তারুণ্যের সাহসী ঠিকানা ইসলামী ছাত্রশিবির


সন্ধ্যা বেলায় গিয়েছিলাম একটি রাজনৈতিক যুব সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের বাসায়। ঘরোয়া পরিবেশে আলোচনা হচ্ছিলো, হঠাৎ করেই একটি ফুটফুটে শিশু ড্রইং রুমে ছুটে এলো, কাছে ডাকতেই লাজুক লাজুক ভঙ্গিতে তাকিয়ে রইলো, কিছুতেই আসবেনা।
ওমা তোমার প্যান্টটাতো ওনেক সুন্দর! দেখি দেখি! এবার কাজ হলো, একছুটে চলে এলো।
কে কিনে দিয়েছে, তোমার আব্বু?
না, আম্মু।
সুন্দর প্যান্ট, আমাকে দিবা?
এবার একটু সাহস পেলো, হাত মুষ্ঠি করে মিছিলের ভঙ্গিতে উপরের দিকে ঘুশি পাকিয়ে আধো আধো কন্ঠে স্লোগান ধরলো, “থিবির হরতাল, থিবির হরতাল”।
কিছুদিন আগের একটা দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠলো, রাস্তা ঘাটে যেখানেই যাই, ছোট ছোট বাচ্চারা মায়ের কোলে বসে স্লোগান দিচ্ছে “কাদের মোল্লা, তুই লাজাকার, তুই লাজাকার”। মাশাআল্লাহ, পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে, সরকারী সহায়তায় বিরাণী দিয়ে তৈরী কৃত্রিম আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী ফল বয়ে আনতে সক্ষম হয়নাই।

একটা সময় ছিলো বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ জামায়াত-শিবির নামে দলের সাথে পরিচিত ছিলোনা, কিন্তু বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র আওয়ামীলীগের মধ্যেই আমার জানামতে ৪জন এম্পি আছেন যারা ছাত্রজীবনে শিবিরের কর্মী ছিলেন, বিএনপির মধ্যেও বেশ কয়েকজন সাবেক এম্পি আছেন যারা একসময় শিবিরের কর্মী ছিলেন। নানাবিধ কারণে তারা সংগঠন থেকে ছিটকে পড়েছেন। আমি আশাবাদী নই তারা এখন দলবল নিয়ে জামায়াতে যোগ দিবে, তবে এটুকু বিশ্বাস আছে অন্তত পক্ষে, নূরুল ইসলাম নাহিদের মতো ইসলাম বিদ্বেষী শিক্ষাব্যবস্থা তারা তৈরী করবেনা, মতিয়া চৌধুরী কিংবা লতিফ সিদ্দিকীর মতো সংবিধান হতে ধর্মের কালো ছায়া মুছে দিতে চাইবেনা।

একটি গতিশীল ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রশিবির যেভাবে তরুণ ছাত্রসমাজের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা তৈরী করেছে তাতে এটাই প্রতীয়মান হয়, একটা সময় আসবে যখন বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলে এমন কোনো সংসদ সদস্য থাকবেনা যে জীবনে কখনো শিবিরের দাওয়াত লাভ করেনাই।

স্বপ্ন দেখি, পরিবর্তিত পরিস্থিতীতে মায়ের কোলে শিশু আধো আধো কন্ঠে “থিবির হরতাল, থিবির হরতাল” স্লোগানের পরিবর্তে “বিপ্লব বিপ্লব ইসলামী বিপ্লব, শিবিরের বিপ্লব ইসলামী বিপ্লব” স্লোগান দিচ্ছে।

১২জুলাই২০১৩

Post Comment

No comments:

Post a Comment