ওই থাম! পড়া বন্ধ! দেয়ালের উপর সপাং করে বেতের আঘাত।
পুরো মসজিদ নিস্তব্ধ, সবাই এবার ভয়ে ভয়ে তাকায় হুজুরের দিকে। আজকের মতো পড়া শেষ! তবে মাইরের সময় সন্নিকটে।
দুই লাইন করে ছেলে মেয়ে মুখোমুখি বসে আছে, মধ্য খানের ফাঁকা যায়গাটুকু দিয়ে এমাথা ওমাথা হেটে বেড়াচ্ছেন হুজুর।
‘এই তুই! হ ডানদিক থেকে শুরু কর, কালকে নামাজ কয় ওয়াক্ত পড়ছস?’
‘হুজুর, দুই ওয়াক্ত!’
‘বাকি তিন ওয়াক্ত পড়স নাই ক্যান? সপাং! সপাং! সপাং! তিনটা বাড়ি। তার পরেরটা, হ তুই, কয় ওয়াক্ত পড়ছস?’
‘হুজুর তিন ওয়াক্ত পড়ছি!’
‘বাকি দুই ওয়াক্ত পড়স নাই ক্যান? সপাং! সপাং! দুই ওয়াক্তের জন্য দুইটা বাড়ি। তার পরের জন, কয় ওয়াক্ত?’
‘হুজুর, ছয় ওয়াক্ত!’
‘আচ্ছা, তার পরের জন, কয় ওয়াক্ত?’
‘হুজুর, ছয় ওয়াক্ত পড়ছি’।
তার পরের জন ক’ কয় ওয়াক্ত পরছস? তাড়াতাড়ি ক! সপাং করে দেয়ালে বাড়ি।
ভয়ে কেঁপে ওঠে ছাত্র। হুজুর, ছয় ওয়াক্ত!
সিরিয়াল ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে আমার দিকে, ভোর বেলা ঘুম ভাঙেনা। বিছানা থেকে টেনে হিঁচড়ে প্রথমে ফ্লোরে নামানো হয়েছিলো, সেখানেই ঘুমিয়ে গেছি। তারপর টানতে টানতে বারান্দায়, বারান্দায় ফেলে রাখার পরে সেখানেই ঠান্ডা মেঝেতে ঘুম। এরপর বড় আপা, ভাইয়া, মা তিনজনে মিলে চ্যাংদোলা করে গোসল খানায় নিয়ে শুইয়ে দিলো, সেখানেই ঘুম! তবে এটা ঘুমনা, জিদের বহিঃ প্রকাশ, ‘আমার ঘুম ভাঙলি ক্যান, আমি এখানেই ঘুমামু!’
গায়ে পানি ঢালার পরে কাঁদতে কাঁদতে ঘরের ভেতর তুল-কালাম ঘটিয়ে দিলাম। এ কুত্তা! আমারে তুলছস ক্যা! আমি মক্তবে যামুনা! আমি যামুনা, যামুনা, যামুনা! আমি ঘুমামু!
মুখে আমি যতই বলি যামুনা, যেতে আমাকে হবেই, নইলে অনুপস্থিতির দায়ে পরের দিন হুজুরের বেতের বারি। অগ্যতা ক্রন্দিত নয়নে পাঞ্জাবী টুপি পরে, বগলের নিচে আমপাড়া এবং রেহাল সহ মক্তবে গমন। এটাই ছিলো আমার প্রত্যাহিক রুটিন কান্নাকাটি।
সিরিয়াল কাছাকাছি চলে এসেছে, কিন্তু আমি ভেবে পাচ্ছিনা পোলাপাইনে নামাজ ছয় ওয়াক্ত কেমনে পড়ে? আমিতো চার ওয়াক্ত পড়ছি। আর নামাজতো পাঁচ ওয়াক্ত, এদিকে হুজুরের বেতের দিকে তাকাতেও ভয়!
ওই, তুই ক! কয় ওয়াক্ত? তাড়াতাড়ি, তাড়াতাড়ি ক!
দ্বিধাদন্ধ ঝেড়ে হুজুরের বেতের দিকে তাকিয়ে ঝটপট উত্তর দিলাম, হুজুর, ছয় ওয়াক্ত!
হুজুরের কোনো রেসপন্স নেই। তার পরের জনকে জিজ্ঞাসা করলো, তার পরের জন, তার পরের জন, এভাবে জিজ্ঞাসাবাদ এবং রিমান্ড সম্পন্ন হলো। এই বয়সে এসেও হুজুরের সেই ছয় ওয়াক্ত নামাজের মুজেজা বুঝতে সক্ষম হইনাই।
নাহ! মক্তব আমাকে খুব বেশি দিন জ্বালাতন করতে সক্ষম হয় নাই। ভর্তি হলাম কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে। আহ কি শান্তি, সকাল সাতটা পর্যন্ত ঘুম, স্কুলের প্রস্তুতি এবং স্কুলে যাওয়া সব মিলিয়ে ৮.৩০এর মধ্যে ক্লাসে হাজির। মক্তবে যাওয়ার সময় কোথায়?
বাসায় হুজুর রাখা হলো, প্রতিদিন বিকালে এক ঘন্টা করে হুজুরের কাছে আরবি পড়তাম।
সবাই কি বাসায় হুজুর রাখে, কিংবা বাসায় হুজুর রাখার মতো সামর্থ-ইচ্ছা সবার আছে?
খুব খুব ছোট বেলায় গ্রামে থাকতাম, ভোর বেলায় ঘুম ভাঙতো মায়ের গুণ গুণ কন্ঠের কোরআন তিলাওয়াত শুনে। স্টেডিয়াম আকৃতির গোলাকার বাড়ি, মাঝখানে বিশাল উঠান, উঠানের চারিদিকে ঘর। পাশের ঘর থেকে কোরআন তিলাওয়াত করতেন ছোট দাদু, তার পরের ঘরে উচ্চ শব্দে কোরআন পড়তেন জামালের বাপ।
এভাবেই কোন ঘরে দাদু, কোন ঘরে কাকা, কোন ঘরে ফুফু আর পুকুর পাড়ে মসজিদে আমার চাইতে বয়সে একটু সিনিয়রা কোরাস করে তিলাওয়াত করতো, ‘বা যবর বা, বা যের বি..’।
পরন্ত দুপুরে সকল কাজ সাঙ্গ করে মা চাচিরা বসতেন কোরআন তিলাওয়াতে। তার পরে আমাদের কোলে বসিয়ে শোনাতেন হাদিসের কিসসা, সাহাবীদের কিসসা। তন্ময় হয়ে শুনতাম সে সব গল্প।
দিন এখন বদলে গেছে, বদলে গেছে মানুষ। ভোর বেলা এখন আর গ্রামের প্রতিটা ঘর থেকে গুণ গুণ শব্দের কোরানের সুর ভেসে আসেনা। এদেশের নগরে গ্রামে ভোর বেলা ভেসে আসে হারমনিয়ামের সাথে সা। রে। গা। মা...।
মসজিদের কোরাস কন্ঠে আরবি পড়া ছাত্রের সংখ্যা কমে এসেছে। ভোর হতেই কিন্ডার গার্ডেন মুখি ছোট ছোট শিশুরা। ক্যারিয়ার গড়তে হবে, প্রতিযোগীতায় এগিয়ে থাকতে হবে। ভিত্তি মজবুত না হলে কিভাবে হবে? তাইতো এতো এতো পড়ার মাঝে আরবী পড়ার সময় কই? বিনোদনের জন্য একটু সময়তো রাখতেই হবে, নইলে বাচ্চার মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হবে।
এখন আর গ্রামের মায়েরা তাদের শিশুদের হাদিসের কিসসা শুনায়না, তারা সকল কাজ সাঙ্গ করে বাচ্চাদের কোলে নিয়ে বসে ভারতীয় সিরিয়াল দেখে। বাচ্চাদের প্রেম শিখায়, ভালোবাসা শিখায়, কুটনামী শিখায়, বিনা পয়সায় মূর্তিপূজা শিখায়। পয়সা খরচ করে আরবী পড়ানোর দরকার কি?!
‘ইসলামীক এডুকেশন সোসাইটি’ শিশুদের উপযোগী করে বেশ কিছু পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করেছ। কিন্তু সমন্বয় এবং মনিটরিং এর অভাবে বিদ্যালয় ভিত্তিক ইসলামী শিক্ষার মান এখনো ব্যাপক হারে ডেভেলপ করেনাই।
সামর্থবানরাতো অনেক জায়গায় বিনিয়োগ করছেন, ইসলামী শিক্ষার জন্য কি কিছু বিনিয়োগ করা যায়না?
একটা স্কুল, প্রতিটা ক্লাসরুমে প্রজেক্টরের ব্যবস্থা। শ্রেণী শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ক্লাস ভিত্তিক পাঠাগার, সেখানে থাকবে বাচ্চাদের উপযোগী পত্রিকা-ম্যাগাজিন, ইসলামীক কমিকের বই- সিডি। থাকবে সমৃদ্ধ ক্রিড়া উপকরণ। প্রতিদিনের গল্প বলার আসর। আর থাকবে ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোরআনে হাফেজ বানানোর উদ্যোগ (যতটুকু পারা যায়)।
এই ব্যবস্থা গুলো যদি করা যায়, আমার মতো আর কেউ বলবেনা, মক্তবে যামুনা, যামুনা, যামুনা! ঝড় হোক, বন্যা হোক, শিশুরা স্কুলে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করবে, স্কুলে যামু, যামু, যামু!
প্রয়োজন একটু সদিচ্ছার, প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগের। আপনার এলাকায় গড়ে তুলুন একটি স্কুল, হয়ে যান মানুষ গড়ার কারিগর। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব উঠে আসবে আপনার বিদ্যালয় থেকে, সেই সাথে নগদ পয়সাতো আছেই।
লেখাঃ শিক্ষায় বিনিয়োগ
© শামীম রেজা
৩০/০৮/২০১৪
পুরো মসজিদ নিস্তব্ধ, সবাই এবার ভয়ে ভয়ে তাকায় হুজুরের দিকে। আজকের মতো পড়া শেষ! তবে মাইরের সময় সন্নিকটে।
দুই লাইন করে ছেলে মেয়ে মুখোমুখি বসে আছে, মধ্য খানের ফাঁকা যায়গাটুকু দিয়ে এমাথা ওমাথা হেটে বেড়াচ্ছেন হুজুর।
‘এই তুই! হ ডানদিক থেকে শুরু কর, কালকে নামাজ কয় ওয়াক্ত পড়ছস?’
‘হুজুর, দুই ওয়াক্ত!’
‘বাকি তিন ওয়াক্ত পড়স নাই ক্যান? সপাং! সপাং! সপাং! তিনটা বাড়ি। তার পরেরটা, হ তুই, কয় ওয়াক্ত পড়ছস?’
‘হুজুর তিন ওয়াক্ত পড়ছি!’
‘বাকি দুই ওয়াক্ত পড়স নাই ক্যান? সপাং! সপাং! দুই ওয়াক্তের জন্য দুইটা বাড়ি। তার পরের জন, কয় ওয়াক্ত?’
‘হুজুর, ছয় ওয়াক্ত!’
‘আচ্ছা, তার পরের জন, কয় ওয়াক্ত?’
‘হুজুর, ছয় ওয়াক্ত পড়ছি’।
তার পরের জন ক’ কয় ওয়াক্ত পরছস? তাড়াতাড়ি ক! সপাং করে দেয়ালে বাড়ি।
ভয়ে কেঁপে ওঠে ছাত্র। হুজুর, ছয় ওয়াক্ত!
সিরিয়াল ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে আমার দিকে, ভোর বেলা ঘুম ভাঙেনা। বিছানা থেকে টেনে হিঁচড়ে প্রথমে ফ্লোরে নামানো হয়েছিলো, সেখানেই ঘুমিয়ে গেছি। তারপর টানতে টানতে বারান্দায়, বারান্দায় ফেলে রাখার পরে সেখানেই ঠান্ডা মেঝেতে ঘুম। এরপর বড় আপা, ভাইয়া, মা তিনজনে মিলে চ্যাংদোলা করে গোসল খানায় নিয়ে শুইয়ে দিলো, সেখানেই ঘুম! তবে এটা ঘুমনা, জিদের বহিঃ প্রকাশ, ‘আমার ঘুম ভাঙলি ক্যান, আমি এখানেই ঘুমামু!’
গায়ে পানি ঢালার পরে কাঁদতে কাঁদতে ঘরের ভেতর তুল-কালাম ঘটিয়ে দিলাম। এ কুত্তা! আমারে তুলছস ক্যা! আমি মক্তবে যামুনা! আমি যামুনা, যামুনা, যামুনা! আমি ঘুমামু!
মুখে আমি যতই বলি যামুনা, যেতে আমাকে হবেই, নইলে অনুপস্থিতির দায়ে পরের দিন হুজুরের বেতের বারি। অগ্যতা ক্রন্দিত নয়নে পাঞ্জাবী টুপি পরে, বগলের নিচে আমপাড়া এবং রেহাল সহ মক্তবে গমন। এটাই ছিলো আমার প্রত্যাহিক রুটিন কান্নাকাটি।
সিরিয়াল কাছাকাছি চলে এসেছে, কিন্তু আমি ভেবে পাচ্ছিনা পোলাপাইনে নামাজ ছয় ওয়াক্ত কেমনে পড়ে? আমিতো চার ওয়াক্ত পড়ছি। আর নামাজতো পাঁচ ওয়াক্ত, এদিকে হুজুরের বেতের দিকে তাকাতেও ভয়!
ওই, তুই ক! কয় ওয়াক্ত? তাড়াতাড়ি, তাড়াতাড়ি ক!
দ্বিধাদন্ধ ঝেড়ে হুজুরের বেতের দিকে তাকিয়ে ঝটপট উত্তর দিলাম, হুজুর, ছয় ওয়াক্ত!
হুজুরের কোনো রেসপন্স নেই। তার পরের জনকে জিজ্ঞাসা করলো, তার পরের জন, তার পরের জন, এভাবে জিজ্ঞাসাবাদ এবং রিমান্ড সম্পন্ন হলো। এই বয়সে এসেও হুজুরের সেই ছয় ওয়াক্ত নামাজের মুজেজা বুঝতে সক্ষম হইনাই।
নাহ! মক্তব আমাকে খুব বেশি দিন জ্বালাতন করতে সক্ষম হয় নাই। ভর্তি হলাম কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে। আহ কি শান্তি, সকাল সাতটা পর্যন্ত ঘুম, স্কুলের প্রস্তুতি এবং স্কুলে যাওয়া সব মিলিয়ে ৮.৩০এর মধ্যে ক্লাসে হাজির। মক্তবে যাওয়ার সময় কোথায়?
বাসায় হুজুর রাখা হলো, প্রতিদিন বিকালে এক ঘন্টা করে হুজুরের কাছে আরবি পড়তাম।
সবাই কি বাসায় হুজুর রাখে, কিংবা বাসায় হুজুর রাখার মতো সামর্থ-ইচ্ছা সবার আছে?
খুব খুব ছোট বেলায় গ্রামে থাকতাম, ভোর বেলায় ঘুম ভাঙতো মায়ের গুণ গুণ কন্ঠের কোরআন তিলাওয়াত শুনে। স্টেডিয়াম আকৃতির গোলাকার বাড়ি, মাঝখানে বিশাল উঠান, উঠানের চারিদিকে ঘর। পাশের ঘর থেকে কোরআন তিলাওয়াত করতেন ছোট দাদু, তার পরের ঘরে উচ্চ শব্দে কোরআন পড়তেন জামালের বাপ।
এভাবেই কোন ঘরে দাদু, কোন ঘরে কাকা, কোন ঘরে ফুফু আর পুকুর পাড়ে মসজিদে আমার চাইতে বয়সে একটু সিনিয়রা কোরাস করে তিলাওয়াত করতো, ‘বা যবর বা, বা যের বি..’।
পরন্ত দুপুরে সকল কাজ সাঙ্গ করে মা চাচিরা বসতেন কোরআন তিলাওয়াতে। তার পরে আমাদের কোলে বসিয়ে শোনাতেন হাদিসের কিসসা, সাহাবীদের কিসসা। তন্ময় হয়ে শুনতাম সে সব গল্প।
দিন এখন বদলে গেছে, বদলে গেছে মানুষ। ভোর বেলা এখন আর গ্রামের প্রতিটা ঘর থেকে গুণ গুণ শব্দের কোরানের সুর ভেসে আসেনা। এদেশের নগরে গ্রামে ভোর বেলা ভেসে আসে হারমনিয়ামের সাথে সা। রে। গা। মা...।
মসজিদের কোরাস কন্ঠে আরবি পড়া ছাত্রের সংখ্যা কমে এসেছে। ভোর হতেই কিন্ডার গার্ডেন মুখি ছোট ছোট শিশুরা। ক্যারিয়ার গড়তে হবে, প্রতিযোগীতায় এগিয়ে থাকতে হবে। ভিত্তি মজবুত না হলে কিভাবে হবে? তাইতো এতো এতো পড়ার মাঝে আরবী পড়ার সময় কই? বিনোদনের জন্য একটু সময়তো রাখতেই হবে, নইলে বাচ্চার মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হবে।
এখন আর গ্রামের মায়েরা তাদের শিশুদের হাদিসের কিসসা শুনায়না, তারা সকল কাজ সাঙ্গ করে বাচ্চাদের কোলে নিয়ে বসে ভারতীয় সিরিয়াল দেখে। বাচ্চাদের প্রেম শিখায়, ভালোবাসা শিখায়, কুটনামী শিখায়, বিনা পয়সায় মূর্তিপূজা শিখায়। পয়সা খরচ করে আরবী পড়ানোর দরকার কি?!
‘ইসলামীক এডুকেশন সোসাইটি’ শিশুদের উপযোগী করে বেশ কিছু পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করেছ। কিন্তু সমন্বয় এবং মনিটরিং এর অভাবে বিদ্যালয় ভিত্তিক ইসলামী শিক্ষার মান এখনো ব্যাপক হারে ডেভেলপ করেনাই।
সামর্থবানরাতো অনেক জায়গায় বিনিয়োগ করছেন, ইসলামী শিক্ষার জন্য কি কিছু বিনিয়োগ করা যায়না?
একটা স্কুল, প্রতিটা ক্লাসরুমে প্রজেক্টরের ব্যবস্থা। শ্রেণী শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ক্লাস ভিত্তিক পাঠাগার, সেখানে থাকবে বাচ্চাদের উপযোগী পত্রিকা-ম্যাগাজিন, ইসলামীক কমিকের বই- সিডি। থাকবে সমৃদ্ধ ক্রিড়া উপকরণ। প্রতিদিনের গল্প বলার আসর। আর থাকবে ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোরআনে হাফেজ বানানোর উদ্যোগ (যতটুকু পারা যায়)।
এই ব্যবস্থা গুলো যদি করা যায়, আমার মতো আর কেউ বলবেনা, মক্তবে যামুনা, যামুনা, যামুনা! ঝড় হোক, বন্যা হোক, শিশুরা স্কুলে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করবে, স্কুলে যামু, যামু, যামু!
প্রয়োজন একটু সদিচ্ছার, প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগের। আপনার এলাকায় গড়ে তুলুন একটি স্কুল, হয়ে যান মানুষ গড়ার কারিগর। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব উঠে আসবে আপনার বিদ্যালয় থেকে, সেই সাথে নগদ পয়সাতো আছেই।
লেখাঃ শিক্ষায় বিনিয়োগ
© শামীম রেজা
৩০/০৮/২০১৪
No comments:
Post a Comment