ভেবে মনে মনে ছন্দ গোছাচ্ছিলাম, কিন্তু এই গানটা আমার ছন্দগুলো সব এলোমেলো করে দিলো।
এমনিতে আমি দারুণ শ্রোতা, তবে সেটা গানের শ্রোতা নয় মানুষের কথার শ্রোতা, কেউ যদি কানের কাছে এসে ঘ্যানর ঘ্যানর করতে থাকে তবে আমি ভেতরে ভেতরে যতই বিরক্ত হইনা কেনো, মুখে সুন্দর একটা হাসি নিয়ে সেই বিরক্তি হজম করতে পারি। তবে প্রব্লেম হচ্ছে আমি যখন ফেসবুকে বসি তখন যদি কেউ এভাবে কানের কাছে এসে ঘ্যান ঘ্যান করে তখন বিরক্তির সীমা থাকেনা, আমার রুমমেটদের অধিকাংশই এই কাজটি করে থাকে, চরম বিরক্তি নিয়ে কথা না শুনেই এমন একটা ভাব করি যেনো আমি সব শুনছি।
বাসায় ঢুকেই ল্যাপটপ ওপেন করে বসে গেলাম, কয়েকটা ছন্দ মাথায় এসেছে এগুলো না লিখলেই নয়। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই রুমমেট তার মোবাইলে চালু করে দিলো নজরুলের কবিতা,
“আমি মহা বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত,
সেইদিন হবো শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনীবেনা,
অত্যাচারীর খরগ কৃপান ভীম রণভূমে রণীবেনা.........”
এই লাইনগুলো শুনে আমি চুপসে গেলাম, আমার ছন্দগুলো নিতান্তই নিরামিষ মনে হলো। মনযোগ দিয়ে কিছুক্ষণ কবিতা শুনলাম, তারপর দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলেই বললাম “অশিক্ষত নজরুল চাচায় এগুলো কি লিখলো?!”
রুমমেট হাসতে হাসতেই বলছিলো, “অশিক্ষিত কবির কবিতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনা হয়, আর যদি নজরুল চাচায় শিক্ষিত হতো তবে না জানি কি হতো!”
আমিও হাসতে হাসতেই জবাব দিলাম, “নজরুল আঙ্কেলে যদি শিক্ষিত হতেন তবে আপনি আমি তাকে চিনতামওনা, তিনি সম্ভবত কোনো একটা ব্যাঙ্কের ক্যাশ বাক্সের চিপায় বসে বসে টাকা গুনতে গুনতে জীবনটা পার করে দিতেন”।
যাই হোক রুমমেটের মুখটা কোনো ভাবে বন্ধ করে ফেসবুকে ব্যস্ত হয়ে গেলাম, নজরুলের যে লাইনগুলো মাথায় ঢুকেছে এগুলো বের না করা পর্যন্ত আমার মাথা থেকে আর কোনো ছন্দ আসবেনা। কিন্তু আমার দূর্ভাগ্য, হোম পেজ ওপেন করতেই একজনের ওয়ালে ভেস উঠলো বিশিষ্ট্য অত্যাচারী জমিদার রবীন্দ্র সাহেবের গানের কয়েকটা লাইন।
“যেদিন পরবেনা মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে......
আমি রইবোনা, বাইবোনা মোর খেয়া তরী এই ঘাটে......”
হিংসায় পুরে যাচ্ছিলাম, কি লিখলো এই ব্যাটায়?! হুক্কায় টান দিতে দিতে এতো সুন্দর গান লেখা যায়, ভাবনার বাইরে! মনে মনে গালি দিলাম, এই ব্যাটায় মুসলমানদের চাষার বাচ্চা বলে গালি দিয়েছিলো, এই ব্যাটায় কেনো এতো ভালো লিখবে?
একটা গল্প, একটা গান, একটা কবিতা, একটা মানুষের অন্তরকে মূহুর্তের মধ্যেই পরিবর্তন করে দিতে পারে। নজরুলকে আমরা যতই আমাদের কবি বলি, নজরুল কিন্তু আমাদের ছিলেননা, তিনি পেটের ধান্দায় সবাইকেই সার্ভিস দিয়েছিলেন। তবে হ্যা, মুসলমানদের জন্য তার হৃদয়ে ছিলো গভীর ভালোবাসা। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে এই ভালোবাসা দিয়ে ক্ষুধার্ত নজরুলের পেটে ভাত জুটতোনা, তাই তাকে শ্যামা সঙ্গীত হতে শুরু করে বাম সঙ্গীত সবই রচনা করতে হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ একনিষ্ঠ হিন্দু ছিলেন, তার কবিতা, গানের প্রেমে পরে অনেক মুসলিম নারী কপালে বিশাল বিশাল লাল টিপ এবং সিঁদুর পরিধান করে।
তার কবিতা গানের প্রেমে পরে অনেক মুসলিম হয়ে যায় অসাম্প্রদায়ীক আধা হিন্দু।
ফররুখ একনিষ্ঠভাবে আমাদের ছিলেন, তিনি আমাদের জাগরণের কবি ছিলেন, তার কবিতায় উদীপ্ত হয়েছিলো, পথ খুঁজে পেয়েছিলো, পথহারা মুসলমান।
আল মাহমুদ তার শেষ বয়সে এসে আমাদের হয়েছেন। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে এখন আর তার দেয়ার মতো অবশিষ্ট্য কিছু নেই, তিনি শুধু আমাদের পক্ষে যেটা দিতে পারছেন সেটা হচ্ছে পাবলিসিটি। আমরা মাথা উঁচু করে বলতে পারছি, বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় কবি আমাদের! তার কাছ থেকে এর বেশি কিছু আমাদের পাওয়ার নেই।
মল্লিক আমাদের সম্পদ, জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি শুধু দিয়েই গেছেন। আল্লাহ এই কবিকে কবুল করুন।
স্বপ্ন দেখি একটা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের, এই বিপ্লবের কান্ডারী হবেন একজন নজরুল এবং একজন মুসলিম রবীন্দ্রনাথ!
বাংলাদেশের হাটে,মাঠে,ঘরে, সবখানেই বাজবে তাওহীদের গান, সে গান শুনে আমরা ঈমানের বলে বলীয়ান হবো। আমরা মুসলিম হবো।
লেখাঃ সাংস্কৃতিক বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি
শামীম রেজা
১০/০৬/২০১৪
বাজারের পাশ দিয়ে আসছিলাম, কোন একটা ক্যাসেটের দোকানে ফুল ভলিউমে বাজছিলো হারানো দিনের কোনো একটা হিন্দি গান। নারী পুরুষের যুগল কন্ঠের সেই মর্মস্পর্ষী বিচ্ছেদের গান শুনে কেমন যেনো আনমনা হয়ে গিয়েছিলাম, কেমন একটা কৃত্রিম দুঃখ এসে ভর করেছিলো হৃদয়ে। মনে হচ্ছিলো দুনিয়াতে এতো দুঃখ, এতো কষ্ট! নিজেকেও দুঃখী দুঃখী মনে হচ্ছিলো, কেমন যেনো একটা অনুভূতি।
একটা গবেষণা রিপোর্ট পড়েছিলাম, ধূমপায়ীর পাশে অবস্থানকারী পরোক্ষ ধূমপায়ীরা প্রত্যক্ষ ধূমপায়ীর চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর কারণ সম্ভবত এটাই যে ধুমপান করতে করতে ধূমপায়ী ব্যাক্তির দেহ সেই নিকোটিন গ্রহণের জন্য সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত হয়ে যায়। কিন্তু অধূমপায়ী ব্যক্তির দেহে যখন সেই ধোঁয়া প্রবেশ করে তখন সেটা দেহের বারোটা বাজিয়ে ফেলে।
বিগত ৪-৫বছর ধরে কোনো গান শুনিনা। মাঝে মধ্যে ইসলামী সংগীত শুনি তবে সেটাও কম। এখানেও সম্ভবত ধূমপানের সেই গবেষণা রিপোর্টের মতো পরোক্ষ শ্রোতা আর প্রত্যক্ষ শ্রোতার মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। গানের যারা নিয়মিত শ্রোতা গান তাদের মনে সম্ভবত তেমন একটা অনুভূতি জাগ্রত করেনা, কিন্তু আমার মতো যারা পরোক্ষ শ্রোতা তাদের হৃদয়ে কিন্তু গানের প্রতিটি লাইন শুচ হয়ে বিদ্ধ হয়।
ওই হিন্দী গানটা সব ভজগট করে দিয়েছিলো, আমার ফ্রেন্ডলিস্টে একজন কবিতা প্রেমী আছেন, নাম উল্লেখ করে মানুষটাকে বিব্রত করতে চাইনা। প্রতি একদিন গ্যাপ দিয়েই ইনবক্সে তার এক লাইনের একটা ম্যাসেজ “ভাই একটা কবিতা হবে?” ম্যাসেজ পেয়ে আমি বিরক্ত হইনা, বলতে গেলে কিছুটা খুশিই হই, যাক অন্তত আমার কবিতার একজন পাঠক আছেন!
সেই পাঠকের রিকোয়েস্টেই একটা কবিতা লিখবো ভেবে মনে মনে ছন্দ গোছাচ্ছিলাম, কিন্তু এই গানটা আমার ছন্দগুলো সব এলোমেলো করে দিলো।
এমনিতে আমি দারুণ শ্রোতা, তবে সেটা গানের শ্রোতা নয় মানুষের কথার শ্রোতা, কেউ যদি কানের কাছে এসে ঘ্যানর ঘ্যানর করতে থাকে তবে আমি ভেতরে ভেতরে যতই বিরক্ত হইনা কেনো, মুখে সুন্দর একটা হাসি নিয়ে সেই বিরক্তি হজম করতে পারি। তবে প্রব্লেম হচ্ছে আমি যখন ফেসবুকে বসি তখন যদি কেউ এভাবে কানের কাছে এসে ঘ্যান ঘ্যান করে তখন বিরক্তির সীমা থাকেনা, আমার রুমমেটদের অধিকাংশই এই কাজটি করে থাকে, চরম বিরক্তি নিয়ে কথা না শুনেই এমন একটা ভাব করি যেনো আমি সব শুনছি।
বাসায় ঢুকেই ল্যাপটপ ওপেন করে বসে গেলাম, কয়েকটা ছন্দ মাথায় এসেছে এগুলো না লিখলেই নয়। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই রুমমেট তার মোবাইলে চালু করে দিলো নজরুলের কবিতা,
“আমি মহা বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত,
সেইদিন হবো শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনীবেনা,
অত্যাচারীর খরগ কৃপান ভীম রণভূমে রণীবেনা.........”
এই লাইনগুলো শুনে আমি চুপসে গেলাম, আমার ছন্দগুলো নিতান্তই নিরামিষ মনে হলো। মনযোগ দিয়ে কিছুক্ষণ কবিতা শুনলাম, তারপর দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলেই বললাম “অশিক্ষত নজরুল চাচায় এগুলো কি লিখলো?!”
রুমমেট হাসতে হাসতেই বলছিলো, “অশিক্ষিত কবির কবিতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনা হয়, আর যদি নজরুল চাচায় শিক্ষিত হতো তবে না জানি কি হতো!”
আমিও হাসতে হাসতেই জবাব দিলাম, “নজরুল আঙ্কেলে যদি শিক্ষিত হতেন তবে আপনি আমি তাকে চিনতামওনা, তিনি সম্ভবত কোনো একটা ব্যাঙ্কের ক্যাশ বাক্সের চিপায় বসে বসে টাকা গুনতে গুনতে জীবনটা পার করে দিতেন”।
যাই হোক রুমমেটের মুখটা কোনো ভাবে বন্ধ করে ফেসবুকে ব্যস্ত হয়ে গেলাম, নজরুলের যে লাইনগুলো মাথায় ঢুকেছে এগুলো বের না করা পর্যন্ত আমার মাথা থেকে আর কোনো ছন্দ আসবেনা। কিন্তু আমার দূর্ভাগ্য, হোম পেজ ওপেন করতেই একজনের ওয়ালে ভেস উঠলো বিশিষ্ট্য অত্যাচারী জমিদার রবীন্দ্র সাহেবের গানের কয়েকটা লাইন।
“যেদিন পরবেনা মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে......
আমি রইবোনা, বাইবোনা মোর খেয়া তরী এই ঘাটে......”
হিংসায় পুরে যাচ্ছিলাম, কি লিখলো এই ব্যাটায়?! হুক্কায় টান দিতে দিতে এতো সুন্দর গান লেখা যায়, ভাবনার বাইরে! মনে মনে গালি দিলাম, এই ব্যাটায় মুসলমানদের চাষার বাচ্চা বলে গালি দিয়েছিলো, এই ব্যাটায় কেনো এতো ভালো লিখবে?
একটা গল্প, একটা গান, একটা কবিতা, একটা মানুষের অন্তরকে মূহুর্তের মধ্যেই পরিবর্তন করে দিতে পারে। নজরুলকে আমরা যতই আমাদের কবি বলি, নজরুল কিন্তু আমাদের ছিলেননা, তিনি পেটের ধান্দায় সবাইকেই সার্ভিস দিয়েছিলেন। তবে হ্যা, মুসলমানদের জন্য তার হৃদয়ে ছিলো গভীর ভালোবাসা। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে এই ভালোবাসা দিয়ে ক্ষুধার্ত নজরুলের পেটে ভাত জুটতোনা, তাই তাকে শ্যামা সঙ্গীত হতে শুরু করে বাম সঙ্গীত সবই রচনা করতে হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ একনিষ্ঠ হিন্দু ছিলেন, তার কবিতা, গানের প্রেমে পরে অনেক মুসলিম নারী কপালে বিশাল বিশাল লাল টিপ এবং সিঁদুর পরিধান করে।
তার কবিতা গানের প্রেমে পরে অনেক মুসলিম হয়ে যায় অসাম্প্রদায়ীক আধা হিন্দু।
ফররুখ একনিষ্ঠভাবে আমাদের ছিলেন, তিনি আমাদের জাগরণের কবি ছিলেন, তার কবিতায় উদীপ্ত হয়েছিলো, পথ খুঁজে পেয়েছিলো, পথহারা মুসলমান।
আল মাহমুদ তার শেষ বয়সে এসে আমাদের হয়েছেন। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে এখন আর তার দেয়ার মতো অবশিষ্ট্য কিছু নেই, তিনি শুধু আমাদের পক্ষে যেটা দিতে পারছেন সেটা হচ্ছে পাবলিসিটি। আমরা মাথা উঁচু করে বলতে পারছি, বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় কবি আমাদের! তার কাছ থেকে এর বেশি কিছু আমাদের পাওয়ার নেই।
মল্লিক আমাদের সম্পদ, জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি শুধু দিয়েই গেছেন। আল্লাহ এই কবিকে কবুল করুন।
স্বপ্ন দেখি একটা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের, এই বিপ্লবের কান্ডারী হবেন একজন নজরুল এবং একজন মুসলিম রবীন্দ্রনাথ!
বাংলাদেশের হাটে,মাঠে,ঘরে, সবখানেই বাজবে তাওহীদের গান, সে গান শুনে আমরা ঈমানের বলে বলীয়ান হবো। আমরা মুসলিম হবো।
লেখাঃ সাংস্কৃতিক বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি
শামীম রেজা
১০/০৬/২০১৪
No comments:
Post a Comment