ঘরে
অসুস্থ মা, খাবার নেই ঔষধ নেই, মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকা মাকে
বিছানায় ফেলে রেখে ছেলেরা সবাই মিলে বহু টাকা খরচ করে সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া
করলো। এবার শুরু হলো ভালোবাসা সংগীত! “মাগো আমার আগে যেওনাকো চলে” “মায়ের
এক ফোটা দুধের দাম, কাটিয়া গায়েরো ছাম!”
দেশের মানুষ আজ খাদ্যের অভাবে ডাস্টবিনের খাবার কুড়িয়ে খায়, বাসস্থানের অভাবে ফুটপাতে ঘুমিয়েই রাত্রিযাপন করে। চিকিৎসার অভাবে ছটফট করে মারা যায় অসহায় দরিদ্র মানুষেরা। বেকারত্বের যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে আত্নহত্যা করে সন্তানের পিতা! আর আমরা শত কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সংগীত গাই, “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি”।
ভালোবাসা মানে কি? লুটপাট-চাঁদাবাজি করে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের নাম ভালোবাসা?
দেশকে আমরা মা বলিনা, মূর্তি পূজারী পৌত্তলিকরা দেশকে মা বলে, দূর্গা-কালী দেবীকে যেমন তারা মা বলে, ঠিক তেমনি দেশ নামক দেবীকেও তারা মা বলে আখ্যায়িত করে। কিন্তু এদেশের প্রতিটি মানুষ আমাদের প্রতিবেশী, এদেশের প্রতিটি মানুষ আমাদের ভাই-বোন। এইযে শত কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সংগীত গাওয়া হলো, এটা দিয়ে কি ডাস্টিবিনে খাবার কুড়িয়ে খাওয়া একজন অভুক্ত মানুষের পেটে খাদ্য আসবে? এতে করে কি আত্মহত্যার পরিকল্পনা করা একজন বেকার চাকরী পাবে? এতে করে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মরতে বসা একজন মানুষ ঔষধ কিনতে পারবে?
রোম যখন পুড়ছিলো, নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলো! সীমান্তে যখন ফেলানীরা কাঁটাতাড়ে ঝুলছিলো, নিরস্ত্র বিজিবি তখন জাতীয় সংগীত গাইছিলো। সাতক্ষিরাতে যখন ভারতীয় বাহিনী প্রবেশ করে বাংলাদেশের নাগরীকদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছিলো, বাংলাদেশের নিরস্ত্র সেনাবাহিনী তখন জাতীয় সংগীত গাইছিলো। এরই নাম দেশপ্রেম, “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি!”
সাধারণ লোকদেরকে ধারণা, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদটি রাখা হয়েছে বিভিন্ন দিবসে শোক বার্তা জানানোর জন্য! এখন মনে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে রাখা হয়েছে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের জন্য!
এযেনো হীরক রাজার দেশের গল্প। অভুক্ত বাংলাদেশীরা আজ পেটে পাথর বেঁধে গান গাইবে, “অনাহারে নাহি ক্ষেদ, বেশি খেলে বাড়ে মেদ! যায় যদি যাক প্রাণ, শেখ হাসিনা ভগবান!”
কথায় আছে, চেনা বামনের পৈতা লাগেনা। নকল বামনেরা সাড়াদিন পৈতা পরিধান করে নমঃ নমঃ করতে করতে দেশ বিচরণ করে। সবাইকে ডেকে ডেকে বলে, দেখো আমি একজন খাঁটি বামন! দেশপ্রেম প্রমান করার জন্য শত কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সংগীত গাইতে হয়না। আপনার কার্যকলাপ দেখেই জনগন বুঝে নিবে আপনি কতবড় দেশপ্রেমিক!
আপনি বাংলাদেশের নদী বন্ধ করে ভারতকে ট্রাঞ্জিট প্রদান করেছেন, নৌ-পথে বিনা শুল্কে ভারতকে ট্রাঞ্জিট দিয়েছেন, গ্যাস ক্ষেত্র ভারতকে ইজারা দিয়েছেন, রাষ্ট্রিয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন সেক্টরে ভারতীয় কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন, বাংলাশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআর ধ্বংশ করেছেন, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ বন্ধ করেছেন, সাতক্ষিরাতে বাংলাদেশীদের হত্যা করার জন্য ভারতীয় সেনা বাহিনী ঢুকিয়েছেন।
সত্যিই আপনি অনেক বড় মাপের একজন দেশপ্রেমিক!
প্রশ্ন একটাই, আপনার দেশকি ইন্ডিয়া?
লেখাঃ জাতীয় সংগীত এবং দেশপ্রেম
© শামীম রেজা
২৫/০৩/২০১৪
দেশের মানুষ আজ খাদ্যের অভাবে ডাস্টবিনের খাবার কুড়িয়ে খায়, বাসস্থানের অভাবে ফুটপাতে ঘুমিয়েই রাত্রিযাপন করে। চিকিৎসার অভাবে ছটফট করে মারা যায় অসহায় দরিদ্র মানুষেরা। বেকারত্বের যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে আত্নহত্যা করে সন্তানের পিতা! আর আমরা শত কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সংগীত গাই, “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি”।
ভালোবাসা মানে কি? লুটপাট-চাঁদাবাজি করে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের নাম ভালোবাসা?
দেশকে আমরা মা বলিনা, মূর্তি পূজারী পৌত্তলিকরা দেশকে মা বলে, দূর্গা-কালী দেবীকে যেমন তারা মা বলে, ঠিক তেমনি দেশ নামক দেবীকেও তারা মা বলে আখ্যায়িত করে। কিন্তু এদেশের প্রতিটি মানুষ আমাদের প্রতিবেশী, এদেশের প্রতিটি মানুষ আমাদের ভাই-বোন। এইযে শত কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সংগীত গাওয়া হলো, এটা দিয়ে কি ডাস্টিবিনে খাবার কুড়িয়ে খাওয়া একজন অভুক্ত মানুষের পেটে খাদ্য আসবে? এতে করে কি আত্মহত্যার পরিকল্পনা করা একজন বেকার চাকরী পাবে? এতে করে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মরতে বসা একজন মানুষ ঔষধ কিনতে পারবে?
রোম যখন পুড়ছিলো, নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলো! সীমান্তে যখন ফেলানীরা কাঁটাতাড়ে ঝুলছিলো, নিরস্ত্র বিজিবি তখন জাতীয় সংগীত গাইছিলো। সাতক্ষিরাতে যখন ভারতীয় বাহিনী প্রবেশ করে বাংলাদেশের নাগরীকদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছিলো, বাংলাদেশের নিরস্ত্র সেনাবাহিনী তখন জাতীয় সংগীত গাইছিলো। এরই নাম দেশপ্রেম, “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি!”
সাধারণ লোকদেরকে ধারণা, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদটি রাখা হয়েছে বিভিন্ন দিবসে শোক বার্তা জানানোর জন্য! এখন মনে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে রাখা হয়েছে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের জন্য!
এযেনো হীরক রাজার দেশের গল্প। অভুক্ত বাংলাদেশীরা আজ পেটে পাথর বেঁধে গান গাইবে, “অনাহারে নাহি ক্ষেদ, বেশি খেলে বাড়ে মেদ! যায় যদি যাক প্রাণ, শেখ হাসিনা ভগবান!”
কথায় আছে, চেনা বামনের পৈতা লাগেনা। নকল বামনেরা সাড়াদিন পৈতা পরিধান করে নমঃ নমঃ করতে করতে দেশ বিচরণ করে। সবাইকে ডেকে ডেকে বলে, দেখো আমি একজন খাঁটি বামন! দেশপ্রেম প্রমান করার জন্য শত কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সংগীত গাইতে হয়না। আপনার কার্যকলাপ দেখেই জনগন বুঝে নিবে আপনি কতবড় দেশপ্রেমিক!
আপনি বাংলাদেশের নদী বন্ধ করে ভারতকে ট্রাঞ্জিট প্রদান করেছেন, নৌ-পথে বিনা শুল্কে ভারতকে ট্রাঞ্জিট দিয়েছেন, গ্যাস ক্ষেত্র ভারতকে ইজারা দিয়েছেন, রাষ্ট্রিয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন সেক্টরে ভারতীয় কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন, বাংলাশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআর ধ্বংশ করেছেন, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ বন্ধ করেছেন, সাতক্ষিরাতে বাংলাদেশীদের হত্যা করার জন্য ভারতীয় সেনা বাহিনী ঢুকিয়েছেন।
সত্যিই আপনি অনেক বড় মাপের একজন দেশপ্রেমিক!
প্রশ্ন একটাই, আপনার দেশকি ইন্ডিয়া?
লেখাঃ জাতীয় সংগীত এবং দেশপ্রেম
© শামীম রেজা
২৫/০৩/২০১৪
No comments:
Post a Comment