বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে, সমগ্র দেশ আজ ঐক্যবদ্ধ আগ্রাসী ভারতের বিরুদ্ধে। যেভাবেই হোক প্রতিহত করা হবে এই সাম্রাজ্যবাদী সন্ত্রাসীদের। সৌভাগ্যক্রমে বাংলাদেশে তখন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির দাবীদার আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায়। জনগণ অধীর হয়ে তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে, নিশ্চই সরকার ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র হুঙ্কার ছাড়বে, কিন্তু না! সরকার হতাশ করলো জনতাকে।
এদিকে তরুণ প্রজন্ম কিন্তু বসে নেই, অস্ত্র হাতে ঝাপিয়ে পড়েছে আগ্রাসী ভারতের বিরুদ্ধে। বিনা যুদ্ধে ছেড়ে দেয়া হবেনা দেশের স্বাধীনতার মান। কিন্তু একি! ঘরের শত্রু বিভিষণ! আওয়ামীলীগ সরকার দেশের সাথে গাদ্দারী করে স্বাধীনতার অতন্দ্রপ্রহরী তরুণদের গ্রেপ্তার করলো, জেলে ঢুকিয়ে দিলো বিস্ফোরক মামলায়!
কি বিশ্বাস হচ্ছেনা? কিন্তু এটাই ঘটেছে। বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানীকে হত্যা করেছে ভারতীয়রা। বিশ্বাসঘাতক আওয়ামিলীগ বাংলাদেশের পক্ষ না নিয়ে ভারতের পক্ষে সাফাই গাইলো! ‘সীমান্তে হত্যা অতীতেও হয়েছে, বর্তমানে হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে, এ ব্যাপারে সরকারের কোনো মাথাব্যাথা নেই’!!
এমনকি স্বাধীনতাকামী তরুণ প্রজন্মকে যারা এই ঘটনার বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্ত্বর হতে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছে । তাদের বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে বিস্ফোরক মামলা! তাদের হাতের প্রতিবাদী ব্যানার ফেস্টুন প্লাকার্ড হচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে একেকটা পারমানবিক বোমা!
আজ মনে প্রশ্নজাগে, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব কি বাংলাদেশের অবস্থিত, নাকি ভারতের অন্তর্ভুক্ত একটি এলাকা?
৯সেপ্টেম্বর২০১৩
No comments:
Post a Comment