সংকটে হেফাজত



কওমী মাদ্রাসা কেন্দ্রীক সংগঠন হিসেবে আন্দোলনের কঠোর কর্মসূচীতে ঘোষণা করতে বিপাকে পরেছে হেফাজতে ইসলাম। একদিকে সরকারের মামলার হুমকি, অন্যদিকে স্থানীয় আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে মাদ্রাসা সমূহে হামলার আশঙ্কা থেকেই এই সংকটের শুরু।
গণহত্যা ইস্যুতে প্রবল জনমত এখন হেফাজতের সমর্থনে, অন্যদিকে সংগঠনের ভেতর থেকেও আন্দোলনের জন্য তীব্র চাপের সম্মুখিন হেফাজত নেতৃবৃন্দ। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ যেখানে সরকারের মামলার মুখে আত্মগোপন করেও আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারছে, সেক্ষেত্রে মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হওয়ায় হেফাজতের জন্য ব্যাপারটা প্রায় অসম্ভব। মাদ্রাসা বন্ধ করে শিক্ষকরা পালিয়ে গেলে শিক্ষাকার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হবে। অন্যদিকে ছোট ছোট মাদ্রাসা গুলোতে স্থানীয় আওয়ামীলিগের সন্ত্রাসীরা নিয়মিতই হামলা ভাংচুর করে মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতে পারে। এমতাবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষা টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই আন্দোলন শুরু করার পূর্বে দ্বিতীয়বার ভাবতে হচ্ছে হেফাজতকে। রবিবারের হরতাল প্রত্যাহারের মাধ্যমেই ব্যাপারটি প্রকাশ্য আসে।
এমতাবস্থায় রাজপথে শহীদের লাশ ফেলে রেখে ঘরে ফিরে যেতে পারছেনা হেফাজতে ইসলাম, অন্যদিক দাবী আদায়ে কঠিন কর্মসূচীও দিতে পারছেনা। হেফাজতে ইসলামের সামনে এখন দুটো বিকল্প খোলা আছে, প্রথমত তারা মাদ্রাসা ছেড়ে বিকল্প নেতৃত্বের আওতায় আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারে। অথবা, প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে গোপন সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করতে পারে। তবে দ্বিতীয় অপশনটি সম্ভবত চলমান বিশ্বপরিস্থিতির কারণে গ্রহণ করবেনা হেফাজতে ইসলাম।
তবে ভবিষ্যতই বলে দিবে কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয় হেফাজতে ইসলাম এবং ১৩দফারই বা ভবিষ্যত কি!
এদুটি বিকল্পের বাইরেও আল্লাহর সাহাজ্য বলে একটা ব্যাপার আছে, আমরা অপেক্ষায় আছি আল্লাহর সহায়তার।

৯মে২০১৩

Post Comment

No comments:

Post a Comment