বাংলাদেশের ইসলাম প্রিয়
জনতার প্রাণপ্রিয় নেতা অধ্যাপক গোলাম আজমের কারাজীবন নতুন নয়, এর পূর্বেও তিনি কারাগারে
গিয়েছিলেন, আর ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য কারাজীবন হচ্ছে আল্লাহর নিয়ামত, এবং
রাসূল (সঃ) এর সুন্নত। অধ্যাপক গোলাম আযম সম্পর্কে বলতে গিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর জামায়াতে
ইসলামীর আমীর মাওলানা শামসুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম নিয়ে তার কোনো মাথাব্যাথা
নেই, ট্রাইব্যুনালে কি হচ্ছে সেটা নিয়ে তার কোনো আগ্রহ নেই। তিনি সবসময় দোয়া করছেন
আল্লাহ যেনো তাকে শহীদি মৃত্যু দান করেন। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মৃত্যুভয়ের পরোয়া
করেনা, তারা মৃত্যুকে খুজে বেড়ায়।
আল্লাহর রাসূল (সঃ)কে মৃত্যদন্ড দেয়া হয়েছিলো, উল্লাসিত কাফেরের দল তাকে হত্যা করতে গিয়েছিলো। কিন্তু আল্লাহ উত্তম কৌশলী, কাফেরদের কৌশল ব্যর্থ হলো। শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর বেশে আল্লাহর রাসূল (সঃ) মক্কায় ফিরে এলেন।
হজরত ইসা (আঃ) কেও মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিলো, আল্লাহ তাকে আসমানে তুলে নিলেন, পরিনামে হত্যাকারী নিজেই হত্যার শিকার হলো।
ইব্রাহীম (আঃ) কেও মৃত্যু দন্ড দেয়া হয়েছিলো আল্লাহ আগুনকে ঠান্ডা করে দিলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ সেই দৃশ্য দেখে ইসলাম গ্রহণ করলেন।
হজরত যাকারীয়া (আঃ) কে করাত দিয়ে মাঝা মাঝি দুই ভাগে বিভক্ত করে হত্যা করা হয়েছিলো।
রাসূল(স) এর চাচা হযরত হামজা (রাঃ) কে হত্যা করে তার কলিজা ভক্ষণ করা হয়েছিলো। তাতে করে তাদের মর্যাদা কমে যায়নি আল্লাহর দরবারে তাদের মর্যাদা বহুগুনে বৃদ্ধি ঘটেছিলো।
আল্লাহ তায়াল তার প্রিয় বাগানের সবচাইতে সুন্দর ফুলটিকেই তুলে নেন নিজের কাছে, জামায়াত নেতৃবৃন্দকে যদি তিনি কবুল করেন সেটা হবে তাদের জন্য অমূল্য পাওয়া, দুনিয়ার সবচাইতে সেরা উপহার।
সুতরাং ইসলামী আন্দোলনের জন্য মৃত্যুদন্ড নতুন কিছু নয়, আল্লাহ যাকে বিজয় দান করবেন দুনিয়ার সকল শক্তি মিলেও তাকে দমন করতে পারবেনা, বাতিলের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তারা বিজয়ীর বেশে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন ইনশাআল্লাহ্।
১১জুন২০১৩
No comments:
Post a Comment