উস্তাভাজি এবং আব্দুল কাদের মোল্লার চিঠি

কান্না আটকে রাখতে পারলামনা! আজকের পর থেকে আমি সম্ভবত ডাল খেতে পারবোনা, উস্তাভাজী দেখলে চোখের সামনে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লা সাহেবের প্রিয় মুখটা ভেসে উঠবে।

রাজনীতি মানেই যেখানে বিপুল বিত্ত বৈভব, রাজনীতি মানেই যেখানে টাকা এবং সম্পদের পাহাড়, ঠিক সেইস্থানেই বাংলাদেশের সর্ববৃহত ইসলামী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার এই আর্থিক অবস্থা এবং ফাঁসির মঞ্চের সামনে দাড়িয়েও অবিচলভাবে ঈমানদীপ্ত কন্ঠে আল্লাহর উপর ভরসা করে জান্নাতের তীব্র আকাঙ্খাই প্রমাণ করে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন সঠিক এবং নির্ভেজালভাবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই নিবেদিত।

গোলাম মাওলা রণির লেখা হতে হুবুহ তুলে ধরা হলোঃ
“একদিন আমরা সকলে খাবার টেবিলে বসে দুপুরের খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সেবকরা তখন খাবার পরিবেশনের জন্য এঞ্জাম করছিল। এমন সময় কাদের মোল্লার সেবক এসে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের নিকট ছোট একটি চিঠি ধরিয়ে দিল। চিঠিটি পড়ার পর মামুনের মুখমণ্ডল ক্ষোভ, লজ্জা আর রাগে লাল হয়ে গেল। এরপর সে চিঠিটি মীর কাশেম আলীর হাতে দিল। কাশেম সাহেব চিঠিটি পড়ে কাঁদতে আরম্ভ করলেন। আমার হাতে যখন চিঠিটি এলো তখন দেখলাম কাদের মোল্লা লিখেছেন-
প্রিয় মামুন, সালাম। নিতান্ত বাধ্য হয়েই তোমার সেবক মতির বিরুদ্ধে তোমার নিকট নালিশ জানালাম। ইদানীং কোনো জানি আমার বেশি বেশি ডাল আর উস্তা ভাজি খেতে ইচ্ছে করে। আমার নিজের অর্থ দিয়ে এসব কিনে খাওয়া যে সম্ভব নয় তা তুমি জানো। তুমি আমার জন্য এ যাবৎ অনেক কিছু করেছ- আর তাই তোমার ওপর অজানা এক অধিকার জন্ম নিয়েছে। সেই অধিকার বলে আমার সেবককে বলেছিলাম চোখায় (রান্না ঘরে) যখন খাবার ভাগাভাগি হয়, তখন মামুনদের ভাগ থেকে একটু ডাল আর উস্তা ভাজি বেশি করে নিও আমার জন্য। কিন্তু তোমার সেবক আমাকে এই সুযোগ দেয়নি। জীবন-মৃত্যুর শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে এই অভাগা তার ছোট ভাইয়ের নিকট একটু ডাল আর উস্তা ভাজি চেয়ে যদি অন্যায় করে থাকি তবে মাফ করে দিয়ো। ইতি-
চিঠি পড়ে আমরা সবাই স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। মাহমুদুর রহমান সাহেব বললেন- কাল থেকে মোল্লা সাহেবের জন্য আলাদা ডাল আর উস্তা ভাজি রান্না হবে। সব বিল আমি দেব। মামুন ক্রোধে কাঁপছিল আর সেবককে শাসাচ্ছিল। আর অন্যরা এক ধরনের বিষন্নতার নষ্টালজিয়ায় ভুগতে লাগলাম”।
Photo: কান্না আটকে রাখতে পারলামনা! আজকের পর থেকে আমি সম্ভবত ডাল খেতে পারবোনা, উস্তাভাজী দেখলে চোখের সামনে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লা সাহেবের প্রিয় মুখটা ভেসে উঠবে। 

রাজনীতি মানেই যেখানে বিপুল বিত্ত বৈভব, রাজনীতি মানেই যেখানে টাকা এবং সম্পদের পাহাড়, ঠিক সেইস্থানেই বাংলাদেশের সর্ববৃহত ইসলামী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার এই আর্থিক অবস্থা এবং ফাঁসির মঞ্চের সামনে দাড়িয়েও অবিচলভাবে ঈমানদীপ্ত কন্ঠে আল্লাহর উপর ভরসা করে জান্নাতের তীব্র আকাঙ্খাই প্রমাণ করে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন সঠিক এবং নির্ভেজালভাবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই নিবেদিত।

গোলাম মাওলা রণির লেখা হতে হুবুহ তুলে ধরা হলোঃ
“একদিন আমরা সকলে খাবার টেবিলে বসে দুপুরের খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সেবকরা তখন খাবার পরিবেশনের জন্য এঞ্জাম করছিল। এমন সময় কাদের মোল্লার সেবক এসে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের নিকট ছোট একটি চিঠি ধরিয়ে দিল। চিঠিটি পড়ার পর মামুনের মুখমণ্ডল ক্ষোভ, লজ্জা আর রাগে লাল হয়ে গেল। এরপর সে চিঠিটি মীর কাশেম আলীর হাতে দিল। কাশেম সাহেব চিঠিটি পড়ে কাঁদতে আরম্ভ করলেন। আমার হাতে যখন চিঠিটি এলো তখন দেখলাম কাদের মোল্লা লিখেছেন-
প্রিয় মামুন, সালাম। নিতান্ত বাধ্য হয়েই তোমার সেবক মতির বিরুদ্ধে তোমার নিকট নালিশ জানালাম। ইদানীং কোনো জানি আমার বেশি বেশি ডাল আর উস্তা ভাজি খেতে ইচ্ছে করে। আমার নিজের অর্থ দিয়ে এসব কিনে খাওয়া যে সম্ভব নয় তা তুমি জানো। তুমি আমার জন্য এ যাবৎ অনেক কিছু করেছ- আর তাই তোমার ওপর অজানা এক অধিকার জন্ম নিয়েছে। সেই অধিকার বলে আমার সেবককে বলেছিলাম চোখায় (রান্না ঘরে) যখন খাবার ভাগাভাগি হয়, তখন মামুনদের ভাগ থেকে একটু ডাল আর উস্তা ভাজি বেশি করে নিও আমার জন্য। কিন্তু তোমার সেবক আমাকে এই সুযোগ দেয়নি। জীবন-মৃত্যুর শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে এই অভাগা তার ছোট ভাইয়ের নিকট একটু ডাল আর উস্তা ভাজি চেয়ে যদি অন্যায় করে থাকি তবে মাফ করে দিয়ো। ইতি-
চিঠি পড়ে আমরা সবাই স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। মাহমুদুর রহমান সাহেব বললেন- কাল থেকে মোল্লা সাহেবের জন্য আলাদা ডাল আর উস্তা ভাজি রান্না হবে। সব বিল আমি দেব। মামুন ক্রোধে কাঁপছিল আর সেবককে শাসাচ্ছিল। আর অন্যরা এক ধরনের বিষন্নতার নষ্টালজিয়ায় ভুগতে লাগলাম”।

১১ডিসেম্বর২০১৩

Post Comment

No comments:

Post a Comment