লড়াইটা জামায়াত-শিবিরকে একাই চালিয়ে
যেতে হবে। কারো উপর নির্ভর করে নয়। বিগত সময় জুড়ে রাজপথে সরকার বিরোধী তীব্র
অবস্থান গড়ে তুলেছে জামায়াত শিবির, রক্তে রঞ্জিত হয়েছে পিচঢালা পথ। জেলের অন্ধকার কক্ষে দিনপার করছে
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ধরে ধরে গুলি করা হচ্ছে মেধাবী ছাত্রদের।
ঠিক বিপরীত দিকে আমরা দেখেছি, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসে বসে হরতাল পালন করছে বিরোধীদল বিএনপি, রাজপথে একটা মিছিল করার মতো হিম্মত দেখাতে পারেনাই। বিএনপির মেরুদন্ডহীন নেতাদের কথা তুললেই বলতাম নেত্রী অনেক বিচক্ষণ, তার মেরুদন্ড অনেক শক্ত, তিনি ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেননা।
কিন্তু কি দেখলাম? এখনো সরকার পতন হয়নাই, মাত্র সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। জামায়াত শিবিরের লড়াকু শহীদদের রক্ত সবে মাত্র কথা বলতে শুরু করেছে এরই মধ্যে তিনি উল্টে গেলেন, নিজের দলের নেতাদের ত্যাগ তিতিক্ষার কথা সময় নিয়ে উচ্চারণ করলেন, সরকারের দমন পীড়নের কথা বললেন। বললেননা শুধু জামায়াত-শিবিরের কথা, আমাদের শহীদদের কথা, জেল বন্দী নেতৃবৃন্দের কথা। কারণ একটাই আসন ভাগাভাগীর টেনশন, জামায়াতের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলে আগামী নির্বাচনে আসন বেশি দিতে হবে, তার চাইতে অকৃতজ্ঞ থাকাই ভালো। তিনি অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দিলেন, অন্তত তার কাছ থেকে এটা আশা করিনাই।
কি এমন ক্ষতি হতো যদি জামায়াত ইসলামী আওয়ামীলীগের সাথে সমঝোতায় যেতো? অন্তত জামায়াতকে খুশি করতে হলেও আওয়ামীলীগ ইসলাম বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করতোনা, পতিত বামদের লাথি মারতো। এমন ভাবে পরে পরে মার খেতে হতোনা, রাতের পর রাত নির্ঘুম পথে প্রান্তরে ঘুরতে হতোনা, পালিয়ে থাকতে হতোনা, আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হতোনা। ক্ষমতার অংশীদার হয়ে লাভবান হওয়া যেতো।
এই ত্যাগের মূল্য কি? কার জন্য করলাম! জামায়াত নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করছি প্রতিটি পদক্ষেপ হিসেব করে অগ্রসর হবেন, এই বেঈমানদের বিশ্বাস করতে পারছিনা। জাতীর দুঃসময়ে কাপুরুষের মতো খাটের নিচে লুকিয়ে থাকবে, সুসময়ে এসে নিজেদের ত্যাগের বিশাল ফিরিস্তি দিবে। এটাই এদের চরিত্র!
ঠিক বিপরীত দিকে আমরা দেখেছি, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসে বসে হরতাল পালন করছে বিরোধীদল বিএনপি, রাজপথে একটা মিছিল করার মতো হিম্মত দেখাতে পারেনাই। বিএনপির মেরুদন্ডহীন নেতাদের কথা তুললেই বলতাম নেত্রী অনেক বিচক্ষণ, তার মেরুদন্ড অনেক শক্ত, তিনি ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেননা।
কিন্তু কি দেখলাম? এখনো সরকার পতন হয়নাই, মাত্র সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। জামায়াত শিবিরের লড়াকু শহীদদের রক্ত সবে মাত্র কথা বলতে শুরু করেছে এরই মধ্যে তিনি উল্টে গেলেন, নিজের দলের নেতাদের ত্যাগ তিতিক্ষার কথা সময় নিয়ে উচ্চারণ করলেন, সরকারের দমন পীড়নের কথা বললেন। বললেননা শুধু জামায়াত-শিবিরের কথা, আমাদের শহীদদের কথা, জেল বন্দী নেতৃবৃন্দের কথা। কারণ একটাই আসন ভাগাভাগীর টেনশন, জামায়াতের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলে আগামী নির্বাচনে আসন বেশি দিতে হবে, তার চাইতে অকৃতজ্ঞ থাকাই ভালো। তিনি অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দিলেন, অন্তত তার কাছ থেকে এটা আশা করিনাই।
কি এমন ক্ষতি হতো যদি জামায়াত ইসলামী আওয়ামীলীগের সাথে সমঝোতায় যেতো? অন্তত জামায়াতকে খুশি করতে হলেও আওয়ামীলীগ ইসলাম বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করতোনা, পতিত বামদের লাথি মারতো। এমন ভাবে পরে পরে মার খেতে হতোনা, রাতের পর রাত নির্ঘুম পথে প্রান্তরে ঘুরতে হতোনা, পালিয়ে থাকতে হতোনা, আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হতোনা। ক্ষমতার অংশীদার হয়ে লাভবান হওয়া যেতো।
এই ত্যাগের মূল্য কি? কার জন্য করলাম! জামায়াত নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করছি প্রতিটি পদক্ষেপ হিসেব করে অগ্রসর হবেন, এই বেঈমানদের বিশ্বাস করতে পারছিনা। জাতীর দুঃসময়ে কাপুরুষের মতো খাটের নিচে লুকিয়ে থাকবে, সুসময়ে এসে নিজেদের ত্যাগের বিশাল ফিরিস্তি দিবে। এটাই এদের চরিত্র!
৫মে২০১৩
No comments:
Post a Comment