সংসদ
ভবন এলাকাতে গিয়েছিলাম, বিশাল উন্মুক্ত এলাকা জুড়ে নিরাপদ প্রেমের
ব্যবস্থা। ঢাকা শহরের প্রতিটি পর্যটন এরিয়াতে একই চিত্র। শুধুমাত্র ঢাকা নয়
এই চিত্র বাংলাদেশের প্রতিটি শহর এমনকি গ্রামেরও।
স্কুল-কলেজের ছেলে মেয়েরা প্রকাশ্য অনৈতিক কাজে জড়াচ্ছে আর পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে।
এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম, পার্ক এড়িয়াতে ছিনতাইকারীর খপ্পরে পড়লে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। ছিনতাইকারী বারবার বলছিলো “স্যার, আমরা ছিনতাইকারী নই, এখানে এরা প্রেম করতে এসেছে, আমরা বাঁধা দিয়েছি”। পুলিশ সুন্দর জবাব দিয়েছিলো, পার্কগুলাতো প্রেমের জন্যই বানানো হয়েছে, এখানে প্রেম করবেনাতো কোথায় করবে?
আজ আবদ্ধ ঘরে কুরআনের আলোচনা করা যায়না, ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বলা যায়না। অথচ প্রকাশ্য উন্মুক্ত স্থানে ব্যভিচার করা মামুলী ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। গোপন বৈঠকের অজুহাতে, নাশকতার পরিকল্পনার মিথ্যা অজুহাত দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় দ্বীনি বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদেরকে, আর অনৈতিক কাজের জন্য দেয়া হয় রাষ্ট্রিয় নিরাপত্তা।
নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় কোরানের মাহমিল, অথচ দ্বিস্তর-তিনস্তর এর নিরাপত্তা দিয়ে আয়োজন করা হয় ব্যান্ডসংগীত, যাত্রা গানের আসর। অশ্লীল ভিডিও দিয়ে ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক পূর্ণ থাকলে প্রব্লেম নেই, এগুলো স্বাভাবিক ব্যাপার, কিন্তু সেই ল্যাপটপে যদি ইসলামী বই পাওয়া যায় তবে সেটা হয়ে যায় জিহাদী বই, জঙ্গি বই। জিহাদী বইয়ের অজুহাতে গ্রেপ্তার করা হয় জামিন অযোগ্য ধারার মামলায়।
প্রেমের টানে বারবার ঘর ছাড়া এক মেয়ে বলেছিলো, ছোট বেলা থেকেই দেখতাম সবাই মোবাইলে প্রেম করে, আমারও করতে ইচ্ছে হতো। সেই থেকে শুরু, যখন হাতে মোবাইল এলো তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নাই। এই মেয়েটি কিন্তু প্রেমের জন্য প্রেম করেনাই, সবাই করে তাই তারও করতে ইচ্ছে হয়েছে।
আজকে যখন ছোট ছোট বাচ্চারা পার্ক এবং রাস্তার পাশে যুগলবন্দী হয়ে বসে থাকার দৃশ্য দেখে তখন তাদেরও ইচ্ছে হয় বড় হয়ে তারাও এমন করে হাত ধরা ধরি করে রাস্তার পাশে বসে থাকবে। বাচ্চারা দেখে শিখে।
না শুধুমাত্র বাচ্চারা নয়, কখনো কখনো বড়রাও দেখে শিখে, সেদিন আহসান মঞ্জিলে গিয়েছিলাম, লম্বা দাড়ি এবং টুপি পড়া এক যুবক বিশাল যুব্বা পড়া অবস্থায় এক হিজাবী-নিকাবী আপুর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় বসে আছে। পোশাক দেখে তাদের সম্পর্কে কু ধারনা করলামনা, ধারনা করলাম তারা স্বামী-স্ত্রী, কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, কাকে দেখানোর জন্য তারা প্রকাশ্যে এভাবে রোমান্টিকতা প্রদর্শণ করছেন?!
এটাকেই বলে দেখে শেখা। তারা দেখেছেন, শিখেছেন, এখন সবাইকে দেখাচ্ছেন।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায়, পৃষ্ঠপোষকতায় যদি অশ্লীলতা-ব্যভিচারকে প্রচার করা হয়, আর দ্বীনি মাহফিলকে, দ্বীনি আলোচনাকে নাশকতার আশংকায় বন্ধ করে দেয়া হয় তবে শুধুমাত্র আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশুরা অশ্লীলতা শিখবেনা, আমরা বড়রাও শিখবো, চর্চা করবো, প্রচার করবো।
তারপরেও এক শ্রেণীর মানুষ বলবেন, ইসলামী আন্দোলন করার কি প্রয়োজন? কুরআন পড়বা, নামাজ পড়বা, রোজা রাখবা তাহলেই ইসলাম পালন হয়ে যাবে। রাজনীতি করবে শয়তানেরা, ভালো মানুষরা মসজিদে বসে আল্লাহ আল্লাহ জিকির করবে।
ইসলামপন্থীদের সংসদে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, সংসদে যাবে শয়তানেরা তারা সংসদে বসে ইসলাম বিরোধী আইন বানাবে আর সেই আইনের মাধ্যমে মুসলমানদের শাসন করা হবে।
এই শ্রেনীর মানুষেরা শয়তানের চাইতে কোনো অংশে কম ক্ষতিকর নয়।
লেখাঃ রাজনীতি করার কি প্রয়োজন?
© শামীম রেজা
১২/০৮/২০১৪
স্কুল-কলেজের ছেলে মেয়েরা প্রকাশ্য অনৈতিক কাজে জড়াচ্ছে আর পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে।
এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম, পার্ক এড়িয়াতে ছিনতাইকারীর খপ্পরে পড়লে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। ছিনতাইকারী বারবার বলছিলো “স্যার, আমরা ছিনতাইকারী নই, এখানে এরা প্রেম করতে এসেছে, আমরা বাঁধা দিয়েছি”। পুলিশ সুন্দর জবাব দিয়েছিলো, পার্কগুলাতো প্রেমের জন্যই বানানো হয়েছে, এখানে প্রেম করবেনাতো কোথায় করবে?
আজ আবদ্ধ ঘরে কুরআনের আলোচনা করা যায়না, ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বলা যায়না। অথচ প্রকাশ্য উন্মুক্ত স্থানে ব্যভিচার করা মামুলী ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। গোপন বৈঠকের অজুহাতে, নাশকতার পরিকল্পনার মিথ্যা অজুহাত দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় দ্বীনি বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদেরকে, আর অনৈতিক কাজের জন্য দেয়া হয় রাষ্ট্রিয় নিরাপত্তা।
নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় কোরানের মাহমিল, অথচ দ্বিস্তর-তিনস্তর এর নিরাপত্তা দিয়ে আয়োজন করা হয় ব্যান্ডসংগীত, যাত্রা গানের আসর। অশ্লীল ভিডিও দিয়ে ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক পূর্ণ থাকলে প্রব্লেম নেই, এগুলো স্বাভাবিক ব্যাপার, কিন্তু সেই ল্যাপটপে যদি ইসলামী বই পাওয়া যায় তবে সেটা হয়ে যায় জিহাদী বই, জঙ্গি বই। জিহাদী বইয়ের অজুহাতে গ্রেপ্তার করা হয় জামিন অযোগ্য ধারার মামলায়।
প্রেমের টানে বারবার ঘর ছাড়া এক মেয়ে বলেছিলো, ছোট বেলা থেকেই দেখতাম সবাই মোবাইলে প্রেম করে, আমারও করতে ইচ্ছে হতো। সেই থেকে শুরু, যখন হাতে মোবাইল এলো তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নাই। এই মেয়েটি কিন্তু প্রেমের জন্য প্রেম করেনাই, সবাই করে তাই তারও করতে ইচ্ছে হয়েছে।
আজকে যখন ছোট ছোট বাচ্চারা পার্ক এবং রাস্তার পাশে যুগলবন্দী হয়ে বসে থাকার দৃশ্য দেখে তখন তাদেরও ইচ্ছে হয় বড় হয়ে তারাও এমন করে হাত ধরা ধরি করে রাস্তার পাশে বসে থাকবে। বাচ্চারা দেখে শিখে।
না শুধুমাত্র বাচ্চারা নয়, কখনো কখনো বড়রাও দেখে শিখে, সেদিন আহসান মঞ্জিলে গিয়েছিলাম, লম্বা দাড়ি এবং টুপি পড়া এক যুবক বিশাল যুব্বা পড়া অবস্থায় এক হিজাবী-নিকাবী আপুর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় বসে আছে। পোশাক দেখে তাদের সম্পর্কে কু ধারনা করলামনা, ধারনা করলাম তারা স্বামী-স্ত্রী, কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, কাকে দেখানোর জন্য তারা প্রকাশ্যে এভাবে রোমান্টিকতা প্রদর্শণ করছেন?!
এটাকেই বলে দেখে শেখা। তারা দেখেছেন, শিখেছেন, এখন সবাইকে দেখাচ্ছেন।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায়, পৃষ্ঠপোষকতায় যদি অশ্লীলতা-ব্যভিচারকে প্রচার করা হয়, আর দ্বীনি মাহফিলকে, দ্বীনি আলোচনাকে নাশকতার আশংকায় বন্ধ করে দেয়া হয় তবে শুধুমাত্র আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশুরা অশ্লীলতা শিখবেনা, আমরা বড়রাও শিখবো, চর্চা করবো, প্রচার করবো।
তারপরেও এক শ্রেণীর মানুষ বলবেন, ইসলামী আন্দোলন করার কি প্রয়োজন? কুরআন পড়বা, নামাজ পড়বা, রোজা রাখবা তাহলেই ইসলাম পালন হয়ে যাবে। রাজনীতি করবে শয়তানেরা, ভালো মানুষরা মসজিদে বসে আল্লাহ আল্লাহ জিকির করবে।
ইসলামপন্থীদের সংসদে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, সংসদে যাবে শয়তানেরা তারা সংসদে বসে ইসলাম বিরোধী আইন বানাবে আর সেই আইনের মাধ্যমে মুসলমানদের শাসন করা হবে।
এই শ্রেনীর মানুষেরা শয়তানের চাইতে কোনো অংশে কম ক্ষতিকর নয়।
লেখাঃ রাজনীতি করার কি প্রয়োজন?
© শামীম রেজা
১২/০৮/২০১৪
No comments:
Post a Comment