সিআইএ
দলিল অনুযায়ী ১৯৭১সালে ভারত যে সব শর্তে বাংলাদেশকে সামরিক সহায়তা প্রদান
করে তার মধ্যে অন্যতম একটি কারণ ছিলো “Frontier Guards will be disbanded”
(CIA Report SC 7941/71). অর্থাৎ বাংলাদেশের কোনো সীমান্তরক্ষী বাহিনী
থাকবেনা। দাদারা তাদের ইচ্ছেমতো বাংলাদেশের সম্পদ চুরি-ডাকাতি করে নিয়ে
যাবে, কিন্তু আমাদের সম্পদ পাহাড়া দেয়ার জন্য কেউ থাকতে পারবেনা, এটাই ছিলো
চুক্তির সারমর্ম।
কিন্তু হয়ে গেলো বিপরীতটা, ভারতীয় বিএসএফ’র চাইতেও শক্তিশালী বিডিআর বাহিনী গঠন করা হলো। সীমান্তের লড়াকু সৈনিক দেশপ্রেমিক বিডিআর এর হাতে বারবার নাস্তানাবুদ হচ্ছিলো বিএসএফ।
২০০১ সালের এপ্রিল মাসে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বাংলাদেশের ভূমি দখলের উদ্দেশ্যে রাতের আধারে হানা দেয় ভারতীয় বিএসএফ, অসম এই যুদ্ধ স্বল্প সংখ্যক বিডিআর সদস্য বীর-বিক্রমে শত্রুর মোকাবেলা করে। শোচনীয় ভাবে পরাজয় বরণ করে ভারত, ১৫০টি’র অধিক বিএসএফ এর লাশ ফেলেই লেজগুটিয়ে পালিয়ে যায় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে। এরও আগে পাদুয়ায় বাংলাদেশের ভূমি দখল করতে এসে পরাজিত হয় ভারত, সেই যুদ্ধে ভারতের ১৫জন বিএসএফ সদস্য নিহত হয়।
রৌমারির ঘটনার পরেই ভারতের ডিফেন্স মিনিষ্টার যশোবন্ত সিং ভারতের লোকসভায় বলেন, “এই ঘটনার বদলা নেয়া হবে”।
২০০৯সালের ২৫ফেব্রুয়ারী এলো সেই বিশেষ দিন, যে দিনটির জন্য ভারত এতোটা কাল অপেক্ষা করছিলো। ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো সম্পূর্ণ হয়ে গেলো। ২৪তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্য্যালয় থেকে জানিয়ে দেয়া হলো, তিনি পিলখানার নৈশভোজে যাচ্ছেননা। তারও সপ্তাহখানেক আগে তড়িঘড়ি করে সুধাসদন হতে তিনি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চলে গেলেন, কারণ সুধাসদন ছিলো পিলখানার ডেঞ্জার জোনের অন্তর্ভুক্ত। ২৫তারিখ সকাল বেলাতেই এনএসআই ডিজি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করলেন, পিলখানায় বিদ্রোহ হবে। প্রধানমন্ত্রী নিরব থাকেন। পরবর্তী খবর আমরা জানি, দেশের চৌকস সেনা অফিসারদেরকে হত্যা করার আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সেনা অভিযানের অনুমতি প্রদান করেননাই। রাতের আধারে পিলখানাতে হত্যা-ধর্শণের উৎসব করা হলো।
যারা এদেশের প্রতিরক্ষা সেক্টরের শ্রেষ্ট সন্তানদেরকে পরিকল্পিতভাবে পিলখানাতে ট্রান্সফার করে ভারতীয় হায়েনাদের হাতে তুলে দিলো। সম্পূর্ণ হত্যাযজ্ঞ এবং ভারতীয় কমান্ডোদের নিরাপদ এক্সিটের জন্য যারা সহায়তা করেছিলো, তারা হচ্ছেন, মির্জা আজম, ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আর সবার উপরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পিলখানা হত্যাযজ্ঞের উপর সেনাবাহিনী তদন্ত করে যে রিপোর্ট দিলো, প্রধানমন্ত্রী সেটাকে জনসম্মুখে প্রকাশ করার অনুমতি দিলেননা। যদিও অনলাইনে ফাঁস হয়ে যাওয়া দলিলপত্রের মাধ্যমে জনগনের বুঝতে বাকি নেই, কাদের ইন্ধনে জাতীর এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে হত্যা করা হয়েছিলো।
যে জাতি তার ইতিহাস সম্পর্কে গাফেল সে জাতি নৈতিকভাবেই পরাজিত জাতি। ২৫ফেব্রুয়ারী পিলখানা দিবস, প্রতিটা দেশপ্রেমিক বাংলাদেশি এই দিবসটিকে স্মরন করে গভীর শোক ও ভারাক্রান্ত হৃদয়ে। অথচ কি অদ্ভুত, প্রতি বছর ঘুরে ফিরে এই পিলখানা দিবসকে সামনে রেখেই আয়োজন করা হয়, ভারতীয় নর্তকীদের নাচ-গানের অনুষ্ঠানমালা।
২০১১সালের ২৪ফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতীয় অর্থে লালিত-পালিত এটিএন ইভেন্টস আয়োজন করে ট্রাইনেশন বিগ-শো। সেই অনুষ্ঠানে বলিউডের সুপারষ্টারদের আনা হয়েছিলো।
এবছরের ২৫ফেব্রুয়ারীও একই কাজ করা হলো, এশিয়া কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো রক্তাক্ত ২৫ফেব্রুয়ারী।
২৫ফেব্রুয়ারীর দিনটা নিঃসন্দেহে ভারতের জন্য আনন্দঘণ একটি দিবস। কারণ এই দিনটাতে তারা পাদুয়া এবং রৌমারির পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছিলো পেছনের দরজা দিয়ে। এই দিবসটি ভারতীয় রাজাকারদের জন্যও একটি আনন্দময় দিবস, কারণ তাদের সহযোগীতায় একটি সফল অভিযানের মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এইদিনে হত্যা করা হয়েছিলো। এই দিবসটিতে তারা কিছু মৌজমাস্তির আয়োজন করবে এটাই স্বাভাবিক।
তবে একটা কথা ভুলে গেলে চলবেনা, এদেশের তরুন প্রজন্ম অন্ধ নয়। একাত্তরের তরুণ এবং বর্তমান শতাব্দির তরুণদের মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান বিদ্যমান। একাত্তরের তরুণদের ধোঁকা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ক্রেডিট ছিনতাই করা সম্ভব হলেও, ভারতীয় নর্তকীদের কোমড়ের ভাজ দেখিয়ে, পিলখানার রক্তাক্ত ইতিহাস এদেশের তরুণদের হৃদয় হতে মুছে দেয়া অসম্ভব।
২৬ফেব্রুয়ারী২০১৪
কিন্তু হয়ে গেলো বিপরীতটা, ভারতীয় বিএসএফ’র চাইতেও শক্তিশালী বিডিআর বাহিনী গঠন করা হলো। সীমান্তের লড়াকু সৈনিক দেশপ্রেমিক বিডিআর এর হাতে বারবার নাস্তানাবুদ হচ্ছিলো বিএসএফ।
২০০১ সালের এপ্রিল মাসে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বাংলাদেশের ভূমি দখলের উদ্দেশ্যে রাতের আধারে হানা দেয় ভারতীয় বিএসএফ, অসম এই যুদ্ধ স্বল্প সংখ্যক বিডিআর সদস্য বীর-বিক্রমে শত্রুর মোকাবেলা করে। শোচনীয় ভাবে পরাজয় বরণ করে ভারত, ১৫০টি’র অধিক বিএসএফ এর লাশ ফেলেই লেজগুটিয়ে পালিয়ে যায় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে। এরও আগে পাদুয়ায় বাংলাদেশের ভূমি দখল করতে এসে পরাজিত হয় ভারত, সেই যুদ্ধে ভারতের ১৫জন বিএসএফ সদস্য নিহত হয়।
রৌমারির ঘটনার পরেই ভারতের ডিফেন্স মিনিষ্টার যশোবন্ত সিং ভারতের লোকসভায় বলেন, “এই ঘটনার বদলা নেয়া হবে”।
২০০৯সালের ২৫ফেব্রুয়ারী এলো সেই বিশেষ দিন, যে দিনটির জন্য ভারত এতোটা কাল অপেক্ষা করছিলো। ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো সম্পূর্ণ হয়ে গেলো। ২৪তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্য্যালয় থেকে জানিয়ে দেয়া হলো, তিনি পিলখানার নৈশভোজে যাচ্ছেননা। তারও সপ্তাহখানেক আগে তড়িঘড়ি করে সুধাসদন হতে তিনি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চলে গেলেন, কারণ সুধাসদন ছিলো পিলখানার ডেঞ্জার জোনের অন্তর্ভুক্ত। ২৫তারিখ সকাল বেলাতেই এনএসআই ডিজি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করলেন, পিলখানায় বিদ্রোহ হবে। প্রধানমন্ত্রী নিরব থাকেন। পরবর্তী খবর আমরা জানি, দেশের চৌকস সেনা অফিসারদেরকে হত্যা করার আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সেনা অভিযানের অনুমতি প্রদান করেননাই। রাতের আধারে পিলখানাতে হত্যা-ধর্শণের উৎসব করা হলো।
যারা এদেশের প্রতিরক্ষা সেক্টরের শ্রেষ্ট সন্তানদেরকে পরিকল্পিতভাবে পিলখানাতে ট্রান্সফার করে ভারতীয় হায়েনাদের হাতে তুলে দিলো। সম্পূর্ণ হত্যাযজ্ঞ এবং ভারতীয় কমান্ডোদের নিরাপদ এক্সিটের জন্য যারা সহায়তা করেছিলো, তারা হচ্ছেন, মির্জা আজম, ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আর সবার উপরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পিলখানা হত্যাযজ্ঞের উপর সেনাবাহিনী তদন্ত করে যে রিপোর্ট দিলো, প্রধানমন্ত্রী সেটাকে জনসম্মুখে প্রকাশ করার অনুমতি দিলেননা। যদিও অনলাইনে ফাঁস হয়ে যাওয়া দলিলপত্রের মাধ্যমে জনগনের বুঝতে বাকি নেই, কাদের ইন্ধনে জাতীর এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে হত্যা করা হয়েছিলো।
যে জাতি তার ইতিহাস সম্পর্কে গাফেল সে জাতি নৈতিকভাবেই পরাজিত জাতি। ২৫ফেব্রুয়ারী পিলখানা দিবস, প্রতিটা দেশপ্রেমিক বাংলাদেশি এই দিবসটিকে স্মরন করে গভীর শোক ও ভারাক্রান্ত হৃদয়ে। অথচ কি অদ্ভুত, প্রতি বছর ঘুরে ফিরে এই পিলখানা দিবসকে সামনে রেখেই আয়োজন করা হয়, ভারতীয় নর্তকীদের নাচ-গানের অনুষ্ঠানমালা।
২০১১সালের ২৪ফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতীয় অর্থে লালিত-পালিত এটিএন ইভেন্টস আয়োজন করে ট্রাইনেশন বিগ-শো। সেই অনুষ্ঠানে বলিউডের সুপারষ্টারদের আনা হয়েছিলো।
এবছরের ২৫ফেব্রুয়ারীও একই কাজ করা হলো, এশিয়া কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো রক্তাক্ত ২৫ফেব্রুয়ারী।
২৫ফেব্রুয়ারীর দিনটা নিঃসন্দেহে ভারতের জন্য আনন্দঘণ একটি দিবস। কারণ এই দিনটাতে তারা পাদুয়া এবং রৌমারির পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছিলো পেছনের দরজা দিয়ে। এই দিবসটি ভারতীয় রাজাকারদের জন্যও একটি আনন্দময় দিবস, কারণ তাদের সহযোগীতায় একটি সফল অভিযানের মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এইদিনে হত্যা করা হয়েছিলো। এই দিবসটিতে তারা কিছু মৌজমাস্তির আয়োজন করবে এটাই স্বাভাবিক।
তবে একটা কথা ভুলে গেলে চলবেনা, এদেশের তরুন প্রজন্ম অন্ধ নয়। একাত্তরের তরুণ এবং বর্তমান শতাব্দির তরুণদের মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান বিদ্যমান। একাত্তরের তরুণদের ধোঁকা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ক্রেডিট ছিনতাই করা সম্ভব হলেও, ভারতীয় নর্তকীদের কোমড়ের ভাজ দেখিয়ে, পিলখানার রক্তাক্ত ইতিহাস এদেশের তরুণদের হৃদয় হতে মুছে দেয়া অসম্ভব।
২৬ফেব্রুয়ারী২০১৪
No comments:
Post a Comment