fecebook link
অসম্ভব মেধাবী ছাত্র রায়হান, কলেজ লাইফে মৌলবাদী ছাত্র রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ঠতা থাকলেও ভার্সিটি লাইফে এসে রঙিণ জগতের হাতছানিতে বামপন্থার সাথে যুক্ত হয়ে গেলো। কট্টর বিরোধী হয়ে গেলো ধর্মের নামে রাজনীতির, নামাজ/রোজা সেতো পরের কথা, আগে বলতে হবে ঈশ্বর কি সত্যিই অস্তিত্বশীল?
স্বকীয় প্রতিভায় গড়ে তুললো নাট্য সংগঠন, স্বপ্ন আকাশ ছোয়ার, অনেক দূরে এগিয়ে যাবার। ফেসবুকে গ্রুপ তৈরী করা হলো সংগঠনের নামে, তুমুল হিট রায়হান! স্টাটাস দেয়া মাত্র লাইকের বন্যা, হাজার হাজার লাইক। অসংখ্য মেয়ে ফ্যান যুক্ত হয়ে গেলো ফ্রেন্ড এবং ফলোয়ার লিস্টে, ভাইয়া ভাইয়া ডেকে অস্থির! নাট্য সংগঠনের মেম্বারও বাড়তে থাকলো হু হু করে।
প্রচারেই প্রসার, বড় বড় কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের দৃস্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হলো রায়হান। তারাও প্রস্তাব লুফে নিলো, এলিট ফ্যামেলির এত এত ছেলে এখানে আছে, এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবেনা! তাদের স্পন্সরেই লক্ষাধিক টাকা ব্যায় করে জাকজমকপূর্ণ ভাবে মঞ্চায়ীত হলো বেশ কয়েকটি নাটক। দেশের প্রথিতযশা ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হলো সেই সব অনুষ্ঠানে। প্রচারিত হলো টেলিভিশিন এবং জাতীয় সংবাদপত্রে, ফেসবুকেও তুমুল আলোচনা। হুহু করে বাড়তে থাকলো সংগঠনের সদস্য। উজ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি, লক্ষ লক্ষ টাকার কন্ট্রাক্ট!
সংগঠন যতো বড় হতে থাকলো, অভ্যান্তরীণ রাজনীতি বিস্তৃত হতে শুরু করলো, শুরু হলো নেতৃত্বের কোন্দল। তিল তিল করে গড়ে তোলা সংগঠনের নেতৃত্ব ছিনিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হলো। একপর্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের স্বরুপ উন্মোচন হলো রায়হানের কাছে, সর্বসম্মতিক্রমে প্রামান্যদলীল নিয়ে গ্রুপ হতে বহিস্কার করা হলো দুষ্টচক্রের হোতা জাহিদকে। অপরাধের ব্যাপারে কোনো স্বীকারোক্তি কিংবা জবাব না দিয়েই চোরের মতো মাথা নিচু করে সভাস্থল ত্যাগ করলো জাহিদ। হাফ ছেড়ে বাচলো রায়হান।
সন্ধার দিকে রায়হানের মোবাইলে একটা কল আসলো, জাহিদ ফোন করেছে। চরম বিরক্তি নিয়ে কল রিসিভ করে বললো,
হ্যা জাহিদ কি খবর?
দোস্ত তোর মনে আছে, তুই একবার আমার পিসি থেকে ফেসবুকে লগিন করেছিলি?
হ্যা মনে আছে, কিন্তু সেকথা কেনো?
না এমনিই, কারেন্ট চলে গিয়েছিলো পরে আর লগআউট করতে পারিস নাই, সেটা মনে আছে?
কি বলবি স্পষ্ট করে বল, কথা প্যাচাচ্ছিস কেনো?
এত উত্তেজিত হচ্ছিস কেনো? এখনতো কিছুই বলিনাই, পরে আরো বলবো। আপাতত তোর ফেসবুক ইনবক্সটা একটু চেক করে দেখ, তোর চ্যাট হিস্টরীর কিছু স্ক্রীণসট পাঠিয়েছি।
আতঙ্কে সাদা হয়ে গেলো রায়হানের মুখ। দ্রুত পায়ে বাসায় গিয়ে ল্যাপটপের উপর ঝাপিয়ে পড়লো। যা ধারণা করেছিলো তাই ঘটেছে। কিছু মেয়ে বন্ধুর সাথে রায়হানের পার্সোনাল কিছু কথাবার্তার স্ক্রীনসট পাঠিয়ে দিয়েছে জাহিদ।
গোটা দুনিয়াটাই অন্ধকার হয়ে গেলো রায়হানের কাছে, তিল তিল করে গড়ে তোলা ইমেজ। বুক ভরা স্বপ্ন, সব ধুলিস্মাৎ হয়ে যাবে? আজ কিংবা কাল ভোরে যদি এই স্ক্রীনসট গুলো সবার ওয়ালে শেয়ার হতে থাকে? আর ভাবতে পারেনা রায়হান, প্রচন্ডভাবে মাথা ঘুরছে। তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে রায়হান! চিরতরে ডিএক্টিভেট করে দেয় ফেসবুক একাউন্ট-গ্রুপ। পরিণতি, একটি স্বপ্নের অকাল মৃত্যু!
(ইসলামপন্থী ভাই/বোনেরা, ইনবক্স পরিচ্ছন্ন আছেতো! নাকি আবর্জনা দিয়ে পূর্ণ করে রেখেছেন?)
২৬জুন২০১৩
অসম্ভব মেধাবী ছাত্র রায়হান, কলেজ লাইফে মৌলবাদী ছাত্র রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ঠতা থাকলেও ভার্সিটি লাইফে এসে রঙিণ জগতের হাতছানিতে বামপন্থার সাথে যুক্ত হয়ে গেলো। কট্টর বিরোধী হয়ে গেলো ধর্মের নামে রাজনীতির, নামাজ/রোজা সেতো পরের কথা, আগে বলতে হবে ঈশ্বর কি সত্যিই অস্তিত্বশীল?
স্বকীয় প্রতিভায় গড়ে তুললো নাট্য সংগঠন, স্বপ্ন আকাশ ছোয়ার, অনেক দূরে এগিয়ে যাবার। ফেসবুকে গ্রুপ তৈরী করা হলো সংগঠনের নামে, তুমুল হিট রায়হান! স্টাটাস দেয়া মাত্র লাইকের বন্যা, হাজার হাজার লাইক। অসংখ্য মেয়ে ফ্যান যুক্ত হয়ে গেলো ফ্রেন্ড এবং ফলোয়ার লিস্টে, ভাইয়া ভাইয়া ডেকে অস্থির! নাট্য সংগঠনের মেম্বারও বাড়তে থাকলো হু হু করে।
প্রচারেই প্রসার, বড় বড় কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের দৃস্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হলো রায়হান। তারাও প্রস্তাব লুফে নিলো, এলিট ফ্যামেলির এত এত ছেলে এখানে আছে, এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবেনা! তাদের স্পন্সরেই লক্ষাধিক টাকা ব্যায় করে জাকজমকপূর্ণ ভাবে মঞ্চায়ীত হলো বেশ কয়েকটি নাটক। দেশের প্রথিতযশা ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হলো সেই সব অনুষ্ঠানে। প্রচারিত হলো টেলিভিশিন এবং জাতীয় সংবাদপত্রে, ফেসবুকেও তুমুল আলোচনা। হুহু করে বাড়তে থাকলো সংগঠনের সদস্য। উজ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি, লক্ষ লক্ষ টাকার কন্ট্রাক্ট!
সংগঠন যতো বড় হতে থাকলো, অভ্যান্তরীণ রাজনীতি বিস্তৃত হতে শুরু করলো, শুরু হলো নেতৃত্বের কোন্দল। তিল তিল করে গড়ে তোলা সংগঠনের নেতৃত্ব ছিনিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হলো। একপর্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের স্বরুপ উন্মোচন হলো রায়হানের কাছে, সর্বসম্মতিক্রমে প্রামান্যদলীল নিয়ে গ্রুপ হতে বহিস্কার করা হলো দুষ্টচক্রের হোতা জাহিদকে। অপরাধের ব্যাপারে কোনো স্বীকারোক্তি কিংবা জবাব না দিয়েই চোরের মতো মাথা নিচু করে সভাস্থল ত্যাগ করলো জাহিদ। হাফ ছেড়ে বাচলো রায়হান।
সন্ধার দিকে রায়হানের মোবাইলে একটা কল আসলো, জাহিদ ফোন করেছে। চরম বিরক্তি নিয়ে কল রিসিভ করে বললো,
হ্যা জাহিদ কি খবর?
দোস্ত তোর মনে আছে, তুই একবার আমার পিসি থেকে ফেসবুকে লগিন করেছিলি?
হ্যা মনে আছে, কিন্তু সেকথা কেনো?
না এমনিই, কারেন্ট চলে গিয়েছিলো পরে আর লগআউট করতে পারিস নাই, সেটা মনে আছে?
কি বলবি স্পষ্ট করে বল, কথা প্যাচাচ্ছিস কেনো?
এত উত্তেজিত হচ্ছিস কেনো? এখনতো কিছুই বলিনাই, পরে আরো বলবো। আপাতত তোর ফেসবুক ইনবক্সটা একটু চেক করে দেখ, তোর চ্যাট হিস্টরীর কিছু স্ক্রীণসট পাঠিয়েছি।
আতঙ্কে সাদা হয়ে গেলো রায়হানের মুখ। দ্রুত পায়ে বাসায় গিয়ে ল্যাপটপের উপর ঝাপিয়ে পড়লো। যা ধারণা করেছিলো তাই ঘটেছে। কিছু মেয়ে বন্ধুর সাথে রায়হানের পার্সোনাল কিছু কথাবার্তার স্ক্রীনসট পাঠিয়ে দিয়েছে জাহিদ।
গোটা দুনিয়াটাই অন্ধকার হয়ে গেলো রায়হানের কাছে, তিল তিল করে গড়ে তোলা ইমেজ। বুক ভরা স্বপ্ন, সব ধুলিস্মাৎ হয়ে যাবে? আজ কিংবা কাল ভোরে যদি এই স্ক্রীনসট গুলো সবার ওয়ালে শেয়ার হতে থাকে? আর ভাবতে পারেনা রায়হান, প্রচন্ডভাবে মাথা ঘুরছে। তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে রায়হান! চিরতরে ডিএক্টিভেট করে দেয় ফেসবুক একাউন্ট-গ্রুপ। পরিণতি, একটি স্বপ্নের অকাল মৃত্যু!
(ইসলামপন্থী ভাই/বোনেরা, ইনবক্স পরিচ্ছন্ন আছেতো! নাকি আবর্জনা দিয়ে পূর্ণ করে রেখেছেন?)
২৬জুন২০১৩
No comments:
Post a Comment