মামা বলছি

ঘুঘু সই! বাসা কই?
শিমুল গাছে।
শিমুল কই?
........................
ছোট তালগাছটা লড়ে-চড়ে,
বড় তালগাছটা ভাইঙ্গা......পড়ে।
কোন ঘাটে পড়বা, শোনার ঘাটে নাকি রুপার ঘাটে?
ধুপ্পু, ধুপ্পু, ধুপ্পু......ত!
পিচ্চি ভাগ্নীটা হি হি করে হাসিতে ভেঙে পড়ে।

শুয়ে শুয়ে দুই পায়ের পাতার উপর ছোট ভাগ্নীকে বসিয়ে দোল খাওয়াচ্ছিলাম, আর সুর করে আবৃতি করছিলাম আঞ্চলিক কবিতা। পিচ্চিটার আনন্দ দেখে কে! অনেক দিন পরে মামাকে কাছে পেয়েছে। এমনিতে মোবাইল হাতে নিলে তাঁর কথা ফুরায়না, আধো আধো বুলি- মামা আসসালামু আলাইকুম, মামা ভাত কেয়েচ? মামা রোজা রেকেচ? মামা বালো আচো? আমি বালো আচি!

সেদিন ছোট বোনকে ফোন করে নালিশ করছিলো সেঝ ভাইগ্নাটা, ‘খালামনি! ছোট মামা শুধু সিটিং করে’
‘কি সিটিং করে?’
‘ছোট মামা শুধু বলে আসবো, কিন্তু আসেনা’।
এক গাদা অভিযোগের স্তুপ! অভিযোগের পাহাড় সরানোর জন্য শেষ পর্যন্ত চলেই এলাম।

অলরেডি মোবাইল দুটো বেদখল হয়ে গেছে। মেঝ ভাইগ্না বসে বসে ল্যাপটপে গেমস খেলছে, বড় জন বসে আছে গেমস খেলা শেষ হলে কার্টুন দেখবে। সব চাইতে পিচ্চিটা মোবাইল হাতে নিয়ে পায়ের পাতার উপর বসে বসে ‘ঘুঘু সই’ খেলছে, আর সেঝ ভাইগ্না মোবাইলে মোটর রেসিং নিয়ে ব্যস্ত।

ছোট ভাগ্নি একটু পর পরেই ‘ঘুঘু সই’ খেলা ফেলে টেনে উঠিয়ে বসাচ্ছে, মামা ওঠো! মামা ওঠো! আমি কাঁধে চোব্বো, তারপর কাঁধে উঠেই দুই গাল মাখা মাখি করে চখাম চখাম আদর।

পৃথিবীটা এখানে অন্যরকম, পৃথিবীর সব আনন্দ এসে জড়ো হয়েছে শিশুদের এই সর্গরাজ্যে।

লেখাঃ মামা বলছি
© শামীম রেজা
২৩/০৭/২০১৪

Post Comment

No comments:

Post a Comment