পাশের নড়বড়ে ভবনটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে, সেখানে গড়ে উঠবে মাল্টিস্টোরড প্রাসাদ। সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রমাগত আঘাতে আঘাতে ভেঙে যাছে ভবনটির হৃদয়, এই এখানে, আমার ঘরে বসেও শুনতে পাচ্ছি ভবনটির তীব্র আর্তনাদ, ধ্রীম, ধ্রীম, ধ্রীম......, হাতুড়ির ক্রমাগত আঘাতে আঘাতে ভবনটি দূর্বল হয়ে যায়, অসহ্য যন্ত্রনায় চিৎকার করে কাঁদে।
আমি ভবনের চিৎকার শুনি, বুকের গভীর হতে উঠে আসা হাহাকার শুনি, শুনতে শুনতে একসময় অসহ্য মনে হয়, কান ঝালা-পালা হয়ে যায়, বিরক্ত হই। এই যন্ত্রনাকাতর নাগরীক জীবনে অন্যের কান্না শোনার সময় আমাদের কই?
আমি জানি এই চিৎকার এক সময় থেমে যাবে, নড়বড়ে ভাঙাচোড়া ভবনটি নতুন করে গড়ে উঠবে, বিপুল বিশাল দেহ নিয়ে গর্বিত ভঙ্গিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এই নগরীর বুকে। তীব্র জৌলুষে ভাসবে এ প্রাসাদ। ভাঙার মাঝেই ভবনের স্বার্থকতা, আগুনে পুড়ে যেমন সোনা খাঁটি হয়, ঠিক তেমনি ভাবেই প্রতিবার ভাঙনের মুখে পড়ে ভবন হয় আরো মজবুত, আরো সুন্দর।
আমরা মানুষ! প্রতিনিয়ত ভাঙি, ভেঙে ভেঙেই গড়ে উঠি নতুন করে। আল্লাহ আমাদের হৃদয় ভেঙে দেন, আমরা কাঁদি, চিৎকার করে কাঁদি, কাঁদতে কাঁদতেই একসময় আবিস্কার করি আমরা নতুন করে গড়ে উঠেছি, ঠিক ওই ভাঙা দালানের মতোই।
আমরা জানিনা কিসে আমাদের কল্যান, আর কিসে অকল্যাণ!
লেখাঃ জীবনের ভাঙা গড়া
© শামীম রেজা
১০/০৫/২০১৪
আমি ভবনের চিৎকার শুনি, বুকের গভীর হতে উঠে আসা হাহাকার শুনি, শুনতে শুনতে একসময় অসহ্য মনে হয়, কান ঝালা-পালা হয়ে যায়, বিরক্ত হই। এই যন্ত্রনাকাতর নাগরীক জীবনে অন্যের কান্না শোনার সময় আমাদের কই?
আমি জানি এই চিৎকার এক সময় থেমে যাবে, নড়বড়ে ভাঙাচোড়া ভবনটি নতুন করে গড়ে উঠবে, বিপুল বিশাল দেহ নিয়ে গর্বিত ভঙ্গিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এই নগরীর বুকে। তীব্র জৌলুষে ভাসবে এ প্রাসাদ। ভাঙার মাঝেই ভবনের স্বার্থকতা, আগুনে পুড়ে যেমন সোনা খাঁটি হয়, ঠিক তেমনি ভাবেই প্রতিবার ভাঙনের মুখে পড়ে ভবন হয় আরো মজবুত, আরো সুন্দর।
আমরা মানুষ! প্রতিনিয়ত ভাঙি, ভেঙে ভেঙেই গড়ে উঠি নতুন করে। আল্লাহ আমাদের হৃদয় ভেঙে দেন, আমরা কাঁদি, চিৎকার করে কাঁদি, কাঁদতে কাঁদতেই একসময় আবিস্কার করি আমরা নতুন করে গড়ে উঠেছি, ঠিক ওই ভাঙা দালানের মতোই।
আমরা জানিনা কিসে আমাদের কল্যান, আর কিসে অকল্যাণ!
লেখাঃ জীবনের ভাঙা গড়া
© শামীম রেজা
১০/০৫/২০১৪
No comments:
Post a Comment