১৯৬হিজরী
(৮১২ইং) এক মুসলিম মহিলাকে বন্দী করে নিয়ে গেছে খৃস্টানরা। আন্দালুসিয়ার
শাসক আল হাকিম বিন হিশাম যখন জানতে পারলেন এক মুসলিম নারীকে তুলে নিয়ে
যাওয়া হয়েছে। তখন তিনি এক মূহুর্ত দেরী করলেননা। এক মুসলিম নারীর
সম্মানার্থে বিপুল বিক্রমে ঝাপিয়ে পড়লেন শত্রুর বিরুদ্ধে। একেরপর এক দূর্গ
জয় করলেন, শত্রু পক্ষের পুরুষদের হত্যা করলেন এবং শেষ পর্যন্ত সেই মুসলিম
নারীকে মুক্ত করে তবেই ফিরে এলেন আপন নিবাসে।
খলিফা মুতাসিমের শাসনকাল, এক মুসলিম নারীকে বন্দী করে নির্যাতন করছিলো খৃস্টানরা। খলিফার কানে খবরটি পৌছানো মাত্রই, সত্তর হাজার সেনা নিয়ে অভিযানে বেরিয়ে পরলেন। যুদ্ধ জয়ের পর খুঁজে বের করা হলো সেই অত্যাচারী খৃস্টানকে, তাকে শিরচ্ছেদ করে হত্যা করা হলো, মুক্ত করা হলো মুসলিম বোনকে।
একজন মুসলিমকে নির্যাতন করা হবে আর গোটা বিশ্বের মুসলিম সেটা নিরবে মুখ বুজে হজম করবে এমনটি কখনোই মেনে নেয়া যায়না। গোটা মুসলিম উম্মাহ হচ্ছে একটা দেহের মতো, দেহের একটি অংশে আঘাত পেলে যেমন সর্ব শরীরে ব্যাথা ছড়িয়ে পড়ে, ঠিক তেমনি বিশ্বের এক প্রান্তে কোনো মুসলিম নির্যাতিত হলে বিশ্বের অন্যপ্রান্তের মুসলিমরা সেই ব্যাথা অনুভব করে।
আজ সিরিয়াতে মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে, আফগানিস্থানে মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে, কাশ্মীরের নারীদের ধর্ষন করা হচ্ছে, মিশরের কারাগারে মুসলমানদের হত্যা করার জন্য তৈরী করা হয়েছে কসাইখানা। চীনের মুসলমানদের রোজা রাখার অধিকারটুকু পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনের শিশুদের হত্যা করে তাদের দেহ পুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। নারীদের উপর হামলা করে হিজাব কেড়ে নেয়া হচ্ছে। চ্যাংদোলা করে আমাদের বোনদের তুলে নিচ্ছে ইহুদী সৈন্যরা।
আমরা মুসলিম! আজ আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধই আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে আমাদের মুসলমানিত্ব। বিশাল সব ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলামের চিন্তায় রাতে ঘুম হয়না। অথচ আজ যখন ইসরাইলি কারাগারগুলো হতে আমাদের বোনদের, আফিয়া সিদ্দিকিদের আর্তচিৎকার ভেসে আসছে, আমরা তখন টিভি মনিটরের দিকে তাকিয়ে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে উঠছি “গোল...” উল্লাসে ফেটে পড়ছি প্রিয় ফুটবল টিমের জন্য।
নির্যাতিত মুসলিম ভাই-বোনের জন্য একটি লাইন লেখার সময় আমাদের নেই। কিন্তু হাবি-জাবি ক্রিকেট ফুটবলের জন্য আমরা লিখছি পৃষ্ঠার পরে পৃষ্ঠা।
নির্যাতিত মুসলিম ভাই-বোনের জন্য সহানুভূতি সূচক একটা কথা আমাদের মুখ দিয়ে বের হচ্ছেনা, অথচ নির্ঘুম রাত পার করছি প্রিয় ফুটবল-ক্রিকেট টিমের গুণকীর্তন বর্ণনায়।
লাঞ্ছনাকর জীবন আমাদের হবেনাতো কাদের হবে?! আজ যখন বিশ্বের এক প্রান্তের মুসলিমরা ইহুদী খৃস্টানদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে আমরা তখন অন্য প্রান্তে বসে প্রশ্ন করছি কারা নির্যাতিত হচ্ছে? শিয়া নাকি সুন্নী! সালামী নাকি ওহাবী! মাজহাবী নাকি লা-মাজহাবী!
হে মুসলিম তুমি যদি ইহুদী খৃস্টানদের লাথি-উষ্ঠা না খাও তবে সেটা বড় বেশি অন্যায় হয়ে যাবে। তোমার কর্মই তোমাকে এগুলোর যোগ্য করে দিয়েছে।
লেখাঃ কপাল পোড়া জাতি
© শামীম রেজা
০৫/০৭/২০১৪
খলিফা মুতাসিমের শাসনকাল, এক মুসলিম নারীকে বন্দী করে নির্যাতন করছিলো খৃস্টানরা। খলিফার কানে খবরটি পৌছানো মাত্রই, সত্তর হাজার সেনা নিয়ে অভিযানে বেরিয়ে পরলেন। যুদ্ধ জয়ের পর খুঁজে বের করা হলো সেই অত্যাচারী খৃস্টানকে, তাকে শিরচ্ছেদ করে হত্যা করা হলো, মুক্ত করা হলো মুসলিম বোনকে।
একজন মুসলিমকে নির্যাতন করা হবে আর গোটা বিশ্বের মুসলিম সেটা নিরবে মুখ বুজে হজম করবে এমনটি কখনোই মেনে নেয়া যায়না। গোটা মুসলিম উম্মাহ হচ্ছে একটা দেহের মতো, দেহের একটি অংশে আঘাত পেলে যেমন সর্ব শরীরে ব্যাথা ছড়িয়ে পড়ে, ঠিক তেমনি বিশ্বের এক প্রান্তে কোনো মুসলিম নির্যাতিত হলে বিশ্বের অন্যপ্রান্তের মুসলিমরা সেই ব্যাথা অনুভব করে।
আজ সিরিয়াতে মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে, আফগানিস্থানে মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে, কাশ্মীরের নারীদের ধর্ষন করা হচ্ছে, মিশরের কারাগারে মুসলমানদের হত্যা করার জন্য তৈরী করা হয়েছে কসাইখানা। চীনের মুসলমানদের রোজা রাখার অধিকারটুকু পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনের শিশুদের হত্যা করে তাদের দেহ পুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। নারীদের উপর হামলা করে হিজাব কেড়ে নেয়া হচ্ছে। চ্যাংদোলা করে আমাদের বোনদের তুলে নিচ্ছে ইহুদী সৈন্যরা।
আমরা মুসলিম! আজ আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধই আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে আমাদের মুসলমানিত্ব। বিশাল সব ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলামের চিন্তায় রাতে ঘুম হয়না। অথচ আজ যখন ইসরাইলি কারাগারগুলো হতে আমাদের বোনদের, আফিয়া সিদ্দিকিদের আর্তচিৎকার ভেসে আসছে, আমরা তখন টিভি মনিটরের দিকে তাকিয়ে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে উঠছি “গোল...” উল্লাসে ফেটে পড়ছি প্রিয় ফুটবল টিমের জন্য।
নির্যাতিত মুসলিম ভাই-বোনের জন্য একটি লাইন লেখার সময় আমাদের নেই। কিন্তু হাবি-জাবি ক্রিকেট ফুটবলের জন্য আমরা লিখছি পৃষ্ঠার পরে পৃষ্ঠা।
নির্যাতিত মুসলিম ভাই-বোনের জন্য সহানুভূতি সূচক একটা কথা আমাদের মুখ দিয়ে বের হচ্ছেনা, অথচ নির্ঘুম রাত পার করছি প্রিয় ফুটবল-ক্রিকেট টিমের গুণকীর্তন বর্ণনায়।
লাঞ্ছনাকর জীবন আমাদের হবেনাতো কাদের হবে?! আজ যখন বিশ্বের এক প্রান্তের মুসলিমরা ইহুদী খৃস্টানদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে আমরা তখন অন্য প্রান্তে বসে প্রশ্ন করছি কারা নির্যাতিত হচ্ছে? শিয়া নাকি সুন্নী! সালামী নাকি ওহাবী! মাজহাবী নাকি লা-মাজহাবী!
হে মুসলিম তুমি যদি ইহুদী খৃস্টানদের লাথি-উষ্ঠা না খাও তবে সেটা বড় বেশি অন্যায় হয়ে যাবে। তোমার কর্মই তোমাকে এগুলোর যোগ্য করে দিয়েছে।
লেখাঃ কপাল পোড়া জাতি
© শামীম রেজা
০৫/০৭/২০১৪
No comments:
Post a Comment