ফ্রেন্ডলিস্টে
ব্যালেন্স আনার জন্য এবং জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির প্রত্যাশায়
স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়েই খুঁজে খুঁজে বেশ কিছু জিহাদী আইডিকে ফ্রেন্ডলিস্টে
এ্যাড করে নিয়েছিলাম। এক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতা মিশ্র।
খুব মনযোগ দিয়ে সিরিয়া ইরাকের জিহাদের খবর গুলো খুটিয়ে খুটিয়ে নিয়মিতই পড়ি। আনন্দিত হই যখন আইএসআইএস নতুন নতুন এলাকা দখল করে এগিয়ে যায় বীর বিক্রমে, হৃদয়ে আশা জেগে ওঠে মুসলমানদের পূর্ণজাগরনের। আবার যখন জাবাহাতুন নুসরাহর বিজয়ের খবর শুনি তখনো আনন্দিত হই। যখন দেখি ইরাক এবং সিরিয়ার বিভিন্ন জনপদে শরীয়া আইন কায়েম করা হয়েছে তখনতো আনন্দের সীমা থাকেনা, মুখ ফুটে একটা শব্দই বেরিয়ে আসে “আল্লাহু আকবর”।
আবার বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীনও হই যখন দেখি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হিজরত করে যাওয়া প্রতিপক্ষ দলের মুজাহিদের কাটা মাথা নিয়ে উল্লাসে “আল্লাহু আকবর” স্লোগান দেয় আইএসআইএস কিংবা নুসরা সদস্যরা, তখনও মুখ ফুটে একটাই শব্দ বেরিয়ে আসে “নাউজুবিল্লাহ”! ইবলিশ শয়তানের চ্যালা ছাড়া অন্য কারো পক্ষে এমন নৃশংস কাজ করে “আল্লাহু আকবর” স্লোগান দেয়া সম্ভব নয়।
বিশ্বব্যাপী জিহাদী সংগঠনগুলো খুব ভালোভাবেই টুইটারকে কাজে লাগাচ্ছে। আইএসআইএস এর জিহাদীরা টুইট করে, “ইসরাইলের হামলায় হামাস পরাজিত হলেই ভালো হবে, তাহলে ফিলিস্তিনিরা বাধ্য হয় আইএসআইএস এর পতাকা তলে শামিল হবে”। আবার আলকায়দা সমর্থকরা আর এক ধাপ এগিয়ে আছে(সবাইনা তবে অনেকেই), তারা ধরেই নিয়েছে হামাসের মাধ্যমে বিজয় সম্ভব নয়। বিজয় হবে কালো পতাকাবাহী দলের মাধ্যমে, তারা আসবে খোরাসান থেকে, বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও সেই দলে যোগ দিতে হবে। অতএব কালো পতাকার সৈনিকেরা খোরাসান থেকে ফিলিস্তিনে অভিযান পরিচালনা করার আগ পর্যন্ত মুখে আঙুল দিয়ে বসে থাকো। হামাসের বিজয়ে মাতামাতি করার কিছু নেই।
আমার ফ্রেন্ডলিস্টের সেই জ্ঞানী আইডিগুলো থেকে অনেক অনেক জ্ঞান অর্জন করেছি, যেমন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করার চাইতে দাড়ি রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
জিহাদ করার জন্য একে ফোর্টি সেভেন বাধ্যতামূলক, ইট,লাঠি,ককটেল দিয়ে জিহাদ করলে জিহাদ হবেনা।
ইসলামী সংগঠনের হরতাল বাধাগ্রস্থ করার অপরাধে গাড়ি ভাঙা হারাম, কিন্তু আইএসআইএস এর অগ্রগতিতে বাঁধা প্রদানকারীদের কল্লা ফেলে দেয়া ফরজ।
জিহাদ কোনো কৌশলের নাম নয়, জিহাদ হচ্ছে গায়ের জোরে জাহেলদেরকে ইসলাম শিখানো।
জিহাদের সাথে হুদাইবিয়ার সন্ধির কোনো সম্পর্ক নাই, শান্তিকালীন সময় বলতে কিছু নেই। যুদ্ধ এবং যুদ্ধ, যুদ্ধ করেই ইসলাম কায়েম করতে হবে। (মদিনা কি যুদ্ধ করে জয় করা হয়েছিলো? ভুলে গেছি!)
গ্লোবাল জিহাদ থেকে আরো একটা বিষয় শিখেছি, যদিও সেটা এখনো এদেশে চালু হয়নাই, তবে আশা করা যায়, অস্ত্র হাতে পেলে এদেশেও সেই সংস্কৃতির আমদানী হবে, সেটা হচ্ছে যাকে তাকে হত্যা করার জন্য কাফের এবং মুরতাদ ফতোয়া দেয়া এবং সেই মুরতাদের কাটা মাথা হাতে নিয়ে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড দেয়া।
জানার কোনো শেষ নাই, এখনো জানছি এবং জানার চেষ্টা করছি।
লেখাঃ আমার জিহাদ শিক্ষা
© শামীম রেজা
০৪/০৮/২০১৪
খুব মনযোগ দিয়ে সিরিয়া ইরাকের জিহাদের খবর গুলো খুটিয়ে খুটিয়ে নিয়মিতই পড়ি। আনন্দিত হই যখন আইএসআইএস নতুন নতুন এলাকা দখল করে এগিয়ে যায় বীর বিক্রমে, হৃদয়ে আশা জেগে ওঠে মুসলমানদের পূর্ণজাগরনের। আবার যখন জাবাহাতুন নুসরাহর বিজয়ের খবর শুনি তখনো আনন্দিত হই। যখন দেখি ইরাক এবং সিরিয়ার বিভিন্ন জনপদে শরীয়া আইন কায়েম করা হয়েছে তখনতো আনন্দের সীমা থাকেনা, মুখ ফুটে একটা শব্দই বেরিয়ে আসে “আল্লাহু আকবর”।
আবার বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীনও হই যখন দেখি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হিজরত করে যাওয়া প্রতিপক্ষ দলের মুজাহিদের কাটা মাথা নিয়ে উল্লাসে “আল্লাহু আকবর” স্লোগান দেয় আইএসআইএস কিংবা নুসরা সদস্যরা, তখনও মুখ ফুটে একটাই শব্দ বেরিয়ে আসে “নাউজুবিল্লাহ”! ইবলিশ শয়তানের চ্যালা ছাড়া অন্য কারো পক্ষে এমন নৃশংস কাজ করে “আল্লাহু আকবর” স্লোগান দেয়া সম্ভব নয়।
বিশ্বব্যাপী জিহাদী সংগঠনগুলো খুব ভালোভাবেই টুইটারকে কাজে লাগাচ্ছে। আইএসআইএস এর জিহাদীরা টুইট করে, “ইসরাইলের হামলায় হামাস পরাজিত হলেই ভালো হবে, তাহলে ফিলিস্তিনিরা বাধ্য হয় আইএসআইএস এর পতাকা তলে শামিল হবে”। আবার আলকায়দা সমর্থকরা আর এক ধাপ এগিয়ে আছে(সবাইনা তবে অনেকেই), তারা ধরেই নিয়েছে হামাসের মাধ্যমে বিজয় সম্ভব নয়। বিজয় হবে কালো পতাকাবাহী দলের মাধ্যমে, তারা আসবে খোরাসান থেকে, বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও সেই দলে যোগ দিতে হবে। অতএব কালো পতাকার সৈনিকেরা খোরাসান থেকে ফিলিস্তিনে অভিযান পরিচালনা করার আগ পর্যন্ত মুখে আঙুল দিয়ে বসে থাকো। হামাসের বিজয়ে মাতামাতি করার কিছু নেই।
আমার ফ্রেন্ডলিস্টের সেই জ্ঞানী আইডিগুলো থেকে অনেক অনেক জ্ঞান অর্জন করেছি, যেমন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করার চাইতে দাড়ি রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
জিহাদ করার জন্য একে ফোর্টি সেভেন বাধ্যতামূলক, ইট,লাঠি,ককটেল দিয়ে জিহাদ করলে জিহাদ হবেনা।
ইসলামী সংগঠনের হরতাল বাধাগ্রস্থ করার অপরাধে গাড়ি ভাঙা হারাম, কিন্তু আইএসআইএস এর অগ্রগতিতে বাঁধা প্রদানকারীদের কল্লা ফেলে দেয়া ফরজ।
জিহাদ কোনো কৌশলের নাম নয়, জিহাদ হচ্ছে গায়ের জোরে জাহেলদেরকে ইসলাম শিখানো।
জিহাদের সাথে হুদাইবিয়ার সন্ধির কোনো সম্পর্ক নাই, শান্তিকালীন সময় বলতে কিছু নেই। যুদ্ধ এবং যুদ্ধ, যুদ্ধ করেই ইসলাম কায়েম করতে হবে। (মদিনা কি যুদ্ধ করে জয় করা হয়েছিলো? ভুলে গেছি!)
গ্লোবাল জিহাদ থেকে আরো একটা বিষয় শিখেছি, যদিও সেটা এখনো এদেশে চালু হয়নাই, তবে আশা করা যায়, অস্ত্র হাতে পেলে এদেশেও সেই সংস্কৃতির আমদানী হবে, সেটা হচ্ছে যাকে তাকে হত্যা করার জন্য কাফের এবং মুরতাদ ফতোয়া দেয়া এবং সেই মুরতাদের কাটা মাথা হাতে নিয়ে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড দেয়া।
জানার কোনো শেষ নাই, এখনো জানছি এবং জানার চেষ্টা করছি।
লেখাঃ আমার জিহাদ শিক্ষা
© শামীম রেজা
০৪/০৮/২০১৪
No comments:
Post a Comment