ফতোয়া বাণিজ্য

আপনি বাংলা নববর্ষ উদযাপনের পক্ষে ফতোয়া চাচ্ছেন? তাহলে এক কাজ করেন, ময়লানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদের কাছে যান, অথবা বাইতুল মোকাররমের বর্তমান ক্ষতি(ব) সালাউদ্দীনের কাছে যান আপনার অর্ডার অনুযায়ী ফতোয়া দিয়ে দিবে।

ইসলামী ফাউন্ডেশনেও যেতে পারেন, সেখানেও ওলামা লীগের ডিজিটাল ময়লানা শামীম আফজল আছে, তিনি আবার ইহুদী মেয়েদের ব্যালে ড্যান্স না দেখলে ঘুমাতে পারেননা। তার কাছেও ফতোয়া পাবেন, কেজি হিসেবে দাম দিয়ে কিনে নিবেন।

এই ডিজিটাল যুগে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়, সব কিছুই কিনতে পাওয়া যায়। গত রমজানে বাবু চোরঞ্জিত গুপ্ত ওরফে কালা বিলাই বলেছিলো বিসমিল্লা বলে পাঁঠা বলির গোস্তও খাওয়া যায়েজ, আবার টাকায় কেনা ইসলামী বিশেষ(অজ্ঞ)রা ইসলাম শিক্ষা বইতে বাচ্চাদের শেখাচ্ছেন দেব দেবীর নামে জবাই করা পশু হালাল, চোরঞ্জিত বাবুর আর দোষ দিবো কেনো!

ময়লানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ফতোয়া দ্যান ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট করা হারাম, ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট করলে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। সেদিন রাতেই ফেসবুকে ফাস হয়ে যায় ইসলামী ব্যাংকে তার দু' দুটি একাউন্ট আছে।

ইসলামী ফাউন্ডেশনের ডিজি শামীম মোহাম্মদ আফজল টিভি সাক্ষাৎকারে সামীয়া জামানের পোশাককে ইসলামী পোশাক বলে ফতোয়া দ্যান। সাংস্কৃতিক বিনিময়ের নামে নারী পুরুষের ব্যালে ড্যান্সকে জায়েজ ঘোষণা করেন।

বাইতুল মোকাররমের ক্ষতি(ব) সালাউদ্দীন আদালতের বিচারাধীন বিষয় দাবী করে কোরআনের কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

ডিজিটাল যুগে টাকায় ফতোয়া কিনতে পাওয়া যায়, অগ্রিম বুকিং চলছে শীঘ্রই নববর্ষ উদযাপনের পক্ষে ফতোয়া সংগ্রহ করে নিন, আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে।

 ১৩ এপ্রিল ২০১৩

Post Comment

অদ্ভুত মুসলমানের দেশ

অদ্ভুত এই দেশ, এদেশের ৯২%মানুষ নিজেদের মুসলিম দাবী করে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে রাসূল(সঃ) এর প্রেমে অন্ধ এদেশের মানুষ, আলকোরানকে মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধানের গ্রন্থ হিসেবে বিশ্বাস করে।

ঠিক বিপরীত দিকে এই একই শ্রেণীর মানুষ নিজেদের মুসলিম পরিচয় না দিয়ে বাঙালী পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে, হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বাঙালীর অনুষ্ঠান দাবী করে মহা ধুম ধাম সহকারে উদযাপন করে। মুহাম্মদ (সঃ) কে বাদ দিয়ে মুজিব কিংবা জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে। কোরআনের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য অকাতরে জীবন দান করে, মাদ্রাসা মসজিদে হামলা করে।
এদেশে নিরাপত্তার অজুহাতে কোরআনের মাহফিল বন্ধ করে দেয়া হয়, অন্য দিকে পুলিশি পাহাড়ায় যাত্রা-পালায় অশ্লীল নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, মেলার নামে চলে মদ জুয়ার আসর।
বাঙালীত্ব জাহির করতে এদেশের মুসলমানের সন্তানেরা আয়োজন করে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আনন্দ উদযাপনের নাম চলে অশ্লীল ঢলাঢলি, "সত্যি সেলুকাস! বিচিত্র এই দেশ!"

১৩ এপ্রিল ২০১৩

Post Comment

গরু খাওয়া মুসলমান

আমি মুসলিম

আমার জাতির পিতা ইব্রাহীম (আঃ) নন, জাতির পিতা হচ্ছেন মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমান।
আমি কোরআনের আইন মাইনা, কিন্তু মানুশের গড়া সংবিধানের জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেই।
আমি খিলাফত মানিনা, কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত।
রাসূল(সঃ) কে অবমাননা করলে আমি ব্যথিত হইনা, কিন্তু শেখ মুজিবকে নিয়ে কটু কথা বললে আমার মাথা ঠিক থাকেনা।
আমি নিজেকে মুসলিম বলতে সংকোচ বোধ করি, কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয় দিতে গর্বিত হই।
আমি আলেম ওলামাদের সমাবেশে হামলা করি, মাদ্রাসা ভাঙচুর করি, আবার অন্যদিকে রাসূল(সঃ) কে অবমাননা কারীদের মুক্তির দাবীতে মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করি।
তার পরেও আমি মুসলিম, আমি মুসলিম এর কারণ হচ্ছে দুটি
১। আমার আব্বা মুসলিম
২। আমি গরু খাই।

১১ এপ্রিল ২০১৩

Post Comment

নাস্তিকের মুসলিম পরিচয়

সিডরের সময় খুলনা অঞ্চলের বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাদের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু রুম ছেড়ে দেয়া হয় ক্লাস করার জন্য।

সাংবাদিকরা যখন সেই ছোট ছোট বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করছিলেন তোমরা কে কোথায় পড়াশোনা করো, তখন এক ছাত্র জবাব দিলো আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি!
আজ মুসলিমের ঘরে জন্ম নেয়া নাস্তিক মুরতাদরা কথায় কথায় ইসলামের অবমাননা করে, কোরআন হাদিসের আয়াত নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করে, রাসূল(সঃ) কে নিয়ে অশ্লীল গল্প কবিতা রচনা করে। এমন কি হিন্দুরাও মুসলিম নাম ধারন করে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। 
যেহেতু এই সব নাস্তিকদের নাম গুলো মুসলিম এবং মুসলিম ঘরের সন্তান তাই তারা গলা উঁচু করে দাবী করে তারাও মুসলমান।
তাইতো আমরা দেখতে পাচ্ছি অমি পিয়াল, আরিফ জেবতিক, তানিয়া আমির, শাহরিয়ার কবির, ইনু, মেনন, মতিয়া চৌধুরীর মত বড় বড় ইসলাম বিদ্বেষীরা মাওলানা সেজে দিন ভর মিডিয়ার সামনে বসে জনগণকে ইসলামের সবক দিচ্ছেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অবুঝ ছাত্র ও মুসলমান পরিবারে জন্ম নেয়া এই বাটপার নাস্তিকদের/ইসলাম বিদ্বেষীদের এক পাল্লায় মাপার সুযোগ নেই।

১১ এপ্রিল ২০১৩

Post Comment

ধর্ষিতা পাগলী ও সমস্যার সমাধান।

এক।

এলাকার বখাটে ছেলেরা এক পাগলীকে ধর্ষন করেছিলো, পাগলী রাস্তায় হাটছে আর চেচিয়ে চেচিয়ে বলছে ওরা আমায় ধর্ষন করেছে। বখাটে ছেলের দল পরলো মহা মুশকিলে, এভাবে চলতে থাকলেতো তারা বিপদে পড়বে। তাই তারা নতুন বুদ্ধি করলো,পাগলিকে ডেকে এনে পাছায় একটা লাত্থি দিয়ে পাঠিয়ে দিলো।
ঔষধে কাজ হলো, পাগলী রাস্তায় হাটছে আর চেচিয়ে চেচিয়ে বলছে ওরা আমায় লাত্থি দিয়েছে।
দুই। 
হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচীতে সরকারের গদি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে, আতঙ্কিত সরকার! চায়ের দোকানে, পথে প্রান্তরে একটাই আলোচনা হেফাজতে ইসলামের লাখ লাখ লোকের কর্মসূচী। দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও স্থান পেয়েছে হেফাজতে ইসলাম। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বুঝে গেছে বাংলাদেশে পলিটিক্যাল গেম খেলতে হলে ইসলামকে মাথায় রাখতে হবে।
নিরুপায় সরকার একটা বুদ্ধি করলো, বিএনপি’র পাছায় কষে একটা লাত্থি দিলো, সারাদেশে এখন একটাই আলোচনা খালেদা জিয়াকেও কি গ্রেপ্তার করা হবে?

১০ এপ্রিল ২০১৩

Post Comment

মুরগী জাতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বাংলাদেশ মুরগী সমাজ আগামী শুক্রবার সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে, এক প্রতিবাদ বার্তায় মুরগী সমাজের চেয়ারম্যান গলা-ছিলা মুরগী জানিয়েছে, আমরা অত্যান্ত দুক্ষের সাথে জানাচ্ছি যে সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়া এবং ফেসবুকে কুখ্যাত রাজাকার মিঃকবিরকে "মুরগী কবির" নামে আখ্যায়ীত করা হয়েছে, এতে করে মুরগী জাতি চরম ভাবে অপমান বোধ করছে।

তারা তাদের দাবীতে বলেছে অবিলম্বে মিঃ কবিরের নাম হতে মুরগী উপাধী কেড়ে নেয়া হোক, অন্যথায় তারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।
তারা বলেছে ভারতের দালাল ও নাস্তিক্যবাদীদের পাঁ-চাটা গোলাম মিঃ কবিরকে মুরগী উপাধী দিয়ে মুরগী জাতিকে অপমান অরার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নাই, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

৭ এপ্রিল ২০১৩

Post Comment

আপনি একটা চোর! পারলে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করুন।

আমরা হরতাল আহ্বান করি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, আল্লাহ দ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সর্বোচ্চ হাতিয়ার হিসেবে হরতালের বিকল্প এখনো গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে আবিস্কার হয়নাই। যারা এই ন্যায্য প্রতিবাদে সমর্থন জানাচ্ছে তারা হরতাল পালন করছে, আর যারা হরতাল পালন করছেনা তারা এই দাবীর বিরোধী বলেই আমরা ধরে নিচ্ছি, তারা জালিমের পক্ষের শক্তি, তাদের প্রতিহত করা আমাদের নৈতিক দায়ীত্ব।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ হরতাল আহ্বান করেছে কোন দল আমাকে বলতে পারেন? হরতালে মানুষ হত্যার সর্বোচ্চ নজীর স্থাপন করেছে কোন দল বলতে পারেন? 
রগ কারা কাটে, চাপাতী দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে মানুষ হত্যা করছে কারা? বোমাবাজি অস্ত্রবাজী কারা করছে? পত্রিকা পড়েন? টিভি দেখেন? নাকি অন্ধ ভাবে আওয়ামী টিভি চ্যানেলের টকশো নামের মিথ্যাগুলো গলধকরণ করেন? ছাত্রশিবির রগকাটে এমন একটা নজীর পারলে আমাকে দেখান, আমি আপনাকে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল যে মানুষের রগকাটে এমন হাজারটা নজীর দেখাতে পারবো। ছাত্রশিবির মানুষ হত্যা করে এমন একটি নজীর আমাকে দেখান, আমি আপনাকে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মানুষ হত্যার হাজারটা নজীর দেখাতে পারবো, চাপাতী লীগের কোপাকুপির লাইভ ভিডিও দেখাতে পারবো। অন্ধ হইয়েন না, অন্ধ হলে ক্ষতি আপনারই হবে, দিনের আলোয় সত্যিটাকে দেখার চেস্টা করেন।
যুদ্ধাপরাধী মুক্ত দলের কথা বলছেন! অবাক হচ্ছি, কোন দেশে থাকেন? আপনিকি জানেন, শেখমুজিব সরকারের ধর্মমন্ত্রী ছিলেন রাজাকার? শেখ হাসিনার বেয়াই একজন রাজাকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীর রাজাকারের নিয়োগদাত! মতিয়া/সাজেদাদের ইতিহাস ঘেটে দেখেন সত্যিটা জানতে পারবেন। রাজাকারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক দল হচ্ছে আওয়ামীলীগ। জামায়াতকে দোষ দিচ্ছেন? দিতে থাকেন, পারলে নিরপেক্ষ আদালতে জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ প্রামাণ করে দেখান!
আমি আপনাকে সারাদিন চোর বললেই যদি আপনি চোর হয়ে যান। তবে আমি বলছি, আপনি ধর্ষনে সেঞ্চুরী করা মানিকের দলের লোক, আপনি বাকশাল এবং গণহত্যাকারী দল আওয়ামীলীগের সদস্য।
পারলে আপনার বিরুদ্ধে আমার অভিযোগগুলো আমার আদালতে মিথ্যা প্রমাণ করেন, আমি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আমার পছন্দমতো বিচারক এবং আইনজীবি নিয়োগ দিবো।
সর্বশেষ কথা, বাংলার জনগণ জামায়াতে ইসলামকে ঠিকই গ্রহণ করেছে, শুধুমাত্র বাংলার আওয়ামীলীগ ও বাংলার নাস্তিক-মুরতাদরা জামায়াতকে গ্রহণ করেনাই।

৯ এপ্রিল ২০১৩

Post Comment

হেফাজতের আন্দোলন ও সাধারণ জনতা

এমনি একটা ইসলামী জাগরণের প্রতিক্ষায় ছিলাম বহুদিন ধরে, কিন্তু দূর্ভাগ্য আমার! ইসলামী জাগরনের সুবাতাস যখন প্রবাহিত হচ্ছে দিকে দিকে, তখন আমি শারীরিক ভাবে ময়দানে অনুপস্থিত!

আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লাম, যখন চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ থেকে একজন পরিচিত হকার ফোন করে জানালেন, তার সারাদিনের উপার্জন থেকে মাত্র চল্লিশ টাকা অবশিস্ট ছিলো, সেটা দিয়েই এক পোয়া পরিমাণ আঙুর কিনে ইসলামী জাগরণ মঞ্চে আগত ভাইদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন।
তিনি আক্ষেপ করে জানালেন, ভাই অনেক কিছু করতে মন চায় কিন্তু সাধ্য নেই, আল্লাহর পথে নিজের তৌফিক অনুযায়ী চেস্টা করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
এমন হৃদয়ের অধিকারী যেই জনতা তাদের কিসের অভাব? তাদের দ্বারাই সম্ভব আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করা। 
বাতিলের হুংকার যত শক্তিশালীই হোকনা কেনো, তাওহীদ প্রেমী জনতা ঈমানী বলে বলিয়ান হয়ে কলেমার পতাকা উচ্চকিত করে রাখবে আল্লাহর এই জমিনে, ইনশাআল্লাহ।

৫ এপ্রিল ২০১৩

Post Comment

হেফাজত ও জামায়াত কিছু মূল্যায়ন।

হেফাজতে ইসলাম থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার অনেক কিছু আছে, জামায়াতে ইসলামী আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং তথ্য-প্রযুক্তিকে ব্যাপক ভাবে ইসলামী আন্দোলনের জন্য ব্যবহার করতে সক্ষম হলেও আধ্যাত্মিক জায়গা থেকে জামায়াতের অবস্থান এখনো অনেক দূর্বল বলেই মনে করি।

জামায়াতের উচিত হবে এখন থেকেই এই দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করা, ভার্সিটি পড়ুয়া একজন তরুণ রাজনৈতিক ময়দানে যতই দক্ষতার পরিচয় দান করুকনা কেনো, আধ্যাত্মিক জায়গাতে কিন্তু তার কিছু অপূর্ণতা থেকেই যায়। মাদ্রাসা পড়ুয়া আলেমরা এক্ষেত্রে চমৎকার ভূমিকা রাখতে পারে। সংগঠনের আধ্যাত্মিক দিকটি তারাই সংরক্ষণ করবেন, যখনই দল ইসলামীক নৈতিকতার বাহিরে চলে যাবে তখনি তারা দলকে সঠিক অবস্থানে তুলে নিয়ে আসবেন।
আমার বক্তব্যেকে দয়া করে কেউ ভুল ভাবে গ্রহণ করবেননা, আমি দেশের সিংহভাগ ছাত্র যারা কলেজ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়ন করে তাদের নৈতিক উন্নয়নে ইসলামী ছাত্রশিবিরের অবদানকে খাটো করে দেখছিনা। আমি শুধু সংগঠনের যতটুকু ঘাটতি রয়ে গেছে তা কিভাবে সমাধান করা যায় সে ব্যাপার আমার দৃস্টিভঙ্গি পেশ করছি।
আমার মতে সংগঠনের উচিত হবে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম যারা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে হোক কিংবা বিপক্ষে হোক তাদের নিয়ে একটা উপদেস্টা পরিষদ গঠন করা, তারা জামায়াতে ইসলামীকে যে সব কারনে অপছন্দ করে সে সকল কারণ তখন বিলুপ্ত হয়ে যাবে, তাদের পরামর্শ অনুযায়ী জামায়াতের ছোট খাটো কিছু সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করা। বাস্তব ময়দানে প্রবেশ করলে আশা করি কওমী আলেমরা আবেগীয় কোন হটকারী সিদ্ধান্ত সংগঠনে চাপিয়ে দিতে চাইবেনা।
জামায়াতের বর্তমান সাংগঠনিক কাঠামোতে চিন্তা করলে কাজটি বলতে গেলে অসম্ভব, তবে ইসলামী আন্দোলনের বৃহত্তম প্রয়োজনে, আলেম সমাজের মধ্যে ঐক্য স্থাপনের ক্ষেত্রে দেশের বৃহত্তম ইসলামী দল হিসেবে জামায়াতকেই এগিয়ে আসতে হবে।

৫ এপ্রিল ২০১৩

Post Comment

হলুদ সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার

আমিঃ আচ্ছা সাংবাদিক সাহেব পুলিশ যে গুলি করে জামায়াত শিবিরের দুইশত এর বেশি মানুষ হত্যা করলো, শিবিরের ছেলেদের গ্রেপ্তার করে ধোলাই থেরাপী এবং গুলি করে পঙ্গু করে দিলো, তখনতো আপনারা বিন্দু মাত্র হৈচৈ করেন নাই, বরং মুখে কুলুপ এটে বসেছিলেন।

কিন্তু আজ শিবিরের ক্ষুব্ধ কর্মীদের হাতে আহত পুলিশ সদস্যকে নিয়ে আপনাদের নাকি কান্না দেখে অবাক হচ্ছি, ব্যাপারটা কেমন দ্বিমুখী হয়ে গেলোনা!?
সাংবাদিকঃ দেখুন গুলি করে হত্যা করা আর পিটিয়ে মাথা থেতলে দেয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি ব্যাপার, দুটি ব্যাপারকে আপনি এক করে ফেলতে পারেননা। জামায়াত-শিবিরের ছেলেদের গুলি করে হত্যা কিংবা পঙ্গু করে ফেললেও তাদের মাথা কিন্তু অক্ষত ছিলো, তাদের মাথা কিন্তু ফাটে নাই, মাথা না ফাটলে এটা নিয়ে রিপোর্ট করা উচিত হবেনা।
আমিঃ তারমানে আপনি বলতে চাচ্ছেন তারা নিহত হলেও যেহেতু তাদের মাথা ফাটে নাই তাই তাদের নিয়ে রিপোর্ট করা উচিত হবেনা!?
সাংবাদিকঃ ঠিক তাই, আপনি ব্যাপারটি ধরতে পেরেছেন!
আমিঃ বিরোধী দল বিশেষ করে জামায়াত-শিবির হরতাল আহ্বান করলে আপনারা অর্থনীতি গেলো গেলো করে চেচিয়ে গলা ফাটান, কিন্তু আজ মুরগি কবিররা হরতাল আহ্বান করলো আর আপনাদের খুশি খুশি লাগছে ব্যাপারটা বুঝলামনা। 
সাংবাদিকঃ দেখুন জামায়াতীরা হরতাল আহ্বান করে অর্থনীতি ধ্বংস করতে আর মুরগী কবিররা হরতাল আহ্বান করেছে অর্থনীতি রক্ষা করতে। হরতাল দিয়েও অর্থনীতি গতিশীল করা যায়, সেটা কিভাবে করা যায় সেটা আমি আপনাকে ব্যাক্ষা করতে চাচ্ছিনা। আচ্ছা আপনি উল্টা পাল্টা প্রশ্ন করছেন কেনো, আপনি জামায়াতীদের এজেন্ট নয়তো?
আমিঃ আচ্ছা মুরগী কবিররা হরতাল দিলে অর্থনীতি গতিশীল হয়, দারুন বলেছেন! এবার একটি প্রশ্নের জবাব দিন। 
ফারাবীর ফেসবুক স্টাটাসকে কেন্দ্র করে তাকে গ্রেপ্তারের দাবীতে আপনারা জ্বালাময়ী রিপোর্ট করেছেন, বাঁশের কেল্লার কন্ঠ চেপে ধরে তাকে বন্ধ করার জন্য আপনারা আদা জল খেয়ে নেমে তিন তিনবার বন্ধ করিয়েছেন, সরকার সোনার বাংলাদেশ ব্লগ বন্ধ করে দিয়েছে, আপনারা বগল বাজিয়েছেন, আমার দেশ বন্ধের দাবী তুলেছেন।
অথচ আজ দুই চারটা ছুচো নাস্তিক ধরা পরাতে আপনারা বাক স্বাধীনতার বুলি কপচাচ্ছেন, কথা বলার অধিকার চাচ্ছেন, এই বাকস্বাধীনতার অধিকার এতদিন কোথায় ছিলো, সিন্দুকে বন্দী করে রেখেছিলেন? নাকি বাকস্বাধীনতা শুধুমাত্র ইসলাম,নবী-রাসূলদের গালী দেয়ার জন্য সংরক্ষিত?
সাংবাদিকঃ আপনিতো মৌলবাদী জামায়াত শিবিরের মতো কথা বলছেন, আপনাকেতো ছেড়ে দেয়া যায়না! এই কে কোথায় আছিস, আমার চাপাতিটা নিয়া আয়, রাজাকার পাইছি আইজ কোপামু!
শ’তে শামীমরেজা, তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!
আমিঃ কোনোমতে দৌড়ে ফেসবুকে পালিয়ে বাঁচলাম।

৪ এপ্রিল ২০১৩

Post Comment