আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রতি আহ্বান।

পুলিশঃ
পুলিশ ভাইয়েরা, দলীয় সরকারের চাপের মুখে জামায়াত-শিবিরের উপর অনেক অত্যাচার নির্যাতন করেছেন, পঙ্গু করে দিয়েছেন অসংখ্য ভাইকে। শত শত মায়ের বুক খালি করেছেন, নিজের সন্তানকে একজোড়া নতুন জুতো কিনে দিতে গিয়ে, বাবা হারা করেছেন শত শত সন্তানকে। নিজ স্ত্রীকে নতুন শাড়ি কিনে দিতে গিয়ে, স্বামী হারা করেছেন শত শত নারীকে।
আমরা আপনাদের ক্ষমা করে দিতে পারি, কিন্তু ওই সন্তান হারা মা, স্বামী হারা বোন এবং বাবা হারা শিশুটি’র চোখের পানি আপনাদের ক্ষমা করবে?
ডেডলাইন পঁচিশে অক্টোবর, তওবা করে মুসলিম হওয়ার সুযোগ এখনো রয়ে গেছে, আগামী কাল আপনাদের ভূমিকাই প্রমান করবে আপনারা কি মুসলিম নাকি আওয়ামিলীগ।
জীবনে অন্ততপক্ষে একবার জামায়াত-শিবিরকে অনুরসরণ করুন। জামায়াত-শিবিরের ভাইয়েরা ঘর হতে বের হওয়ার আগে মনে মনে আত্মীয় স্বজনের কাছ হতে চিরবিদায়ের প্রস্তুতি নিয়ে বের হয়। আগামীকাল যদি আপনাদের স্বজনদের চোখে পানি দেখা যায়, তবে বুঝতে হবে সেটা আপনাদের কর্মফল ছিলো।

র‍্যাবঃ
একসময় জনগনের বন্ধু বর্তমান আওয়ামিলীগের ক্যাডার সংগঠন কিংবা রক্ষীবাহিনীর আধুনিক সংস্করণ। রক্ষিবাহিনীর পরিণতি ভুলে গেলে অপেক্ষায় থাকেন, পঁচিশ অক্টোবর আপনাদের ভূমিকাই আপনাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে, ইনশাআল্লাহ্‌।

বিজিবিঃ
আমরা জানি, দেশপ্রেমিক বিডিআরকে পিলখানায় কবর দিয়ে, ভারতীয় বিএসএফের জুতো পরিস্কারের জন্য আপনাদের সৃস্টি করা হয়েছে। সীমান্তের কাটাতাড়ে ফেলানীরা ঝুলছে, আর আপনারা “আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম” হয়ে লাশ সৎকারের দায়ীত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বীরত্ব প্রদর্শন করছেন নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের হত্যা করে।
মনে রাখবেন, আমরা হিজড়া বিজিবি নয়, বিডিআরকে ভালবাসি সীমান্তে তাদের অসামান্য অবদানের জন্য। আগামীকাল পঁচিশে অক্টোবর আপনাদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে, বাংলাদেশে বিজিবি থাকবে নাকি বাধ্যতামূলক অপসারণের পরে পুণরায় চালু হবে বিডিআর। বাংলাদেশের সীমান্তের নিরাপত্তায় আমরা আওয়ামিলীগ নয়, মুসলিম বাহিনী দেখতে চাই।

সেনাবাহিনীঃ
মনেপরে সেই দিনগুলো? লুঙ্গিপড়া, খালি পায়ের একদল সৈনিক মার্চ করে যাচ্ছে, “লেফট-রাইট, লেফট রাইট”, কিংবা আওয়ামিলীগের ছ্যাচড়া সন্ত্রাসীরা বিয়ের অনুষ্ঠান হতে অপহরণ করার চেস্টা করছে সেনা অফিসারের সুন্দরী স্ত্রীকে!
মনে পরে? অপহরনে বাধা দেয়ায় চাকরিচ্যুত হওয়া সেনাঅফিসারদের কথা! কিংবা পিলখানায় শায়ীত সিনিয়র সহকর্মীদের হাসিমাখা মুখের প্রতিচ্ছবি?
আপনারা ছিলেন বিলুপ্ত প্রজাতি, শেখমুজিব আপনাদের প্যান্ট কিনে দেয়ার প্রয়োজনবোধ করেনাই,
লুঙ্গিপড়ে, খালি পায়ে আপনারা পিটি-প্যারেড করতেন। আপনাদের জন্য উপহারের কামান আনা হলেও গোলা আনা হয়নাই। আপনারা ছিলেন নখদন্তহীন বাঘ! অন্যদিকে স্যুটেড ব্যুটেড রক্ষীবাহিনী আপনাদের চাইতেও অধিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করতো।
ইতিহাস ভুলে যাবেননা, যদি ভুলে যান, জনগণ সময়মতো ইতিহাসের শিক্ষা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবে ইনশাআল্লাহ্‌।

বিচারপতিঃ
রেনেসার গানটি মনে পরে গেলো, “বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, আজ জেগেছে সেই জনতা”

আওয়ামিলীগঃ
কোন পরিচয় আপনাদের কাছে প্রিয়, আওয়ামিলীগ নাকি মুসলিম? আপনাদের পরিবারের হাসি কান্না নির্ধারণ করবে আপনাদের পরিচয়।
দুঃসহ সেই পাচটি বছর আমরা ভুলি নাই, নির্ঘুম পালিয়ে বেড়ানো শীতের রাত গুলো আমরা ভুলিনাই। অসংখ্য পঙ্গু ভাই ছটফট করছে চোখের সম্মুখে, শহীদ পরিবারের আহাজারীতে আজো ভারী হয়ে আছে আকাশ বাতাস।
আপনাদের জন্য আমরা অধীর হয়ে অপেক্ষা করছি, হয় শাহাদাৎ নয়তো হুকুমত, এর বিকল্প আমাদের সামনে নেই।

২৪অক্টোবর২০১৩

Post Comment

No comments:

Post a Comment