বিশ্বব্যাপী
খিলাফত প্রত্যাশী গ্রুপগুলো মূলত দুইভাগে বিভক্ত। এক ভাগে রয়েছে যারা মনে
করে অস্ত্রই সকল ক্ষমতার উৎস এবং এখানে জনমতের তোয়াক্কা করার কিছু নেই,
জনগণকে পিটিয়ে পিটিয়ে খিলাফত গিলতে বাধ্য করা হবে। আরেকভাগে রয়েছে
গণতন্ত্রিক পন্থায় খিলাফত প্রত্যাশীরা, অস্ত্র ধারণ করাকে এই গ্রুপ হারামের
পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে।
এই দুটি মূল ধারার বাইরেও আরেকটি ধারা রয়েছে তারা ক্যান্টনমেন্ট বাদি, তাদের ধারনা ক্যান্টমনেটের আর্মি অফিসাররা তাদের কথায় মুগ্ধ হয়ে খিলাফতের মোয়া নিয়ে হাজির হয়ে যাবে।
বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ এলাকা যেমন ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্থান, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া সহ যেসব সংঘাতপূর্ণ এলাকা রয়েছে সেখানে গণতান্ত্রিক উপায়ে খিলাফত প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা হচ্ছে চরমপর্যায়ের আহম্মকি। পরিস্থিতি বুঝে বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা ছাড়া বিজয়ী হওয়া অসম্ভব।
আবার জনগণের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র্ক্ষমতা পরিবর্তন করা যায় এমন এলাকাতে সশস্ত্র বিল্পবের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে জনগণের উপর জুলুম। একটি শান্তিপূর্ণ জনপদকে যুদ্ধের ধ্বংশলীলার মধ্যে ঠেলে দিয়ে জনগণের জানমালকে হুমকিগ্রস্থ করা আর যাই হোক, বিচক্ষণতার মধ্যে পড়েনা। শান্তিপূর্ণ অঞ্চলে নিয়মতান্ত্রিক উপায়েই রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে। যুক্তি যেখানে পরাজিত অস্ত্র সেখানে মূল হাতিয়ার। ইসলাম কোনো দূর্বল মতবাদের নাম নয়, ইসলাম হচ্ছে একটি শক্তিশালী জীবনব্যবস্থা, জনগণকে ইসলাম বোঝাতে সক্ষম হলে তারা স্বেচ্ছায়ই খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সমর্থন যোগাবে।
বিশ্বের শান্তিপূর্ণ এলাকাতে যেখানে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে সেসব স্থানে দেখা যায় ইসলামী গণতান্ত্রিক দলগুলো অস্ত্র ধারণ করাকে হারাম পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে। অস্ত্রের ডিলারশিপ ইহুদী-খৃস্টানদের এজেন্টের হাতে তুলে দিয়ে খালি হাতে ইসলামী বিপ্লবের সুখ স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে। এসব ইসলামী সংগঠনের ধারণা, দেশের বিপুল বিশাল জনমত যদি খিলাফত ব্যবস্থার পক্ষে ভোট প্রদান করে তবে কোনো অস্ত্র শক্তি সেই জনমতকে প্রত্যাক্ষাণ করতে পারবেনা। কিন্তু এসব ইসলামী দলগুলো একথা ভাবনাতেই আনেনা যে, ডাকাতের হাতের অস্ত্র ততক্ষণ পর্যন্ত শান্ত থাকবে যতক্ষণ আপনি ডাকাতি কাজে বাঁধা প্রদান করবেননা, আর যখনই আপনি তাঁর ডাকাতিতে বাঁধা প্রদান করবেন তখন আপনার গলায় ছুড়ি চালাতে ডাকাত দল এক মূহুর্ত দ্বিধা করবেনা।
বাতিলপন্থীরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ততদিন পর্যন্ত সমর্থন করবে যতদিন পর্যন্ত জনমত তাদের পক্ষে থাকবে। আর যখনই জনমত খিলাফতের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে ঠিক তখনি এসব ডাকাত দলের অস্ত্র হকের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে। তারা কিছুতেই খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে দিবেনা। আমাদের সামনেতো উদাহরণ রয়েছেই, সাম্প্রতিক মিশর, তিউনিশিয়া, ফিলিস্তিনে হামাস, তুরস্ক, আলজেরিয়া। এসব রাষ্ট্রগুলোতে যখনই খিলাফতপন্থী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে তখনই বাতিলের অস্ত্র ইসলামের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে।
মিশরের নিরস্ত্র ইসলামপন্থী হাজার হাজার জনতা খালি হাতে বাতিলের বুলেটে শহীদ হয়ে যাচ্ছে। সামান্য ইটের টুকরো দিয়েই গড়ে তুলছে প্রতিরোধ। ইটের টুকরো দিয়ে বাতিলের মোকাবেলা যদি যায়েজ হয় তাহলে আগ্নেয়াস্ত্র নয় কেনো? একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে ব্রাদারহুডের সে রকম পূর্ব প্রস্তুতি ছিলোনা, যার কারণে অস্ত্রের মোকাবেলা ইট দিয়েই করতে হচ্ছে। আর এখন যদি ব্রাদারহুড সীমিতি সামর্থ দিয়ে অস্ত্র ধারণ করে তবে তাদের এতোদিনের গোছানো ময়দান ধুলায় মিশে যাবে।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে অন্য যায়গাতে, এতোদিন কেনো ব্রাদারহুড প্রস্তুতি নেয়নাই? এপ্রশ্নের জবাব কেউ দিবেনা। সবাই ক্যান্টনমেন্ট বাদীদের মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, আসমান থেকে ফেরেশতা নাজিল হয়ে বাতিলের মোকাবেলা করবে।
আগামী কাল যদি বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে নির্বাচিত হয়, তবে সেনাবাহিনী সংসদ ভবন থেকে জামায়াতকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবে এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। জামায়াত কি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এমন পরিস্থিতির মোকাবেলায়? কুকুরের জন্য মুগুর রেডি করা না হলে কামড় খেতেই হবে সে আপনি যতই ভদ্রলোক হননা কেনো।
আমার মনে হয় বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক ইসলামী রাজনৈতিক দলসমূহের জন্য সময় এসেছে ঘুড়ে দাড়াবার, বারুদের ডিলারশীপ একচেটিয়াভাবে ইহুদি খৃস্টানদের এজেন্টদের কাছে ছেড়ে না দিয়ে নিজেদের জন্যও কিছু জমা করার। বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক ইসলামী দল সমূহের রয়েছে কোটি কোটি কর্মী সমর্থক, তাদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করলে আখেরে নিজেরাই লাভবান হবে। অন্ততপক্ষে ব্রাদারহুডের মতো খালি হাতে জীবন দিতে হবেনা, আলজেরিয়া, তুরস্কের মতো সেনাবাহিনীর হাতে উচ্ছেদ হতে হবেনা, তিউনিসিয়ার মতো সামান্য হুমকিতেই ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে হবেনা। আমি বলছিনা প্রকাশ্যেই সব কিছু করতে হবে, নফল ইবাদততো আমরা গোপনেই করে থাকি, একটা ফরজের জন্য নাহয় গোপনে প্রস্তুতি গ্রহণ করলাম!
ফিলিস্তিনের হামাস এক্ষেত্রে দারুণ উদাহরণ হতে পারে। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্রাঞ্চের পাশাপাশি হামাসের রয়েছে সশস্ত্র সামরিক বিভাগ। ভদ্রলোকের সাথে ভদ্রলোকী আপ্যায়ন করতে হবে, আর কুকুরের আপ্যায়নের জন্য মুগুর রেডি রাখতে হবে। প্রয়োজন হতে পারে যেকোনো সময়।
লেখাঃ ইসলামী বিপ্লবের ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি।
© শামীম রেজা
১১/০৭/২০১৪
এই দুটি মূল ধারার বাইরেও আরেকটি ধারা রয়েছে তারা ক্যান্টনমেন্ট বাদি, তাদের ধারনা ক্যান্টমনেটের আর্মি অফিসাররা তাদের কথায় মুগ্ধ হয়ে খিলাফতের মোয়া নিয়ে হাজির হয়ে যাবে।
বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ এলাকা যেমন ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্থান, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া সহ যেসব সংঘাতপূর্ণ এলাকা রয়েছে সেখানে গণতান্ত্রিক উপায়ে খিলাফত প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা হচ্ছে চরমপর্যায়ের আহম্মকি। পরিস্থিতি বুঝে বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা ছাড়া বিজয়ী হওয়া অসম্ভব।
আবার জনগণের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র্ক্ষমতা পরিবর্তন করা যায় এমন এলাকাতে সশস্ত্র বিল্পবের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে জনগণের উপর জুলুম। একটি শান্তিপূর্ণ জনপদকে যুদ্ধের ধ্বংশলীলার মধ্যে ঠেলে দিয়ে জনগণের জানমালকে হুমকিগ্রস্থ করা আর যাই হোক, বিচক্ষণতার মধ্যে পড়েনা। শান্তিপূর্ণ অঞ্চলে নিয়মতান্ত্রিক উপায়েই রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে। যুক্তি যেখানে পরাজিত অস্ত্র সেখানে মূল হাতিয়ার। ইসলাম কোনো দূর্বল মতবাদের নাম নয়, ইসলাম হচ্ছে একটি শক্তিশালী জীবনব্যবস্থা, জনগণকে ইসলাম বোঝাতে সক্ষম হলে তারা স্বেচ্ছায়ই খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সমর্থন যোগাবে।
বিশ্বের শান্তিপূর্ণ এলাকাতে যেখানে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে সেসব স্থানে দেখা যায় ইসলামী গণতান্ত্রিক দলগুলো অস্ত্র ধারণ করাকে হারাম পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে। অস্ত্রের ডিলারশিপ ইহুদী-খৃস্টানদের এজেন্টের হাতে তুলে দিয়ে খালি হাতে ইসলামী বিপ্লবের সুখ স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে। এসব ইসলামী সংগঠনের ধারণা, দেশের বিপুল বিশাল জনমত যদি খিলাফত ব্যবস্থার পক্ষে ভোট প্রদান করে তবে কোনো অস্ত্র শক্তি সেই জনমতকে প্রত্যাক্ষাণ করতে পারবেনা। কিন্তু এসব ইসলামী দলগুলো একথা ভাবনাতেই আনেনা যে, ডাকাতের হাতের অস্ত্র ততক্ষণ পর্যন্ত শান্ত থাকবে যতক্ষণ আপনি ডাকাতি কাজে বাঁধা প্রদান করবেননা, আর যখনই আপনি তাঁর ডাকাতিতে বাঁধা প্রদান করবেন তখন আপনার গলায় ছুড়ি চালাতে ডাকাত দল এক মূহুর্ত দ্বিধা করবেনা।
বাতিলপন্থীরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ততদিন পর্যন্ত সমর্থন করবে যতদিন পর্যন্ত জনমত তাদের পক্ষে থাকবে। আর যখনই জনমত খিলাফতের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে ঠিক তখনি এসব ডাকাত দলের অস্ত্র হকের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে। তারা কিছুতেই খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে দিবেনা। আমাদের সামনেতো উদাহরণ রয়েছেই, সাম্প্রতিক মিশর, তিউনিশিয়া, ফিলিস্তিনে হামাস, তুরস্ক, আলজেরিয়া। এসব রাষ্ট্রগুলোতে যখনই খিলাফতপন্থী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে তখনই বাতিলের অস্ত্র ইসলামের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে।
মিশরের নিরস্ত্র ইসলামপন্থী হাজার হাজার জনতা খালি হাতে বাতিলের বুলেটে শহীদ হয়ে যাচ্ছে। সামান্য ইটের টুকরো দিয়েই গড়ে তুলছে প্রতিরোধ। ইটের টুকরো দিয়ে বাতিলের মোকাবেলা যদি যায়েজ হয় তাহলে আগ্নেয়াস্ত্র নয় কেনো? একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে ব্রাদারহুডের সে রকম পূর্ব প্রস্তুতি ছিলোনা, যার কারণে অস্ত্রের মোকাবেলা ইট দিয়েই করতে হচ্ছে। আর এখন যদি ব্রাদারহুড সীমিতি সামর্থ দিয়ে অস্ত্র ধারণ করে তবে তাদের এতোদিনের গোছানো ময়দান ধুলায় মিশে যাবে।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে অন্য যায়গাতে, এতোদিন কেনো ব্রাদারহুড প্রস্তুতি নেয়নাই? এপ্রশ্নের জবাব কেউ দিবেনা। সবাই ক্যান্টনমেন্ট বাদীদের মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, আসমান থেকে ফেরেশতা নাজিল হয়ে বাতিলের মোকাবেলা করবে।
আগামী কাল যদি বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে নির্বাচিত হয়, তবে সেনাবাহিনী সংসদ ভবন থেকে জামায়াতকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবে এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। জামায়াত কি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এমন পরিস্থিতির মোকাবেলায়? কুকুরের জন্য মুগুর রেডি করা না হলে কামড় খেতেই হবে সে আপনি যতই ভদ্রলোক হননা কেনো।
আমার মনে হয় বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক ইসলামী রাজনৈতিক দলসমূহের জন্য সময় এসেছে ঘুড়ে দাড়াবার, বারুদের ডিলারশীপ একচেটিয়াভাবে ইহুদি খৃস্টানদের এজেন্টদের কাছে ছেড়ে না দিয়ে নিজেদের জন্যও কিছু জমা করার। বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক ইসলামী দল সমূহের রয়েছে কোটি কোটি কর্মী সমর্থক, তাদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করলে আখেরে নিজেরাই লাভবান হবে। অন্ততপক্ষে ব্রাদারহুডের মতো খালি হাতে জীবন দিতে হবেনা, আলজেরিয়া, তুরস্কের মতো সেনাবাহিনীর হাতে উচ্ছেদ হতে হবেনা, তিউনিসিয়ার মতো সামান্য হুমকিতেই ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে হবেনা। আমি বলছিনা প্রকাশ্যেই সব কিছু করতে হবে, নফল ইবাদততো আমরা গোপনেই করে থাকি, একটা ফরজের জন্য নাহয় গোপনে প্রস্তুতি গ্রহণ করলাম!
ফিলিস্তিনের হামাস এক্ষেত্রে দারুণ উদাহরণ হতে পারে। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্রাঞ্চের পাশাপাশি হামাসের রয়েছে সশস্ত্র সামরিক বিভাগ। ভদ্রলোকের সাথে ভদ্রলোকী আপ্যায়ন করতে হবে, আর কুকুরের আপ্যায়নের জন্য মুগুর রেডি রাখতে হবে। প্রয়োজন হতে পারে যেকোনো সময়।
লেখাঃ ইসলামী বিপ্লবের ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি।
© শামীম রেজা
১১/০৭/২০১৪
No comments:
Post a Comment