facebook link
২০১০ সালের ঘটনা, ১৫ই আগস্ট শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম টাইগারপাস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। ঈমাম সাহেব দোয়া করছিলেন, হে আল্লাহ স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবকে তুমি জান্নাত নসীব করো, তার জীবনের যত কবিরা ছগিরা গুনাহ আছে সব তুমি ক্ষমা করে দাও, তাকে তুমি নিষ্পাপভাবে জান্নাতে দাখিল করো। এভাবেই তিনি দোয়া সমাপ্ত করলেন।
২০১০ সালের ঘটনা, ১৫ই আগস্ট শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম টাইগারপাস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। ঈমাম সাহেব দোয়া করছিলেন, হে আল্লাহ স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবকে তুমি জান্নাত নসীব করো, তার জীবনের যত কবিরা ছগিরা গুনাহ আছে সব তুমি ক্ষমা করে দাও, তাকে তুমি নিষ্পাপভাবে জান্নাতে দাখিল করো। এভাবেই তিনি দোয়া সমাপ্ত করলেন।
দোয়া সমাপ্ত হতেই মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী কালাম দাড়িয়ে গেলেন, “ওই ঈমামের বাচ্চা, মসজিদ থেকে বাইর হ! আমি দেখছিলাম তুই মুনাজাতে কি বলোস! আমার ধারণাই সত্যি হইছে, তুই রাজাকারের বাচ্চা! তুই বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক কেনো বললিনা! শুরু হলো অকথ্য ভাষায় গালাগালি। হতবিহবল মসজিদ ভর্তি মুসল্লি হা করে তাকিয়ে ছিলো, এমন পরিস্থিতির জন্য তারা কিছুতেই প্রস্তুত ছিলোনা।
প্রতিবাদে দাঁড়িয়ে গেলো জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান, ইসলামী ছাত্রশিবির ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সেক্রেটারী নূরুল আবছার, তার দেখাদেখি শিবিরের কর্মী সুমন সহ আরো কিছু কর্মী সমর্থক। তীব্র ভাষায় তারা মসজিদ কমিটির সেক্রেটারীর এমন অশালীন আচরণের প্রতিবাদ জানালেন। মসজিদ ভর্তি মুসল্লি জেনো প্রাণফিরে পেলো, মারমুখি জনতার তীব্র প্রতিরোধের মুখে কালাম পালিয়ে রক্ষা পেলো।
রাত তখন ১০টা, স্থানীয় যুবলীগ নেতা শামীম,আলী,মুরাদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী একযোগে হামলা চালালো প্রতিবাদী তরুণদের উপর। বাসা থেকে ডেকে এনে মাঠে জড়ো করা হলো, শিবির নেতা আবছার,সুমন, মসজিদের ঈমাম এবং আরো কিছু প্রতিবাদী তরুণকে। প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে চোর পিটানোর মতো করে নির্যাতন করা হলো তাদের উপর। অসহায় তরুণরা, পরে পরে মার খাওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিলোনা।
মারধর শেষে মূমূর্ষ অবস্থায় তাদের তুলে দেয়া হলো পুলিশের হাতে, পুলিশকে বলা হলো মামলা নিতে, পুলিশ এই আহত মানুষগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করতে গড়িমসি শুরু করলো। পরবর্তীতে যুবলীগ নেতা শামীমের চাপাচাপি এবং মন্ত্রী আফছারুল আমিনের ফোনের কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলো। মামলা গুলো হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীকে অবমাননা, জাতীর জনকের অবমাননা।
শিবির নেতা আবছার এখন সরকারী ব্যাংকের অফিসার। কিছুদিন আগে যুবলীগের অভ্যন্তরিন কোন্দলে, ধারালো দায়ের আঘাতে শরীর থেকে একটি হাত বিচ্ছন্ন হয়ে যায় যুবলীগ নেতা আলীর। এটা সেই হাত যেই হাত দিয়ে, নিষ্পাপ মেধাবী ছাত্র, অন্যায়ের প্রতিবাদে সোচ্চার আবছার ভাইয়ের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে, এটা সেই হাত যেই হাত দিয়ে সর্বজন শ্রদ্ধেও ঈমাম সাহেবের উপর নির্যাতন করা হয়েছিলো। সেই একই ঘটনায় ধারালো দায়ের আঘাতে যুবলীগ নেতা মুরাদের একটা কান বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মহান রব্বুল আলামীন কিছু কিছু পাপের পরিণতি দুনিয়াতেই দেখিয়ে দেন।
আজ খবরে দেখলাম, আবছার ভাইয়ের উপর নির্যাতনকারী শামীম গ্রুপের সাথে ছাত্রলীগের অপর এক গ্রুপের টেন্ডার নিয়ে বন্দুক যুদ্ধ হয়েছে, একটি শিশু সহ দু’জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আল্লাহর আজাব সহসাই আসেনা, পাপ ভারী হতে হয়.........
২৪জুন২০১৩
No comments:
Post a Comment