অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন জামায়াত-শিবির গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে কেনো?
আসলে প্রশ্নটাতেই গলদ রয়ে গেছে। জামায়াত-শিবির গণতন্ত্রের জন্য রাজনীতি করেনা, ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করে। গণতন্ত্র হচ্ছে ইসলাম প্রতিষ্ঠার অনেকগুলো পদ্ধতীর মধ্যে একটি পদ্ধতি।
ইসলাম প্রতিষ্ঠার অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে, যেমনঃ
১। সশস্ত্র সংঘাতের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল
২। দুনিয়ার সকল মানুষকে দাওয়াত দিয়ে ভালো বানিয়ে ফেলবেন এবং এই ভালো মানুষরাই রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে
৩। গণতান্ত্রিক উপায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা।
এক নম্বর পদ্ধতির ত্রুটি হচ্ছে আমাদের তিনদিকে ভারত একদিকে বঙ্গোপসাগর, অস্ত্র দিয়ে যে ক্ষমতা দখল করবো সেই পরিমান অস্ত্র আমাদের হাতে নেই, তাছাড়া যুদ্ধকালীন যে পাশবর্তী রাষ্ট্র হতে অস্ত্র সংগ্রহ করবো সেটাও সম্ভব নয়। আপনি একটি বিষয়ে জেনে থাকবেন, বাংলাদেশই হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র মুসলিম দেশ যে দেশের সীমান্তে অন্য কোনো মুসলিম দেশ নেই।
সুতরাং অস্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চিন্তা হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এবং এটার কারণে যা হবে সেটা হচ্ছে ইসলামী আন্দোলন অঙ্কুরেই ধ্বংশ হয়ে যাবে যেমন হয়েছিলো জেএমবি। এবং অনৈসলামীক শক্তি জাসদ।
দ্বিতীয় পদ্ধতির ত্রুটি হচ্ছে, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নিয়ে তাদের যেটা কমন আইডিয়া সেটা হচ্ছে দেশের সব মানুষ ভালো হয়ে গেলে ইসলাম এমনিতেই রাষ্ট্রক্ষমতায় চলে আসবে।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় এই সংগঠনের অনুসারীরা কেউ নৌকা এবং কেউ ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে আসে। এবং এটাও সত্যযে দেশের ভালো মানুষগুলো রাজনীতি হতে দূরে সরে যাওয়ার কারণে শয়তানের অনুসারীরা ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে দেয়।
তৃতীয় যে পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে সেটা হচ্ছে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা চাইলেই প্রতিষ্টিত হবে একটি পরিপূর্ণ ইসলামীক রাষ্ট্র। এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন যাচাইয়ের জন্য ভোটের আয়োজন করা হবে। এই পদ্ধতিই হচ্ছে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত গণতান্ত্রিক পদ্ধতি।
বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত ইসলামীক সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেয়না।
এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, যে তিনটি পদ্ধতির কথা এখানে আলোচনা করা হয়েছে এর একটি পদ্ধতিও এককভাবে আল্লাহর রাসূল (সঃ) ফলো করেননাই। তার কর্মপদ্ধতি ছিলো এই তিনটা পদ্ধতিরই কম্বিনেশন, স্থান ও কাল বুঝে তিনি সেগুলো বাস্তবায়ন করেছিলেন।
১। তিনি দাওয়াতী কাজ করেছিলেন
২। পরামর্শ করেছিলেন (ভোটিং সিস্টেম) , ওহুদ যুদ্ধে রাসূল (সঃ) এর মতামত ছিলো শহরের ভেতরে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ করা কিন্তু অধিকাংশ সাহাবীর পরামর্শে তিনি মদিনার বাইরে মোকাবেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
৩। আল্লাহর রাসূল (সঃ) যুদ্ধ করেছিলেন
তারপরেও পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে, চলমান উপায় উপকরণকে সামনে রেখে, বিশ্বের অধিকাংশ ইসলামী সংগঠন এই পদ্ধতিগুলোর একটিকে বেছে নিয়েছে।
এবং এসকল ইসলামী সংগঠনগুলোর চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেহেতু অনৈসলামীক রাষ্ট্রে বসবাস করে পরিপূর্ণভাবে ইসলামীক নীতিমালা পালন করা সম্ভব নয়, সেহেতু রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারলে পরিপূর্ণ খিলাফত প্রতিষ্ঠিত করা হবে।
৭জানুয়ারী২০১৪
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন জামায়াত-শিবির গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে কেনো?
আসলে প্রশ্নটাতেই গলদ রয়ে গেছে। জামায়াত-শিবির গণতন্ত্রের জন্য রাজনীতি করেনা, ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করে। গণতন্ত্র হচ্ছে ইসলাম প্রতিষ্ঠার অনেকগুলো পদ্ধতীর মধ্যে একটি পদ্ধতি।
ইসলাম প্রতিষ্ঠার অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে, যেমনঃ
১। সশস্ত্র সংঘাতের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল
২। দুনিয়ার সকল মানুষকে দাওয়াত দিয়ে ভালো বানিয়ে ফেলবেন এবং এই ভালো মানুষরাই রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে
৩। গণতান্ত্রিক উপায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা।
এক নম্বর পদ্ধতির ত্রুটি হচ্ছে আমাদের তিনদিকে ভারত একদিকে বঙ্গোপসাগর, অস্ত্র দিয়ে যে ক্ষমতা দখল করবো সেই পরিমান অস্ত্র আমাদের হাতে নেই, তাছাড়া যুদ্ধকালীন যে পাশবর্তী রাষ্ট্র হতে অস্ত্র সংগ্রহ করবো সেটাও সম্ভব নয়। আপনি একটি বিষয়ে জেনে থাকবেন, বাংলাদেশই হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র মুসলিম দেশ যে দেশের সীমান্তে অন্য কোনো মুসলিম দেশ নেই।
সুতরাং অস্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চিন্তা হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এবং এটার কারণে যা হবে সেটা হচ্ছে ইসলামী আন্দোলন অঙ্কুরেই ধ্বংশ হয়ে যাবে যেমন হয়েছিলো জেএমবি। এবং অনৈসলামীক শক্তি জাসদ।
দ্বিতীয় পদ্ধতির ত্রুটি হচ্ছে, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নিয়ে তাদের যেটা কমন আইডিয়া সেটা হচ্ছে দেশের সব মানুষ ভালো হয়ে গেলে ইসলাম এমনিতেই রাষ্ট্রক্ষমতায় চলে আসবে।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় এই সংগঠনের অনুসারীরা কেউ নৌকা এবং কেউ ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে আসে। এবং এটাও সত্যযে দেশের ভালো মানুষগুলো রাজনীতি হতে দূরে সরে যাওয়ার কারণে শয়তানের অনুসারীরা ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে দেয়।
তৃতীয় যে পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে সেটা হচ্ছে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা চাইলেই প্রতিষ্টিত হবে একটি পরিপূর্ণ ইসলামীক রাষ্ট্র। এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন যাচাইয়ের জন্য ভোটের আয়োজন করা হবে। এই পদ্ধতিই হচ্ছে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত গণতান্ত্রিক পদ্ধতি।
বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত ইসলামীক সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেয়না।
এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, যে তিনটি পদ্ধতির কথা এখানে আলোচনা করা হয়েছে এর একটি পদ্ধতিও এককভাবে আল্লাহর রাসূল (সঃ) ফলো করেননাই। তার কর্মপদ্ধতি ছিলো এই তিনটা পদ্ধতিরই কম্বিনেশন, স্থান ও কাল বুঝে তিনি সেগুলো বাস্তবায়ন করেছিলেন।
১। তিনি দাওয়াতী কাজ করেছিলেন
২। পরামর্শ করেছিলেন (ভোটিং সিস্টেম) , ওহুদ যুদ্ধে রাসূল (সঃ) এর মতামত ছিলো শহরের ভেতরে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ করা কিন্তু অধিকাংশ সাহাবীর পরামর্শে তিনি মদিনার বাইরে মোকাবেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
৩। আল্লাহর রাসূল (সঃ) যুদ্ধ করেছিলেন
তারপরেও পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে, চলমান উপায় উপকরণকে সামনে রেখে, বিশ্বের অধিকাংশ ইসলামী সংগঠন এই পদ্ধতিগুলোর একটিকে বেছে নিয়েছে।
এবং এসকল ইসলামী সংগঠনগুলোর চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেহেতু অনৈসলামীক রাষ্ট্রে বসবাস করে পরিপূর্ণভাবে ইসলামীক নীতিমালা পালন করা সম্ভব নয়, সেহেতু রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারলে পরিপূর্ণ খিলাফত প্রতিষ্ঠিত করা হবে।
৭জানুয়ারী২০১৪
আসলে প্রশ্নটাতেই গলদ রয়ে গেছে। জামায়াত-শিবির গণতন্ত্রের জন্য রাজনীতি করেনা, ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করে। গণতন্ত্র হচ্ছে ইসলাম প্রতিষ্ঠার অনেকগুলো পদ্ধতীর মধ্যে একটি পদ্ধতি।
ইসলাম প্রতিষ্ঠার অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে, যেমনঃ
১। সশস্ত্র সংঘাতের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল
২। দুনিয়ার সকল মানুষকে দাওয়াত দিয়ে ভালো বানিয়ে ফেলবেন এবং এই ভালো মানুষরাই রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে
৩। গণতান্ত্রিক উপায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা।
এক নম্বর পদ্ধতির ত্রুটি হচ্ছে আমাদের তিনদিকে ভারত একদিকে বঙ্গোপসাগর, অস্ত্র দিয়ে যে ক্ষমতা দখল করবো সেই পরিমান অস্ত্র আমাদের হাতে নেই, তাছাড়া যুদ্ধকালীন যে পাশবর্তী রাষ্ট্র হতে অস্ত্র সংগ্রহ করবো সেটাও সম্ভব নয়। আপনি একটি বিষয়ে জেনে থাকবেন, বাংলাদেশই হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র মুসলিম দেশ যে দেশের সীমান্তে অন্য কোনো মুসলিম দেশ নেই।
সুতরাং অস্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চিন্তা হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এবং এটার কারণে যা হবে সেটা হচ্ছে ইসলামী আন্দোলন অঙ্কুরেই ধ্বংশ হয়ে যাবে যেমন হয়েছিলো জেএমবি। এবং অনৈসলামীক শক্তি জাসদ।
দ্বিতীয় পদ্ধতির ত্রুটি হচ্ছে, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নিয়ে তাদের যেটা কমন আইডিয়া সেটা হচ্ছে দেশের সব মানুষ ভালো হয়ে গেলে ইসলাম এমনিতেই রাষ্ট্রক্ষমতায় চলে আসবে।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় এই সংগঠনের অনুসারীরা কেউ নৌকা এবং কেউ ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে আসে। এবং এটাও সত্যযে দেশের ভালো মানুষগুলো রাজনীতি হতে দূরে সরে যাওয়ার কারণে শয়তানের অনুসারীরা ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে দেয়।
তৃতীয় যে পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে সেটা হচ্ছে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা চাইলেই প্রতিষ্টিত হবে একটি পরিপূর্ণ ইসলামীক রাষ্ট্র। এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন যাচাইয়ের জন্য ভোটের আয়োজন করা হবে। এই পদ্ধতিই হচ্ছে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত গণতান্ত্রিক পদ্ধতি।
বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত ইসলামীক সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেয়না।
এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, যে তিনটি পদ্ধতির কথা এখানে আলোচনা করা হয়েছে এর একটি পদ্ধতিও এককভাবে আল্লাহর রাসূল (সঃ) ফলো করেননাই। তার কর্মপদ্ধতি ছিলো এই তিনটা পদ্ধতিরই কম্বিনেশন, স্থান ও কাল বুঝে তিনি সেগুলো বাস্তবায়ন করেছিলেন।
১। তিনি দাওয়াতী কাজ করেছিলেন
২। পরামর্শ করেছিলেন (ভোটিং সিস্টেম) , ওহুদ যুদ্ধে রাসূল (সঃ) এর মতামত ছিলো শহরের ভেতরে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ করা কিন্তু অধিকাংশ সাহাবীর পরামর্শে তিনি মদিনার বাইরে মোকাবেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
৩। আল্লাহর রাসূল (সঃ) যুদ্ধ করেছিলেন
তারপরেও পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে, চলমান উপায় উপকরণকে সামনে রেখে, বিশ্বের অধিকাংশ ইসলামী সংগঠন এই পদ্ধতিগুলোর একটিকে বেছে নিয়েছে।
এবং এসকল ইসলামী সংগঠনগুলোর চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেহেতু অনৈসলামীক রাষ্ট্রে বসবাস করে পরিপূর্ণভাবে ইসলামীক নীতিমালা পালন করা সম্ভব নয়, সেহেতু রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারলে পরিপূর্ণ খিলাফত প্রতিষ্ঠিত করা হবে।
৭জানুয়ারী২০১৪
উহদ যুদ্ধের ভোটিং সিস্টেমে আপনি নেতা নির্বাচন করবেন? আশ্চর্য।
ReplyDeleteইসলামের প্রাথমিক সময়ে কোন নেতা বা খলিফা ভোটিং সিস্টেমে হইছে। আর আপনি যে ভোটিং সিস্টেমের উদাহরন দিছেন সে সম্পর্কে আপনার ধারনা আছে। সে সময় সবার থেকে যুদধের কৌশল সম্পর্কে শোনা হয় নি। যারা এক্সপার্ট ছিল তাদের মতামত নেওয়া হয়েছিল। আর সবার কথার সমান গুরুত্ব দেওয়া হয় নি। আপনার ভোটিং সিস্টেম কি সে রকম?