সদ্য
মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় চলচিত্র গুন্ডে নিয়ে অনলাইনে ব্যাপক আলোচনা শুনলাম।
গুন্ডে নামক চলচিত্রে ভারত নাকি আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে ব্যাপক
গুন্ডামী করেছে। কথাটা শুনেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যাপকভাবে
ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, অনেক ইসলামিস্টও দেখলাম গুন্ডের ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে
ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
কি সেই ইতিহাস বিকৃতি, আসুন জেনে নেই,
“'১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১, শেষ হলো ভারত পাকিস্তানের তৃতীয় যুদ্ধ। প্রায় নব্বই হাজার পাকিস্তানী ফৌজ আত্মসমর্পণ করলো ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে সেদিন। এটা ছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আত্মসমর্পণ। এই যুদ্ধের ফলে জন্ম নিলো একটি নতুন দেশ বাংলাদেশ”।
এবার মূল আলোচনায় আসি, উপরে যে ইতিহাসকে বিকৃত ইতিহাস বলা হয়েছে, সেখানে কোন অংশটা বিকৃত? প্রথম লাইন, দ্বিতীয় লাইন নাকি তৃতীয় লাইন? আমরা যদি মনে মনে মনকলা খাই তবে কারো কিছু করার আছে?
হিন্দুদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ মুসলিমরা পৃথক আবাসভূমির জন্য ব্যাপক আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলে বৃটিশ শাসনাধীন ভারতবর্ষে। ফলশ্রুতিতে ১৯৪৭সালে নির্বাচনের মাধ্যমে মুসলিমদের জন্য পাকিস্থান নামক রাষ্ট্রের সূচনা করা হয়।
পাকিস্থান নামক মুসলিম রাষ্ট্রটি সৃষ্টির পর থেকেই ভারত নানা ভাবে চেস্টা করে যাচ্ছিলো এই রাষ্ট্রটিকে ভেঙে দূর্বল করে দেয়ার জন্য। ১৯৬৫সালের ভারত-পাকিস্থান যুদ্ধের সময়েই ভারত বুঝে গিয়েছিলো যে, পূর্ব-পশ্চিম দুই পাকিস্থানের ধাক্কায় ভারতের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যেতে পারে।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (RAW) কে স্পেশাল এ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হলো, যেভাবেই হোক পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্থানকে ভেঙে ফেলতে হবে। এবং শুধু মাত্র এই একটি উপায়েই ভারত নিজেকে নিরাপদ করতে পারে।
(RAW) তার এ্যাসাইনমেন্টে সফল হলো, ৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বর ভারতীয় জেনারেল জগৎ-সিং আরোরার কাছে আত্মসমর্পন করলো ৯০হাজার পাকিস্থানী সেনা। এখানে ইতিহাস বিকৃতির কি আছে?
পাকিস্থানী সেনারা কি জেনারেল ওসমানির কাছে আত্মসমর্পন করেছিলো?
আমরা যদি মনে করে থাকি ৯মাসের গেরিলা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি, তাহলে বুঝতে হবে, আমাদের মাথায় যথেস্ট পরিমান কমপোস্ট সার বিদ্যমান।
আমাদের কারো কারো কথায় মনে হচ্ছে, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমাদের বিজিবি ব্যাপক জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে পিলখানা সেনাহত্যা দিবস উদযাপন করবে। তারাও সেদিন সদম্ভে ঘোশণা দিবে, ভারতের ইন্ধন ছাড়াই আমারা বিডিআর ধ্বংশ করে বিজিবি প্রতিষ্ঠা করেছি।
সেদিন যদি কোনো ভারতীয় চলচিত্র পরিচালক নতুন কোনো চলচিত্র বানায়, যেখানে দেখানো হবে, কিভাবে ভারতীয় কমান্ডোরা পিলখানায় আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাদেরকে গুলি করে হত্যা করেছে। তাহলেই হইছে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনারা গর্জে উঠবে, ওই ব্যাটা মিথ্যুক! পিলখানা হত্যাকান্ডে তোদের কোনো হাত নেই, যা করেছি আমরাই করেছি।
১৭ফেব্রুয়ারী ২০১৪
কি সেই ইতিহাস বিকৃতি, আসুন জেনে নেই,
“'১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১, শেষ হলো ভারত পাকিস্তানের তৃতীয় যুদ্ধ। প্রায় নব্বই হাজার পাকিস্তানী ফৌজ আত্মসমর্পণ করলো ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে সেদিন। এটা ছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আত্মসমর্পণ। এই যুদ্ধের ফলে জন্ম নিলো একটি নতুন দেশ বাংলাদেশ”।
এবার মূল আলোচনায় আসি, উপরে যে ইতিহাসকে বিকৃত ইতিহাস বলা হয়েছে, সেখানে কোন অংশটা বিকৃত? প্রথম লাইন, দ্বিতীয় লাইন নাকি তৃতীয় লাইন? আমরা যদি মনে মনে মনকলা খাই তবে কারো কিছু করার আছে?
হিন্দুদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ মুসলিমরা পৃথক আবাসভূমির জন্য ব্যাপক আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলে বৃটিশ শাসনাধীন ভারতবর্ষে। ফলশ্রুতিতে ১৯৪৭সালে নির্বাচনের মাধ্যমে মুসলিমদের জন্য পাকিস্থান নামক রাষ্ট্রের সূচনা করা হয়।
পাকিস্থান নামক মুসলিম রাষ্ট্রটি সৃষ্টির পর থেকেই ভারত নানা ভাবে চেস্টা করে যাচ্ছিলো এই রাষ্ট্রটিকে ভেঙে দূর্বল করে দেয়ার জন্য। ১৯৬৫সালের ভারত-পাকিস্থান যুদ্ধের সময়েই ভারত বুঝে গিয়েছিলো যে, পূর্ব-পশ্চিম দুই পাকিস্থানের ধাক্কায় ভারতের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যেতে পারে।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (RAW) কে স্পেশাল এ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হলো, যেভাবেই হোক পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্থানকে ভেঙে ফেলতে হবে। এবং শুধু মাত্র এই একটি উপায়েই ভারত নিজেকে নিরাপদ করতে পারে।
(RAW) তার এ্যাসাইনমেন্টে সফল হলো, ৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বর ভারতীয় জেনারেল জগৎ-সিং আরোরার কাছে আত্মসমর্পন করলো ৯০হাজার পাকিস্থানী সেনা। এখানে ইতিহাস বিকৃতির কি আছে?
পাকিস্থানী সেনারা কি জেনারেল ওসমানির কাছে আত্মসমর্পন করেছিলো?
আমরা যদি মনে করে থাকি ৯মাসের গেরিলা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি, তাহলে বুঝতে হবে, আমাদের মাথায় যথেস্ট পরিমান কমপোস্ট সার বিদ্যমান।
আমাদের কারো কারো কথায় মনে হচ্ছে, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমাদের বিজিবি ব্যাপক জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে পিলখানা সেনাহত্যা দিবস উদযাপন করবে। তারাও সেদিন সদম্ভে ঘোশণা দিবে, ভারতের ইন্ধন ছাড়াই আমারা বিডিআর ধ্বংশ করে বিজিবি প্রতিষ্ঠা করেছি।
সেদিন যদি কোনো ভারতীয় চলচিত্র পরিচালক নতুন কোনো চলচিত্র বানায়, যেখানে দেখানো হবে, কিভাবে ভারতীয় কমান্ডোরা পিলখানায় আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাদেরকে গুলি করে হত্যা করেছে। তাহলেই হইছে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনারা গর্জে উঠবে, ওই ব্যাটা মিথ্যুক! পিলখানা হত্যাকান্ডে তোদের কোনো হাত নেই, যা করেছি আমরাই করেছি।
১৭ফেব্রুয়ারী ২০১৪
No comments:
Post a Comment