বন্ধুদের সাথে আড্ডায় প্রায়ই একটা বিষয় আলোচনায় উঠে আসে সেটা হচ্ছে, বিগত
পাঁচ বছর এবং বর্তমান সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও তাদের ইন্ধনদাতা শক্তি
ভারত এদেশের জনগণের বিরুদ্ধে যে অবস্থান গ্রহণ করেছে সেটা তাদের ঐতিহাসিক
ভুল এবং এই ভুলের মাশুল তাদেরকে গুনতে হবে।
একাত্তর পরবর্তী সময়গুলোতে ভারত আওয়ামীলীগকে পেছন দিক হতে সমর্থন যোগালেও এমন নির্লজ্ব সমর্থন বোধহয় ইতোপূর্বে কখনো করেনাই। পিলখানা হত্যাকান্ডে ভারতের জড়িত থাকার বিষয়টিতো ম্যাডাম জিয়ার বক্তব্যের পরে জাতির নিকট সুস্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে।
চাপা ক্ষোভ কখনোই কারো জন্য কল্যানকর হয়না, এই চাপা ক্ষোভের বলি হয়েছিলেন তৎকালীন বাকশালের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। পিলখানাতে কি হয়েছিলো সেটা সেনাবাহিনীর নিকট অজানা কিছু নয়, এ নিয়ে সেনাকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ পর্যন্ত করেছিলো। অবশেষে সেনা তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করতে শেখা হাসিনা বাধা দিলেন এবং সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্ত বেশ কিছু কর্মকর্তাকে অব্যহতি দিলেন।
এদেশের সেনাকর্তাদের মনে পিলখানার আগুন ধিকি ধিকি জ্বলছে, সেই সাথে এখন যুক্ত হলো সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণে ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি। এতোদিন সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণে সম্ভাব্য আক্রমনের লক্ষবস্তু ছিলো ভারত, কারণ আমাদের সীমান্তে যদি কোনো হামলা হয় সেটা ভারতের দিক হতেই আসবে, কিন্তু এবার সরকারের নির্দেশে বায়োবিয় লক্ষবস্তুকে সামনে রেখে সেনা মহড়া সম্পন্ন হলো।
আমাদের একটা বিষয় ভুলে গেলে চলবেনা সেটা হচ্ছে, সেনাবাহিনীর ১০০% কর্মকর্তা কিন্তু আওয়ামীলীগ নন, তাদের মধ্যে দেশপ্রেমিক কর্মকর্তার অভাব নেই। দেশের ডাকে সাড়া দিতে তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছেন মাত্র।
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ভেঙে ফেলা বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা জামায়াত বুঝতে পারলেও বিএনপি কখনোই বুঝতে চায়নি কিংবা বুঝার মতো মস্তিস্ক সম্পন্ন লোকের অভাব আছে বিএনপির মধ্যে।
কিন্তু এবার সে সুযোগটাই করে দিলো স্বয়ং ভারত। বাংলাদেশের অভ্যান্তরীন ইস্যুতে ভারত যেভাবে নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে তাতে করে ম্যাডাম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান ব্যাপক ক্ষুব্ধ এই দেশটির প্রতি এবং সেটা তাদের সাম্প্রতিক কিছু বক্তৃতায় ফুটেও উঠেছে।
গতবার দশট্রাক অস্ত্র আটক হওয়ার পরে হতদ্যম হয়ে পড়ে বিএনপি, অথচ তারা চাইলেই ওই দশট্রাক সহ আরো বহুগুণ অস্ত্র সেভেন সিস্টার্সকে পাঠাতে পারতো। কিন্তু চরমতম বোকামীর পরিচয় দিয়ে বিএনপি সে কাজটি করেনাই।
অর্থনীতি চুলোয় যাক, জাতীয় নিরাপত্তা চুলোয় যাক, এই দুইটা বিষয় না বুঝলেও অন্ততপক্ষে প্রতিশোধ পরায়নতার কারণে হলেও চীনের ভারত ভাঙার নীতির প্রতি আগামীতে বিএনপি ১০০% সমর্থন যোগাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
এক্ষেত্রে ভারত এবং আওয়ামীলীগের প্রতি বিক্ষুব্ধ সেনাবাহিনীর শতভাগ সমর্থন থাকবে, সাথে করে আমারতো মনে হয় বাংলাদেশের আপামর বিক্ষুব্ধ জনতা কাস্তে,শাবল নিয়ে ত্রিপুরা, আসাম, মিজোরাম, মনিপুরবাসীদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে, তাদের মুখে থাকবে একটাই স্লোগান, “নে বাবা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়ে যা”।
ভূ-বেষ্টিত সেভেন সিস্টার্সের সাথে বর্হিবিশ্বের যোগাযোগের কোনো মাধ্যম নেই, তারা সম্পূর্ণরুপে আমাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। আমাদের সমুদ্র বন্দর তোদের জন্য উন্মুক্ত! আমাদের স্থলবন্দর তোদের জন্য উন্মুক্ত! আমাদের ব্যবসায়ীদের শতভাগ সমর্থন রয়েছে তোদের প্রতি। ফলাফল বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর হবে বহুগুণ প্রাণচঞ্চল এবং আমরা হবো সিঙ্গাপুরের চাইতেও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র।
প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গেলো, নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপি ফাইট করবে সে বিষয়ে আগেই ধারণা ছিলো। কিন্তু জামায়াতের এই অভাবনীয় সফলতা ছিলো কল্পনাতীত। পুলিশের বন্দুকের নল এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের শত জুলুম নির্যাতন উপেক্ষা করেও জামায়াত-শিবির কর্মীরা যে ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে নির্বাচনের কাজে ঝাপিয়ে পড়েছিলো, তার ফলাফল তারা পেয়েছে।
জামায়াতের এই অভাবনীয় ফলাফলের জন্য আওয়ামীলীগ এবং ভারতকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে। কারণ ঐতিহাসিক এবং ভৌগলিক কারণেই এদেশের মানুষ ভারত বিরোধী, তার সাথে যুক্ত হয়েছে আওয়ামীলীগ এবং ভারতের যৌথ প্রচেস্টায় দেশ বিরোধী কর্মকান্ড।
বিগত দিনগুলোর আন্দোলন সংগ্রামে জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটিয়েছিলো জামায়াত-শিবির। জনগণ বুঝে গিয়েছে, এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের রক্ষার জন্য একটাই মাত্র শক্তি অবশিষ্ট রয়েছে, সেটা হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।
আজকের এই নির্বাচনই সব নয়, এই নির্বাচনের রেজাল্ট জামায়াতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বহুদূর। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জামায়াত তার জনসমর্থনের বিষয়টি যাচাই করে নিলো, আন্তর্জাতিক বিশ্বও দেখতে পেলো সরকারের চোখে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতে ইসলামীর কি পরিমাণ জনসমর্থন রয়েছে। এবং এটাও বলে রাখা যায়, উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের এই ফলাফল এটাই ঘোশণা করছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯দলীয় জোট হতে জামায়াত শুধুমাত্র ৫০আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবেনা।
সর্বশেষ একটি কথাই বলা যায়, শহুরে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণীর দল জামায়াতে ইসলামীকে গণমানুষের প্রাণের সংগঠনে পরিণত করার জন্য ধন্যবাদ আওয়ামীলীগ, ধন্যবাদ ইন্ডিয়া।
২০ফেব্রুয়ারী২০১৪
একাত্তর পরবর্তী সময়গুলোতে ভারত আওয়ামীলীগকে পেছন দিক হতে সমর্থন যোগালেও এমন নির্লজ্ব সমর্থন বোধহয় ইতোপূর্বে কখনো করেনাই। পিলখানা হত্যাকান্ডে ভারতের জড়িত থাকার বিষয়টিতো ম্যাডাম জিয়ার বক্তব্যের পরে জাতির নিকট সুস্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে।
চাপা ক্ষোভ কখনোই কারো জন্য কল্যানকর হয়না, এই চাপা ক্ষোভের বলি হয়েছিলেন তৎকালীন বাকশালের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। পিলখানাতে কি হয়েছিলো সেটা সেনাবাহিনীর নিকট অজানা কিছু নয়, এ নিয়ে সেনাকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ পর্যন্ত করেছিলো। অবশেষে সেনা তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করতে শেখা হাসিনা বাধা দিলেন এবং সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্ত বেশ কিছু কর্মকর্তাকে অব্যহতি দিলেন।
এদেশের সেনাকর্তাদের মনে পিলখানার আগুন ধিকি ধিকি জ্বলছে, সেই সাথে এখন যুক্ত হলো সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণে ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি। এতোদিন সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণে সম্ভাব্য আক্রমনের লক্ষবস্তু ছিলো ভারত, কারণ আমাদের সীমান্তে যদি কোনো হামলা হয় সেটা ভারতের দিক হতেই আসবে, কিন্তু এবার সরকারের নির্দেশে বায়োবিয় লক্ষবস্তুকে সামনে রেখে সেনা মহড়া সম্পন্ন হলো।
আমাদের একটা বিষয় ভুলে গেলে চলবেনা সেটা হচ্ছে, সেনাবাহিনীর ১০০% কর্মকর্তা কিন্তু আওয়ামীলীগ নন, তাদের মধ্যে দেশপ্রেমিক কর্মকর্তার অভাব নেই। দেশের ডাকে সাড়া দিতে তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছেন মাত্র।
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ভেঙে ফেলা বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা জামায়াত বুঝতে পারলেও বিএনপি কখনোই বুঝতে চায়নি কিংবা বুঝার মতো মস্তিস্ক সম্পন্ন লোকের অভাব আছে বিএনপির মধ্যে।
কিন্তু এবার সে সুযোগটাই করে দিলো স্বয়ং ভারত। বাংলাদেশের অভ্যান্তরীন ইস্যুতে ভারত যেভাবে নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে তাতে করে ম্যাডাম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান ব্যাপক ক্ষুব্ধ এই দেশটির প্রতি এবং সেটা তাদের সাম্প্রতিক কিছু বক্তৃতায় ফুটেও উঠেছে।
গতবার দশট্রাক অস্ত্র আটক হওয়ার পরে হতদ্যম হয়ে পড়ে বিএনপি, অথচ তারা চাইলেই ওই দশট্রাক সহ আরো বহুগুণ অস্ত্র সেভেন সিস্টার্সকে পাঠাতে পারতো। কিন্তু চরমতম বোকামীর পরিচয় দিয়ে বিএনপি সে কাজটি করেনাই।
অর্থনীতি চুলোয় যাক, জাতীয় নিরাপত্তা চুলোয় যাক, এই দুইটা বিষয় না বুঝলেও অন্ততপক্ষে প্রতিশোধ পরায়নতার কারণে হলেও চীনের ভারত ভাঙার নীতির প্রতি আগামীতে বিএনপি ১০০% সমর্থন যোগাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
এক্ষেত্রে ভারত এবং আওয়ামীলীগের প্রতি বিক্ষুব্ধ সেনাবাহিনীর শতভাগ সমর্থন থাকবে, সাথে করে আমারতো মনে হয় বাংলাদেশের আপামর বিক্ষুব্ধ জনতা কাস্তে,শাবল নিয়ে ত্রিপুরা, আসাম, মিজোরাম, মনিপুরবাসীদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে, তাদের মুখে থাকবে একটাই স্লোগান, “নে বাবা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়ে যা”।
ভূ-বেষ্টিত সেভেন সিস্টার্সের সাথে বর্হিবিশ্বের যোগাযোগের কোনো মাধ্যম নেই, তারা সম্পূর্ণরুপে আমাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। আমাদের সমুদ্র বন্দর তোদের জন্য উন্মুক্ত! আমাদের স্থলবন্দর তোদের জন্য উন্মুক্ত! আমাদের ব্যবসায়ীদের শতভাগ সমর্থন রয়েছে তোদের প্রতি। ফলাফল বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর হবে বহুগুণ প্রাণচঞ্চল এবং আমরা হবো সিঙ্গাপুরের চাইতেও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র।
প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গেলো, নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপি ফাইট করবে সে বিষয়ে আগেই ধারণা ছিলো। কিন্তু জামায়াতের এই অভাবনীয় সফলতা ছিলো কল্পনাতীত। পুলিশের বন্দুকের নল এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের শত জুলুম নির্যাতন উপেক্ষা করেও জামায়াত-শিবির কর্মীরা যে ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে নির্বাচনের কাজে ঝাপিয়ে পড়েছিলো, তার ফলাফল তারা পেয়েছে।
জামায়াতের এই অভাবনীয় ফলাফলের জন্য আওয়ামীলীগ এবং ভারতকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে। কারণ ঐতিহাসিক এবং ভৌগলিক কারণেই এদেশের মানুষ ভারত বিরোধী, তার সাথে যুক্ত হয়েছে আওয়ামীলীগ এবং ভারতের যৌথ প্রচেস্টায় দেশ বিরোধী কর্মকান্ড।
বিগত দিনগুলোর আন্দোলন সংগ্রামে জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটিয়েছিলো জামায়াত-শিবির। জনগণ বুঝে গিয়েছে, এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের রক্ষার জন্য একটাই মাত্র শক্তি অবশিষ্ট রয়েছে, সেটা হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।
আজকের এই নির্বাচনই সব নয়, এই নির্বাচনের রেজাল্ট জামায়াতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বহুদূর। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জামায়াত তার জনসমর্থনের বিষয়টি যাচাই করে নিলো, আন্তর্জাতিক বিশ্বও দেখতে পেলো সরকারের চোখে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতে ইসলামীর কি পরিমাণ জনসমর্থন রয়েছে। এবং এটাও বলে রাখা যায়, উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের এই ফলাফল এটাই ঘোশণা করছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯দলীয় জোট হতে জামায়াত শুধুমাত্র ৫০আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবেনা।
সর্বশেষ একটি কথাই বলা যায়, শহুরে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণীর দল জামায়াতে ইসলামীকে গণমানুষের প্রাণের সংগঠনে পরিণত করার জন্য ধন্যবাদ আওয়ামীলীগ, ধন্যবাদ ইন্ডিয়া।
২০ফেব্রুয়ারী২০১৪
No comments:
Post a Comment