ব্যক্তিগতভাবে আমি তালেবানদের সমর্থন করিঃ
তালেবানদের উত্থান সম্পর্কে যতটুকু জানা যায় তা হচ্ছে, যুদ্ধবিদ্ধস্ত আফগানিস্থানে তখন মারাত্মক গোলোযোগ। অস্ত্র যার ক্ষমতা তার এই নীতিতেই চলছিলো আফগানিস্থান। হত্যা, ডাকাতি, ধর্শনের মতো জঘন্য ঘটনা ছিলো নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই মোল্লা ওমরের নেতৃত্বে একদল ইসলাম প্রেমিক মাদ্রাসা ছাত্র হাতে অস্ত্র তুলে নিলেন, আফগানিস্থানের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইসলামী বিপ্লবের কর্মকৌশল নির্ধারণ করলেন এবং দীর্ঘদিনের লড়াই সংগ্রাম করে প্রতিষ্ঠিত করলেন ইসলামী খিলাফত। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় অস্ত্রই ছিলো একমাত্র অবলম্বন!
আজ আফগানিস্থানে আমেরিকা আগ্রাসন চালিয়েছে, ড্রোন বিমান ব্যবহার করে নিরস্ত্র মানুষ হত্যা করছে, স্বাধীন দেশে বিদেশী সৈন্য অনুপ্রবেশ করেছে, অতএব আমেরিকার বিরুদ্ধে তালেবানদের এই যুদ্ধে আমার ১০০% সমর্থন রয়েছে।
আমি জামায়াতে ইসলামী এবং ইখওয়ানকে ভালোবাসিঃ
জামায়াত এবং ইখওয়ানুল মুসলিমুন দল দুইটি বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী যেখানে যেভাবে দরকার সেভাবেই ইসলামী বিপ্লবের বাস্তবসম্মত কর্মকৌশল তৈরী করেছে। বাংলাদেশ ভারত, পাকিস্থান এবং শ্রীলঙ্কার মতো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যেখানে বিদ্যমান সেখানে জনগণের সমর্থন নিয়েই ইসলামী বিপ্লবের কর্মকৌশল নির্ধারণ করেছে জামায়াত।
অন্যদিকে মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সেখানকার প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইসলামী বিপ্লবের আধুনিক কর্মকৌশল নির্ধারণ করেছে ইখওয়ান, যেখানে গণতান্ত্রিক উপায়ে জনগণের সমর্থন নিয়ে ইসলামকে রাস্ট্র ক্ষমতায় নেয়া সম্ভব সেখানে গণতান্ত্রিক কর্মকৌশল এবং যেখানে গণতন্ত্রের পাশাপাশি মুগুড়ের প্রয়োজন আছে সেখানে মুগুড়েরও ব্যবস্থা করেছেন, যেমন ফিলিস্তিনের হামাস! তবে কোথাও মধ্যপন্থাকে সম্পূর্ণরুপে পরিত্যাগ করে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়া হয়নাই।
আমি হিজবুত তাহরিরের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহানঃ
খিলাফত প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদেখিয়ে তরুণদের আকৃষ্ট করছে হিজবুত তাহরীর নামক সংগঠনটি। কিন্তু তাদের বেশ কিছু তৎপরতায় একটাই প্রশ্ন জাগে, তাদের আসল উদ্দেশ্য কি? খিলাফত নাকি সাম্রাজ্যবাদ? এই দলটি কি সাম্রাজ্যবাদীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে!!?
১। বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ এবং বিএনপি নামক দল দু'টি চলে ব্যবসায়ীদের দেয়া চাদার টাকায় এবং ক্ষমতায় গিয়ে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন রকমের অবৈধ সুবিধা দিয়ে সেই ঋণ শোধ করা হয়।
বাংলাদেশের সকল ইসলামী দলের সাংগঠনিক ব্যয় পরিচালিত হয় দলের কর্মী-শুভাকাংখীদের পকেটের টাকায়!
এদিক হতে জামায়াত কিছুটা এগিয়ে আছে, জামায়াতের রুকনদের মাসিক ইনকামের ৫% সংগঠনকে দিয়ে দিতে হয়।
আর হিজবুত তাহরীরের আর্থিক উৎস সন্ধান করতে হলে মান্না-সালওয়া পর্যন্ত যেতে হবে। কারণ তাদের কর্মীরা দলকে কোনো প্রকার মাসিক চাদা প্রদান করেনা! তাহলে তাদের এতো এতো ব্যয়বহুল প্রগ্রামের আর্থিক উৎস কি?
২। সাম্প্রতিক মিশরের ঘটনার দিকে দৃস্টিপাত করুন, সারাবিশ্বের মুসলিমরা একদিকে আর আল্লাহদ্রোহী-কাফেররা অন্যদিকে। সমগ্র মুসলিম জাতি মুহাম্মদ মুরসি ও ইখওয়ানের বিজয়ের জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুণছে। ঠিক সেই মুহূর্তে হিজবুত তাহরির লিপ্ত হয়েছে সমালোচনা মূলক মন্তব্য এবং লেখা প্রকাশে। ইখওয়ান এবং মুরসীর যাবতীয় ভুল-ত্রুটি নিয়ে তারা বিশ্ববাসীর নিকট হাজির হয়েছে। হিজবুতিদের বক্তব্য শুনলে মনে হবে, যা হয়েছে ভালো হয়েছে, মুরসি এবং ইখওয়ানের উচিৎ শিক্ষা হয়েছে।
৩। বাংলাদেশের জালিম আওয়ামি শাসনের নির্মম অত্যাচারে রাসূল প্রেমিক তৌহিদী জনতা হাপিয়ে উঠেছে। এমনকি অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম পর্যন্ত আওয়ামি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে, ৫টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তারা আওয়ামিদের বিরুদ্ধে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে হিজবুতিরা লেখা প্রকাশ করেছে, "নির্বাচনে আওয়ামিলীগ জিতলেই কি আর বিএনপি জিতলেই কি? এটা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নেই"। তারমানে তারা বর্তমান আওয়ামি সরকারের তৎপরতায় সন্তুষ্ট!!
৪। আগামী ২৪তারিখ বর্তমান আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের অবসান হবে, ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা অধীর হয়ে অপেক্ষা করছে কখন সেই মুক্তির সোনালী সূর্য উদয় হবে। হাজার হাজার আলেম ওলামা হত্যাকারী, শত শত মাদ্রাসা বন্ধ, সেনাবাহিনীতে মাদ্রাসা ছাত্র কমানো এবং কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধকারী, ইসলাম বিরোধী নারী নীতির উদ্ভাবক, সংবিধান হতে বিসমিল্লাহ মুছে দেয়া এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রাণপুরুষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসির রায় দেয়ার হোতা এই আওয়ামী সরকারের কখন পতন হবে?
ঠিক সেই মুহূর্তে হিজবুত তাহরির হাজির হয়েছে নতুন স্লোগান নিয়ে “নৌকা আর ধানের শীষ, দুই সাপেরই একই বিষ!” তারা জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন বর্জন করতে। তাদের মতে বিএনপি’র চাইতে আওয়ামিলীগ ভালো। আওয়ামিলীগকে উৎখাত করে ইসলামের কোনো লাভ নাই!
সর্বশেষ ইসলাম প্রিয় তৌহিদীর জনতার কাছে প্রশ্ন, হিজবুত তাহরির কি আদৌ কোনো ইসলামী সংগঠন! নাকি তারা ইসরাইল প্রদত্ত খিলাফতের দায়ীত্ব কঠোর আন্তরিকতার সাথে পালন করে যাচ্ছে? যেখানেই ইসলামী আন্দোলনের সফলতার সম্ভাবনা, সেখানেই প্রতিবন্ধকতা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে হিজবুত তাহরির, “খিলাফতে ইসরাইলিয়া হিজভুতিয়া”
১৯অক্টোবর২০১৩
তালেবানদের উত্থান সম্পর্কে যতটুকু জানা যায় তা হচ্ছে, যুদ্ধবিদ্ধস্ত আফগানিস্থানে তখন মারাত্মক গোলোযোগ। অস্ত্র যার ক্ষমতা তার এই নীতিতেই চলছিলো আফগানিস্থান। হত্যা, ডাকাতি, ধর্শনের মতো জঘন্য ঘটনা ছিলো নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই মোল্লা ওমরের নেতৃত্বে একদল ইসলাম প্রেমিক মাদ্রাসা ছাত্র হাতে অস্ত্র তুলে নিলেন, আফগানিস্থানের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইসলামী বিপ্লবের কর্মকৌশল নির্ধারণ করলেন এবং দীর্ঘদিনের লড়াই সংগ্রাম করে প্রতিষ্ঠিত করলেন ইসলামী খিলাফত। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় অস্ত্রই ছিলো একমাত্র অবলম্বন!
আজ আফগানিস্থানে আমেরিকা আগ্রাসন চালিয়েছে, ড্রোন বিমান ব্যবহার করে নিরস্ত্র মানুষ হত্যা করছে, স্বাধীন দেশে বিদেশী সৈন্য অনুপ্রবেশ করেছে, অতএব আমেরিকার বিরুদ্ধে তালেবানদের এই যুদ্ধে আমার ১০০% সমর্থন রয়েছে।
আমি জামায়াতে ইসলামী এবং ইখওয়ানকে ভালোবাসিঃ
জামায়াত এবং ইখওয়ানুল মুসলিমুন দল দুইটি বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী যেখানে যেভাবে দরকার সেভাবেই ইসলামী বিপ্লবের বাস্তবসম্মত কর্মকৌশল তৈরী করেছে। বাংলাদেশ ভারত, পাকিস্থান এবং শ্রীলঙ্কার মতো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যেখানে বিদ্যমান সেখানে জনগণের সমর্থন নিয়েই ইসলামী বিপ্লবের কর্মকৌশল নির্ধারণ করেছে জামায়াত।
অন্যদিকে মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সেখানকার প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইসলামী বিপ্লবের আধুনিক কর্মকৌশল নির্ধারণ করেছে ইখওয়ান, যেখানে গণতান্ত্রিক উপায়ে জনগণের সমর্থন নিয়ে ইসলামকে রাস্ট্র ক্ষমতায় নেয়া সম্ভব সেখানে গণতান্ত্রিক কর্মকৌশল এবং যেখানে গণতন্ত্রের পাশাপাশি মুগুড়ের প্রয়োজন আছে সেখানে মুগুড়েরও ব্যবস্থা করেছেন, যেমন ফিলিস্তিনের হামাস! তবে কোথাও মধ্যপন্থাকে সম্পূর্ণরুপে পরিত্যাগ করে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়া হয়নাই।
আমি হিজবুত তাহরিরের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহানঃ
খিলাফত প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদেখিয়ে তরুণদের আকৃষ্ট করছে হিজবুত তাহরীর নামক সংগঠনটি। কিন্তু তাদের বেশ কিছু তৎপরতায় একটাই প্রশ্ন জাগে, তাদের আসল উদ্দেশ্য কি? খিলাফত নাকি সাম্রাজ্যবাদ? এই দলটি কি সাম্রাজ্যবাদীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে!!?
১। বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ এবং বিএনপি নামক দল দু'টি চলে ব্যবসায়ীদের দেয়া চাদার টাকায় এবং ক্ষমতায় গিয়ে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন রকমের অবৈধ সুবিধা দিয়ে সেই ঋণ শোধ করা হয়।
বাংলাদেশের সকল ইসলামী দলের সাংগঠনিক ব্যয় পরিচালিত হয় দলের কর্মী-শুভাকাংখীদের পকেটের টাকায়!
এদিক হতে জামায়াত কিছুটা এগিয়ে আছে, জামায়াতের রুকনদের মাসিক ইনকামের ৫% সংগঠনকে দিয়ে দিতে হয়।
আর হিজবুত তাহরীরের আর্থিক উৎস সন্ধান করতে হলে মান্না-সালওয়া পর্যন্ত যেতে হবে। কারণ তাদের কর্মীরা দলকে কোনো প্রকার মাসিক চাদা প্রদান করেনা! তাহলে তাদের এতো এতো ব্যয়বহুল প্রগ্রামের আর্থিক উৎস কি?
২। সাম্প্রতিক মিশরের ঘটনার দিকে দৃস্টিপাত করুন, সারাবিশ্বের মুসলিমরা একদিকে আর আল্লাহদ্রোহী-কাফেররা অন্যদিকে। সমগ্র মুসলিম জাতি মুহাম্মদ মুরসি ও ইখওয়ানের বিজয়ের জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুণছে। ঠিক সেই মুহূর্তে হিজবুত তাহরির লিপ্ত হয়েছে সমালোচনা মূলক মন্তব্য এবং লেখা প্রকাশে। ইখওয়ান এবং মুরসীর যাবতীয় ভুল-ত্রুটি নিয়ে তারা বিশ্ববাসীর নিকট হাজির হয়েছে। হিজবুতিদের বক্তব্য শুনলে মনে হবে, যা হয়েছে ভালো হয়েছে, মুরসি এবং ইখওয়ানের উচিৎ শিক্ষা হয়েছে।
৩। বাংলাদেশের জালিম আওয়ামি শাসনের নির্মম অত্যাচারে রাসূল প্রেমিক তৌহিদী জনতা হাপিয়ে উঠেছে। এমনকি অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম পর্যন্ত আওয়ামি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে, ৫টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তারা আওয়ামিদের বিরুদ্ধে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে হিজবুতিরা লেখা প্রকাশ করেছে, "নির্বাচনে আওয়ামিলীগ জিতলেই কি আর বিএনপি জিতলেই কি? এটা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নেই"। তারমানে তারা বর্তমান আওয়ামি সরকারের তৎপরতায় সন্তুষ্ট!!
৪। আগামী ২৪তারিখ বর্তমান আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের অবসান হবে, ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা অধীর হয়ে অপেক্ষা করছে কখন সেই মুক্তির সোনালী সূর্য উদয় হবে। হাজার হাজার আলেম ওলামা হত্যাকারী, শত শত মাদ্রাসা বন্ধ, সেনাবাহিনীতে মাদ্রাসা ছাত্র কমানো এবং কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধকারী, ইসলাম বিরোধী নারী নীতির উদ্ভাবক, সংবিধান হতে বিসমিল্লাহ মুছে দেয়া এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রাণপুরুষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসির রায় দেয়ার হোতা এই আওয়ামী সরকারের কখন পতন হবে?
ঠিক সেই মুহূর্তে হিজবুত তাহরির হাজির হয়েছে নতুন স্লোগান নিয়ে “নৌকা আর ধানের শীষ, দুই সাপেরই একই বিষ!” তারা জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন বর্জন করতে। তাদের মতে বিএনপি’র চাইতে আওয়ামিলীগ ভালো। আওয়ামিলীগকে উৎখাত করে ইসলামের কোনো লাভ নাই!
সর্বশেষ ইসলাম প্রিয় তৌহিদীর জনতার কাছে প্রশ্ন, হিজবুত তাহরির কি আদৌ কোনো ইসলামী সংগঠন! নাকি তারা ইসরাইল প্রদত্ত খিলাফতের দায়ীত্ব কঠোর আন্তরিকতার সাথে পালন করে যাচ্ছে? যেখানেই ইসলামী আন্দোলনের সফলতার সম্ভাবনা, সেখানেই প্রতিবন্ধকতা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে হিজবুত তাহরির, “খিলাফতে ইসরাইলিয়া হিজভুতিয়া”
১৯অক্টোবর২০১৩
No comments:
Post a Comment