একগুচ্ছ হাসি!


এক
আবুল মিয়া চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করে দিলো, হায় হায়রে, বুড়া গড়ুটা মইরা যাইবোরে......
আবুলের বৃদ্ধা মা দৌড়ে এলো, কিরে কি হইছে, কানতেছচ ক্যা?
মা দেখ গরুর উপরের পাটির সবগুলো দাত পইড়া গেছে, গরুটা বেশি দিন বাচবোনা। এটা বিক্রি করে দিতে হবে।
আবুলের মা উদ্বেগের স্বরে বললো, কই দেখি দেখি? সত্যিইতো! উপরের পাটিতেতো একটা দাতও নাই, কালকেই তুই এটারে বিক্রি করার ব্যবস্থা কর।
আবুল হাফ ছেড়ে বাঁচে, আড়ালে মুচকি মুচকি হাসে। মাকে ধোঁকা দিয়ে এবার গরুটা বিক্রি করা যাবে। গরুর উপরের পাটিতে যে দাত থাকেনা, মা সেটা জানেইনা!

দুই
আমাদের ম্যাচের ফারুক ভাই, পিকুলিয়ার চরিত্রের একজন মানুষ। ফারুক ভাইয়ের বিস্তারিত পরিচয় দিচ্ছিনা, দিলে তিনি মাইন্ড খাইতে পারেন!
সেদিন গোসলের জন্য লাইফবয় সাবান কিনেছিলাম, ফারুক ভাই দ্রুত হাতে আমার হাত থেকে সাবান নিয়ে প্যাকেটের গায়ের লেখা পড়তে শুরু করলো।
‘কি দেখছেন ফারুক ভাই?’
‘আরে বইলেননা, এর আগে দুইটা সাবান কিনেছি, দুইবারই ঠক খাইছি!’
‘ঠক কেমনে খাইলেন, দাম বেশি নিয়েছে?’
‘আরে না! প্রথমে কিনেছিলাম ডেটল সাবান, বাসায় এনে দেখি সেটার গায়ে লেখা টয়লেট সোপ। এরপরে কিনলাম স্যাভলন সাভান, সেটার গায়েও লেখা টয়লেট সোপ! চিন্তা করে দেখেন, টয়লেটের সাবান কি গায়ে মাখা যায়? ফারুক ভাই হতাশ কন্ঠে প্রশ্ন করলো’
আমি মুচকি হেসে বললাম তাহলেতো আপনার সাবান ইউজ করা বন্ধ হয়ে যাবে!
কেনো, কেনো? ফারুক ভাই উদ্বিগ্ন কন্ঠে প্রশ্ন করলো।
‘দুনিয়ার সব সাবানই টয়লেট সোপ! এমনকি এই লাইফবয়ও টয়লেট সোপ। এবং টয়লেট সোপ মানে টয়লেটের(ল্যাট্রিনের  ) সাবান নয়!’
ফারুক ভাইয়ের চেহারাটা দেখার মতো হয়েছিলো।

তিন
ফার্মের গরুর দুধ ঘণ নাকি পাতলা তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিলো। ফারুক ভাইয়ের যুক্তি ছিলো ফার্মের গরুর দুধ কিছুতেই ঘণ হবেনা।
আমি প্রশ্ন করলাম কেনো হবেনা? ফার্মের গরুর দুধে পানি মেশায়না, সেটা অবশ্যই ঘণ হবে।
ফারুক ভাইয়ের উত্তেজিত কন্ঠের উত্তর শুনেতো আমি টাশকিতো!
‘আরে মিয়া, একটা গরু দিনে ৪০লিটার দুধ দেয়, দুধ পাতলা হবেনাতো আপনার জন্য ঘণ হইবো? গরুগুলা সারাদিন একটু বিশ্রাম নিতে পারেনা!!’

২৬জুলাই২০১৩

Post Comment

No comments:

Post a Comment