বাংলাদেশের মানুষের দুটি পরিচয়, ধর্মীয়ভাবে তাঁরা মুসলিম এবং জাতীগতভাবে তাঁরা বাঙালী।
আওয়ামীলীগ বাঙালী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী তাই তাদের ভক্ত অনুরক্তের সংখ্যা অনেক বেশি, চোর-বদমাস হতে শুরু করে হিন্দু,বৌদ্ধ এবং খৃস্টানরা পর্যন্ত তাদের ভক্ত।
অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী রাজনীতি করে তাই তাদের ভক্তের সংখ্যা কম। এছাড়া একাত্তরে জামায়াত পাকিস্থানের সমর্থন করেছিলো বলে জামায়াতকে কেউ পছন্দ করেনা। সাধারণ মানুষ জামায়াতের ডাকে সাড়া দেয়না। ঠিক একই কারণে জামায়াতের সাথে জোটবদ্ধ থাকার কারনে বিএনপি’র জনসমর্থনও কম। আপনারা দেখেছেন হেফাজতের কর্মসূচীতে পুলিশ গুলি করলো এতোগুলো মানুষকে হত্যা করলো তারপরেও কেউ প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসেনাই।
অন্যদিকে আপনারা লক্ষ করেছেন, জামায়াত নেতাদের ফাঁসির দাবীতে হাজার হাজার মানুষ শাহবাগে নেমে এসেছিলো। এর মাধ্যমে আপনার কি বুঝলেন? এর মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে, জামায়াত বাদ দিতে হবে, নতুন করে চিন্তা ভাবনা করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি
উপরোক্ত বক্তব্য আমার নয়, এক জনপ্রিয় অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টের লেখার ভাবার্থ আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম মাত্র।
প্রথমেই বলে নিচ্ছি, আমাদেরকে ঠিক করতে হবে, আমরা কি ইসলামী রাজনীতি করবো নাকি প্রচলিত বুর্জোয়া রাজনীতি করে জনপ্রিয় হবো?
যদি ইসলামী রাজনীতি করাই আমাদের উদ্দেশ্য হয় তবে একাত্তর ইস্যুতে প্রশ্ন তোলা যাবেনা, ইসলাম জাতীয়তাবাদকে সমর্থন করেনা। জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ভাতৃঘাতি যে লড়াই একাত্তরে সংগঠিত হয়েছিলো সেই লড়াইতে জামায়াত কিছুতেই ভারতপন্থীদেরকে সমর্থন দিতে পারেনা, এবং দেয়ওনাই, এটাই বাস্তবতা। আপনার পছন্দ হোক বা না হোক, একাত্তর ইস্যুতে জামায়াতের অবস্থান সঠিক ছিলো। ইসলামের মৌলিক বিষয়ে কিছুতেই ছাড় দেয়া যাবেনা।
আর যদি প্রচলিত বুর্জয়া রাজনীতি করে জনপ্রিয় হয়ে ক্ষমতায় যাওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য হয়, তবে আমার পরামর্শ থাকবে আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি এই দুটি দলের যেকোনো একটা দলকে বেছে নিতে পারেন, জামায়াত নিয়ে আপনার মাথা না ঘামালেও চলবে।
বলা হয়েছে, জামায়াতের আহ্বানে সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে আসেনা এবং বিএনপি জামায়াতের সাথে থাকার কারনে বিএনপির ডাকেও মানুষ রাজপথে নামেনা। অথচ জামায়াত নেতাদের ফাঁসির দাবীতে শাহবাগে জনতার ঢল নেমেছিলো।
সরকারের সমর্থন এবং সহযোগীতা নিয়ে যেই পিকনিক পার্টি আয়োজন করা হয়, তাকে যদি কেউ আন্দোলন দাবী করে তবে সেই লোকের মাথার ভেতরের হলুদ পদার্থের অস্তিত্ব নিয়ে আমার প্রশ্ন থেকে যাবে।
সরকারের সহায়তায় শাহবাগে পিকনিক পার্টির আয়োজন করা হয়েছিলো, বিরানী এবং মিনারেল ওয়াটার সাপ্লাই দেয়া হয়েছিলো। এটা নাকি জনতার রাজপথে নেমে আসার নমুনা, মানুষের মগজ কি পায়ের তলায় রেখে চলাফেরা করে?!
জামায়াতের সমর্থনে রাজপথে মানুষ নেমে আসেনা, খুবই ভালো কথা। আল্লামা সাঈদী কি আওয়ামীলীগের লোক? তাঁর সমর্থনে গোটা দেশজুড়ে আন্দোলনের আগুন জ্বলে উঠলো কিভাবে? নাকি আসমান হতে ফেরেশতা নাজিল হয়ে আন্দোলন বাস্তবায়ন করে দিয়েছিলো?
বলা হয়েছে, হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যার প্রতিবাদে জনগণ রাজপথে নেমে আসেনাই। বন্দুকের নলের সামনে খালি হাতে জনতা রাজপথে নেমে আসার নজীর পুরো বিশ্বে আমাকে দেখাতে পারবেন?
ভাষা আন্দোলনে নাকি মাত্র ৭টা লাশ পড়েছিলো তাতেই পাকিস্থান সরকারের গদি নড়ে উঠেছিলো, এরশাদ সরকারের সময় এক নূর হোসেন এবং ডঃ মিলনের লাশ পড়েছিলো তাতেই এরশাদের পতন!!
গত বিএনপি সরকারের আমলে বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশের গুলিতে কয়টা লাশ পড়েছিলো?আর এই খুনি হাসিনা দিনের পর দিন পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করেই যাচ্ছে। তারপরেও যে ব্যাক্তি দাবী করে জনগণ রাজপথে নেমে আসেনা, তাঁকে আমার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বৈ অন্য কিছু মনে হয়না।
আল্লাহ এইসব বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের হেদায়াত দান করুন।
১ ডিসেম্বর ২০১৩
আওয়ামীলীগ বাঙালী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী তাই তাদের ভক্ত অনুরক্তের সংখ্যা অনেক বেশি, চোর-বদমাস হতে শুরু করে হিন্দু,বৌদ্ধ এবং খৃস্টানরা পর্যন্ত তাদের ভক্ত।
অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী রাজনীতি করে তাই তাদের ভক্তের সংখ্যা কম। এছাড়া একাত্তরে জামায়াত পাকিস্থানের সমর্থন করেছিলো বলে জামায়াতকে কেউ পছন্দ করেনা। সাধারণ মানুষ জামায়াতের ডাকে সাড়া দেয়না। ঠিক একই কারণে জামায়াতের সাথে জোটবদ্ধ থাকার কারনে বিএনপি’র জনসমর্থনও কম। আপনারা দেখেছেন হেফাজতের কর্মসূচীতে পুলিশ গুলি করলো এতোগুলো মানুষকে হত্যা করলো তারপরেও কেউ প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসেনাই।
অন্যদিকে আপনারা লক্ষ করেছেন, জামায়াত নেতাদের ফাঁসির দাবীতে হাজার হাজার মানুষ শাহবাগে নেমে এসেছিলো। এর মাধ্যমে আপনার কি বুঝলেন? এর মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে, জামায়াত বাদ দিতে হবে, নতুন করে চিন্তা ভাবনা করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি
উপরোক্ত বক্তব্য আমার নয়, এক জনপ্রিয় অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টের লেখার ভাবার্থ আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম মাত্র।
প্রথমেই বলে নিচ্ছি, আমাদেরকে ঠিক করতে হবে, আমরা কি ইসলামী রাজনীতি করবো নাকি প্রচলিত বুর্জোয়া রাজনীতি করে জনপ্রিয় হবো?
যদি ইসলামী রাজনীতি করাই আমাদের উদ্দেশ্য হয় তবে একাত্তর ইস্যুতে প্রশ্ন তোলা যাবেনা, ইসলাম জাতীয়তাবাদকে সমর্থন করেনা। জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ভাতৃঘাতি যে লড়াই একাত্তরে সংগঠিত হয়েছিলো সেই লড়াইতে জামায়াত কিছুতেই ভারতপন্থীদেরকে সমর্থন দিতে পারেনা, এবং দেয়ওনাই, এটাই বাস্তবতা। আপনার পছন্দ হোক বা না হোক, একাত্তর ইস্যুতে জামায়াতের অবস্থান সঠিক ছিলো। ইসলামের মৌলিক বিষয়ে কিছুতেই ছাড় দেয়া যাবেনা।
আর যদি প্রচলিত বুর্জয়া রাজনীতি করে জনপ্রিয় হয়ে ক্ষমতায় যাওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য হয়, তবে আমার পরামর্শ থাকবে আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি এই দুটি দলের যেকোনো একটা দলকে বেছে নিতে পারেন, জামায়াত নিয়ে আপনার মাথা না ঘামালেও চলবে।
বলা হয়েছে, জামায়াতের আহ্বানে সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে আসেনা এবং বিএনপি জামায়াতের সাথে থাকার কারনে বিএনপির ডাকেও মানুষ রাজপথে নামেনা। অথচ জামায়াত নেতাদের ফাঁসির দাবীতে শাহবাগে জনতার ঢল নেমেছিলো।
সরকারের সমর্থন এবং সহযোগীতা নিয়ে যেই পিকনিক পার্টি আয়োজন করা হয়, তাকে যদি কেউ আন্দোলন দাবী করে তবে সেই লোকের মাথার ভেতরের হলুদ পদার্থের অস্তিত্ব নিয়ে আমার প্রশ্ন থেকে যাবে।
সরকারের সহায়তায় শাহবাগে পিকনিক পার্টির আয়োজন করা হয়েছিলো, বিরানী এবং মিনারেল ওয়াটার সাপ্লাই দেয়া হয়েছিলো। এটা নাকি জনতার রাজপথে নেমে আসার নমুনা, মানুষের মগজ কি পায়ের তলায় রেখে চলাফেরা করে?!
জামায়াতের সমর্থনে রাজপথে মানুষ নেমে আসেনা, খুবই ভালো কথা। আল্লামা সাঈদী কি আওয়ামীলীগের লোক? তাঁর সমর্থনে গোটা দেশজুড়ে আন্দোলনের আগুন জ্বলে উঠলো কিভাবে? নাকি আসমান হতে ফেরেশতা নাজিল হয়ে আন্দোলন বাস্তবায়ন করে দিয়েছিলো?
বলা হয়েছে, হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যার প্রতিবাদে জনগণ রাজপথে নেমে আসেনাই। বন্দুকের নলের সামনে খালি হাতে জনতা রাজপথে নেমে আসার নজীর পুরো বিশ্বে আমাকে দেখাতে পারবেন?
ভাষা আন্দোলনে নাকি মাত্র ৭টা লাশ পড়েছিলো তাতেই পাকিস্থান সরকারের গদি নড়ে উঠেছিলো, এরশাদ সরকারের সময় এক নূর হোসেন এবং ডঃ মিলনের লাশ পড়েছিলো তাতেই এরশাদের পতন!!
গত বিএনপি সরকারের আমলে বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশের গুলিতে কয়টা লাশ পড়েছিলো?আর এই খুনি হাসিনা দিনের পর দিন পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করেই যাচ্ছে। তারপরেও যে ব্যাক্তি দাবী করে জনগণ রাজপথে নেমে আসেনা, তাঁকে আমার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বৈ অন্য কিছু মনে হয়না।
আল্লাহ এইসব বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের হেদায়াত দান করুন।
১ ডিসেম্বর ২০১৩
No comments:
Post a Comment