facebook link
রাজনৈতিক দল এবং গোয়েন্দা সংস্থার কাজের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, রাজনৈতিক দল সমূহ যে কোনো ঘটনা ঘটার পরে প্রতিক্রিয়া দেখায়, অন্য দিকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঘটনা ঘটার প্রেক্ষাপট তৈরী করে সেটার ব্যাপারে পাবলিসিটি করে।
রাজনৈতিক দল এবং গোয়েন্দা সংস্থার কাজের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, রাজনৈতিক দল সমূহ যে কোনো ঘটনা ঘটার পরে প্রতিক্রিয়া দেখায়, অন্য দিকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঘটনা ঘটার প্রেক্ষাপট তৈরী করে সেটার ব্যাপারে পাবলিসিটি করে।
বাংলাদেশে চিহ্নিত ‘র’ এবং ‘মোসাদ’ এজেন্ট শাহরিয়ার কবির তার নির্মিত আল্টিমেট জিহাদ নামক মুভি নিয়ে সারাবিশ্বে ব্যাপক দৌড়ঝাপ করেছিলেন। উদ্দেশ্যছিলো বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব প্রমাণ করা, আলকায়েদার সাথে জামায়াতের জঙ্গিকানেকশন প্রমান করা।
শাহরিয়ার কবির যখন সারাবিশ্বে তার আল্টিমেট জিহাদের প্রচারণা নিয়ে দৌড়ঝাপ করছেন ঠিক সেই মূহুর্তেই বাংলাদেশে সরকারের পুলিশ বাহিনী কতৃক জামায়াত-শিবিরের উপর চলছিলো স্মরণকালের নির্মমতম গণহত্যা।
তাদের উদ্দেশ্য ছিলো, এই গণহত্যার বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবির রুখে দাঁড়াবে, অস্ত্রহাতে তুলে নিবে। আর এই সুযোগটিকেই লুফে নিবে শাহরিয়ার কবির গং। জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে নেপথ্য থেকে প্রচারিত হবে আইমান আল জাওয়াহিরীর অডিও বার্তা! ব্যাস কাজ হয়ে যাবে, আলকায়েদার সাথে জামায়াতের সম্পর্কটা প্রমাণীত হয়ে যাবে।
সব কিছু ঠিক-ঠাক মতোই চলছিলো, জাওয়াহিরীর নামে ভুয়া অডিও বার্তা তৈরী করা হলো, বিশ্বব্যাপী জঙ্গীবাদ বিরোধী ডকুমেন্টারী “আল্টিমেট জিহাদের” প্রচারণা চালানো হলো। তারও আগে বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে পুস্তিকা পাঠানো হলো, সেই সব পুস্তিকার পাতায় পাতায় বর্ণনা করা হলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের করুণ বিবরণ, হিংস্র জঙ্গিবাদের অস্তিত্বের বিবরণ। অন্যদিকে অনলাইন কেন্দ্রীক জামায়াত-শিবির কর্মীদের মটিভেট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে উত্থান ঘটানো হলো কম্বল জিহাদীদের।
হঠাৎ করেই এই কম্বলীদের উত্থান! এরা কারা, কি এদের উদ্দেশ্য সে সম্পর্কে এরা নিজেরাই ভালো করে জানেনা। পেছন থেকে এই কম্বলীদের কলকাঠি নাড়ছে ঐ ‘র-মোসাদের’ এজেন্টরাই। বিশ্বব্যাপী ইসলামী আন্দোলনকে ধ্বংস করতে তারা এভাবেই কাজ করে।
কিন্তু হিসেব এতো সহজে মিললোনা। রাজনীতিতে অভিজ্ঞ কৌশলী জামায়াত শিবির অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার পরিবর্তে বুদ্ধিবৃত্তিক কৌশল গ্রহণ করলো। সারাবিশ্বের কাছে অডিও-ভিজ্যুয়াল পদ্ধতীতে দেখানো হলো, কিভাবে বাংলাদেশে বিরোধী মতকে দমন করা হচ্ছে! তৈরী করা হলো গণহত্যা বিরোধী বিশ্বজনমত। হোচট খেলো ‘র’-‘মোসাদের’ এজেন্টরা। কিন্তু তারা থেমে থাকেনি, একের পরে এক পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হয়েছে বার বার।
র-মোসাদের সর্বশেষ পরিকল্পনাও ব্যার্থ হওয়ার পথে। তিনমাস পূর্বে তৈরী করা আইমান আল জাওয়াহিরীর ভূয়া অডিও বার্তা ফ্লপ খাওয়ার পরেও তারা থেমে থাকেনি, ব্যার্থ পরিকল্পনাকে সামনে নিয়েই একের পর এক নাটকের জন্ম দিচ্ছে।
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম জাওয়াহিরীর অডিও বার্তাতে আতঙ্ক প্রকাশ করে সম্পাদকীয় লিখলেন, এবং একই সাথে প্রথম আলোতে কলাম লেখা হলো, “জঙ্গিবাদ দমনই বাংলাদেশের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ”। অর্থাৎ বাংলাদেশের হাট-বাজার সর্বত্র জঙ্গীতে ভরপুর, উঠতে বসতে জঙ্গিরা শুধু বোমা মারে!
২২ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশে র-মোসাদের এজেন্টদের একটি সেমিনার হয়ে গেলো রেডিসন হোটেলে, বিষয় সেই একই “জঙ্গিবাদের হুমকি প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ”।
প্রচার-প্রচারণা চালিয়েই এইসব গোয়েন্দা এজেন্টরা থেমে থাকেনি, এবার কাহিনীকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য মঞ্চস্থ করা হলো জঙ্গি নাটক। নাটকের নাম “পুলিশ হত্যা করে আসামি ছিনতাই”।
এটাই শেষ নাটক নয়, নাটকের শুরু মাত্র। অচিরেই হয়তো পুলিশের সহায়তায় দেশের বেশ কিছু সেন্সেটিভ এড়িয়াতে বোমা হামলা হবে। আনসারুল্লাহ’র সদস্যরা বেশ কয়েকজন নাস্তিককে কুপিয়ে হত্যা করবে। অনলাইনের কম্বলিরা মারহাবা-মারহাবা বলে স্লোগান দিবে।
সর্বশেষ কম্বলিদের দমন করতে ভারত হতে সেনাবাহিনী আসবে। কম্বলিরা তখন হাতে তালি দিয়ে বলবে আমরা সফল হয়েছি, গজওয়ায়ে হিন্দ শুরু করে দিয়েছি, এখন শুধু বিজয়ের অপেক্ষা মাত্র।
২৩ফেব্রুয়ারী২০১৪
No comments:
Post a Comment