একটা সময় ছিলো যখন রাস্তাঘাটে নর্তকী ও গায়িকারা নাচ-গান প্রদর্শন ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে বিনোদন যোগাতো আর (অ)মানুষরা তাদেরকে টাকা প্রদান করতো। যে নায়িকা-গায়িকা দর্শকদেরকে যত বেশি বিনোদন যোগাতে পারতো তার রেটও তত বেশি ছিলো।
এখন আমাদের দেশের (অ)ভদ্র পরিবারের মেয়েরাও নাচ-গান করে মানুষের মনোরঞ্জন করে টাকা উপার্জন করে। তাদেরকে সুন্দর একটা নাম দেয়া হয়েছে মিডিয়া স্টার। এবং এইসব মিডিয়া স্টার যখন মঞ্চে উঠে দর্শকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখে তখন তাদের বাবা-মায়ের উচ্ছাসিত প্রশংসা করে বলে “আমার এই পর্যায়ে আসার পেছনে সবচাইতে বেশি অবদান ছিলো আমার বাবা-মায়ের”, (কথার অন্তর্নিহিত বক্তব্য হচ্ছে, জাহান্নামে গেলে আমি একলা যাবোনা, ওই দুইটাকে সাথে করেই যাবো)
ছোট বেলাতে বিটিভিতে আলিফ লায়লা দেখতাম, বাগদাদ নগরীতে এক সুন্দরী নারী ছিলো, অসম্ভব রুপবতী সে নারী। নানান দেশের শাহজাদারা আসতো তার সাথে সময় কাটাতে। এক রাতের জন্য ওই নারীর চাহিদা ছিলো একলক্ষ স্বর্ণমূদ্রা।
বিভিন্ন দেশের শাহজাদারা রাজকোষ উজার করে তাকে টাকা দিতে দিতে একসময় পথের ফকিরে পরিণত হতো।
দিন এখন বদলেছে, দেশ আধুনিক হয়েছে, ডিজিটালের ছোয়া লেগেছে দেশের সর্বত্র। শায়েস্তা খানের এক টাকায় আট মণের চালের বস্তার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ষোল হাজার টাকায়। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে, দাম বাড়েনাই আলিফ লায়লার সেই সুন্দরী নায়িকার।
দ্রব্য মূল্যের এই দুর্মূল্যের বাজারে, এই আধুনিক যুগে নায়িকাদের সাথে সময় কাটাতে মিনিট প্রতি ব্যায় করতে হয় মাত্র ২টাকা!!
দেশের এতো এতো নায়িকা-গায়িকাদের এমন আর্থিক দূরবস্থা দেখে সত্যিই আমরা লজ্জ্বিত! আমাদের জাফর স্যাররা এখন আক্ষেপ করে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়, “আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?!”
প্রায় প্রতিদিনই অদ্ভুত সব নম্বর থেকে মোবাইলে কল আসে, কল রিসিভ হতেই অপর প্রান্ত হতে দেশের নামী-দামী গায়িকা-নায়িকা ঢঙ্গি কন্ঠে বলে ওঠে। “হেল্লো বন্ধুরা! আমি শয়তানের খালাতো বোন বলছি! আমার সাথে সরাসরি কথা বলতে চাইলে ডায়াল করো ******* নম্বরে! প্রতি মিনিট মাত্র ২টাকা”!
খাঁটি বাংলায় লিখতে জানিনা, তবে প্রশ্ন করতেই পারি, মোবাইল কোম্পানী গুলো কিসের দালালী শুরু করেছে? প্রতি মিনিট ২টাকার বিনিময়ে এদেশের তরুণ সমাজের কাছে এসব কি বিক্রি করা শুরু করেছে?
লেখাঃ দুই টাকায় নায়িকার সঙ্গ
© শামীম রেজা
০৯/০৫/২০১৪
এখন আমাদের দেশের (অ)ভদ্র পরিবারের মেয়েরাও নাচ-গান করে মানুষের মনোরঞ্জন করে টাকা উপার্জন করে। তাদেরকে সুন্দর একটা নাম দেয়া হয়েছে মিডিয়া স্টার। এবং এইসব মিডিয়া স্টার যখন মঞ্চে উঠে দর্শকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখে তখন তাদের বাবা-মায়ের উচ্ছাসিত প্রশংসা করে বলে “আমার এই পর্যায়ে আসার পেছনে সবচাইতে বেশি অবদান ছিলো আমার বাবা-মায়ের”, (কথার অন্তর্নিহিত বক্তব্য হচ্ছে, জাহান্নামে গেলে আমি একলা যাবোনা, ওই দুইটাকে সাথে করেই যাবো)
ছোট বেলাতে বিটিভিতে আলিফ লায়লা দেখতাম, বাগদাদ নগরীতে এক সুন্দরী নারী ছিলো, অসম্ভব রুপবতী সে নারী। নানান দেশের শাহজাদারা আসতো তার সাথে সময় কাটাতে। এক রাতের জন্য ওই নারীর চাহিদা ছিলো একলক্ষ স্বর্ণমূদ্রা।
বিভিন্ন দেশের শাহজাদারা রাজকোষ উজার করে তাকে টাকা দিতে দিতে একসময় পথের ফকিরে পরিণত হতো।
দিন এখন বদলেছে, দেশ আধুনিক হয়েছে, ডিজিটালের ছোয়া লেগেছে দেশের সর্বত্র। শায়েস্তা খানের এক টাকায় আট মণের চালের বস্তার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ষোল হাজার টাকায়। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে, দাম বাড়েনাই আলিফ লায়লার সেই সুন্দরী নায়িকার।
দ্রব্য মূল্যের এই দুর্মূল্যের বাজারে, এই আধুনিক যুগে নায়িকাদের সাথে সময় কাটাতে মিনিট প্রতি ব্যায় করতে হয় মাত্র ২টাকা!!
দেশের এতো এতো নায়িকা-গায়িকাদের এমন আর্থিক দূরবস্থা দেখে সত্যিই আমরা লজ্জ্বিত! আমাদের জাফর স্যাররা এখন আক্ষেপ করে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়, “আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?!”
প্রায় প্রতিদিনই অদ্ভুত সব নম্বর থেকে মোবাইলে কল আসে, কল রিসিভ হতেই অপর প্রান্ত হতে দেশের নামী-দামী গায়িকা-নায়িকা ঢঙ্গি কন্ঠে বলে ওঠে। “হেল্লো বন্ধুরা! আমি শয়তানের খালাতো বোন বলছি! আমার সাথে সরাসরি কথা বলতে চাইলে ডায়াল করো ******* নম্বরে! প্রতি মিনিট মাত্র ২টাকা”!
খাঁটি বাংলায় লিখতে জানিনা, তবে প্রশ্ন করতেই পারি, মোবাইল কোম্পানী গুলো কিসের দালালী শুরু করেছে? প্রতি মিনিট ২টাকার বিনিময়ে এদেশের তরুণ সমাজের কাছে এসব কি বিক্রি করা শুরু করেছে?
লেখাঃ দুই টাকায় নায়িকার সঙ্গ
© শামীম রেজা
০৯/০৫/২০১৪
No comments:
Post a Comment