facebook link
আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশের বিখ্যাত দু’জন লেখকের নাম বলেন, আপনার মাথায় প্রথম যে দু’জন লেখকের নাম ভেসে উঠবে তারা হচ্ছেন হুমায়ূন আহম্মদ এবং জাফর ইকবাল। একটা সময় বাংলাদেশের বইয়ের দোকান গুলো ছিলো ভারতীয় লেখকদের দখলে। সম্ভবত শুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ এতই সাহিত্যপ্রেমী সেখানে বাস,ট্রেন,লঞ্চে গল্প-উপন্যাসের বই বিক্রি হয়। অথচ এই বাংলাদেশের মানুষই জিম্মি হয়েছিলো পশ্চিম বঙ্গের হিন্দুঘেষা এবং ধর্মবিদ্বেষী লেখকদের কাছে।
বাংলাদেশের মানুষকে এই পশ্চিম বঙ্গীয় সাহিত্য থেকে টেনে এনে নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের সাহিত্যের সাথে পরিচিত করিয়ে দেয়ার একচেটিয়া কৃতিত্ব অবশ্যই হুমায়ূন আহম্মদের প্রাপ্য। তার পথচলায় অনুপ্রাণীত হয়ে আরো অনেক কথাসাহিত্যিকের জন্ম হয়েছে এদেশে। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন হুমায়ূন আহাম্মদ নাস্তিক ছিলেন, হয়তো তাদের অভিযোগ সত্য অথবা মিথ্যা কিন্তু সেটা মূখ্য বিষয় নয়। হুমায়ূণ আহাম্মেদ সাহিত্য রচনা করেছিলেন এদেশের প্রেক্ষাপটে, মুসলিম পারিবারিক জীবন ছিলো তার লেখার উপজীব্য, এদেশের পাঠকের মনমানসিকতার দিকেও তিনি ছিলেন সজাগ দৃস্টির অধিকারী। তিনি তার সাহিত্যে ঢালাও ভাবে নাস্তিকতার প্রচার করেননি, যেটা করেছেন ভারতীয় লেখকরা। সেদিক থেকে হলেও, নাই মামার চেয়ে কানা মামা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট থাকতে পারি।
আলহামদুলিল্লাহ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের উপর পর্যাপ্ত বই রয়েছে, যেসব বইয়ের ঘাটতি আছে সেগুলো অনুবাদ করা হয়েছে। অভাব যেটা সেটা হচ্ছে মানসম্পন্ন ইসলামীক ভাবধারার গল্প-উপন্যাসের। এখন যদি আমি প্রশ্ন করি, ইসলামীক গল্প-উপন্যাস লিখবেন এমন ভালোমানের সাহিত্যিক এদেশের সৃস্টি হচ্ছেনা কেনো? তাহলেই অনেকে রেডিমেইড উত্তর দিবেন, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। অথবা অন্য আরেকজন হয়তো জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব নিয়ে বলবেন ওই সব ডানপন্থী-বামপন্থী দেখে সাহিত্যিক সৃস্ট হয়না, সাহিত্য রচনা হচ্ছে জন্মগত প্রতিভা। যারা পৃষ্ঠপোষকতার অভাবের কথা উল্লেখ করবেন তাদের যুক্তি হয়তো এমন হতে পারে, 'অন্য প্রকাশে'র মতো খ্যাতিমান প্রকাশনী সংস্থা আমাদের নাই। অথবা ভালোমানের পরিবেশক প্রতিষ্ঠানও আমাদের নেই।
আমরা ডানপন্থী অঙ্গনে জনপ্রিয় উপন্যাস 'সাইমুম সিরিজে'র কথা উল্লেখ করতে পারি, কিন্তু জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে সেটা হুমায়ূন আহম্মদের 'মিসির আলী'র ধারের কাছেও নেই, এর কারণ কি? এটাকি শুধুমাত্র ভালোমানের পরিবেষক এবং প্রকাশনী প্রতিষ্ঠানের অভাবের কারণে! আসলে যুক্তিটা কতটুকু ধোপে টিকবে? আমরা সবাই সিএইচপি বা স্পন্দন অডিও ভিজ্যুয়াল সেন্টারের নাম জানি, তাদের ক্যাসেট বাংলাদেশের কয়টা দোকানে পাওয়া যায়? শতকরা হিসেব করলে বলা যায় অতি নগন্য। অথচ এই সিএইচপি যখন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মাহফিলের ক্যাসেট বাজারজাত করে তখন মানুষ লাইন করে সেই ক্যাসেট কিনে নিয়ে যায়। তার মানে বিষয় পরিস্কার, ‘অন্য প্রকাশ’ হুমায়ূন আহম্মদকে জনপ্রিয় করেনাই, বরং হুমায়ূন আহম্মদই ‘অন্যপ্রকাশ’কে জনপ্রিয়তার শিখড়ে নিয়ে গেছে। একজন পাঠক যখন বইয়ের দোকানে গিয়ে বলে আবুল আসাদের সাইমুম সিরিজ আছে? তখন দোকানদার তার দোকানে সাইমুম রাখতে বাধ্য হয়, এটাই নিয়ম।
ঘুরে ফিরে আবার একই প্রশ্ন এসে হানা দেয় তাহলে আমাদের দূর্বলতা কোথায়? আমাদের সাহিত্যকর্ম, যেমন সাইমুম সিরিজ এবং অনুবাদ সাহিত্য ক্রুসেড সিরিজ জনপ্রিয়তা পাচ্ছেনা কেনো? এখানে আমি দু’টি বিষয়কে সামনে নিয়ে আসবো, একটা হচ্ছে আমরা পাঠক মন বুঝে সাহিত্য রচনা করিনা দুই হচ্ছে আমাদের মধ্যে লেখনি শক্তির অভাব।
হুমায়ূন আহম্মদকে আমরা নাস্তিক হিসেবে আখ্যায়িত করি, ব্যক্তিগত জীবনে হুমায়ূন আহম্মদের বিশ্বাস যাই হোকনা কেনো, একজন পাঠক অনুবিক্ষণ যন্ত্র দিয়ে সার্চ না করলে তার লেখায় নাস্তিকতা খুজে পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার, কারণ তিনি মুসলিম পাঠকদের জন্য সাহিত্য রচনা করেছেন, উল্টাপাল্টা কিছু লিখলে পাঠক হারাতে হবে সেটা তিনি ভালো করেই জানতেন।
অন্যদিকে আমরা যদি জাফর ইকবালের সাহিত্যের দিকে তাকাই তাহলে দেখবো অনেকটা প্রকাশ্যেই তিনি তার উপন্যাসে নাস্তিকতার প্রচার করছেন, তারপরেও তার লেখার জনপ্রিয়তার কারণ হচ্ছে তিনি পাঠকের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন। পাঠক সায়েন্স ফিকশন পড়তে চাচ্ছে, বাংলাতে বিকল্প ভালো মানের সায়েন্স ফিকশন না থাকাতে বাধ্য হয়ে একটু কনসিডার করে হলেও পাঠক তার সাহিত্যই গিলছে।
এবার আসি আমাদের মানসম্পন্ন লেখকের অভাব প্রসঙ্গে, অতীতের কথা বাদ দিলেও এখন যদি আমরা অনলাইন জগতে ভালোমানের লেখকদের দিকে তাকাই তাহলে দেখা যাবে তাদের ৭৫% হচ্ছেন বাম ভাবধারার লেখক। এর কারণ কি? লেখকরা কি জন্ম থেকেই বাম হয়ে জন্মগ্রহণ করে? মূল সমস্যা হচ্ছে বাম অঙ্গনে সাহিত্যের যতটুকু চর্চা হয় তার তুলনায় আমাদের অঙ্গন ফাঁকা! আমরা সাহিত্য চর্চা করিনা এটাই হচ্ছে আসল কথা, যাও করি ব্যক্তিগত উদ্যগে দুই’চার লাইন লিখে একদিন হাওয়া। ফলশ্রুতিতে লেখা-লেখি যাদের রক্তে মিশে আছে এমন নিরপেক্ষ মনমানসিকতার তরুণ প্রজন্ম সাহিত্য চর্চা করতে গিয়ে, বামদের সংষ্পর্ষে নিজের অজান্তেই একজন চরমপন্থী বাম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
লেখার মূল টপিক ছিলো, জনপ্রিয় লেখক তৈরীতে আমাদের করণীয়। উপরের আলোচনাতেই মূল বিষয়গুলো চলে এসেছে। নিজস্ব প্লাটফর্মে সাহিত্যচর্চার পরিবেশ সৃস্টি, উদীয়মান লেখকদের একই প্লাটফর্মে যুক্ত করা, সর্বোপরী প্রকাশনা সহ সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতার ব্যবস্থা করা। একটা কথা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, মায়ের গর্ভ থেকে কেউ উপন্যাসিক হয়ে জন্ম নেয়না, লিখতে লিখতেই লেখক। হয়তো আমাদের মধ্য হতেই বেরিয়ে আসবে যুগশ্রেষ্ঠ কোনো সাহিত্যিক, স্বপ্ন দেখতেতো পাপ নেই!
১৮জুন২০১৩
আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশের বিখ্যাত দু’জন লেখকের নাম বলেন, আপনার মাথায় প্রথম যে দু’জন লেখকের নাম ভেসে উঠবে তারা হচ্ছেন হুমায়ূন আহম্মদ এবং জাফর ইকবাল। একটা সময় বাংলাদেশের বইয়ের দোকান গুলো ছিলো ভারতীয় লেখকদের দখলে। সম্ভবত শুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ এতই সাহিত্যপ্রেমী সেখানে বাস,ট্রেন,লঞ্চে গল্প-উপন্যাসের বই বিক্রি হয়। অথচ এই বাংলাদেশের মানুষই জিম্মি হয়েছিলো পশ্চিম বঙ্গের হিন্দুঘেষা এবং ধর্মবিদ্বেষী লেখকদের কাছে।
বাংলাদেশের মানুষকে এই পশ্চিম বঙ্গীয় সাহিত্য থেকে টেনে এনে নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের সাহিত্যের সাথে পরিচিত করিয়ে দেয়ার একচেটিয়া কৃতিত্ব অবশ্যই হুমায়ূন আহম্মদের প্রাপ্য। তার পথচলায় অনুপ্রাণীত হয়ে আরো অনেক কথাসাহিত্যিকের জন্ম হয়েছে এদেশে। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন হুমায়ূন আহাম্মদ নাস্তিক ছিলেন, হয়তো তাদের অভিযোগ সত্য অথবা মিথ্যা কিন্তু সেটা মূখ্য বিষয় নয়। হুমায়ূণ আহাম্মেদ সাহিত্য রচনা করেছিলেন এদেশের প্রেক্ষাপটে, মুসলিম পারিবারিক জীবন ছিলো তার লেখার উপজীব্য, এদেশের পাঠকের মনমানসিকতার দিকেও তিনি ছিলেন সজাগ দৃস্টির অধিকারী। তিনি তার সাহিত্যে ঢালাও ভাবে নাস্তিকতার প্রচার করেননি, যেটা করেছেন ভারতীয় লেখকরা। সেদিক থেকে হলেও, নাই মামার চেয়ে কানা মামা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট থাকতে পারি।
আলহামদুলিল্লাহ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের উপর পর্যাপ্ত বই রয়েছে, যেসব বইয়ের ঘাটতি আছে সেগুলো অনুবাদ করা হয়েছে। অভাব যেটা সেটা হচ্ছে মানসম্পন্ন ইসলামীক ভাবধারার গল্প-উপন্যাসের। এখন যদি আমি প্রশ্ন করি, ইসলামীক গল্প-উপন্যাস লিখবেন এমন ভালোমানের সাহিত্যিক এদেশের সৃস্টি হচ্ছেনা কেনো? তাহলেই অনেকে রেডিমেইড উত্তর দিবেন, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। অথবা অন্য আরেকজন হয়তো জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব নিয়ে বলবেন ওই সব ডানপন্থী-বামপন্থী দেখে সাহিত্যিক সৃস্ট হয়না, সাহিত্য রচনা হচ্ছে জন্মগত প্রতিভা। যারা পৃষ্ঠপোষকতার অভাবের কথা উল্লেখ করবেন তাদের যুক্তি হয়তো এমন হতে পারে, 'অন্য প্রকাশে'র মতো খ্যাতিমান প্রকাশনী সংস্থা আমাদের নাই। অথবা ভালোমানের পরিবেশক প্রতিষ্ঠানও আমাদের নেই।
আমরা ডানপন্থী অঙ্গনে জনপ্রিয় উপন্যাস 'সাইমুম সিরিজে'র কথা উল্লেখ করতে পারি, কিন্তু জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে সেটা হুমায়ূন আহম্মদের 'মিসির আলী'র ধারের কাছেও নেই, এর কারণ কি? এটাকি শুধুমাত্র ভালোমানের পরিবেষক এবং প্রকাশনী প্রতিষ্ঠানের অভাবের কারণে! আসলে যুক্তিটা কতটুকু ধোপে টিকবে? আমরা সবাই সিএইচপি বা স্পন্দন অডিও ভিজ্যুয়াল সেন্টারের নাম জানি, তাদের ক্যাসেট বাংলাদেশের কয়টা দোকানে পাওয়া যায়? শতকরা হিসেব করলে বলা যায় অতি নগন্য। অথচ এই সিএইচপি যখন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মাহফিলের ক্যাসেট বাজারজাত করে তখন মানুষ লাইন করে সেই ক্যাসেট কিনে নিয়ে যায়। তার মানে বিষয় পরিস্কার, ‘অন্য প্রকাশ’ হুমায়ূন আহম্মদকে জনপ্রিয় করেনাই, বরং হুমায়ূন আহম্মদই ‘অন্যপ্রকাশ’কে জনপ্রিয়তার শিখড়ে নিয়ে গেছে। একজন পাঠক যখন বইয়ের দোকানে গিয়ে বলে আবুল আসাদের সাইমুম সিরিজ আছে? তখন দোকানদার তার দোকানে সাইমুম রাখতে বাধ্য হয়, এটাই নিয়ম।
ঘুরে ফিরে আবার একই প্রশ্ন এসে হানা দেয় তাহলে আমাদের দূর্বলতা কোথায়? আমাদের সাহিত্যকর্ম, যেমন সাইমুম সিরিজ এবং অনুবাদ সাহিত্য ক্রুসেড সিরিজ জনপ্রিয়তা পাচ্ছেনা কেনো? এখানে আমি দু’টি বিষয়কে সামনে নিয়ে আসবো, একটা হচ্ছে আমরা পাঠক মন বুঝে সাহিত্য রচনা করিনা দুই হচ্ছে আমাদের মধ্যে লেখনি শক্তির অভাব।
হুমায়ূন আহম্মদকে আমরা নাস্তিক হিসেবে আখ্যায়িত করি, ব্যক্তিগত জীবনে হুমায়ূন আহম্মদের বিশ্বাস যাই হোকনা কেনো, একজন পাঠক অনুবিক্ষণ যন্ত্র দিয়ে সার্চ না করলে তার লেখায় নাস্তিকতা খুজে পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার, কারণ তিনি মুসলিম পাঠকদের জন্য সাহিত্য রচনা করেছেন, উল্টাপাল্টা কিছু লিখলে পাঠক হারাতে হবে সেটা তিনি ভালো করেই জানতেন।
অন্যদিকে আমরা যদি জাফর ইকবালের সাহিত্যের দিকে তাকাই তাহলে দেখবো অনেকটা প্রকাশ্যেই তিনি তার উপন্যাসে নাস্তিকতার প্রচার করছেন, তারপরেও তার লেখার জনপ্রিয়তার কারণ হচ্ছে তিনি পাঠকের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন। পাঠক সায়েন্স ফিকশন পড়তে চাচ্ছে, বাংলাতে বিকল্প ভালো মানের সায়েন্স ফিকশন না থাকাতে বাধ্য হয়ে একটু কনসিডার করে হলেও পাঠক তার সাহিত্যই গিলছে।
এবার আসি আমাদের মানসম্পন্ন লেখকের অভাব প্রসঙ্গে, অতীতের কথা বাদ দিলেও এখন যদি আমরা অনলাইন জগতে ভালোমানের লেখকদের দিকে তাকাই তাহলে দেখা যাবে তাদের ৭৫% হচ্ছেন বাম ভাবধারার লেখক। এর কারণ কি? লেখকরা কি জন্ম থেকেই বাম হয়ে জন্মগ্রহণ করে? মূল সমস্যা হচ্ছে বাম অঙ্গনে সাহিত্যের যতটুকু চর্চা হয় তার তুলনায় আমাদের অঙ্গন ফাঁকা! আমরা সাহিত্য চর্চা করিনা এটাই হচ্ছে আসল কথা, যাও করি ব্যক্তিগত উদ্যগে দুই’চার লাইন লিখে একদিন হাওয়া। ফলশ্রুতিতে লেখা-লেখি যাদের রক্তে মিশে আছে এমন নিরপেক্ষ মনমানসিকতার তরুণ প্রজন্ম সাহিত্য চর্চা করতে গিয়ে, বামদের সংষ্পর্ষে নিজের অজান্তেই একজন চরমপন্থী বাম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
লেখার মূল টপিক ছিলো, জনপ্রিয় লেখক তৈরীতে আমাদের করণীয়। উপরের আলোচনাতেই মূল বিষয়গুলো চলে এসেছে। নিজস্ব প্লাটফর্মে সাহিত্যচর্চার পরিবেশ সৃস্টি, উদীয়মান লেখকদের একই প্লাটফর্মে যুক্ত করা, সর্বোপরী প্রকাশনা সহ সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতার ব্যবস্থা করা। একটা কথা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, মায়ের গর্ভ থেকে কেউ উপন্যাসিক হয়ে জন্ম নেয়না, লিখতে লিখতেই লেখক। হয়তো আমাদের মধ্য হতেই বেরিয়ে আসবে যুগশ্রেষ্ঠ কোনো সাহিত্যিক, স্বপ্ন দেখতেতো পাপ নেই!
১৮জুন২০১৩
No comments:
Post a Comment