চায়ের দোকানে বসে ছিলাম, তাবলীগের কয়েকজন দ্বায়ী এসে সালাম দিলো। সালামের জবাব দেয়ার পরেই শুরু হলো বয়ান, দারুণ সব কথা বলছিলো।
ভাই, “আল্লাহ আমাদের দীর্ঘদিন মায়ের পেটের মধ্যে রেখেছিলো, তারপরে আমাদের পাঠিয়ে দিলো দুনিয়ার পেটে, একদিন আমরা চলে যাবো কবরের পেটে। এই দুনিয়াতে আল্লাহ আমাদের জন্য অনেক কিছু রেখেছেন পরীক্ষা করার জন্য। আমরা যদি এই পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হতে পারি, তবে আমরা পাবো জান্নাত, আর যদি উত্তীর্ণ হতে না পারি তবে চিরস্থায়ী জাহান্নাম।
আমাদের মনের মধ্যে একটি স্থান রয়েছে সেখানে আল্লাহকে রাখতে হবে, যদি আল্লাহকে সেখানে রাখি তবে আমরা কামিয়াব হবো, আর সেখানে আল্লাহর পরিবর্তে অন্য যাকেই রাখবো সে একদিন মনে আঘাত দিবে। আপনি যদি আজকে একজন মানুষকে ভালোবাসেন একদিন দেখবেন সে আপনাকে আঘাত দিয়েছে, কিন্তু আপনি যদি আল্লাহকে ভালোবাসেন তবে আল্লাহ কখনো আপনার মনে আঘাত দিবেনা, আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসবে”।
দারুণ সব কথা বলছিলো তাবলীগের ভাইটা, প্রাণটা জুড়িয়ে যাচ্ছিলো তার বয়ান শুনে। মনে কিছুটা পরিবর্তন চলে আসলো। নাহ! তাবলীগ জিনিসটা খারাপনা, জামায়াত শিবির যেসব আওয়ামী ধর্মের অনুসারীদেরকে দাওয়াত দিতে পারছেনা, তাদের দ্বীনি শিক্ষার জন্য তাবলীগের প্রয়োজন রয়েছে।
তবলীগের সেই ভাইটি চলে গেলেন, তার বক্তব্যের রেশ তখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনাই। আমার পাশেই এক তাবলীগের মুরব্বি বসা ছিলেন, ইয়া লম্বা লম্বা দাড়ি, পরনে জুব্বা, মাথায় পাগরী। তিনি তার বন্ধুর সাথে কথা বলছিলেন, হঠাৎ করেই আলোচনায় সংবিধান হতে বিসমিল্লাহ প্রত্যাহারের কথা উঠলো। কান সোজা করে তাদের আলোচনা শুনছিলাম। কথার এক পর্যায়ে তাবলীগের সেই মুরব্বি বলে উঠলেন, সংবিধান হচ্ছে খারাপ জিনিস, এই সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকবে কেনো? সরকার সংবিধান হতে বিসমিল্লাহ তুলে দিয়েছে ভালোই করেছে!!
ভাবছিলাম বাংলাদেশ এবং বিশ্বের বিরাট একটা অংশ এই তাবলীগের সাথে জড়িত, এই বিপুল বিশাল সংখ্যক মুসলমান যদি সত্যিকার মুসলমান হয় এবং রাষ্ট্রব্যবস্থায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার ঘোশণা দেয় তবে কার সাধ্য আছে সেটা প্রতিরোধ করে। প্রশাসনের এমন কোনো লেভেল নাই যেখানে তাবলীগ নেই।
অথচ এই তাবলীগের ভাইটি কত নির্লজ্বভাবে সেক্যুলার সরকারের ইসলাম বিরোধী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালো।
তাবলীগের ভাইদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনারা ফাজায়েল আমল এর খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসুন, কোরআন পড়ুন, হাদিস পড়ুন ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জন করুন।
২৭ফেব্রুয়ারী ২০১৪
ভাই, “আল্লাহ আমাদের দীর্ঘদিন মায়ের পেটের মধ্যে রেখেছিলো, তারপরে আমাদের পাঠিয়ে দিলো দুনিয়ার পেটে, একদিন আমরা চলে যাবো কবরের পেটে। এই দুনিয়াতে আল্লাহ আমাদের জন্য অনেক কিছু রেখেছেন পরীক্ষা করার জন্য। আমরা যদি এই পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হতে পারি, তবে আমরা পাবো জান্নাত, আর যদি উত্তীর্ণ হতে না পারি তবে চিরস্থায়ী জাহান্নাম।
আমাদের মনের মধ্যে একটি স্থান রয়েছে সেখানে আল্লাহকে রাখতে হবে, যদি আল্লাহকে সেখানে রাখি তবে আমরা কামিয়াব হবো, আর সেখানে আল্লাহর পরিবর্তে অন্য যাকেই রাখবো সে একদিন মনে আঘাত দিবে। আপনি যদি আজকে একজন মানুষকে ভালোবাসেন একদিন দেখবেন সে আপনাকে আঘাত দিয়েছে, কিন্তু আপনি যদি আল্লাহকে ভালোবাসেন তবে আল্লাহ কখনো আপনার মনে আঘাত দিবেনা, আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসবে”।
দারুণ সব কথা বলছিলো তাবলীগের ভাইটা, প্রাণটা জুড়িয়ে যাচ্ছিলো তার বয়ান শুনে। মনে কিছুটা পরিবর্তন চলে আসলো। নাহ! তাবলীগ জিনিসটা খারাপনা, জামায়াত শিবির যেসব আওয়ামী ধর্মের অনুসারীদেরকে দাওয়াত দিতে পারছেনা, তাদের দ্বীনি শিক্ষার জন্য তাবলীগের প্রয়োজন রয়েছে।
তবলীগের সেই ভাইটি চলে গেলেন, তার বক্তব্যের রেশ তখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনাই। আমার পাশেই এক তাবলীগের মুরব্বি বসা ছিলেন, ইয়া লম্বা লম্বা দাড়ি, পরনে জুব্বা, মাথায় পাগরী। তিনি তার বন্ধুর সাথে কথা বলছিলেন, হঠাৎ করেই আলোচনায় সংবিধান হতে বিসমিল্লাহ প্রত্যাহারের কথা উঠলো। কান সোজা করে তাদের আলোচনা শুনছিলাম। কথার এক পর্যায়ে তাবলীগের সেই মুরব্বি বলে উঠলেন, সংবিধান হচ্ছে খারাপ জিনিস, এই সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকবে কেনো? সরকার সংবিধান হতে বিসমিল্লাহ তুলে দিয়েছে ভালোই করেছে!!
ভাবছিলাম বাংলাদেশ এবং বিশ্বের বিরাট একটা অংশ এই তাবলীগের সাথে জড়িত, এই বিপুল বিশাল সংখ্যক মুসলমান যদি সত্যিকার মুসলমান হয় এবং রাষ্ট্রব্যবস্থায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার ঘোশণা দেয় তবে কার সাধ্য আছে সেটা প্রতিরোধ করে। প্রশাসনের এমন কোনো লেভেল নাই যেখানে তাবলীগ নেই।
অথচ এই তাবলীগের ভাইটি কত নির্লজ্বভাবে সেক্যুলার সরকারের ইসলাম বিরোধী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালো।
তাবলীগের ভাইদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনারা ফাজায়েল আমল এর খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসুন, কোরআন পড়ুন, হাদিস পড়ুন ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জন করুন।
২৭ফেব্রুয়ারী ২০১৪
No comments:
Post a Comment