২০১১সালের এপ্রিল মাসের কথা, মুফতী আমিনীর ছোট ছেলে হাসনাতকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিলো সরকারের গুম বাহিনী। টানা দশ দিন ধরে তার উপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। অবশেষে মুফতি আমিনীর সেই ঐতিহাসিক দোয়া “আল্লাহ, আমার ছেলেকে যে গুম করেছে, তার ছেলেকেও তুমি গুম করে দাও”।
ফলাফল ছিলো অভাবনীয়, ২৪ঘন্টার মধ্যে মুফতি আমিনীর ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার আপিল বিভাগের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে, রায় যেকোনো সময়ে, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
সরকারের বর্তমান তৎপরতায় যেটা মনে হচ্ছে, রায় যাবজ্জীবনে নেমে আসবে। রায় যাই হোক, সেটা ফাঁসি বহাল কিংবা যাবজ্জীবন, কোনটাই মেনে নেয়া যাবেনা। আমাদের দাবী বেকসুর খালাস।
রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জামায়াতের পরিকল্পনা কি সেটা আমাদের জানা নেই, জানা সম্ভবওনা। তবে মুফতি আমিনীর দোয়া এবং তৎপরবর্তী ঘটনা হতে আমাদের শিক্ষা নেয়ার অনেক কিছুই রয়েছে।
জামায়াত চরমপন্থী নয়, আবার নরমপন্থীও নয়। মধ্যমপন্থী হওয়ার অনেক সুবিধা রয়েছে, জামায়াত সেটার সদ্বব্যহার করতে পারে।
আমি আবার রাজপথে লক্ষ লক্ষ জনতার প্রতিবাদি মিছিল চাইনা, আমি চাইনা রাজপথে নির্বিচারে আমাদের ভাইয়েরা শহীদ হয়ে যাক। শহীদের মর্যাদা অনেক, কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের সকল মুজাহীদরা শহীদ হয়ে গেলে, এদেশের উর্বর ভূমি চাষাবাদ করবে কারা?
এপরিস্থিতিতে আমি কুকুর বুঝে মুগুর প্রয়োগে বিশ্বাসী, হ্যা সরকারের গুম টিমের বিপরীতে আরেকটা গুম টিম এখন সময়ের দাবী।
রাজপথে মিছিল করে, পুলিশের গুলি খেয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা যাবেনা।
দুই চারটা মন্ত্রী-এম্পি কিংবা হাজার খানেক পুলিশ মরলে হাসিনার কিছুই হবেনা। আঘাতের বিপরীতে পাল্টা আঘাত হানতে হবে একেবারে পারিবারিক পর্যায়ে। সেটা আমেরিকাতে হোক কিংবা ঢাকাতেই হোক।
শেষ কথা, আমাদের হৃদয়ে যদি রক্তক্ষণ হয়, তবে শত্রুর হৃদয়েও রক্তপাত ঘটাতে হবে। সাঈদী সাহেবের যদি যাবজ্জীবন হয় তবে কেন্দ্রীয় পরিবারের কোনো সদস্য’র যাবজ্জীবন দিতে হবে। সাঈদী সাহেবকে যদি ফাঁসিতে ঝোলানো হয়, তবে একই সময়ে কেন্দ্রীয় পরিবারের কোন সদস্যর ফাঁসি কার্যকর করাতে হবে। এটাই হবে উত্তম প্রতিশোধ।
রাস্তায় রাস্তায় পুলিশের গুলি খেয়ে জীবন দেয়ার মাঝে কোনো কৃতিত্ব নেই।
লেখাঃ পুলিশের গুলি খেয়ে জীবন দেয়ার মাঝে কৃতিত্ব নেই।
©শামীম রেজা
১৯/০৪/২০১৪
No comments:
Post a Comment