facebook link
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সরকারের একটা ফাঁদ মাত্র। সরকার এই নির্বাচন নিরপেক্ষ করে নিজেদের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার কৌশল করেছে, তারা এই নির্বাচনে হেরে গিয়ে বড় কিছু পাওয়ার আশায় ছোট কিছু ছাড় দিয়েছে।
গত দুই দিন ধরে এই টাইপের ফেসবুকে স্টাটাস দেখে দেখে মনে হচ্ছে সিটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি জামায়াত মারাত্মক অন্যায় করে ফেলেছে, তাদের এই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া উচিত হয়নাই।
নির্বাচনে পরাজিত হয়ে যে কথা আওয়ামীলীগ বলার কথা, আঙুর ফল টক বলতে বলতে যে শেয়াল জিভের জ্বল ফেলেও আপসোস করতে করতে বিদায় হওয়ার কথা। সে কথাগুলো আমরাই বলে দিচ্ছি, তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছি, মুখ রক্ষার অস্ত্র।
আওয়ামীলীগ যে কতটা নিরপেক্ষ সিটি নির্বাচন উপহার দিয়েছে সেটা আমরা নির্বাচনের দিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দেখতে পেয়েছি। রাজশাহীতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা সাময়ীক ভাবে বন্ধ করে দেয়া হলো। বরিশালে পোলিং এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেয়া হলো। প্রিজাইডিং অফিসার অতিরিক্ত ব্যালট সরবরাহ করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা খেয়ে বহিস্কৃত হলো, এগুলো হচ্ছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃশ্য।
যেই কাজটি করা দরকার ছিলো আমাদের, সেটা আওয়ামী শিবির করে যাচ্ছে। তারা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের শোচনীয় পরাজয়ের কারণ উদ্ঘাটনের চেস্টা করছে, এটা নিয়ে স্টাটাসের পর স্টাটাস দিচ্ছে, কিভাবে জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া যাবে, জনগণ কেনো তাদের ভোট দেয়নাই, এই বিষয়গুলো তাদের লেখনীতি উঠে আসছে। আর আমরা অজ্ঞ-মূর্খের দল, পরে আছি, তত্ত্বাবধায় দিবে কি দিবেনা এই থিওরী কপচানোর জন্য।
তত্ত্বাবধায় কেউ সাধে দিবেনা, আদায় করে নিতে হবে। এই বিষয়টি আমাদের মাথায় যতদিন না ঢুকবে ততদিন পর্যন্ত মখা আলমগীররা মন্ত্রীর চেয়ারে বসে পুলিশকে গুলি করার কমান্ড দিয়েই যাবে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা।
এই মূহুর্তে আমাদের ফেসবুক আন্দোলন হওয়া উচিত, চারটি সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে জনগণ কেনো প্রত্যাক্ষাণ করেছে সে কারণগুলো বেশি বেশি করে হাইলাইট করে জনগণের কাছে স্পষ্ট করে তোলা, যাতে জাতীয় নির্বাচনেও জনতা একই বিষয় সামনে রেখে ভোটাধীকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পতনের কারণ হিসেবে আপাতত আমরা যে বিষয়গুলো গুলো হাইলাইট করবো সেগুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে বিশ্ববরেণ্য মুফাসসীরে কোরাণ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আদালতের অবিচার, এবং হেফাজতের সমাবেশে সরকারের নির্মম গণহত্যা। সরকারকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে, সবকিছু সহ্য করলেও ইসলাম ও আলেম ওলামাদের উপর নির্যাতন এদেশের মুসলমানরা মেনে নিবেনা। এবিষয়ে সাঈদী সাহেবের মামলার রায় ঘোষণা পরবর্তী বিশ্বব্যাপী যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃস্টি হয়েছিলো সেটাকেও আমরা সামনে নিয়ে আসতে পারি। জনতার স্বতস্ফূর্ত আন্দোলনের ফলে সরকার পতনের যে সমূহ সম্ভাবনা সৃস্টি হয়েছিলো সেটাও তুলে ধরতে হবে।
প্রতিটা স্টাটাস দেয়ার পূর্বে আমাদের অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে, আমরা সরকারের হাতে কোনো যুক্তি ভিত্তিক অস্ত্র তুলে দিচ্ছি নাতো!
১৭জুন২০১৩
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সরকারের একটা ফাঁদ মাত্র। সরকার এই নির্বাচন নিরপেক্ষ করে নিজেদের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার কৌশল করেছে, তারা এই নির্বাচনে হেরে গিয়ে বড় কিছু পাওয়ার আশায় ছোট কিছু ছাড় দিয়েছে।
গত দুই দিন ধরে এই টাইপের ফেসবুকে স্টাটাস দেখে দেখে মনে হচ্ছে সিটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি জামায়াত মারাত্মক অন্যায় করে ফেলেছে, তাদের এই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া উচিত হয়নাই।
নির্বাচনে পরাজিত হয়ে যে কথা আওয়ামীলীগ বলার কথা, আঙুর ফল টক বলতে বলতে যে শেয়াল জিভের জ্বল ফেলেও আপসোস করতে করতে বিদায় হওয়ার কথা। সে কথাগুলো আমরাই বলে দিচ্ছি, তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছি, মুখ রক্ষার অস্ত্র।
আওয়ামীলীগ যে কতটা নিরপেক্ষ সিটি নির্বাচন উপহার দিয়েছে সেটা আমরা নির্বাচনের দিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দেখতে পেয়েছি। রাজশাহীতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা সাময়ীক ভাবে বন্ধ করে দেয়া হলো। বরিশালে পোলিং এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেয়া হলো। প্রিজাইডিং অফিসার অতিরিক্ত ব্যালট সরবরাহ করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা খেয়ে বহিস্কৃত হলো, এগুলো হচ্ছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃশ্য।
যেই কাজটি করা দরকার ছিলো আমাদের, সেটা আওয়ামী শিবির করে যাচ্ছে। তারা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের শোচনীয় পরাজয়ের কারণ উদ্ঘাটনের চেস্টা করছে, এটা নিয়ে স্টাটাসের পর স্টাটাস দিচ্ছে, কিভাবে জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া যাবে, জনগণ কেনো তাদের ভোট দেয়নাই, এই বিষয়গুলো তাদের লেখনীতি উঠে আসছে। আর আমরা অজ্ঞ-মূর্খের দল, পরে আছি, তত্ত্বাবধায় দিবে কি দিবেনা এই থিওরী কপচানোর জন্য।
তত্ত্বাবধায় কেউ সাধে দিবেনা, আদায় করে নিতে হবে। এই বিষয়টি আমাদের মাথায় যতদিন না ঢুকবে ততদিন পর্যন্ত মখা আলমগীররা মন্ত্রীর চেয়ারে বসে পুলিশকে গুলি করার কমান্ড দিয়েই যাবে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা।
এই মূহুর্তে আমাদের ফেসবুক আন্দোলন হওয়া উচিত, চারটি সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে জনগণ কেনো প্রত্যাক্ষাণ করেছে সে কারণগুলো বেশি বেশি করে হাইলাইট করে জনগণের কাছে স্পষ্ট করে তোলা, যাতে জাতীয় নির্বাচনেও জনতা একই বিষয় সামনে রেখে ভোটাধীকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পতনের কারণ হিসেবে আপাতত আমরা যে বিষয়গুলো গুলো হাইলাইট করবো সেগুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে বিশ্ববরেণ্য মুফাসসীরে কোরাণ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আদালতের অবিচার, এবং হেফাজতের সমাবেশে সরকারের নির্মম গণহত্যা। সরকারকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে, সবকিছু সহ্য করলেও ইসলাম ও আলেম ওলামাদের উপর নির্যাতন এদেশের মুসলমানরা মেনে নিবেনা। এবিষয়ে সাঈদী সাহেবের মামলার রায় ঘোষণা পরবর্তী বিশ্বব্যাপী যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃস্টি হয়েছিলো সেটাকেও আমরা সামনে নিয়ে আসতে পারি। জনতার স্বতস্ফূর্ত আন্দোলনের ফলে সরকার পতনের যে সমূহ সম্ভাবনা সৃস্টি হয়েছিলো সেটাও তুলে ধরতে হবে।
প্রতিটা স্টাটাস দেয়ার পূর্বে আমাদের অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে, আমরা সরকারের হাতে কোনো যুক্তি ভিত্তিক অস্ত্র তুলে দিচ্ছি নাতো!
১৭জুন২০১৩
No comments:
Post a Comment