‘কমিটিতে পোস্ট চাইতাছো, তোমার যোগ্যতা কি?’
‘চাইনিজ কুড়াল ব্যবহার করতে জানি, চাপাতীর চাইতে বেশি ধার!’
‘হুম! এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা। এইবার বল, জাতির পিতা কে?’
‘জ্বি বস, শেখ মুজিব’!
‘উত্তর সঠিক হইছে! জাতির মাতা কে?’
‘সেটাতো জানিনা, তবে মনে হয় শেখ হাসিনা!’
‘এই ব্যাটা কি কইলি?’
‘বস ভুল হইয়া গেছে, আমি আসলে জানিনা’।
‘তোর পুরা নাম কি?’
‘জ্বি গোলাম আযম’
হেই বেটা! গোলাম আযম নাম লইয়া আইছোস ছাত্রলীগের কমিটিতে ঢুকতে? তোর সাহসতো কমনা! নেতার চোখ হতে আগুন ঠিকরে বের হয়।
‘বাপে ভুল করছে, আমার নামতো আমি রাখিনাই’।
‘যাউজ্ঞা ভুল করছো ভুলের কাফফারা দিতে হইবো, কমিটিতে তোমার যায়গা নাই’।
‘জ্বি, কাফফারা আগেই দিয়া দিছি!’
‘কেমনে দিলা?’
‘পোলার নাম রাখছি, শেখ মুজিব!’
বাহ! বাহ! এই একখান ভালো কাম করছো, আনন্দে নেতার চোখ চকচক করে ওঠে!
‘তা কমিটিতে পোস্ট পাইতে হইলে নামের আগে পিছে কিছু একটা টাইটেল থাকতে হয় জানোতো? তোমার নামের লগে কি আছে?’
‘জ্বি আমারে নিজের নামে কেউ ডাকে না, আমারে শেখ মুজিবের বাপ বলেই সবাই চিনে!’
কি বললি? রাগে থর থর করে কেপে ওঠে নেতা!
ভয় পেয়ে যায় গোলাম আজম! স্যরি বস, এটা ছাড়াও কেউ কেউ পুরা নামেই ডাকে।
‘হেইডা আবার কি? তাড়াতাড়ি কইয়া ফালা!’
‘অনেকে বলে, শেখ মুজিবের বাপ গোলাম আজম!’
বুক চেপে ধরে নেতা, এই তোরা কে কোথায় আছিস! এম্বুলেন্স ডাক, আমারে হাসপাতালে নিয়ে যা!
২৫আগস্ট২০১৩
No comments:
Post a Comment