বহুপূর্বে সেই ৮ম/৯ম শ্রেণিতে থাকা কালীন সময়ে হাদিস অস্বীকারকারীদের সম্পর্কে পড়েছিলাম, কেনো যেনো আমার কিশোর মন ব্যাপারটি বিশ্বাস করতে পারতোনা। আমার কেবলি মনে হতো কোনো মুসলিমের পক্ষে হাদিস অস্বীকার করা সম্ভব নয়। নিশ্চই ইহুদী খৃষ্টানদের গোপন এজেন্ডা পালনকারী কোনো গোষ্ঠী এই কাজ করছে।
সে যাই হোক, দিন বহু গড়িয়েছে আক্কেলদাত গজিয়েছে, এরমধ্যে আমি কখনো হাদিস অস্বীকারকারী ওই গ্রুপটির ব্যাপারে আর কোথাও কোনো লেখা পড়িনাই। ইদানিং অনলাইনে এসে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম, একটি গোষ্ঠি যদিও তারা সংখ্যায় অতিক্ষুদ্র, ক্রমাগতভাবে হাদিসের বিরুদ্ধে পোষ্ট দিয়েই যাচ্ছে। তাদের যুক্তি টেক্সট বুক বাদ দিয়ে গাইড বই পড়বো কেনো? অর্থাৎ হাতের কাছে কোরআন থাকতে হাদিস কেনো?
ভেবেছিলাম সম্ভবত দূর্বল হাদিসের বিরোধীতা করাই তাদের উদ্দেশ্য। সে হিসেবে কথাও বলেছিলাম, "এভাবে সব হাদিসের বিরোধীতা করছেন কেনো? যে সব হাদিসকে কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হচ্ছে সেগুলোর ব্যাপারে কোরআনের ব্যাক্ষা লেখেন, আমরা সাধারণ মুসলিমরা সেগুলোকে এ্যাভোয়েড করবো"। কিন্তু তিনি বড়ই অদ্ভুত যুক্তি দিলেন, তার জবাব ছিলো, “যে হাদীসগুলো কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক নয় সে গুলোর বক্তব্যও কোরআনের আয়াতের তুলনায় অনেক দুর্বল”। অর্থাৎ তারা সরাসরি সকল হাদিসকে বাতিল করে দিচ্ছেন, তাদের এই তত্ত্বের নাম “কোরআন অনলি” তত্ত্ব।
সে যাই হোক, কথা বলছিলাম এক হাদীস অস্বীকারকারীর সাথে, তাকে বলেছিলাম হাদীস অস্বীকারকারী মুসলিম হতে পারেনা। আমার কথার জবাবে তিনি রেফারেন্স চাইলেন, তাকে বললাম, ঈমানের শর্ত হচ্ছে নবী-রাসূলগনের উপর ঈমান আনতে হবে। হাদীস অস্বীকার করে মুহাম্মদ (সঃ) এর উপর ঈমান কিভাবে আনবেন? তিনি অনেক ত্যানা পেচাইলেন, কিন্তু উত্তর ক্লিয়ার করলেননা। ক্লিয়ার হওয়ার জন্য আবার প্রশ্ন করলাম, মহান রব্বুল আলামীনতো সরাসরি ফেরেশতাদের মাধ্যমে কোরআন নাজীল করতে পারতেন, তাহলে রাসূল (সঃ) এর প্রয়োজন কেনো? তিনি কোনো উত্তর দিলেননা, চুপ হয়ে গেলেন। আমি জানি, এই প্রশ্নের জবাব হাদীস অস্বীকারকারীরা দিতে পারবেননা।
মহান রব্বুল আলামীন মানব জাতির শিক্ষক হিসেবে হজরত মুহাম্মদ (সঃ) কে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছিলেন, যিনি কুরআন পড়ে কুরাআন বুঝে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করে মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন।
যেই কিতাব মানুষকে শিক্ষা দেয়ার জন্য মহান রব্বুল আলামীন একজন শিক্ষকের প্রয়োজন বোধ করেছেন, সেই শিক্ষককে আমরা অস্বীকার করছি! সেই শিক্ষকের বাণীকে আমরা গাইড বই বলে উপেক্ষা করছি! আমরা কি আল্লাহর চাইতে বেশি জ্ঞানী!? (নাউজুবিল্লাহ)।
লজ্জ্বাহয় আমরা নিজেদেরকে মুসলিম দাবী করি, হাদিসের শিখিয়ে দেয়া পদ্ধতী অনুসারে সালাত আদায় করে ঘোশণা দেই, সালাত একটি চলমান প্রক্রিয়া, আমরা হাদিস মানিনা। হাদিস দূর্বল!!
৬ নভেম্বর ২০১৩
সে যাই হোক, দিন বহু গড়িয়েছে আক্কেলদাত গজিয়েছে, এরমধ্যে আমি কখনো হাদিস অস্বীকারকারী ওই গ্রুপটির ব্যাপারে আর কোথাও কোনো লেখা পড়িনাই। ইদানিং অনলাইনে এসে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম, একটি গোষ্ঠি যদিও তারা সংখ্যায় অতিক্ষুদ্র, ক্রমাগতভাবে হাদিসের বিরুদ্ধে পোষ্ট দিয়েই যাচ্ছে। তাদের যুক্তি টেক্সট বুক বাদ দিয়ে গাইড বই পড়বো কেনো? অর্থাৎ হাতের কাছে কোরআন থাকতে হাদিস কেনো?
ভেবেছিলাম সম্ভবত দূর্বল হাদিসের বিরোধীতা করাই তাদের উদ্দেশ্য। সে হিসেবে কথাও বলেছিলাম, "এভাবে সব হাদিসের বিরোধীতা করছেন কেনো? যে সব হাদিসকে কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হচ্ছে সেগুলোর ব্যাপারে কোরআনের ব্যাক্ষা লেখেন, আমরা সাধারণ মুসলিমরা সেগুলোকে এ্যাভোয়েড করবো"। কিন্তু তিনি বড়ই অদ্ভুত যুক্তি দিলেন, তার জবাব ছিলো, “যে হাদীসগুলো কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক নয় সে গুলোর বক্তব্যও কোরআনের আয়াতের তুলনায় অনেক দুর্বল”। অর্থাৎ তারা সরাসরি সকল হাদিসকে বাতিল করে দিচ্ছেন, তাদের এই তত্ত্বের নাম “কোরআন অনলি” তত্ত্ব।
সে যাই হোক, কথা বলছিলাম এক হাদীস অস্বীকারকারীর সাথে, তাকে বলেছিলাম হাদীস অস্বীকারকারী মুসলিম হতে পারেনা। আমার কথার জবাবে তিনি রেফারেন্স চাইলেন, তাকে বললাম, ঈমানের শর্ত হচ্ছে নবী-রাসূলগনের উপর ঈমান আনতে হবে। হাদীস অস্বীকার করে মুহাম্মদ (সঃ) এর উপর ঈমান কিভাবে আনবেন? তিনি অনেক ত্যানা পেচাইলেন, কিন্তু উত্তর ক্লিয়ার করলেননা। ক্লিয়ার হওয়ার জন্য আবার প্রশ্ন করলাম, মহান রব্বুল আলামীনতো সরাসরি ফেরেশতাদের মাধ্যমে কোরআন নাজীল করতে পারতেন, তাহলে রাসূল (সঃ) এর প্রয়োজন কেনো? তিনি কোনো উত্তর দিলেননা, চুপ হয়ে গেলেন। আমি জানি, এই প্রশ্নের জবাব হাদীস অস্বীকারকারীরা দিতে পারবেননা।
মহান রব্বুল আলামীন মানব জাতির শিক্ষক হিসেবে হজরত মুহাম্মদ (সঃ) কে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছিলেন, যিনি কুরআন পড়ে কুরাআন বুঝে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করে মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন।
যেই কিতাব মানুষকে শিক্ষা দেয়ার জন্য মহান রব্বুল আলামীন একজন শিক্ষকের প্রয়োজন বোধ করেছেন, সেই শিক্ষককে আমরা অস্বীকার করছি! সেই শিক্ষকের বাণীকে আমরা গাইড বই বলে উপেক্ষা করছি! আমরা কি আল্লাহর চাইতে বেশি জ্ঞানী!? (নাউজুবিল্লাহ)।
লজ্জ্বাহয় আমরা নিজেদেরকে মুসলিম দাবী করি, হাদিসের শিখিয়ে দেয়া পদ্ধতী অনুসারে সালাত আদায় করে ঘোশণা দেই, সালাত একটি চলমান প্রক্রিয়া, আমরা হাদিস মানিনা। হাদিস দূর্বল!!
৬ নভেম্বর ২০১৩
No comments:
Post a Comment