ঘরের এখানে সেখানে ছড়িয়ে আছে লাশ! ভবনের সিঁড়িতেও বেশ কয়েকটি মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকা দেহগুলোর দিকে তাকিয়ে নির্মমতার ভয়াবহতা কল্পনা করে হতবিহ্বল হয়ে পড়ছিলো জনতা।
স্মরণকালের নৃশংসতম এই গণহত্যার ঘটনায় জামায়াত-শিবিরকেই দায়ী করছে স্থানীয় জনতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র দাবী করেছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই শিবির ক্যাডার জব্বার, রেজা, এবং ফারুকের সাথে ঘন ঘন গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে জামায়াতের শীর্ষ সন্ত্রাসী জহির ও মনির। এই গোপন বৈঠক থেকেই গণহত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো বলে জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সূত্র।
আমাদের প্রতিবেদকের সাথে কথা হয়েছিলো ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমিন ও জয়নালের সাথে। আমরা প্রশ্ন করেছিলাম, সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা কততে দাঁড়িয়েছে বলে আপনারা ধারণা করছেন?
জয়নাল এবং আমিন জানিয়েছে, কম করে হলেও তারা একশোটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেছেন।
শীর্ষস্থানীয় শিবির ক্যাডার ফারুককেই এই গণহত্যার মূল হোতা হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে। ফারুকের নম্বরে ফোন করা হলে দম্ভের সাথে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, “বেশি বেড়ে গিয়েছিলো, এতো বেশি উড়াউড়ি ভালোনা, তাই খতম করে দিয়েছি। আপনারাও সাবধান হয়ে যান, বেশি উড়াউড়ি করলে একই পরিণতি ভোগ করতে হবে”।
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে শিবির ক্যাডারদের হাতে নিহত তেলাপোকা গুলোর লাশের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাজের বুয়ার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ।
লেখাঃ জামায়াত-শিবিরের নির্মমতা!!
© শামীম রেজা
০৮/০৭/২০১৪
No comments:
Post a Comment