মাওলানা মওদূদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তিনি নাকি বলেছেন “যে ক্ষেত্রে নর-নারীর অবাধ মেলামেশা, সেক্ষেত্রে যেনার কারণে (আল্লাহ পাকের আদেশকৃত) রজম শাস্তি প্রয়োগ করা নিঃসন্দেহে জুলুম।”
যদিও আমি জানিনা, মাওলানা মওদূদী এমন কথা বলেছেন কিনা। কিন্তু তিনি যদি একথা বলেই থাকেন তবে সেটা কি ভুল কিছু বলেছেন?
একবার মদীনাতে দূর্ভিক্ষ দেখা দিলে হযরত ওমর (রাঃ) চুরির শাস্তি হাতকাটার বিধান স্থগিত করেছিলেন। কারণ এই পরিস্থিতিতে মানুষ স্বভাবের কারণে নয় অভাবের কারণে চুরি করতে বাধ্য হতে পারে।
আবার হজরত ওমর (রাঃ) এর খিলাফতের সময়ে এক ধণী ব্যবসায়ী তার কর্মচারীকে চুরির অভিযোগে নিয়ে আসলো। হজরত ওমর (রাঃ) তার বেতন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, দেখা গেলো যে বেতন দেয়া হয় তা দিয়ে জীবনযাপনের খরচ নির্বাহ করা অসম্ভব, ব্যবসায়ী ব্যক্তিটিও সেকথা স্বীকার করলো।
পরে হজর ওমর (রাঃ) ঐ ব্যবসায়ীকে কর্মচারীটির বেতন বৃদ্ধি করার নির্দেশ প্রদান করে বললেন, যদি বেতন না বাড়াও এবং একই কারণে পুণরায় বিচারের জন্য আসো তবে তার চুরির অপরাধে তোমাকে শাস্তি প্রদান করা হবে।
প্রমোদ পল্লীর লাইসেন্স দিয়ে যদি আমরা বলি, যুবকরা রোজা রাখো, নিজেদের হেফাজত করো, সেটা কতটুকু যুক্তিসংগত হবে?
দোকানে দোকানে ফেন্সিডিল/হেরোয়ীন বিক্রয়ের ব্যবস্থা রেখে যদি আমরা মাদক নির্মূলের স্বপ্ন দেখে সেটি কি বাস্তব সম্মত পরিকল্পনা?
এখন আপনি নিশিদ্ধ পল্লীর লাইন্সেন্স দিবেন, টিভি মিডিয়াতে নগ্ন-অর্ধনগ্ন নারীদের ছবি প্রদর্শন করবেন, নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশার পরিবেশ তৈরী করে দিবেন, আবার যেনার জন্য ইসলামীক শাস্তিও চালু রাখবেন, এটাতো স্পষ্টই জুলুম।
মাওলানা মওদূদীর ফতোয়ার প্রয়োজন নেই, আপনার বিবেক কি বলে?
৯ নভেম্বর ২০১৩
যদিও আমি জানিনা, মাওলানা মওদূদী এমন কথা বলেছেন কিনা। কিন্তু তিনি যদি একথা বলেই থাকেন তবে সেটা কি ভুল কিছু বলেছেন?
একবার মদীনাতে দূর্ভিক্ষ দেখা দিলে হযরত ওমর (রাঃ) চুরির শাস্তি হাতকাটার বিধান স্থগিত করেছিলেন। কারণ এই পরিস্থিতিতে মানুষ স্বভাবের কারণে নয় অভাবের কারণে চুরি করতে বাধ্য হতে পারে।
আবার হজরত ওমর (রাঃ) এর খিলাফতের সময়ে এক ধণী ব্যবসায়ী তার কর্মচারীকে চুরির অভিযোগে নিয়ে আসলো। হজরত ওমর (রাঃ) তার বেতন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, দেখা গেলো যে বেতন দেয়া হয় তা দিয়ে জীবনযাপনের খরচ নির্বাহ করা অসম্ভব, ব্যবসায়ী ব্যক্তিটিও সেকথা স্বীকার করলো।
পরে হজর ওমর (রাঃ) ঐ ব্যবসায়ীকে কর্মচারীটির বেতন বৃদ্ধি করার নির্দেশ প্রদান করে বললেন, যদি বেতন না বাড়াও এবং একই কারণে পুণরায় বিচারের জন্য আসো তবে তার চুরির অপরাধে তোমাকে শাস্তি প্রদান করা হবে।
প্রমোদ পল্লীর লাইসেন্স দিয়ে যদি আমরা বলি, যুবকরা রোজা রাখো, নিজেদের হেফাজত করো, সেটা কতটুকু যুক্তিসংগত হবে?
দোকানে দোকানে ফেন্সিডিল/হেরোয়ীন বিক্রয়ের ব্যবস্থা রেখে যদি আমরা মাদক নির্মূলের স্বপ্ন দেখে সেটি কি বাস্তব সম্মত পরিকল্পনা?
এখন আপনি নিশিদ্ধ পল্লীর লাইন্সেন্স দিবেন, টিভি মিডিয়াতে নগ্ন-অর্ধনগ্ন নারীদের ছবি প্রদর্শন করবেন, নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশার পরিবেশ তৈরী করে দিবেন, আবার যেনার জন্য ইসলামীক শাস্তিও চালু রাখবেন, এটাতো স্পষ্টই জুলুম।
মাওলানা মওদূদীর ফতোয়ার প্রয়োজন নেই, আপনার বিবেক কি বলে?
৯ নভেম্বর ২০১৩
No comments:
Post a Comment