ইনুর পরিণতি

মাফিয়া সংগঠনে নতুন রিক্রুটদের দেয়া হয় অসীম ক্ষমতা, অস্ত্র এবং টাকা। যত রকমের অপকর্ম আছে সবগুলোতে তাকে সহায়তা করা হয় সংগঠনের পক্ষ হতে। প্রতিপক্ষ গ্রুপের সাথে সংঘর্ষে তাকেই এগিয়ে দেয়া হয়, ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে রাখা হয় সকল প্রকার অপকর্মের।
একসময় সেই নতুন রিক্রুট পুরাতন হয়, প্রাণপন চেষ্টা করে সংগঠন হতে বাহির হতে, কিন্তু পারেনা। কারণ সংগঠন হতে বের হলেই প্রতিপক্ষের গ্রুপের লোকেরা তাকে ছিড়ে খাবে, পূর্বের অপকর্মের কারণে পুলিশে ধরবে।
অতঃপর একান্ত বাধ্য-অনুগত গোলামীর জীবনকেই বেছে নেয় সেই রিক্রুট, সংগঠনের নির্দেশ পালন করে অকাতরে বিলিয়ে দেয় জীবন।

একবুক আশা নিয়ে আওয়ামী জোটে যোগ দিয়েছিলো ইনু, ইচ্ছা বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হবেন। পিতৃহত্যায় ইন্ধনদাতা ইনুকে বুকে জড়িয়ে নিলেন শেখ হাসিনা, স্থান দিলেন মন্ত্রী পরিষদে, সাথে দিলেন অসীম ক্ষমতা।
ক্ষমতার দাপটে ধরাকে সরা জ্ঞান করলো ইনু, হাসিনার বিশ্বাস অর্জনের জন্য একেরপর এক অপকর্মে নিয়োজিত হলো। বিরোধী দলীয় সভানেত্রীকে গালি দিলো চরম অশ্লীল ভাষায়।

ফলাফল, ইনু এখন নিজের দল বাদ দিয়ে আওয়ামিলীগের চাইতেও বড় আওয়ামিলীগে পরিণত হয়েছে। ফিরে যাওয়ার উপায় নেই, ইনু চাইলেই এখন শেখ হাসিনার কথার বাইরে চলতে পারবেনা, কারণ তার দূর্ণীতি-অপকর্মের রেকর্ড রয়ে গেছে শেখ হাসিনার হাতে।
অন্যদিকে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে একের পর এক যেভাবে অশ্লীল বক্তব্য রেখেছে ইনু, তাতে করে বিরোধীদলের মাইরের হাত হতে রেহাই মিলবেনা, সরকারী দলের মাইরতো আছেই।

আওয়ামী সভানেত্রী শেখ হাসিনার একটি জনপ্রিয় বক্তব্য হচ্ছে “আমি ক্ষমা করেছি কিন্তু ভুলিনাই”। পিতৃহত্যার বদলা এভাবেই নিলো হাসিনা, জাপানী কুত্তা ইনু এখন শেখ হাসিনার পালিত কুত্তায় পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনার কথার বাইরে গিয়ে ঘেউ ঘেউ করার স্বাধীনতাও এখন ইনুর নেই!

১০ নভেম্বর ২০১৩

Post Comment

No comments:

Post a Comment