facebook link
দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ের কথা। প্রচুর রুপকথার গল্প পড়তাম। দৈত্য-দানবের উদ্ভট সব গল্পে ভরপুর এক ফর্মার চিকন বইগুলো স্কুল থেকে ফেরার পথেই কিনে আনতাম।
দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ের কথা। প্রচুর রুপকথার গল্প পড়তাম। দৈত্য-দানবের উদ্ভট সব গল্পে ভরপুর এক ফর্মার চিকন বইগুলো স্কুল থেকে ফেরার পথেই কিনে আনতাম।
সেইসব রুপকথার গল্প পড়েই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমিও গল্প লিখবো। যেই ভাবা সেই কাজ, শুরু করে দিলাম লেখার কার্যক্রম।
কাঠ পেন্সিল হাতে নিয়ে গোটা গোটা অক্ষরে লিখলাম,
একদেশে ছিলো এক কাঠুরিয়া, কাঠুরিয়ার অনেক কষ্ট, সারাদিন সে বনের মধ্যে কাঠ কাটে। একদিন কাঠ কাটতে কাটতে ক্লান্ত হয়ে গেলো কাঠুরিয়া, বিশ্রাম নিচ্ছিলো একটি গাছের নিচে, আর ভাবছিলো নিজের ভবিষ্যত জীবনের কথা।
হঠাৎ কাঠুরিয়া দেখতে পেলো একটা পরী আকাশে উড়ে উড়ে যাচ্ছে, কাঠুরিয়াকেও পরীটি দেখতে পেলো।
পরী নেমে এলো মাঠিতে, জিজ্ঞাসা করলো, ও কাঠুরিয়া ভাই, তোমার মনে এতো দুখঃ কেনো?
কাঠুরিয়া জবাব দিলো, সারাদিন কাঠ কাটি, এই কাঠ বিক্রি করে যে টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চলেনা! তাই এতো দুখঃ।
পরী কাঠুরিয়ার হাতে ছোট একটা কৌটা দিয়ে বললো এই নাও। এটা দিয়েই তোমার সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে।
কাঠুরিয়া মনের আনন্দে সেই কৌটাটি হাতে নিয়ে বাড়িতে ফিরে এলো, বউকে বললো, বউ দেখো কি এনেছি। এটা দিয়েই আমাদের ভাগ্য ফিরে যাবে।
কাঠুরিয়া এবং তার বৌ কৌটাটির ঢাকনা খুললো, ঢাকনা খুলেই তারা হতাশ হলো। নাহ! কিছু নেই, সোনা গহনা কিচ্ছু নেই, শুধু একটা কাঠের ছোট বাক্স রয়েছে কৌটাটির মধ্যে।
হতাশ মনেই কাঠুরিয়া এবং তার বউ এবার কাঠের বাক্সটির ঢাকনা খুললো, ঢাকনা খুলেইতো তারা অবাক! একটা বিশাল লোহার সিন্দুক ছিলো সেই কাঠের বাক্সটির মধ্যে।
আনন্দে ঝলমল করে উঠলো কাঠুরিয়া এবং তার বৌয়ের মুখ! ঝটপট তারা সিন্দুকের ঢাকনা খুলে ফেললো।
সিন্দুক খুলতেই ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো একটা দৈত্য, বিশাল একটা দৈত্য!
দৈত্যকে দেখেতো কাঠুরিয়ার বৌ ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো, ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে কাঠুরিয়া বললো, আমরা গরীব মানুষ, আমাদের মেরোনা।
দৈত্য বললো, ভয় পাবেননা জাহাপনা, আপনি এখন এই দেশের বাদশা, আপনি যাই বলবেন আমি তাই করবো।
কাঠুরিয়া ভয়ে ভয়ে বললো, আমি বিশ্বাস করিনা। যদি আমাদের এই কুড়ে ঘড়কে বিশাল একটা রাজ প্রাসাদে পরিণত করতে পারো তবে বিশ্বাস করবো।
দৈত্য বললো, জো হুকুম জাহাপনা, চোখের পলকে একটা রাজপ্রসাদ তৈরী হয়ে গেলো।
এরপর কাঠুরিয়া এবং তার বৌ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো।
গল্পটি লিখেই খুশিতে আমিতো বাকবাকুম! ছুটে গেলাম আব্বার কাছে, আমি একটা গল্প লিখেছি।
আব্বা-মা দুজনেই খুব আগ্রহ নিয়ে গল্পটি পড়লেন।
আব্বা মুচকি হেসে বললেন, গল্পটা অনেক সুন্দর হইছে, কিন্তু ছোট কৌটার মধ্যে বিশাল সিন্দুক ঢুকলো কিভাবে?
মা ও দেখলাম মুচকি মুচকি হাসছেন।
আমিও চিন্তায় পড়ে গেলাম, ঠিকইতো! ছোট একটা কৌটার মধ্যে বিশাল একটা সিন্দুক কিভাবে ঢুকলো?!
২৭জানুয়ারী২০১৪
কাঠ পেন্সিল হাতে নিয়ে গোটা গোটা অক্ষরে লিখলাম,
একদেশে ছিলো এক কাঠুরিয়া, কাঠুরিয়ার অনেক কষ্ট, সারাদিন সে বনের মধ্যে কাঠ কাটে। একদিন কাঠ কাটতে কাটতে ক্লান্ত হয়ে গেলো কাঠুরিয়া, বিশ্রাম নিচ্ছিলো একটি গাছের নিচে, আর ভাবছিলো নিজের ভবিষ্যত জীবনের কথা।
হঠাৎ কাঠুরিয়া দেখতে পেলো একটা পরী আকাশে উড়ে উড়ে যাচ্ছে, কাঠুরিয়াকেও পরীটি দেখতে পেলো।
পরী নেমে এলো মাঠিতে, জিজ্ঞাসা করলো, ও কাঠুরিয়া ভাই, তোমার মনে এতো দুখঃ কেনো?
কাঠুরিয়া জবাব দিলো, সারাদিন কাঠ কাটি, এই কাঠ বিক্রি করে যে টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চলেনা! তাই এতো দুখঃ।
পরী কাঠুরিয়ার হাতে ছোট একটা কৌটা দিয়ে বললো এই নাও। এটা দিয়েই তোমার সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে।
কাঠুরিয়া মনের আনন্দে সেই কৌটাটি হাতে নিয়ে বাড়িতে ফিরে এলো, বউকে বললো, বউ দেখো কি এনেছি। এটা দিয়েই আমাদের ভাগ্য ফিরে যাবে।
কাঠুরিয়া এবং তার বৌ কৌটাটির ঢাকনা খুললো, ঢাকনা খুলেই তারা হতাশ হলো। নাহ! কিছু নেই, সোনা গহনা কিচ্ছু নেই, শুধু একটা কাঠের ছোট বাক্স রয়েছে কৌটাটির মধ্যে।
হতাশ মনেই কাঠুরিয়া এবং তার বউ এবার কাঠের বাক্সটির ঢাকনা খুললো, ঢাকনা খুলেইতো তারা অবাক! একটা বিশাল লোহার সিন্দুক ছিলো সেই কাঠের বাক্সটির মধ্যে।
আনন্দে ঝলমল করে উঠলো কাঠুরিয়া এবং তার বৌয়ের মুখ! ঝটপট তারা সিন্দুকের ঢাকনা খুলে ফেললো।
সিন্দুক খুলতেই ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো একটা দৈত্য, বিশাল একটা দৈত্য!
দৈত্যকে দেখেতো কাঠুরিয়ার বৌ ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো, ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে কাঠুরিয়া বললো, আমরা গরীব মানুষ, আমাদের মেরোনা।
দৈত্য বললো, ভয় পাবেননা জাহাপনা, আপনি এখন এই দেশের বাদশা, আপনি যাই বলবেন আমি তাই করবো।
কাঠুরিয়া ভয়ে ভয়ে বললো, আমি বিশ্বাস করিনা। যদি আমাদের এই কুড়ে ঘড়কে বিশাল একটা রাজ প্রাসাদে পরিণত করতে পারো তবে বিশ্বাস করবো।
দৈত্য বললো, জো হুকুম জাহাপনা, চোখের পলকে একটা রাজপ্রসাদ তৈরী হয়ে গেলো।
এরপর কাঠুরিয়া এবং তার বৌ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো।
গল্পটি লিখেই খুশিতে আমিতো বাকবাকুম! ছুটে গেলাম আব্বার কাছে, আমি একটা গল্প লিখেছি।
আব্বা-মা দুজনেই খুব আগ্রহ নিয়ে গল্পটি পড়লেন।
আব্বা মুচকি হেসে বললেন, গল্পটা অনেক সুন্দর হইছে, কিন্তু ছোট কৌটার মধ্যে বিশাল সিন্দুক ঢুকলো কিভাবে?
মা ও দেখলাম মুচকি মুচকি হাসছেন।
আমিও চিন্তায় পড়ে গেলাম, ঠিকইতো! ছোট একটা কৌটার মধ্যে বিশাল একটা সিন্দুক কিভাবে ঢুকলো?!
২৭জানুয়ারী২০১৪
No comments:
Post a Comment