রিমান্ড নির্যাতন এবং কিছু কৌশল!



নির্যাতনের ক্ষেত্রে রক্ষী বাহিনীকে হার মানিয়েছে শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী! গ্রেপ্তারের পরপরই আসামীর উপর নির্মম অত্যাচার চালানো হয় তার সঙ্গীদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য। শিবিরের ছেলেদের গ্রপ্তার করে হাত পায়ে গুলি করা নিয়মে পরিণত হয়েছে। আর নারায়ে তাকবীর স্লোগান শুনলেতো পুলিশ পারেনা সেনানিবাস হতে কামান নিয়ে আসতে, নয়তো সেটাও ইউজ করা হতো।

আমাদের সাথে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পতেঙ্গার জামায়াত কর্মী ইউসুফ ভাই, জামায়াত নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগানোই ছিলো তার অপরাধ। গ্রেপ্তার করেই পুলিশ তার উপর অমানুষিক অত্যাচার চালায় অন্যদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য। ইউসুফ ভাই কিছুতেই অন্যদের পরিচয় দিচ্ছেননা, অন্যদিকে নির্যাতনের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছিলো, একপর্যায়ে পানিতে মরিচ গুলে ইউসুফ ভাইয়ের চোখে নিক্ষেপ করা হয়। তীব্র জ্বলুনী সহ্য করতে না পেরে সবার নাম ধাম বলে দেয় ইউসুফ ভাই, এটাও বলে আমি নাম জানি, কোন এলাকায় থাকে সেটাও জানি, তবে কার বাসা কোনটা সেটা বলতে পারবোনা, আমি কখনো তাদের বাসায় যাইনাই।

ইউসুফ ভাইকে সাথে নিয়েই পুলিশ অভিযানে বের হয়, নির্দিস্ট এলাকায় গিয়ে একে একে খোজ করা হয়, জনি, রবি, বাবুল, ইসমাইলকে। কিন্তু কাউকেই পাওয়া যায়নাই। যাবে কি করে? সব গুলো নামই ছিলো ইউসুভ ভাইয়ের বানানো নাম, এই নামে ওই এলাকাতে কোনো জামায়াত-শিবিরের কর্মী থাকেনা!

আরেক জামায়াত কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো দুই নম্বর গেইট এলাকা হতে, গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে একই কায়দায় তাকে নির্যাতন করা হয় অন্যদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য। তিনি আবার আরেকটু বেশি বলে ফেললেন, নাম এবং ঠিকানা দুটোই জানেন।

পুলিশ তাকে নিয়ে অভিযানে বের হলো। দুইনম্বর গেইট এলাকার মিমি সুপার মার্কেট সেদিন বন্ধ ছিলো, তিনি মার্কেটের জামায়াত নেতাদের সবগুলো দোকান পুলিশকে দেখিয়ে দিলেন। পুলিশ দোকানের নম্বর গুলো কাগজে টুকে নিলো, পরে অভিযান চালাতে সুবিধা হবে।

কথার এই পর্যায়েই জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কাজটাকি আপনি ঠিক করেছেন? অন্য কোনো দোকান দেখিয়ে দিতেন! হাসতে হাসতেই তিনি বলছিলেন, শামীম ভাই, ওইগুলো সব স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতাদের দোকান!

২৭আগস্ট২০১৩

Post Comment

No comments:

Post a Comment